Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

kali puja 2024

Kali Puja 2024: যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই সেবাইত! জানুন মালদার চৌধুরী জমিদার বাড়ির কালীপুজোর ইতিহাস


নিউজ ডেস্ক: যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই নাকি সেবাইত। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে জাঁকজমকভাবে মালদার গাজোল হাটে আদি শ্যামাকালী দেবীর ধুমধাম করে পুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই আবার সেবাইত। যদিও গাজোলের জমিদার বাড়ির কালীপুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। গাজোল হাটের এক সময়ের জমিদার রামানন্দ চৌধুরীর পরিবারের পুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে দেবী মায়ের স্বপ্নাদেশে জমিদার রামানন্দ চৌধুরী এই কালী পুজোর শুরু করেছিলেন। বর্তমানে জমিদারের বংশধরেরা আর এখানে কেউ থাকেন না । ফলে এই পুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।

কার্তিক মাসের অমাবস্যার তিথিতে দেবী কালী মায়ের চক্ষুদান পর্ব আচমকা যিনি দেখতে পান, তিনি নাকি হয়ে ওঠেন সৌভাগ্যের রাজা। যদিও দেবী কালীমাতার এই চক্ষুদান পর্ব দেখার নিয়ম নেই। তবুও আকস্মিকভাবে যদি কখনও পুজো চলাকালীন ভক্তদের নজরে আসে চক্ষুদানের বিষয়টি, সেই মুহূর্তেই কালী মায়ের কাছে যা মানত করা যায়, এক মাসের মধ্যেই ফল পান ভক্তেরা। প্রায় ২৫০ বছরের মালদার গাজোলের চৌধুরী জমিদার বাড়ির কালীপুজোর (Kali Puja 2024) এমনই গল্প প্রচলিত রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্দিরের সেবাইত আমান কুমার ঝাঁ জানিয়েছেন, জমিদার রামনন্দ চৌধুরী পারিবারিক আদি কালীপুজোটি গাজোল হাট এলাকায় অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমানে মালদার গাজোল হাট কমিটি উদ্যোগে আদি শ্যামাকালী পুজোটি হয়ে আসছে। তন্ত্র মতে এই পুজো হয়ে থাকে। অমাবস্যার মধ্যরাতে পুজোটি হয় এবং এই মায়ের মূর্তি অমাবস্যার দিনে বানিয়ে মাকে চক্ষুদান করা হয়। সেবাইত আমান ঝাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজের বাড়িতেই দেবী মূর্তি বানান। তারপর সেখান থেকে মাকে ঘাড়ে করে নিয়ে এসে বেদীতে বসানো হয়। এরপর অমাবস্যা মধ্যরাতে মায়ের পুজো হয়। এই পুজোতে কয়েকশো পাঁঠাবলির প্রচলন রয়েছে। আর পুজো (Kali Puja 2024) শেষে এলাকার একটি দীঘিতে প্রাচীন নিয়ম মেনে দেবী মূর্তির বিসর্জন দেওয়া হয়।

এই পুজোকে (Kali Puja 2024) ঘিরে প্রতি বছরই ভক্তদের সমাগম ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে। কথিত আছে, আদি শ্যামা কালী মায়ের কাছে মন ভরে মনস্কামনা করলে, তা পূরণ হয়। আর ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়ার কারণেই ভিড় বাড়ছে গাজোল হাটের শ্যামা কালী পুজোয়।

Sweta Chakrabory | 17:10 PM, Thu Oct 31, 2024

Hooghly Kali Temple: গঙ্গার ওপারেও রয়েছে আরও এক ‘দক্ষিণেশ্বর’! জানুন প্রায় সাড়ে তিনশো বছর পুরনো এই মন্দিরের ইতিহাস


নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন দক্ষিণেশ্বর। হুবহু একই আদলে গঙ্গার অপর প্রান্তে রয়েছে আরও একটি মন্দির। দক্ষিণেশ্বরে যেমন কালী ভবতারিণী রূপে বিরাজ করেন, তেমনই উল্টোদিকে গঙ্গার জগৎনগরে বিরাজ করেন মা আনন্দময়ী। অনেকেই কালীপুজোর সময় দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে চান। তবে মারত্মক ভিড় ও লাইন ঠেলে পুজো দেওয়া আর হয়ে ওঠে না। সেই সকল পুণ্যার্থীরা চাইলে কালীপুজোর আগে একবার ঘুরেই আসতে পারেন এই আনন্দময়ীর মন্দির থেকে।

