উচ্চ নেতৃত্বের কান ভাঙিয়ে টিকিট নিয়েছেন মনোজ টিজ্ঞা। তার নামে বেহিসেবি বিষয় সম্পত্তির কথা জানিয়ে প্রতারনা করে টিকিট নিয়েছেন
মনোজ অভিযোগ জন বার্লার। জনের আরও
অভিযোগ,“মনোজের নামে রয়েছে বীরপাড়ায়
পেট্রোল পাম্প, চলছে তার একাধিক ট্রিপার, বেআইনি ক্রাশারের মালিক সে”। আলিপুরদুয়ার লোকসভা
আসনে মনোজ টিগ্গার নাম ঘোষণার পর থেকেই অগ্নিশর্মা জন
বার্লা।
বুধবার প্রকাশ্যে ভাজপা বিধায়ক ও সাংসদ একে অপরের
দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলে খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেন। কেন্দ্রীয় বিজেপির
সিলেকশন কমিটিতে বার্লার বিরুদ্ধে বেহিসেবি
সম্পত্তি, অট্টালিকা সমান বাড়ির অভিযোগ তুলে প্রতারণা করে কানাঘুষোয় মন্ত্রণা দিয়ে
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট হাসিল করেছে মাদারিহাটের বিধায়ক তথা জেলা
সভাপতি মনোজ টিগ্গা এমনটাই অভিযোগ জনের। এনিয়ে দুই পক্ষের
মধ্যে তাপ উত্তাপ বাড়ছিল ক্রমশ।
বুধবার বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু
মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মুখে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা
এসে পৌঁছতেই রণংদেহী রূপ নেন সাংসদ। মাদারিহাট রেলস্টেশনে এদিন কাঞ্চনকন্যা স্টপেজ
উদ্বোধনী পৌঁছেছিলেন সাংসদ বার্লা। সেখানে প্রার্থী মনোজ টিগ্গা ফালাকাটার বিধায়ক
দীপক বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হতেই সরকারি দপ্তরে বসে রেলের আধিকারিকদেরও
রেয়াত না করে মনোজকে দেখে তেড়ে ওঠেন সাংসদ। গলা চড়িয়ে হাত উচিয়ে মনোজকে আঙুল
দেখিয়ে বলেন ছল করে আমাকে ধোকা দিয়ে টিকিট
নিয়েছে। বলেছিল মাদারিহাটে কাঞ্চনকন্যা স্টপেজ করে দিন আমি আপনাকে ৬০ হাজার
ভোটে জিতিয়ে আনবো। আর অমিত শাহের কানে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ফুসমন্ত্র
দিয়ে টিকিট নিয়েছে। আলিপুরদুয়ার প্রার্থী মনোজকে আঙুল দেখিয়ে বারলা বলেন,“প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করলে কথা হবে। বিজেপির
অনেকেই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছে তুমিও করো! প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করলে
কোনো কথা হবে না”। তিনি অন্য কোন রাজনৈতিক দল কিংবা নির্দল
প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন কিনা সে বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখবেন বলেও
জানিয়ে দেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই প্রকাশ্যে চলে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ বনাম
আলিপুরদুয়ার প্রার্থী ও উপস্থিত বিধায়কদের মাঝে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি।