নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক এবং পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই(CBI) এবং ইডি(ED)। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘উভয় দুর্নীতির মামলার মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে’।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময় রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সন্ধান পায় সিবিআই(CBI)। এরপর নতুন মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই’র সঙ্গে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)ও। সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। তবে এবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে কার্যত রাজ্যের কোনও অভিযোগই ধোপে টিকল না।
মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এএসভি রাজু জানান, শিক্ষক এবং পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি দুই মামলার ক্ষেত্রেই একাধিক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অয়ন শীলের হদিশ পাওয়া যায়। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে এই অভিযোগের উত্তরে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ২০১৯ সালে নিয়োগ হওয়ার পর চার বছর কেটে গেলেও একটি অভিযোগও জমা পড়েনি এখনও। তিনি আরও জানান, প্রত্যেক ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত করতে দেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “অন্যান্য মামলায় রাজ্য সরকারের ক্ষমতা খতিয়ে দেখবে আদালত। তবে এই ক্ষেত্রে দুটি মামলা একে অপরের সঙ্গে জড়িত”। সেকারণে রাজ্যের আবেদন গৃহীত হবে না।