প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই মাকে স্বপ্ন দেখেছিলেন এক তান্ত্রিক। তারপরই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই মন্দির। পরবর্তীতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভক্তদের দানের টাকায় তৈরি হয়েছে ক্রংক্রিটের দক্ষিণেশ্বরের আদলে এই মন্দির। গ্রামের প্রবীণ জয়দেব রায় বলেন,”আগে এই গ্রাম ছিল জঙ্গলে ভরা নির্জন এলাকা। পাশেই ছিল কানা নদী। এই জঙ্গলে মৃতদেহ সৎকার করতে সকলে শবদেহ নিয়ে আসত শ্মশানে। জানা যায় এই গ্রামের বাসিন্দা সুবল চন্দ্র রায়ের আনন্দময়ী ওরফে ‘আন্দি’ নামে নয় বছর বয়সী এক ব্রাহ্মণ কন্যার মৃত্যু হয়। শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করার সময় হঠাৎ তুমুল ঝড় বৃষ্টি শুরু হতেই শবদাহকারীরা ওই কন্যা সন্তানের জলন্ত মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। সেই সময় পাশেই জঙ্গলে এক সাধক ধ্যানরত অবস্থায় ছিল। তাঁকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ওই আধপোড়া মৃতদেহ কবর দিয়ে তার উপর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে।

সেই থেকে এই মন্দিরে কবরের উপর পঞ্চমুন্ডীর আসনে অধিষ্ঠাত্রী রয়েছেন মা আনন্দময়ী। পূর্বে ওই সাধক এই শ্মশানে ডালপালা ও গাছের পাতা দিয়ে ঘর বানিয়ে মায়ের ঘট স্হাপন করে পুজো শুরু করেছিলেন। এরপর বাংলার ১২৯৪ সালে গ্রামের ব্যাবসায়ী কৈলাস দত্ত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটা ছোট মন্দির প্রতিষ্ঠা করে বেনারস থেকে অষ্টধাতুর মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য চন্দননগরের জমিদার ‘সরকার’রা জমি দান করেছিলেন। মায়ের নিত্যপুজো করার জন্য স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের কাশী থেকে পুরোহিত আনার জন্য। সেই মতো কাশী থেকে দ্বীগম্বর চক্রবর্তী নামে এক পুরোহিতকে আনিয়ে শুরু হয় মায়ের পুজার্চনা। পরবর্তীকালে দীগম্বর চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তাঁর বংশধররা এই মন্দিরে মায়ের পুজোর দ্বায়িত্ব সামলে আসছেন আদি অনন্তকাল ধরে। বাংলার ১৪১২ (ইং 2006) সালে ভক্তদের দানে ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৬৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই মন্দির তৈরি করা হয়।

হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় মীর্জাপুর-বাঁকীপুর স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে দশ মিনিটে পায়ে হাঁটা পথ ধরে আসলেই জগৎনগর গ্রাম। রয়েছে মা আনন্দময়ীর এই কালী মন্দির। সারা বছর ধরে চলে মায়ের পুজো। কালীপুজোর দিন চার প্রহরে বিশেষ পুজো হয়। জেলা সহ বাইরে থেকে প্রচুর ভক্ত উপস্থিত হয় এই কালীপুজোর দিনে।

Sweta Chakrabory | 14:24 PM, Thu Oct 31, 2024

Kali Puja 2024: কালো কিংবা নীল নয়, হুগলির ‘সবুজ কালী’র মাহাত্ম্য জানলে চমকে যাবেন আপনিও


