নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছটের প্রস্তুতি শুরু হয়। ছট উৎসব যতই ঘনিয়ে আসে, ছট মাইয়া ও সূর্যদেবের স্তুতির সুর ঘরে ঘরে শোনা যায়। চারদিন ধরে চলা এই পুজোর অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বেশ গুরত্ব রয়েছে। প্রথম দিন স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ছট পুজোর। পরের দিন খরনা বা শুদ্ধিকরণ। সন্ধেবেলা প্রসাদ হিসাবে তৈরি করা হয়, গুড়ের ক্ষীর। সারা দিনের শেষে এই প্রসাদ খেয়েই উপোস ভাঙেন ব্রতপালনকারীরা। পরের দিন আবার অস্তগামী সূর্যকে দান করা হয় অর্ঘ্য। তারই সঙ্গে দান করা হয় ঠেকুয়া, কলা, মরশুমি ফল, আখ ইত্যাদি।
ছট উৎসব আসলে সূর্যদেবের ব্রত পালনের উৎসব। এই সময় পূজিত হন স্বয়ং সূর্য দেবই। শাস্ত্র মতে তাঁর মধ্যেই নিহিত থাকে প্রাণশক্তি। তাঁর ভীষণ তেজে ধ্বংস হয় রোগ জীবাণুও। সেই সূর্যদেবের কৃপায় পরিবারের লোকজনকে সুস্থ রাখতে করা হয় এই পুজো। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ছঠি মাইয়া পূজা ভক্তদের স্বাস্থ্য, সুখ, সমৃদ্ধি এবং সন্তানের মঙ্গলকামনার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। এবছর ছট পূজার শুভ মুহূর্ত- কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি শুরু হবে ৭ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে। এটি ৮ নভেম্বর দুপুর ১২:৩৪-এ শেষ হবে। অতএব, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় অর্ঘ্য দেওয়া হবে, এবং সকালের অর্ঘ্য দেওয়া হবে ৮ নভেম্বর।
এই চারদিনের উৎসব যতই ঘনিয়ে আসছে, ছট পূজার তারিখ নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন। জ্যোতিষী এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞ রাকেশ চতুর্বেদী এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কার্তিক মাসে শুক্লপক্ষের চতুর্থী থেকে সপ্তমী তিথি পর্যন্ত ছট উৎসব পালিত হয়। মহাপর্ব শুরু হয় নাহাই-খাইয়ের আচারের মাধ্যমে, এরপর দ্বিতীয় দিনে খরনা। তৃতীয় দিনে ভক্তরা নদীতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। চতুর্থ দিনে তাঁরা আবার উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সন্ধ্যায় অর্ঘ্য দেওয়া হয়। আর সপ্তমী তিথিতে সকালে অর্ঘ্য দেওয়া হয়, উৎসবের সমাপ্তি উপলক্ষে। এই সময়ে ভক্তদর মধ্যে কেউ কেউ ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস করে।