Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...

ঐতিহ্য

Loading...
  • প্রথা মেনে মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল

    নিউজ ডেস্ক: প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর দিন, রবিবার সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হলো। মহাষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল নটা নাগাদ শুরু হয় কুমারী পুজো। কুমারী পুজো দেখতে মঠে হাজির হন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন।

    স্বামী বিবেকানন্দের প্রচলিত সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। 

    প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয় এইদিন। সকালে কুমারী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। চলতি বছরে কুমারীকে উমা রূপে পূজা করা হচ্ছে। এছাড়াও মহাষ্টমীর দিনে বেলুরমঠে আগত দর্শনার্থীদের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের রান্না হয় বেলুড় মঠের প্রঙ্গণে।

    | 13:07 PM, Sun Oct 22, 2023

  • বনেদি বাড়ির পুজো বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রা

    নিউজ ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আগে মূলত বনেদি বাড়িগুলিতে পুজো হতো। কালের বিবর্তনের সঙ্গে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি পুজোর প্রচলন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজো গুলির জৌলুস অনেকটাই কমে গেছে এবং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বারোয়ারি পুজোর জৌলুস। অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বন্ধও হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বারোয়ারি রূপ পেয়েছে। তেমনি এক বনেদি বাড়ির পুজোর বারোয়ারি রূপ পাওয়া পুজো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকার  স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী ওরফে দীনু কবিরাজের বারোয়ারি মন্দিরের দুর্গাপুজো। প্রায় দেড়শ বছরের বেশি পুরনো এই পুজোটি স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী বাড়ির পূর্বপুরুষরা চালু করেছিলেন।

    এই জমিদার বাড়ির সদস্য কেউ নেই বললেই চলে। ফলে এই পুজো বন্ধ হয়ে যেতে বসলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন পুজোর হাল ধরতে। বর্তমানে এলাকাবাসীদের উদ্যোগে পুজো হয়ে থাকে। এইবারের থিম পুরুলিয়ার ছৌ নাচ। এই পুজোয় ঠাকুর এবার ছৌ নৃত্যের আদলে তৈরি হয়েছে। প্যান্ডেলেও ছৌ নৃত্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    | 13:40 PM, Wed Oct 18, 2023

  • Nobel Prize 2023: ইরানের মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের লড়াই করেছেন তিনি, জেলে বসেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন নার্গিস মহম্মদি

    নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরেক নাম। এই বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন ইরানের সমাজ কর্মী নার্গিস মহম্মদি। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন নার্গিস। আদপে ইরানের বাসিন্দা নার্গিস বহু বছর ধরেই মানবাধিকার নিয়ে লড়াই করছেন। এবার তার জন্যই পুরস্কার পেলেন তিনি। নোবেল পুরস্কার কমিটি জানিয়েছেন যে, 'নরওয়ের নোবেল কমিটি ঠিক করেছেন যে, এই বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে নার্গিস মহম্মদিকে। ইরানে নারীদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতার সপক্ষে যেভাবে তিনি লড়েছেন, যেভাবে আন্দোলন করেছেন এই পুরস্কার তার স্বীকৃতি।' 

    ইরানের মহিলাদের উপর বিগত বেশ কিছু বছর ধরে নানা ধরণের নিপীড়ন চলছে। গত বছরেই ঠিকমতো হিজাব না পরার জন্য এক ইরানি তরুণীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল সেখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বহু মানুষ। প্রকাশ্য রাজপথে হিজাব পুড়িয়ে ফেলেছেন বহু তরুণী। মহিলাদের উপর হওয়া এই সব অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও মানবাধিকার নিয়ে বহুদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নার্গিস। বর্তমানে ইরানেই জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। গত বছর নভেম্বর মাসে গ্রেফতার হন নার্গিস। ২০১৯ সালের আন্দোলনে নিহতদের স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করেন ইরানের পুলিশ।

    ৫১ বছর বয়সী এই সমাজকর্মী কার্যত জেলে বসেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন। নার্গিস মহম্মদি এখনও পর্যন্ত ১৩ বার জেলবন্দি হয়েছেন, ৫ বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যদিও এখনো তিনি তাঁর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনো। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুযায়ী এই নোবেল পুরস্কার চালু হয়। তাঁর রেখে যাওয়া অর্থমূল্য থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর এই পুরস্কার জয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

    | 16:31 PM, Fri Oct 06, 2023

সংস্কৃতি

  • Koushiki Amavasya 2023: কলকাতায় মহাজাগ্রত দেবী, ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না শ্যাম সুন্দরী

    নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় মা কালীর মন্দিরের কথা বললেই কালীঘাট কিংবা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কথা মনে আসে। কিন্তু খাস কলকাতাতেই রয়েছে এক মহাজাগ্রত মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না।



    কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট। সেখানে রামমোহন হলের পিছনের এক প্রাচীন বনেদি বাড়িতে এই মন্দির। শ্যামসুন্দরী মন্দির ঘিরে শোনা যায় নানান আলৌকিক কাহিনী। লোকমুখে শোনা কাহিনী ও মানুষের অভিজ্ঞতা শুনতে আমরা হাজির হয়েছিলাম মন্দিরের দরজায়।  পুরোহিত কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বহু বছর আগের ঘটনা। তখন মা পুরাতন মন্দিরে বিরাজমান ছিলেন। একদিন সকালে স্নান শেষে পুজার পুর্বে এক ছোট্ট মেয়ে পুরোহিতের কাছে চাল কলা খেতে চাইল। পুরোহিত হাত খালি থাকায় তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এক দিন তিনি যখন মায়ের পুজোয় লীন হঠাৎ দেখতে পান কালো একরত্তি মেয়ে বলে আমাকে খেতে দিবি না। দিবি না আমাকে চাল কলা। মাকে যেন সেই আগের দিনের ওই মেয়ের মত দেখতে লাগছিল। খানিকটা ভয়ে কিছুটা আনন্দে কেঁদে ফেলেন পুরোহিত। তার পর অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় ওই মেয়ে”।   

     

    মহালয়ার পুণ্যলগ্নে দেবীর আবির্ভাব তিথি। ওই দিন দেবী প্রথম দর্শন দিয়েছিলেন। এই মন্দিরের মাতৃপ্রতিমা যেন ছোট মেয়ের মত। ভক্তদের বিশ্বাস তারা মাতৃপ্রতিমায় বাড়ির ছোট মেয়েকে দেখতে পান। বহুকাল আগে এই মন্দিরের তৎকালীন পুরোহিত একদিন মাকে সেই রূপে জীবন্ত দেখেছিলেন। মা নাকি তার কাছ থেকে চাল কলা খেতে চেয়েছিলেন।   

    দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যাশক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ তিথি। ভাদ্রমাসের এই তিথিতে তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রের রীতি মেনেই কালীপুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এই অমাবস্যায় রীতি মেনে মায়ের পুজ করলে চললে জীবনে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। কথিত আছে, কঠিন ও গুপ্ত সাধনার মাধ্যমে কৌশিকী অমাবস্যা পালন করলে সিদ্ধিলাভ ঘটে, আশাতীত সাফল্য লাভ পারেন ভক্তরা।

    Pankaj Kumar Biswas | 14:12 PM, Wed Sep 13, 2023

  • Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    নিউজ ডেস্ক: পার্কস্ট্রিটে পা রাখলেই রবিবারের সকালে ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা অফিস-ফেরত হালকা ডেজার্ট, একটাই নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে- 'ফ্লুরিস'। এক সময় বহু মানুষের অলস বিকেলটা কেটে যেত এখানেই, হাতে দার্জিলিং চায়ের কাপ নিয়ে কাচের ওপারে ব্যস্ত শহরটাকে দেখতে দেখতে। শহরের সবথেকে বিলাসবহুল, ঐতিহ্যবাহী রাস্তা পার্ক স্ট্রিট। একসময় কলকাতায় থাকতেন বা এখনও থাকেন এমন কেউ নেই যারা বড়দিনের আমেজে এই দোকানের বাইরে লাইন দেননি কিংবা এর বিখ্যাত 'রামবল' (Rumball) নিজে চেখে দেখেননি। বরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের 'প্রতিদ্বন্দ্বী' এবং 'জন অরণ্য' ছবির শুটিংও হয়েছিল এখানেই। কথা হচ্ছে কলকাতার অন্যতম প্রাচীন কনফেকশনারি 'ফ্লুরিস'কে নিয়ে।

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচার হেরিটেজ সংক্ষেপে 'ইনটাক' (INTACH) ঐতিহ্য এবং প্রাচীনত্বের বিচারে পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিসকে হেরিটেজ ফলক দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯২৭ সালে সুইস দম্পতি জোসেফ এবং ফ্রিডা ফ্লুরি ১৮, পার্ক স্ট্রিট ঠিকানায় শুরু করেন তাদের এই কনফেকশনারি। আর এই দোকান ধীরে ধীরে ব্রিটিশ এবং অভিজাত কলকাতাবাসীদের কাছে প্রসিদ্ধ চায়ের ঠেকে পরিণত হয়।  

