নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই মধ্যপ্রদেশের তিনটি এবং ছত্তিশগড়ের একটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি(BJP)। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Election Commission of India)। আর তারপরই রাজস্থানের প্রথম, মধ্যপ্রদেশের চতুর্থ এবং ছত্তিশগড়ের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি(BJP)।
এদিন ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভা ভোটের জন্য প্রথম দফায় ৪১ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। অনেকটা মধ্যপ্রদেশের ধাঁচে তালিকায় বেশ কয়েকজন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতাকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, হংসরাজ মীনা, দিয়া কুমারী, কিরোদি লাল মীনার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তালিকায় নাম নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধীয়ার।
সূত্রের খবর, সত্তোরোর্ধ্ব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আদৌ টিকিট দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরে। আসলে বাজপেয়ী, আদবানী আমলে রাজস্থানে বসে দিল্লির নেতৃত্বকে নিজের ইচ্ছায় চালিত করা বসুন্ধরা শত চেষ্টা করেও মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ হতে পারেনি বলে খবর দলীয় সূত্রে। ফলে মরুরাজ্যের পদ্ম শিবিরে খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই গোয়ালিয়র রাজ পরিবারের সদস্য বসুন্ধরার রাজনৈতিক ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত বলে খবর দলীয় সূত্রে। যদিও এখনও ১৬০ জনের নাম প্রকাশ করেনি বিজেপি। সেক্ষেত্রে বল এখনও তাঁর কোর্টে রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে জয়পুরের বিদ্যানগর আসনের প্রার্থী রাজকন্যা দিয়া কুমারীকে নিয়ে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন রাজসমন্দ কেন্দ্রের এই বিজেপি সাংসদ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বর্তমান জনপ্রিয়তার নিরিখে বসুন্ধরার জায়গা নিতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে শিকে ছিঁড়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের। এর আগে ২৩০ আসনের জন্য তিনটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও একটিতেও নাম ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। বদলে নাম ছিল নরেন্দ্র সিং তোমর, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সাংসদের। তবে অবশেষে দলের চতুর্থ তালিকায় নাম রয়েছে শিবরাজের। বুধনি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।