নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবারও সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্য বিজেপির মহিলা নেতৃত্বরা। তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই প্রথমে সায়েন্সসিটি ও পরে ভোজেরহাটের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। এদিন সাত সদস্যের বিজেপির প্রতিনিধি দল এবং মহিলা আইনজীবীদের দল সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিনি৷ কিন্তু আচমকাই তাঁদের আটকানো হয় ভোজেরহাটের কাছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ ৷ পুলিশের বাঁধায় বিজেপি নেত্রী প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালিতে যখন ১৪৪ ধারা জারি আছে, তখন ভোজেরহাটে কেন আটকানো হল তাঁকে? এরপরেই গ্রেফতার করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৷ইতিমধ্যেই তাঁকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ঘটনায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা ৷
অন্যদিকে ফের বিপাকে সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ। ফেরার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ দায়ের করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় তল্লাশি শুরু করল ইডি। শুক্রবার সকাল থেকে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ৬জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। জানাগেছে জমি-ভেড়ির টাকা বিনিয়োগ বেনিয়ম ছিল কিনা, সীমান্ত পেরিয়ে মাছ পাচার হত কিনা, সব খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। যেহেতু শাহজাহান এখন বেপাত্তা, তাই তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় আপাতত তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে আবার সন্দেশখালি যেতে চেয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। ২৬ ফেব্রুয়ারি ফের জেলিয়াখালি, হালদারপাড়া সহ আরও একাধিক জায়গায় যাওয়ার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। জানালেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। তবে আদালত শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করেছে ইতিমধ্যেই। বৃহস্পতিবার ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায়। সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, পাত্রপাড়া, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাববেড়িয়া বাজার, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া বাজার, খুলনা বাজার ও হাটগাছা বাজারে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এছাড়া, বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাখালি ঘাটেও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদার পাড়ায়।আগামী শনিবার পর্যন্ত যা বহাল থাকবে।
এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR করতে চায় রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। তাই রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ নিতে পরামর্শ বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। সকালেই মহিলা প্রতিনিধিরা এলাকায় পৌঁছে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালিতে পৌঁছে, থানায় গিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। এরপর গ্রামে প্রবেশ করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।