    আরও পড়ুন: Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান

    অনেক ঐতিহাসিক বলেন, একসময় সুইজারল্যান্ড থেকে কুইন্তো সিনজিও ট্রিংকা নামের এক ভদ্রলোক ফ্লুরি-দম্পতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঐ একই ঠিকানায় শুরু করেছিলেন 'ফ্লুরি অ্যান্ড ট্রিঙ্কা' নামে একটি দোকান। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই অংশীদারি ব্যবসা আর চলে না, ১৯৩৯ সালে ট্রিঙ্কা ফ্লুরি দম্পতির থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে রাস্তার ঠিক উলটো পারেই তৈরি করেন 'ট্রিঙ্কাস'। ফ্লুরিসের ভিতরে ঢুকলে আজও যেন মনে হবে সেই পুরনো ইউরোপিয়ান টি-সালোঁর ঘরানা বজায় আছে। সুদৃশ্য ঝাড়লণ্ঠন, ভাস্কর্যের সমাহারে একটা প্রাচীনত্বের ছোঁয়া যেন ধরা দেয় ফ্লুরিজের গায়ে গায়ে। ১৯৬৫ সালে এই দোকানের মালিকানা হস্তান্তরিত হয় এপিজে গ্রুপের হাতে। জোসেফ ফ্লুরির কাছ থেকে এই ব্যবসাটি কিনে নেন জিত পল। কল্লোলিনী তিলোত্তমার বুকে কালের কল্লোল এভাবেই ধরে রেখেছে ফ্লুরিস। পার্ক স্ট্রিটের পিচের সড়কে আজও যেন বেজে চলে ফ্লুরি দম্পতির হেঁটে চলা, অভিজাত কলকাতাবাসীদের আমেজভরা বিকেলের সুখের গান। 

    Editor | 13:38 PM, Fri Jul 21, 2023

  • Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান

    নিউজ ডেস্ক: কলকাতার সব থেকে পুরনো বইয়ের দোকান দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং এক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই দোকানের চত্বরের মধ্যেই একটা অংশে চালু করা হচ্ছে মুক্ত পাঠাগার। বিনামূল্যে এখানে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। যেসব পড়ুয়াদের বই কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কথা ভেবেই মূলত এই উদ্যোগ নিতে চলেছে দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং।

    কলকাতার বুকে এই দোকানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। এখানে ১৮৯০ থেকে ১৯০০ সালের বহু পুরনো বই, ঘড়ি ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য উপাদান রয়েছে, ফলে এর একটা আর্কাইভাল গুরুত্বও রয়েছে। যদিও ২০০৪ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে সেসবের অধিকাংশই পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। জানা গিয়েছে বইয়ের দোকানের দোতলায় সেই পাঠাগার তৈরি হতে চলেছে। দোকানের কর্ণধার ৭১ বছরের অরিন্দম দাশগুপ্ত বলেন যে, আগামী দুর্গাপুজোর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বই নিয়ে চালু হতে চলেছে এই মুক্ত পাঠাগার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে দুপুর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে এসে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষারই বইপত্র থাকবে এখানে, সব বয়সের মানুষেরাই এখানে এসে বই নেড়েঘেঁটে দেখতে পারবেন। কর্ণধার আরো জানান যে এই পাঠাগারের মাধ্যমে বাংলা মাধ্যম এবং ইংরেজি মাধ্যম উভয় ব্যবস্থার ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবেন।

    আরও পড়ুন: Panchayat Election in Bengal: সরকার ও নির্বাচন কমিশন- ভোট ও ছাপ্পা! আসলে জনগণকে ধাপ্পা

    ১৮৮৬ সালে কলেজস্ট্রিটে তৈরি হয়েছিল এই বইয়ের দোকানটি যা বর্তমানে হেরিটেজ বুকশপ-এর আখ্যা পেয়েছে। এই বছর ১ জুলাই কলকাতা কর্পোরেশন এই দোকানটিকে গ্রেড ২ এ হেরিটেজের আখ্যায় ভূষিত করেছে। জানা গিয়েছে ২৪ জুলাই দোকানে লাগানো হবে নীল সিলমোহর। কিন্তু কেন বইয়ের দোকানের মধ্যেই পাঠাগার চালু করতে চাইলেন কর্ণধার অরিন্দম দাশগুপ্ত? তাঁর কথায় জানা যায়, এখন যেভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে তাতে লকডাউনের সময় তিনি দেখেছেন যে বহু মুসলিম-প্রান্তিক ছেলে-মেয়ে তাদের দোকানে এসে বই কিনত, দেখেই বোঝা যেত তাদের সামর্থ্য ছিল অনেকটাই কম। আর তাই সেই প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই পাঠাগার চালু করার পরিকল্পনা করেছেন অরিন্দম দাশগুপ্ত।

