RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ওপর হামলায় (Terrorist Attack) জড়িত তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করল পুলিশ। প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “ডোডা এবং ডেসরা এলাকায় এই তিনজন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গির কার্যকলাপের এই তিনজনই যুক্ত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে ওই জঙ্গিদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ নেওয়ার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে।
উর্দু ও পস্তো জানে জঙ্গিরা (Kupwara Encounter)
জানা গিয়েছে জঙ্গিরা উর্দু এবং পাস্তো ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে। জঙ্গিরা “জৈশ-এ-মোহাম্মদের” সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের অবস্থান যাতে চিহ্নিত না করতে পারে সেনা এবং পুলিশ, সেই কারণে নিজেদের ফোন ব্যবহার না করে অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন এবং পাকিস্তানে যোগাযোগের জন্য হটস্পট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।
সেনার উপর ফের হামলা (Terrorist Attack)
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara Encounter) জেলার কুমকাডি ছাউনি লক্ষ্য করে পাক জঙ্গি ও সীমান্ত বাহিনীর যৌথ হামলায় (Terrorist Attack) এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। মেজর পর্যায়ের পদমর্যাদার এক অফিসার সহ আরও চারজন সেনা পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন পাক জঙ্গিও খতম হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সর্পবিনাশ শুরু করেছে সেনা। ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলঘেরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, এমনই খবর পেয়েছে সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Infiltration: সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ, টার্গেট ছিলেন অমরনাথ যাত্রীরা?
নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ (Infiltration) রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) কুপওয়ারা জেলার কেরন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ভিনদেশিরা। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সেনার এক আধিকারিক জানান, ১৩-১৪ জুলাই রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সচরাচর যেসব রাস্তায় এ দেশে ঢোকে, সেই সব রুটে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই গুলি ছুড়তে শুরু করে অনুপ্রবেশকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ২৬৮তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, কেরন সেক্টরের ব্রিগেডিয়ার এনআর কুলকার্নি বলেন, “গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম এলাকায় অশান্তি পাকাতে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল জঙ্গিকা এলাকায় অশান্তি পাকানোর পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। ১২ জুলাই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর দেয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও এ বিষয়ে খবর পায়। তার পরেই চালানো হয় অভিযান।”
তিনি বলেন, “বিদেশি জঙ্গিরা কেরন সেক্টর দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এই অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা। অনেকগুলি নালাও রয়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে (Jammu & Kashmir) অনুপ্রবেশ করার তালে ছিল জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সেনা, বিএসএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানেই মিলেছে সাফল্য। ১৩-১৪ জুলাই চালানো হয় অভিযান। কয়েকজন খতম হয়। বাকিরা সম্ভবত ফিরে গিয়েছে।” ব্রিগেডিয়ার বলেন, “ওই এলাকায় আমরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। ঘন জঙ্গল এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা।“
পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল বলেও জানান কুলকার্নি। তিনি বলেন, “ওদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সুসজ্জিত ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে।” তিনি বলেন, “বেশ খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা (Infiltration) জানতে চলেছিল অভিযান। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে (Jammu & Kashmir)।”
SCO: শাহবাজ জিনপিংকে এড়াতে এসসিও-র বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর
নিউজ ডেস্ক: বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার ঘোষণা করেছে জুলাই মাসেরপ্রথম সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন (SCO) অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবে ভারত। এই বৈঠকে ভারতীয় মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
এসসিও-র বৈঠকে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (SCO)
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধির জয়সওয়াল শনিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন,“বিদেশ মন্ত্রী এসসিওর বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। গত বছর ভারত এসসিওর সভাপতিত্ব করেছিল। এবার (SCO) সভাপতিত্ব করবে কাজাখস্তান। সে দেশের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ প্রস্তাব দিয়েছেন একটি সমবায় বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে। এছাড়াও এবারের এসসিও সামিটে বাণিজ্য, জলবায়ু, শান্তি-শৃঙ্খলা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে।”
কাজাখস্তানকে সহযগিতার আশ্বাস ভারতের
জানা গিয়েছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আস্তানায় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত ভিত্তিগড়ে তুলতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেছেন কাজাখস্তানের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে অগ্রসর হবে। দ্বিপাক্ষিক কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,“কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতি মহামান্য কাসিম জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে ভালো কথোপকথন হয়েছে। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। কাজাখস্তানের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আসন্ন এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য ভারতের তরফের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
এসসিওর গুরুত্ব
প্রসঙ্গত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার জন্য চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে অংশীদারিত্ব নিয়ে থাকে। ২০২৩ সালে ভারতের সভাপতিত্বকালীন সময়ে ইরানকে একটি পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এছাড়াও বেলারুশ একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসসিইওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে নানা সময় আলোচনা হয়েছে। এই সংস্থার সদস্য দেশগুলি বিশ্বের ৪০% মানুষ ও ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড ও জিডিপির ৩০% কভার করে।
ECL: কয়লা কাণ্ডে সিবিআইকে চরম ভর্ৎসনা করল আদালত
নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের কয়লা দুর্নীতি তদন্তের সাতদিন পরেই ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠনের কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারক মন্তব্য করলেন " It is factor of impossibility". সিবিআই তদন্তে রয়েছে চূড়ান্ত গাফিলতি। তদন্তের পদ্ধতি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। আদৌ ৩ জুলাই ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠন সম্ভব ? প্রশ্ন তুললেন খোদ সিবিআই বিচারক।
সিবিআই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন "আপনারা পারলে ভালো, নইলে আমি নিজেই চার্জ নিয়ে নেবো।" অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবিদের প্রশ্ন, “কয়লা দুর্নীতি মামলায় আসামী হিসাবে নাম রয়েছে অনেক পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। অথচ তাদের নাম চার্জশিটে নেই। তাই বিচারকের ইচ্ছা থাকলেও সিবিআইয়ের গড়িমসি ভাবে আদৌ চার্জফ্রেম গঠন দ্রুত সম্ভব নয় বলেই মত অভিযুক্তদের আইনজীবিদের।"
ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারকের সিবিআইকে প্রশ্ন, শেষ দশ বছরে একটা কোনও মামলা বলুন যা শেষ হয়ে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কয়লা কাণ্ডে আরও তিনজন গ্রেফতার হয়। বুধবার ওই তিনজনকে তোলা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত (বাপি) ঠাকুর, বিদ্যাসাগর দাসকে। তাঁদের মঙ্গলবার বিকেলেই গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ কয়লা কারবারে লালার সিন্ডিকেটে মদত ও সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার তাঁদের আনা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সিবিআই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করে। এদিন শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআই আইনজীবী ও সিবিআই আধিকারিককে প্রশ্ন করেন। গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরের নাম এফআইআরে এক নম্বরে রয়েছে। ২০২০ সালে এফআইআর হয়। অথচ এক নম্বরে থাকা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগে গেল? সিবিআইয়ের দাবি ছিল, উনি সরকারি কর্মী। ওনাকে গ্রেফতার করার অনুমতি পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন ছিল। তাই সময় লাগল। পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন, তথ্য প্রমাণ ছিল না ? শুধু সন্দেহের বশেই ওই আধিকারিকের নাম উঠল এফআইআরে ? সমাজে কয়লা চোর অপবাদ নিয়ে তো চলতে হল ওনাকে। সাড়ে তিন বছর লেগে গেল গ্রেফতার করার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে ? অথচ যাদের এফআইআরে নাম নাই সেই জিএমদের আপনারা গ্রেফতার করলেন। কেউ কেউ পাঁচ ছয় মাস জেল খাটলো। এ কি ধরনের আপনাদের তদন্ত ? যেন choose and select..। সিবিআইয়ের দাবি কয়লা দুর্নীতি অনেক বড় তদন্ত। অনেকের নাম রয়েছে। ৪৩ জনের নামে চার্জশিট। তাই এতটা সময় লাগলো। বড় তদন্ত নাকি আপনারা বড় করে ফেলেছেন ? পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন। উপর ছেড়ে তো এবার তো নিচের দিকে আপনারা নামছেন। তাহলে তো রাস্তায় যারা কয়লা ঠেলে এবার তো তাদেরকেও ধরে নিয়ে আসবেন। এত বড় এজেন্সির তদন্ত এরকমভাবে চলতে পারে ?
একইভাবে এদিন আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসে। এফআইআরে দু নম্বরে থাকা নাম রয়েছে আরেক জিএম জে সি রায়। সেই জিএম এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি বা তথ্য প্রমাণের জোগাড় হয়নি। বিচারকের প্রশ্ন এফআইআরে থাকা এক নম্বরে জিএম গ্রেফতার সাড়ে তিন বছর পর। ২ নম্বরে থাকা জিএমও কি তবে গ্রেফতার হতে আরও সাড়ে তিন বছর ? ৩ জুলাই কিভাবে ফাইনাল চার্জগঠন সম্ভব ? তাহলে যারা বিচারের আশায় বসে আছেন তাঁরা অনন্তকাল ধরে বসে থাকবেন ? আর আপনারা তদন্ত চালিয়েই যাবেন। নতুন নতুন গ্রেফতার হতেই থাকবে। এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী চরম ভর্তসনা করেন সিবিআইকে।
মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত ঠাকুর, বিদ্যাসাগর দাসকে। তাঁদের বিকেলেই গ্রেফতার করা হয়। বুধবার এদের আনা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সিবিআই চারদিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আবেদন করে। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। ২৯ জুন ফের তাঁদের আদালতে আনা হবে। গত ২১ জুন ইসিএলের জিএম নরেশ কুমার সাহা ও কয়লা কারবারি অশ্বিনী কুমার যাদব গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৫ দিন পর আবার তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী ৩ জুলাই চার্জশিটে নাম থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ৪২ জনকেই হাজির হতে হবে আদালতে। এই চার্জশিটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে শুধুমাত্র বিনয় মিশ্র এখনও রয়েছে ফেরার। বুধবার আসানসোলে এক আইনজীবী মারা যাওয়ায় অভিযুক্তর আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিচার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করেননি। অভিযুক্তরা নিজে লিখিত সাবমিশন জমা করেছেন।
Leader of Opposition: ১৮তম লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, জানালেন সি বেণুগোপাল
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনা সত্যি করে এবারের লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে একথা জানালেন সি বেণুগোপাল। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার লোকসভা ভোটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনও কংগ্রেসের অধরা ছিল। ফলে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস। তবে এবারের ছবিটা উল্টো।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। ইন্ডি জোটে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) লোকসভা বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।
উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতার করার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী, এই মর্মে প্রস্তাবও পাস করা হয় দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বেনুগোপাল বলেছেন, “সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে একটি চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরপরে এদিন অধিবেশনের শেষদিকে রাহুলের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভ্রাতৃহরি মহতাব। জানা গিয়েছে ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এবছর কেরলের ওয়ানাড থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও। পরে অবশ্য নিয়মাফিক ওয়ানাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনী কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
Dilip Ghosh: কয়েকদিন চুপ! ফের মমতাকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এতদিন বাঘিনী, ভোট হয়ে গেলেই বিড়াল হয়ে মেউ মেউ। আমি মেয়ে, আমি মহিলা, আমাকে একা দেখুন ঘিরে ফেলেছে। যা কর্ম করেছেন তার ফল ভোগ করতে হবে, আর কোন সিমপ্যাথি পাবেন না।” কয়েক দিন থেমে ফের তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghsoh)। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মির্জাপুরে মাঠে প্রাত:ভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ।
এর পর চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে দেওয়ানদিঘীর মোড়ে আসেন দিলীপ। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা(Mamata Banerjee)য়কে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, “ভোট হয়ে গেলেই উনি টার্গেট হন। এতদিন বাঘিনী ছিলেন এখন বিড়াল হয়ে গেছেন। তিনি কোন ভাবেই রেহাই পাবেন না। যা কর্ম করেছেন তার ফল পাবেন। নেতাদের চোর বানিয়েছেন, চোরেদের নেতা বানিয়েছেন।
যত ইলেকশন এগিয়ে আসছে ততই হারার ভয়ে হিংস্র হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।” প্রধানমন্ত্রীর প্লেনে চড়া নিয়ে আসানসোলের (Asansol) তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কারো বাপের টাকায় চড়ছেন নাকি? ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী তার জো বাইডেনের থেকেও দামী প্লেনে চাপা উচিত। আমারা ভিখারি পার্টি নই, ভিখারি দেশ নয়। যারা ভিখারি বানিয়েছে তারা এটা করছে।
শত্রুঘ্ন সিনহা এবং কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) ওনারা এখানকার পরিস্থিতি জানেন না। বাইরে থেকে এসেছেন, ফরেনার তো আগে ভোটটা লড়ুন। শুনলাম একজন বিহার যাচ্ছেন। আর-একজন ভয়ে বেরাচ্ছেন না। এরা কি রাজনীতি করবেন।” অন্যদিকে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও কড়া আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপিকে ২ নম্বর বলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “উনি একমাত্র ভদ্রলোক! যার বাড়ির বউ থেকে চাকর বাকর কুকুর সবাইকে ইডি ডাকছে। সোনা নিয়ে যাচ্ছে, রাস্তায় চোর চোর বলে সবাই ডাকছে। ওর চোদ্দপুরুষ চোর। আজ মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হচ্ছে ওনার জন্য।” সোমবার এসএসসির রায়দান নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এরাজ্যের লোক তাকিয়ে থাকে আদালতের দিকে আর কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন করে আর আদালত জাস্টিস করে। এই সরকার কিছু করে না।”
CM Change: ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী বদল! অভিজিতের ইঙ্গিত কার দিকে?
নিউজ ডেস্ক: গুজব ছিলই। সেই গুজবে শান দিলেন সদ্য রাজনীতিতে আসা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit gangopadhyay) । বললেন ভোটের পর নাকি পদ ছেড়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । মুখ্যমন্ত্রী (CM) হবেন তাঁর নিকট আত্মীয়। এই নিকট আত্মীয় যে কে তার বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু রতুয়ার (Ratua) সভা থেকে সেই কথা নিজ মুখে বলেন নি অভিজিৎ। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল হবে? প্রশ্নটা বিজেপি নেতার তরফে ভাসিয়ে দেওয়া হলেও তৃণমূল এই ইস্যুতে এখনও চুপ।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে যে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ২৫ টা সিট বিজেপি (BJP) পাচ্ছে। এ খবর শুধু আমরা নয় রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর (IB Report) নিঃসন্দেহে নির্লজ্জ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের কাছে যে খবর আছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের (Resign) তোড়জোড় করছেন। কারণ এই চুরির মক্ষীরানির পক্ষে আর সম্ভব নয় এই রাজ্য চালানো। তিনি একজন চুরির রানী হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তাকে এখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করতেই হবে। আর এই জায়গায় তিনি একজন চুরির রাজাকে বসিয়ে দিয়ে যাবেন। যিনি তার নিকট আত্মীয়। এভাবে তিনি হিমালয়ে চলে যাবেন। আর বাকি চুরিটা তার আত্মীয় করবে।”
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ এক বছর থেক বিভিন্ন মঞ্চে তার অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছেন। স্পেনে গিয়ে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই বাড়িতে পড়ে যান। তিনি আঘাত পান মাথায়। বাম জমানাতেও বহুবার তিনি চোট আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করে এসেছেন নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে। সম্প্রতি কয়েকবার তিনি বলেছেন তার হাঁটতে কষ্ট হয়। লড়াকু মনোভাব যার ইমেজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে অসুস্থতার কথা তুলে ধরায় রাজনৈতিক মহলে ধারণা এভাবে নিজের অবসরের পথ মসৃণ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে দল এবং প্রশাসনে তার অবসরের পরেও নতুন মুখকে মেনে নিতে কোন অসুবিধা না হয়।
তবে এই নতুন মুখ কে হতে পারেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দলনেত্রীর পর দলের সেনাপতি যে নতুন মুখ হবেন সেই ইঙ্গিত রয়েছে দলের অন্তরেও। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এখনও এবিষয়েও কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বনাম বিজেপি সমানে সমানে টক্কর হতে চলেছে একথা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমূল নেতারাও। তাই প্রচারে কোন খামতি করছেন না তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানপ্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচারে। সরকারি প্রকল্প তুলে ধরে মানুষের মন জেতার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীরাও ।
পাল্টা বিজেপি হাতিয়ার করছে কর্মসংস্থানের অভাব, পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ও সন্দেশখালীর ঘটনা। রতুয়ার সভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “তৃণমূলের দালালরা ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞেস করবেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল সরকার দিয়েছিল সেগুলি কোথায়। এদিকে সন্দেশখালীর ইস্যুকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী সভার নাম দেওয়া হয়েছে নারী শক্তি সম্মান সম্মেলন।
Local Trains Cancelled: আবারও যাত্রী দুর্ভোগ! টানা ২০ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল শিয়ালদা নর্থ লাইনে
নিউজ ডেস্ক: ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা শিয়ালদা(Sealdha) শাখায়। টানা ২০ দিন ধরে দমদম স্টেশনে রেলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২০ দিন বাতিল রাখা হবে একাধিক ট্রেন(Train Cancelled). পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দমদমের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে কাজ চলবে। সেকারনে শিয়ালদা লাইনে টানা ৭ মে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লোকাল বাতিল থাকবে। ফলে ফের একবার যাত্রী ভোগান্তির সময় আসতে চলেছে।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ২০ দিনে শিয়ালদহ শাখার মোট ২৪টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক ঝলকে দেখে নিন বাতিল ট্রেনের তালিকা-
৩০৩৬১ মাঝেরহাট-হাসনাবাদ,৩০৩২২ হাসনাবাদ-বিবাদি বাগ,৩৩৩১১ বারাসত-হাসনাবাদ,৩০৩৫৮ মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট,৩৩২৮২ হাসনাবাদ-দমদম,৩০৩৫১ এবং ৩০৩১৩ মাঝেরহাট-বারাসত,৩০১৪৫ বিবাদি বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি,৩৩২৩১ দমদম-ব্যারাকপুরম,৩৩২৭১ দমদম-গোবরডাঙা ,৩৩২৩২ ব্যারাকপুর-দমদম,৩০৩৫৭ মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম,৩১২৪২ ব্যারাকপুর-শিয়ালদহ,৩০৩৫৩ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর,৩০৩৩২ হাবরা-মাঝেরহাট,৩৩৬৮৬ গোবরডাঙা-শিয়ালদহ,৩০৩৩৩ মাঝেরহাট-হাবরা,৩০৩১৪ দত্তপুকুর-মাঝেরহাট,৩১২২৩ শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর,৩৩৪২৫ শিয়ালদহ-বারাসত,৩০১১৬ ব্যারাকপুর-বিবাদি বাগ,৩০১১৩ বিবাদি বাগ-ব্যারাকপুর,৩০৩১২ বারাসত-মাঝেরহাট
কেবলমাত্র ট্রেন বাতিলই নয় বহু ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রাপথ সংক্ষেপিত করা হবে বলেও জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সংক্ষেপিত হচ্ছে সেই ট্রেনের তালিকা–
