নিউজ ডেস্ক: তবে কী সত্যি বদলে যাচ্ছে দেশের নাম? দেশবাসীর মনে ফের এই প্রশ্ন উস্কে দিল জি২০ সম্মেলন(G20 Summit 2023)। দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ করার পক্ষে সওয়াল করেছে মোদী সরকার। এবার সেই বিষয়ে সিলমোহর দিয়ে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’এ শুরু হয়েছে ১৮তম জি২০ সম্মেলন(G20 Summit 2023)। পরম্পরা মেনেই এদিন সকল রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানান মোদী। এরপরই সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে উদ্বোধনী ভাষণ শুরু করেন তিনি। সেখানে তাঁর সামনের নামফলকে দেখা গেল বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘ভারত’। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে তাঁদের দেশের নাম লেখা ফলক রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্ষেত্রে তার অন্যথা হয়নি। তবে নিজের সামনে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখা ফলক রেখে দেশের নামবদলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী, বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: G20 Leaders’ Declaration: ‘পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়’, ইউক্রেন ইস্যুতে যৌথ ঘোষণা জি২০ নেতাদের
উল্লেখ্য, জি২০-তে রাইসিনা হিলের তরফে নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা প্রকাশ্যে আশার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। শুরু হয় শাসক-বিরোধী তরজা। এদিকে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনের সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে অধিবেশনের কারণ স্পষ্ট না করায় দেশের নামবদলের প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে বলেও শুরু হয় জল্পনা।
তবে শুধু নামফলকেই নয়, বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য তৈরি বুকলেটেও ব্যবহার করা হয়েছে ‘ভারত’। বুকলেটে লেখা, “ভারত হল দেশের সরকারি নাম। ১৯৪৬-৪৮ সালের আলোচনার পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানেও এর উল্লেখ রয়েছে।” এমনকি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য তুল ধরার জন্য কেন্দ্রের বিশেষ প্রদর্শনী ‘দ্য মাদার অফ ডেমোক্রেসি’-তে দেশের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ভারত’কে। এই আবহে মোদীর নামফলকে ‘ভারত’ ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।