নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে মরেও শান্তি নেই। হাওড়ায় যেন সেই প্রবাদের পুনরাবৃত্তি। শবদাহ করতে গিয়েও হেনস্থার শিকার শ্মশানযাত্রীরা। প্রিয় মানুষের চলে যাওয়ার শোকের সময় শেষকৃত্য করতে গিয়ে ডোমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে গঙ্গা পারের শহরের মানুষদের।
জানা গেছে হাওড়ার সালকিয়া শ্মশানে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ইলেকট্রিক চুল্লি। কাঠে দেহ পোড়াতে গেলে ডোম দর হাঁকাচ্ছে বহু গুণ বেশি টাকা। একে বেশি দাম দিয়ে কাঠ কিনতে হচ্ছে তার ওপর বকশিসের নামে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে মৃতের পরিবারদের বহুগুণ বেশি টাকা দিয়ে পোড়াতে হচ্ছে তদেহ । হাওড়ার সালকিয়া বাঁধাঘাট এখন অস্বস্তির আর এক নাম।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে পুলিশের তোলাবাজি অভিযোগ শুভেন্দুর
জানা যাচ্ছে গত মাসের শেষের দিকে এই শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লি মেরামত শুরু হয়েছে। মেরামত চলবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। ততদিন এখানে আসা মৃতদেহ কাঠের চুল্লিতে পোড়াতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, ডোমেরা মানুষ বুঝে যেমন তেমন দর হাঁকাচ্ছে। তার ফলে কেউ সেই মরদেহ নিয়ে অন্যত্র জায়গায় চলে যাচ্ছে, আবার কেউ বেশি টাকা দিয়ে বাধ্য হয়ে কাঠের চুল্লিতে মৃতদেহ পোড়াচ্ছেন। সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মৃতদেহ পোড়াতে আসা লোকজনদের।
এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “হাওড়া পুরসভার যে বিভাগ এই দায়িত্ব বহন করে তারা কি ডোমেদের টাকা দিতে পারছে না যে ডোমদের যেমন তেমন মরা পোড়ানোর জন্য দর হাঁকাতে হচ্ছে । হাওড়া পুরসভার এই বিভাগ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন সালকিয়া বাঁধাঘাট শ্মশানে সবকিছু উন্নয়ন এনজিও করেছে। তাহলে হাওড়া পুরসভা কি করছে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।