৩০৩৪৬ বনগাঁ-মাজেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৩২৪ হাসনাবাদ-মাজেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৩৩১ মাজেরহাট-হাবরা লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে। ৩০৩৪৪ বনগাঁ-মাজেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৭১১ লক্ষীকান্তপুর-মাজেরহাট লোকাল বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যাবে। ৩০৩১৭ মাজেরহাট-দত্তপুকুর লোকাল বালিগঞ্জ হয়ে আপ কর্ড লাইন দিয়ে চলাচল করবে। ৩০১৪২ গেদে-মাজেরহাট লোকাল রহড়া পর্যন্ত যাবে।
উল্লেখ্য কদিন আগেই দমদম স্টেশনের নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য টানা কয়েকদিন ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। তবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ মিটে গেলেও যাত্রী ভোগান্তি মেটেনি। বাতিল ট্রেন ছাড়াও, ট্রেন(Local Train) দেরিতে চলারও সমস্যা ছিল। এবার সেই দমদম স্টেশনে ফের রেলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ট্রেন বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী সাধারণ।
Locket Chatterjee: লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের জন্য ডায়েট টিপস লকেটের
নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে অস্বস্তি বাড়বে। এই সপ্তাহেই অনেক জেলাতে ৪০ ডিগ্রি পার হবে তাপমাত্রার পারদ। ঠিক এমন সময়তেই বাংলায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন(lok sabha election 2024), আর ভোট আসতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেছে ভোট প্রচার। তবে এই রোদে প্রতিদিন ভোট প্রচার(election campaign) থাকলেও নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে ভুলছেন না হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
নিয়ম করে ডায়েট(diet) মেনে খাবার খেয়েই রোজ প্রচার সারছেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী। এই প্রচারের মাঝেই ভোটের বাকি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যেও দিলেন ডায়েট টিপস। প্রচণ্ড গরমে সমস্ত প্রার্থীদের বেশী করে জল ও ঠান্ডা ভাত খেতে পরামর্শ দিলেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (locket chatterjee), একই সঙ্গে তিনি নিজের খাদ্য তালিকাও ভাগ করে নিলেন। জানালেন, "আমি নিজে বেশী করে বাতাসা খাচ্ছি, জল খাচ্ছি। সবাইকে বলবো বেশি করে জল খান, মুড়ি জল খান। বিগত দিনে চারটি নির্বাচনে এই পদ্ধতিতে লড়েই ভালও থেকেছি।"
উল্লেখ্য এদিন হুগলির বিজেপি প্রার্থী(hoogly BJP candidate) লকেট চট্টোপাধ্যায় হাতে পদ্ম ফুল নিয়ে, ব্যান্ড পার্টি সহকারে সকাল থেকে প্রচারে বের হন। এরপর সিঙ্গুর বিধানসভার পাঁচঘরা জলাপাড়া শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর কখনও পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা টোটোয় প্রচার সারেন পাঁচঘরা পঞ্চায়েত এলাকায়।
সে সময়ই প্রচারের মাঝে নিজের ডায়েট চার্ট জানালেন লকেট। সঙ্গে অন্যান্য প্রার্থীদেরকে(election candidate)ও দিলেন গরমে সুস্থ থাকার টিপস। তাই প্রবল গরমের মধ্যে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) প্রচার চালাতে অবশ্যই খেতে হবে বেশি করে জল ও তরল জাতীয় খাবার(liquid food)। আর পড়তে হবে হালকা রঙের ঢিলে ঢালা পোশাক। প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজনীতির ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলতে শরীর সুস্থ রাখতে এগুলিই হল চাবিকাঠি।
হেরোইন বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এই দাবিতে থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন প্রমীলা বাহিনী। শুধু তাই নয় এক হেরোইন বিক্রেতাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলেও দিলেন তারা। প্রমীলাবাহিনীর দাবি তাদের সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে স্বামীদের হেরোইন আসক্তির কারনে। বাধ্য হয়ে তারা বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগী মহিলারা এক হয়ে হেরোইন বিক্রির দোকান তুলে দেওয়ার দাবীতে একত্র হয়েছেন। থানার গেটে মহিলারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মিনা বিবি’র দাবি পুলিশ হেরোইন বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিলে বিষ খেয়ে মরতে হবে। তিনি জানান “ ক’দিন বাদে তাঁদের ধর্মীয় উৎসব অথচ ছেলেমেয়েদের নতুন পোশাক আশাক কেনার ব্যাবস্থা হল না। বাড়িতে চাল ডালের সংস্থান নেই। কিন্তু ঘটিবাটি বেচে হেরোইন খাওয়া অব্যাহত আছে স্বামীর। এভাবে আর চলা যাচ্ছে না। তাই রস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।”
তাদের বক্তব্য ‘না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশি।’ অর্থাৎ দোকান উঠে গেলে বাড়ির পুরুষেরাও নেশার বস্তু হাতের কাছে না পেয়ে সংযত হবে। সোমবার সকালের দিকে থানার গেটে বিক্ষোভের ওই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার সামনে। জানা গিয়েছে থানায় বিক্ষোভের আগে ওই প্রমীলা বাহিনীশেখপাড়া বাজারে এক হেরোইন বিক্রেতার দোকানে চড়াও হয়ে তাকে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। পরে থানায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে ধৃত হেরোইন বিক্রেতার নাম মানু শেখ (৪০)। তার বাড়ি মালিপাড়ায়। প্রমীলা বাহিনীর বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ছুটে আসে ও তাদের সমস্যার কথা শোনেন। মহিলাদের তরফে জোরালো প্রশ্ন করা হয় শেখপাড়া, নবিপুর, বধুরপাড়ার মোড়, শেখপাড়া পলিটেকনিক পাড়া জায়গা গুলি সদর এলাকা। অথচ ওই সব জায়গায় বছরের পর বছর বিক্রেতারা হেরোইন বিক্রি করছে কি ভাবে ? পুলিশ কোনও ব্যাবস্থা নেয় না কেন?
