নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি
আনন্দ বোস। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেও উপাচার্য হিসেবে তিনি কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন
না। বেশ কয়েক বছর ধরেই উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাতের
ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। শুক্রবারই অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে অমিতাভ দত্তকে পদত্যাগের
নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও
হয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের বেঞ্চ রাজ্যপাল সিভি
আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তেই সায় দেয়। বেঞ্চ জানায়, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের
আচার্য তথা রাজ্যপাল সিদ্ধান্তই বৈধ। আদালতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় রাজ্যপালের নিয়োগ
করা অস্থায়ী উপাচার্যদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তার টুইটার হ্যান্ডলে
একটি বিদ্রুপাত্মক পোস্ট করেন যেখানে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে ‘ভাজপাচার্য’ বলে কটাক্ষ
করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Burdwan Raj College: বর্ধমান রাজ কলেজে অশান্তির বাতাবরণ
কিছুদিন আগেই মাকাউটের অস্থায়ী উপাচার্য পদ থেকে আচমকা ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে সেই পদে
নিয়োগ করেছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল। রাজভবনের দুর্নীতি দমন
শাখায় জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন
বাতিল করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়ে রাজ্যপাল
বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলি টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করছিল। যতদিন না এরা দুর্নীতি বন্ধে
সন্তোষজনক পদক্ষেপ করছে ততদিন এরা অনুমোদন ফেরত পাবে না।