নিউজ ডেস্ক: কালো কিংবা নীল নয়, এই কালীর গায়ের রং সবুজ। পুজো পদ্ধতিও ভিন্ন। ইতিমধ্যেই হুগলির হরিপাল থানার শ্রীপতিপুর পশ্চিম গ্রামের ৭০ বছরের প্রাচীন ‘সবুজ কালী’র পুজো (Kali Puja 2024) প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই গ্রামের অধিকারী পরিবারের আরাধ্যা ‘সবুজ কালী’ (hooghly s sabuj kali)। ভূত চতুর্দশীর রাতে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের কাছে মানত করেন গ্রামবাসী। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এদিন ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে মানত করলে ইচ্ছাপূরণ হয়। তাই দূর দূর থেকে বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমান মন্দিরে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, হরিপালের দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী। তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশের পর চাকরি সূত্রে চলে যান ভিনরাজ্যে। তার পর ফিরে আসেন গ্রামে। চাষাবাদ শুরু করেন। পরিবারের চাপে পড়ে আঙুরবালা দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সংসারে ছিল না মন। মাঠে, ঘাটে, শ্মশানেই ঘুরে বেড়াতেন বটকৃষ্ণ। কথিত আছে, একবার মাঠে গরু বাঁধার সময় এক সাদা বস্ত্র পরিহিত সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। দীক্ষার দিনক্ষণ বলে দেন সন্ন্যাসী। শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধিলাভ করেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বৈষ্ণব বাড়িতে কালীপুজো নৈব নৈব চ! তা-ও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়িতে কালীর ঘট স্থাপন করলেন। এরপর স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালী মূর্তি স্থাপন। রটন্তী কালীপুজোর দিন প্রতিষ্ঠিত হয় এই ‘সবুজ কালী’ (hooghly s sabuj kali)।

এই কালীপুজোর পুজো পদ্ধতি এবং ভোগেও রয়েছে হাজারও ব্যতিক্রমী ছোঁয়া। ‘সবুজ কালী’-র (hooghly s sabuj kali) পুজোয় বলি প্রথা নেই। তবে ‘সবুজ কালী’র প্রিয় জুঁই ফুল ছাড়া পুজো যেন অসম্পূর্ণ। দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ ষোড়শ উপাচারে এই পুজো হয়। হোমও হয়। পুজোর রাতে টানা তিন ঘণ্টা বাঁশি বাজিয়ে শোনানো হয়। রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একটানা বাজে বাঁশি। ওই দিন ভোগে আবশ্যক ইলিশ মাছ।

Sweta Chakrabory | 12:06 PM, Thu Oct 31, 2024

Kali Puja 2024: আজ কালীপুজো, অমাবস্যা তিথি ঠিক কখন লাগছে? থাকবে কতক্ষণ? জানুন


নিউজ ডেস্ক: অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো হয়। ফলহারিনী অমাবস্যা থেকে কৌশিকী অমাবস্যা, বিভিন্ন সময়ে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। তবে এই কার্তিক অমাবস্যায় বিশেষ আচার মেনে দেবীর পুজো (Kali Puja 2024) সম্পন্ন হয় ঘরে ঘরে এবং বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলিতে। পঞ্জিকা মতে নিশিতা কালে এই পুজো হয়। এ বছর কার্ত্তিক অমাবস্যা পড়েছে ৩১ অক্টোবর (১৪ কার্তিক), বৃহস্পতিবার। ৩১ অক্টোবর ৩:৫২ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। পরের দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়বে। কালীপুজো মধ্যরাত্রি পর্যন্ত চলে, শুরুও হয় রাতেই, তাই ৩১ অক্টোবর পুজো হবে। কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত ৩১ অক্টোবর ১১:৪৮ মিনিট থেকে ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিট পর্যন্ত।

বাংলায় কালীপুজোর (Kali Puja 2024) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন অমাবস্যার তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। মন্দিরের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতেও কালীপুজো হয়। অনেকে আবার এই দীপাবলিতে বাড়িতে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করেন। অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ছাড়াও কালীপুজোর সন্ধ্যেবেলা দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয় অনেক বাড়িতে। বাংলার পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলিতে এই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো বহুল প্রচলিত। এই দিন মা কালীর আরাধনা করার পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আরাধনাও করা হয়। কালী পুজো মূলত অনুষ্ঠিত হয় মধ্যরাতে। ওই একই দিনে মন্দিরে এবং বাঙালির ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মীও।

শ্যামা পুজোর (Kali Puja 2024) দিন লক্ষ্মী পুজো করার আরও একটি কারণ হলো মনে করা হয় এই দিন লক্ষ্মী পুজো করলে জীবন থেকে সরে যায় সমস্ত দুঃখ দুর্দশা। ঘরে আসে সুখ সমৃদ্ধি। অর্থের কোনও অভাব হয় না দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজো করলে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা এবং অসমেও কার্তিক অমাবস্যায় মা কালীর পুজো করা হয়। কোনও কোনও বছর কালীপুজো ও দীপাবলি একদিন আগে ও পরে পরে থাকে। এবারেও কালীপুজোর পরের দিন দীপাবলি পালিত হবে।

Sweta Chakrabory | 11:02 AM, Thu Oct 31, 2024
upload
upload