পুলিশের তরফে জানানো হয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না এই অভিযোগ ঠিক নয়। কারন দু’দিন আগেও এক বিক্রেতা ধরা পড়ার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছে। সে কথা স্বীকার করেন মহিলারা। তারা বলেন,“জানি মাঝে মধ্যে দু একজন বিক্রেতাকে ধরা হয়। কিন্তু দু’চারদিনের বেশী তাদের জেলে আটকে রাখা হয় না।” ওই উত্তরে পুলিশও বিব্রত বোধ করে। জানায় আটকে রাখার মতো হেরোইন না পাওয়ার জন্যই তারা দ্রুত ছাড়া পেয়ে যায়।
এদিকে স্বামীদের হেরোইনের নেশায় ক্ষতিগ্রস্ত নন্দিরভাটা গ্রামের সাবিনা বিবি , বধূরপাড়ার হাবিবা খাতুন, মালীপাড়ার বিলকিস বিবি’রা জানান “ আমরা শেষ হয়ে গেলাম। ছাগল, গরু তো বাড়িতে পোশাই যাচ্ছে না! তার সঙ্গে বিয়ের সময়ে দেওয়া গয়না, ঘটি বাটি সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দুঃখের কথা কি বলব হাঁড়িতে থাকা রান্নার চাল ডাল, পর্যন্ত বিক্রি করে দেয় স্বামী। বাঁধা দিলে হেঁসো, লাঠি দিয়ে মারধর করে।” হাবিবা খাতুন জানান “ অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ক’দিন ধরে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছি।” মহিলাদের ওই আন্দোলনকে সমর্থন করেন শেখপাড়া বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক আব্দুল মোমিন । তিনি জানান “ এর আগে অনেকবার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দু’চারদিন পর আবার যে কে সেই অবস্থা হয়ে যায়। তাই আর কিছু বলা হয় না।” খানিকটা বিরক্ত প্রকাশ করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান “ হারুডাঙ্গা, দুর্গাপুর, বর্ডারপাড়ার চরে কোন মুদিখানা দোকানে মদ বিক্রি হয় তা জানতে পারে পুলিশ , আর বছরের পর বছর শেখপাড়ায়, নবিপুরে, বধূরপাড়ার মোড় অথবা শেখপাড়া পাথর গ্যারেজে হেরোইন বিক্রি হয় জানতে পারে না এটা বিশ্বাস করতে হবে!” যদিও পুলিশ জানায় তারা বিষয়গুলি জানেন। কিন্তু মাদক মামলায় বেশীদিন জেলে রাখার মতো হেরোইন পাওয়া যায় না। তাই ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্তরা।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল, বাম কংগ্রেস জোটের কথা মাথায় রেখে হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারে কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায় চৌধুরী। এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেশ প্রার্থী পদে অব্যাহত থাকলেন তিনি। বিকেল তিনটা পর্যন্ত প্রার্থী পথ প্রত্যাহারের সময় ছিল কিন্তু সেই সময়ে মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করলেন না। সুতরাং এর থেকে পরিষ্কার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে কংগ্রেস এবং ফরওয়ার্ড ব্লক মধ্যে। জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের নেতা তথা প্রার্থীর ইলেকশনে এজেন্ট সেই সাথে তার স্বামী বিশ্বজিৎ সরকার মন্তব্য করে বলেন, কংগ্রেস একটি সর্বভারতীয় দল। তার সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই ফরওয়ার্ড ব্লকের তুলনা হয়না। তাই ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের কোন প্রশ্নই ওঠে না। সেই সাথে তিনি আরো বলেন, "কোচবিহার জেলায় ফরওয়ার্ড ব্লকের কোন সাংগঠনিক ক্ষমতাই নেই, বরঞ্চ তারা প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে পারত"। বর্তমানে মনোনয়ন ভিত্তিক চার নাম্বার প্রার্থীতে রয়েছেন পিয়া রায়চৌধুরী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফরওয়ার্ড ব্লক এর থেকে অনেক বেশি ভোট পাবে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে যদি জোটকে প্রাধান্য দিয়ে কংগ্রেস তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করত তাহলে আগামী কুড়ি বছরেও কোচবিহার জেলায় কংগ্রেসের প্রার্থী পাওয়া যেত না। শুধু তাই নয় কোচবিহার জেলা থেকে কংগ্রেস চিরস্তরে মুছে যেত। সুতরাং রাজনীতি জানি না এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা সময়ের অপেক্ষা।
Congress: বেইমান! কংগ্রেসের সঙ্গে কোন জোটে যাবে না ফরওয়ার্ড ব্লক
নিউজ ডেস্ক: ফরওয়ার্ড' ব্লকের রাজনৈতিক বিশ্লেষন পশ্চিমবাংলার বিজেপি- তৃনমূল বিরোধী মানুষ বিকল্প হিসাবে ঐক্যবদ্ধ বামফ্রন্টকে দেখতে চাইছে। কংগেস ও ISF এর সঙ্গে বামফ্রন্টের জোট মানুষ গ্রহন করেনি। তার প্রমান ২০১৬ ও ২০২১ এর বিধানসভার ভোটের ফলাফল। বামপন্থীদের ভোট কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে যায়- কিন্তু কংগ্রেসের ভোট বামপন্থী প্রার্থীর পক্ষে যায় না-- এটাই ২০১৬ ও ২০২১ এর ভোটে আমরা দেখেছি।
পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতাদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা তৃনমুল ও বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতা করার পরও বেইমানি করেছে। ২০১১সালে তৃনমূলের সঙ্গে জোট করার পরও জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃনমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দিয়ে ভোট কেটে নেবার ফলে বামফ্রন্টের ফরওয়াড ব্লক প্রার্থীর জয়ী হয়েছিল। ২০১৬ সালে ফরওয়াড' ব্লকের ভোট নিয়ে বাঘমুন্ডি তে নেপাল মাহাত জয়ী হলেও-- জয়পুর কেন্দ্রে কংগ্রেস এর ভোট তৃনমূলের প্রাথী'র পক্ষে করে দিয়ে বামফ্রন্টের ফরওয়াড' ব্লক প্রার্থী কে পরাজিত করেছিল।
