নিউজ ডেস্ক: ‘উৎসবের’ দেশ ভারত। ১২ মাসে ১৩ পার্বন লেগেই থাকে। প্রতিটি দিনই আমাদের কাছে কোনো না কোনো কারণে ‘বিশেষ’। চলছে উৎসবের মরসুম। আজ কালীপুজো। আর কালীপুজো এবং দীপাবলির পর পরই বাঙালির ঘরে ঘরে উদযাপিত হয় ভাইফোঁটা (Bhaifota 2024)৷ আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে দাদা বা ভাইয়ের কপালে মঙ্গলতিলক এঁকে শুভকামনা থাকে বোন বা দিদির তরফে৷ বিনিময়ে ভাইরা বোনদের উপহার দেয় এবং সারাজীবন যে কোন ধরণের বিপদ থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছু জায়গায় প্রতিপদে ভাইফোঁটা হয়। অবশ্য বেশিরভাগ জায়গাতেই দ্বিতীয়াতে ফোঁটা দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।
এই বছর ভাইফোঁটা (Bhaifota 2024) পড়ছে ৩ নভেম্বর, ২০২৪, রবিবার। তিলকের সময় ১৩:১০:২৭ থেকে ১৫:২২:১৮। স্থিতিকাল: ২ ঘণ্টা ১১ মিনিট। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ভাইফোঁটার মন্ত্র। ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা, যমুনার হাতে ফোঁটা পেয়ে যম হল অমর। আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর।’ প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এই মন্ত্র পড়ে ঘি, চন্দন,কাজল দ্বারা বোন বা দিদিরা ভাই বা দাদাদের কপালে তিলক কেটে দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইয়ের কপালে মঙ্গল তিলক এঁকে, তাঁর শুভকামনা করেন বোন বা দিদি।
এইদিন প্রদীপের আলোয় মিষ্টি খাওয়ার খুনশুটিতে বাঙালি বাড়িতে এক অন্য আমেজ৷ এই দিনটি ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের সম্পর্কের প্রতীক। উৎসবের এই বিশেষ দিনগুলিকে আমরা সকলেই খুব আড়ম্বরে উদযাপন করি। বিশেষ এই দিনের উদযাপনের পিছনে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসই যে রয়েছে তা নয়, এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সঙ্গে উৎসবের বিশেষ এই দিনটিকে সেলিব্রেট করা।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্য ও সংজ্ঞার সন্তান যম ও যমী বা যমুনা। যমুনা নিজের ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়েছিলেন, তার পর থেকে এই উৎসব পালিত হতে শুরু করে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এটি ভাই দুজ বা ভাই বীজ নামে পরিচিত। তবে নামে পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্য একটিই, ভাইয়ে দীর্ঘায়ু ও উন্নতি কামনা করা।