নিউজ ডেস্ক: ২২ মার্চ, বিশ্ব জল দিবস। আমাদের সনাতন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে জলকে দেবতা মনে করে সম্মান ও রক্ষা করার কথা আছে। দেবী লক্ষ্মীর আরেকটি নাম নীরজা, যার অস্তিত্ব শুধুমাত্র জলের কারণে।
আর যাই হোক,জল ছাড়া জীবন ধারন সম্ভব নয়। আমাদের উচিত জলের প্রতিটি কণাকে বুদ্ধিমানের সাথে এবং সম্মানের সাথে ব্যবহার করা, পাশাপাশি জলের উৎসগুলির পরিচ্ছন্নতা এবং প্রচারের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত, কারণ আজকের নদী, হ্রদ এবং জলাশয়গুলি সংরক্ষণ আগামী প্রজন্মের জন্য অমরত্ব প্রদানের মতো কাজ করবে।
জলের অপর নাম জীবন, ছোট থেকে পড়ে আসছি। পানীয় থেকে রান্না, থেকে স্নান পর্যন্ত, জল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য। আমরা দৈনন্দিন কাজের জন্য যে জল ব্যবহার করি তার বেশিরভাগই আসে ভূগর্ভ থেকে। আমাদের একটি স্থিতিশীল এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিশ্চিত করতে এই প্রাকৃতিক সম্পদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য মিষ্টি জলের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। মিষ্টি জল নিশ্চিত করে যাতে আমরা সুস্থ, ফিট এবং ভালো থাকি।
তবে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলের প্রাপ্যতাও হ্রাস পাচ্ছে। তাই ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণে আমাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে যাতে আমরা, সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদগুলির মধ্যে একটিও ফুরিয়ে না যায়।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি সামান্যতম ভালবাসা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা থাকলে আমাদের জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে এবং শপথ নিতে হবে যে আমরা ‘জলের’ একটি কণাও নষ্ট করব না এবং একই সঙ্গে আমরা এই অমৃতের প্রতিটি কণা জলের মতো সহজে গ্রাস করতে অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।