২০০১ সালে র বিধানসভা নিবা'চনে কংগ্রেস- তৃনমূল জোট হওয়া সত্বেও ঝালদা বিধানসভা কেন্দ্রে নেপাল মাহাত নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন। ২০২১ সালে সংযুক্ত মরচা প্রাথী হিসাবে জয়পুর কেন্দ্রে ফরওয়াড' ব্লকের প্রাথী'র নাম ঘোষিত হলেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল জয়পুর কেন্দ্রে। কংগ্রেসের বেইমানি করতে পারে- এটা মাথায় রেখেই আমরাও প্রস্তুত ছিলাম এবং শেষ দিনে বাঘমুন্ডি কেন্দ্রে আমরাও মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধ্য হই।
Locket Chatterjee: জনসংযোগে বেরিয়ে হরিনাম করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুরের ঝেরো মালপাড়ায় হরিসভায় যোগ দেন।সেখানে হরিনামে করেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।এরপর বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটিতে সোলেমান সাধুর আশ্রমে গিয়ে পুজো দেন।শিশুদের ভোগ পরিবেশন করেন। লকেট বলেন,আমি ঘুরছি প্রচুর মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছি বিশেষ করে মহিলাদের।তারা রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন সন্দেশখালীর ঘটনা তাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। কোন উন্নয়ন হয়নি একমাত্র ভরসা নরেন্দ্র মোদি।দুর্নীতির ইসু পুরো বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছে তাই মানুষ বিকল্প চাইছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতারা জেলে রয়েছে।বলাগর দুর্নীতির হাবে পরিণত হয়েছে।
Locket on Rachana: “নতুন রাজনীতিতে এসেছে” রচনাকে ক্ষমার সুরে বললেন লকেট
“আলো ছিল না শিল্প কী করে আসবে। রাজ্য সরকার হুগলি অঞ্চলে আলোর ব্যবস্থা করতে পারেনি। নতুন রাজনীতিতে এসেছে। বলে ফেলেছে। যত দিন যাবে তৃণমূল দল ওর কাছে ধোঁয়া থেকে ধোঁয়াশা হয়ে যাবে। তখন বলবে এই দলে এসে কী ভূল করেছি”। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারখানা ও কালো ধোঁয়ায় ভরে গেছে এলাকা প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংসদ জানান ১৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে খরচ করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সংসদীয় এলাকায়।
Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালির পথে বাধার মুখে লকেট-অগ্নিমিত্রা
নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি মহিলা দল। এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এমন কথা জানিয়েই লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, ভারতী ঘোষ সহ বিজেপি কে বাধা দেয় বিধাননগর মহিলা কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় নিউটাউনের রাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রতিনিধিরা।
পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে রাস্তায় পড়ে যান ভারতী ঘোষ। পরে লকেট-ভারতী-অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির আরও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিকে পুলিশ আটক করে। জানা গেছে এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে নিউটাউনেই বিজেপিকে আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় লকেট-ভারতী-অগ্নিমিত্রাদের। এরপর রাস্তায় বসে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন তাঁরা। টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি প্রতিধিদের। ঘটনার পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গুর থেকে শুরু সন্দেশখালিতেই শেষ তৃণমূলের। তথ্য লুকোতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। মহিলা পুলিশ বলছে, ‘নাটক করছেন?’। ওরা মারছে, ঠেলছে। এদের উর্দি খুলে নেবে মহিলারা। মহিলাদের সম্মান দেন না মমতা ব্যানার্জি। ১৪৪ ধারা জারির অর্ডারও দেখাতে পারেনি।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার সন্দেশখালি যাবার পথে পুলিশি বাধা পেয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে বিজেপিকে। বৃহস্পতিবারও এর অন্যথা হলনা। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা গেটের কাছ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল-সহ মহিলার মোর্চার ৫ নেত্রী ও কর্মীদের যাওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালিতে। নারী দিবসের প্রাক্কালে তাঁরা সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নিয়ে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রওনা দেওয়ার আগে নিউটাউনেই তাঁদের আটকে দিল পুলিশ।
Sandeshkhali: গ্রেফতার লকেট , রইল সন্দেশখালির আপডেট
