পদত্যাগ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। জিপিও মার্ফত তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে গিয়েও তাঁকেও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। এদিনই ছিল তাঁর বিচারক হিসেবে কর্মজীবনের শেষ দিন। রবিবার বিচারকের কাজ থেকে সরে আসার ঘোষণা করেছিলেন অভিজিৎ বাবু। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, “বৃহত্তর প্রেক্ষিতে আসতে চাই। তাই বিচারকের আসন ছেড়ে দিতে হবে। শাসক দল আমাকে তাঁদের মুখোমুখি হতে আহ্বান করেছিল। তাই আসছি”। প্রসঙ্গত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তমলুক আসন থেকে লড়তে পারেন এমন সম্ভাবনা কথা ঘোরা ফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারকের আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই শাসক দলের তরফে তাঁকে আক্রমণ করা শুরু হয়। যদিও সেই সব কথায় আপাতত কান দিতে নারাজ সদ্য প্রাক্তন দুঁদে বিচারক অভিজিৎ বাবু।
শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নজিরবিহীন রায় ও মন্তব্য করেছেন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একেবারে সময় বেঁধে দিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ থেকে শুরু করে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ছিল। এছাড়াও তাঁর একের পর মন্তব্য সংবাদ শিরোনামে এসেছে।
বড় সড় অঘটন না ঘটল তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন এমনই ইঙ্গিত এসেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তরফে। তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই এবিষয়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার মাস্টার দার মুর্তির সামনে এসে তিনি কী বলেন?
Trending Tag