নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ পড়তে না পড়তেই বাড়ছে জলের চাহিদা। আর গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতা জল সঙ্কটে পড়েছে। টালিগঞ্জ-গড়িয়া বেল্টের বাসিন্দারা পানীয় জলের অভাবের মুখোমুখি। আপাতত, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ( KMC) জল সরবরাহ বিভাগের জলের ট্যাঙ্কারগুলির মাধ্যমে জলের ঘাটতি মেটাচ্ছে।
যে সমস্ত অঞ্চলগুলি জলের ঘাটতিতে ভুগছে তার মধ্যে রয়েছে রামগড়, বিদ্যাসাগর পল্লী, নাকতলা, অরবিন্দনগর এবং পাটুলি, যার সবকটিই টালিগঞ্জ-যাদবপুর বেল্টের অংশ। এছাড়াও বেহালার কিছু অংশ যেমন পর্ণশ্রী, শকুন্তলা পার্ক, সরসুনা এবং রায়বাহাদুর রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ভূগর্ভস্থ জলের উপর অত্যাধিক নির্ভরশীল। তাই ক্রমশ ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমে আসায় জল সংকটে ভুগছে কলকাতাবাসী।
উল্লেখ্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করে ফিরহাদ হাকিমকে যখন প্রথমবারের জন্য মেয়রের পদে বসালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তিনি বলেছিলেন, “বেহালা, টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর এলাকায় জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারেননি শোভন। ফিরহাদ যেন এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিটি এলাকার কোণে কোণে জল পৌঁছে দেয়।”
তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর,পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের তরফে, জল সরবরাহের নেটওয়ার্কহীন এলাকাগুলোর জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল দেখা গেছে তার মাত্র ৫০ শতাংশ এলাকাতে পাইপ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ এলাকায় এখনও কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাটুলির বাসিন্দা বিভাস চ্যাটার্জী বলেন, তার পরিবার বাজার থেকে পানীয় জল কিনতে বাধ্য হয়েছিল। “আমরা গত তিন দিন ধরে পানির সংকট অনুভব করছি। আমি আশঙ্কা করছি যে আগামী মাসগুলিতে সংকট(water crisis) আরও গভীর হবে।”