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবারও সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্য বিজেপির মহিলা নেতৃত্বরা। তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই প্রথমে সায়েন্সসিটি ও পরে ভোজেরহাটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। এদিন সাত সদস্যের বিজেপির প্রতিনিধি দল এবং মহিলা আইনজীবীদের দল সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিনি৷ কিন্তু আচমকাই তাঁদের আটকানো হয় ভোজেরহাটের কাছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ ৷ পুলিশের বাঁধায় বিজেপি নেত্রী প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালিতে যখন ১৪৪ ধারা জারি আছে, তখন ভোজেরহাটে কেন আটকানো হল তাঁকে? এরপরেই গ্রেফতার করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৷ইতিমধ্যেই তাঁকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ঘটনায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা ৷
অন্যদিকে ফের বিপাকে সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ। ফেরার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ দায়ের করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় তল্লাশি শুরু করল ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ৬জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। জানাগেছে জমি-ভেড়ির টাকা বিনিয়োগ বেনিয়ম ছিল কিনা, সীমান্ত পেরিয়ে মাছ পাচার হত কিনা, সব খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। যেহেতু শাহজাহান এখন বেপাত্তা, তাই তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় আপাতত তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে আবার সন্দেশখালি যেতে চেয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। ২৬ ফেব্রুয়ারি ফের জেলিয়াখালি, হালদারপাড়া সহ আরও একাধিক জায়গায় যাওয়ার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। জানালেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। তবে আদালত শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করেছে ইতিমধ্যেই। বৃহস্পতিবার ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায়। সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, পাত্রপাড়া, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাববেড়িয়া বাজার, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া বাজার, খুলনা বাজার ও হাটগাছা বাজারে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এছাড়া, বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাখালি ঘাটেও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদার পাড়ায়।আগামী শনিবার পর্যন্ত যা বহাল থাকবে। এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR করতে চায় রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। তাই রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ নিতে পরামর্শ বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। সকালেই মহিলা প্রতিনিধিরা এলাকায় পৌঁছে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালিতে পৌঁছে, থানায় গিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। এরপর গ্রামে প্রবেশ করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
Sandeshkhali Incident: সাহায্যের বিনিময়ে সমর্থন?সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ডিলের চেষ্টা তৃণমূলের?
নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। "তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো?" সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, সমর্থনের বিনিময়ে এক মহিলাকে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন তৃণমূলের এক নেত্রী। তাঁর নাম দীপিকা পোদ্দার। তিনি সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তিনি যে মহিলাকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সিংহ ও শিবপ্রসাদ হাজরাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ উগড়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের শাসক দল। উত্তম ও শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে শাসকদলের প্রতিনিধিরা। সামনেই লোকসভা ভোট, তাই এবার তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের এমনই অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে, তা গণরোষের ফল। তৃণমূল যদি ভাবে এ ভাবে টাকা দিয়ে আবার সমর্থন আদায় করবে, তা হলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’’পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে সন্দেশখালির দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ’’ ফলত এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে ইতিমধ্যেই যে রাজনৈতিক মহলে জোড় তরজা শুরু হয়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। অন্যদিকে এই ইস্যুকেই সামনে রেখে বিরোধী দল শাসক দলের ওপর ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় তুলেছে।