নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘রক্তের খেলা খেলেছে’ তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, ভোট লুট করা হয়েছে সেসব নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন। শনিবার বিজেপির ‘ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ পরিষদ’-এর পূর্বাঞ্চলীয় সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে তখন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই অনুষ্ঠানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটসন্ত্রাসের অভিযোগ করলেন নরেন্দ্র মোদী।
গত ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মনোনয়ন জমার শুরুর দিন থেকেই হিংসার অভিযোগ আসতে থাকে। ভোটগ্রহণের দিন একের পর এখ খুনের খবর এসেছে। তারপরেও খুনোখুনি বন্ধ হয়নি। ১১ জুলাই ফলাফল প্রকাশের দিনও হিংসা বন্ধ হয়নি। এদিন সেই পরিস্থিতির কথায় উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কথাতে। এদিন মোদী বলেন, “বিজেপি প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না-পারে, যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তারা কেবল বিজেপি কর্মীদেরই নয়, ভোটারদেরও হুমকি দিয়েছে। বুথ দখলের জন্যে চুক্তি দেওয়া হয়েছে”। তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘রাজ্যে রাজনীতি করার এটাই তাদের একমাত্র পন্থা’।
ভোটের দিন একাধিক জায়গায় ভয় দেখানো, রিগিং করে ভোটলুটের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় ব্যালট বাক্স লুট করার অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন যেন এক ‘বিভীষিকা’। গণমনার দিনও সন্ত্রাসের ছবি দেখা গিয়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “গণনার দিন গুন্ডা ভাড়া করে বুথ দখল করেছে তৃণমূল। কার্যালয়ের উপর হামলা চালায় তারা। জোর করে কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও যখন বিজেপি জয় পেয়েছে, তখন আমাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যবাসীর জীবন ‘নরকে পরিণত করা হয়েছে’। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে তুলে ধরে তারাই ইভিএম থেকে মুক্তি পাওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে”।