    ১৮৮৬-তে অরিন্দম পূর্বপুরুষ গিরিশচন্দ্র দাশগুপ্ত যশোরের কালিগ্রাম থেকে এদেশে এসে এই দোকানটি প্রথম চালু করেন। সেই থেকেই বহু ইতিহাসের সাক্ষী কলেজস্ট্রিটের বুকের এই দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং। আজও দিনে প্রায় ৪০০ মানুষ বই কিনতে হাজির হন ইতিহাস-প্রাচীন এই দোকানে। দেওয়ালে দেওয়ালে বইয়ের ধুলোর মধ্যে আজও যেন ইতিহাস কথা বলে।

    Editor | 15:54 PM, Sat Jul 15, 2023

  • Tala Bridge History: চলতি কথায় টালা ব্রিজ, পোশাকি নাম হেমন্ত সেতু, কে এই 'হেমন্ত' জানেন কী?

    নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ নয় দশক ধরে উত্তর কলকাতার মানুষের সাথী এই টালা ব্রিজ। ডানলপ, সোদপুর, দক্ষিণেশ্বর যেখান থেকেই শ্যামবাজার পাঁচ মাথা পেরিয়ে যেতে চান না কেন, টালা ব্রিজ পেরোতেই হবে। ২০১৯ সাল থেকে মেরামতির জন্য বন্ধই ছিল টালা ব্রিজ, বাস-প্রাইভেট গাড়ি সবই চলাচল করছিল পার্শ্ববর্তী লকগেটের রাস্তা দিয়ে। বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সাজানো টালা ব্রিজের উদ্বোধন হল। ১৯৩৬ সালে প্রথম চালু হয় এই টালা ব্রিজ, তবে অনেক পরে টালা ব্রিজের নতুন করে স্থায়ী কাঠামো তৈরি হয় ১৯৬৪ সালে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন প্রফুল্লচন্দ্র সেন। ব্রিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক লোককথা, অনেক ইতিহাস। অনেকেই জানেন, এই ব্রিজের পোশাকি নাম হেমন্ত সেতু। কিন্তু জানেন কী আসলে কে এই হেমন্ত? বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামেই কি এই সেতুর নাম? নাকি এই নামকরণের আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো ইতিহাস? 

    সরকারি নথির ইতিহাস বলছে, ১৯৭৩ সালের ৫ অক্টোবর টালা ব্রিজের নামকরণ হয় হেমন্ত সেতু। নামের মধ্যে এই হেমন্ত আসলে হেমন্তকুমার বসুকেই স্মরণ করায়। হেমন্তকুমার ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর সহকর্মী এবং সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের চেয়ারম্যান। তখন সত্তর দশক। নকশাল আন্দোলনের জোয়ারে পুরো বাংলা উত্তাল। তারই সঙ্গে বাংলাদেশে চলছে মুক্তিযুদ্ধ। রক্তাক্ত বাংলার রাজপথ রোজ আলিঙ্গন করছে নতুন নতুন মৃতদেহ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনে ফরোয়ার্ড ব্লকের হয়ে শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান হেমন্তকুমার বসু। ছিয়াত্তর বছরের এক বৃদ্ধের উপর হয়তো ক্ষোভ ছিল কারো।

    আরও পড়ুন: Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'

    ১৯৭১ সাল, ২০ ফেব্রুয়ারি। টাউন স্কুলের সামনে একদল আততায়ী আক্রমণ করে হেমন্তকুমার বসুকে। ভোজালির ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। টালা ব্রিজের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই রক্তাক্ত ইতিহাস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। তাঁর উদ্যোগেই হেমন্তকুমার বসুর স্মৃতিতে তাঁর ৭৮তম জন্মদিনে টালা ব্রিজের নাম বদলে রাখা হয় 'হেমন্ত সেতু'। কলকাতার দৈনন্দিন ব্যস্ততার আড়ালেই রয়ে গেছে এই ভুলে যাওয়া ইতিহাস। 

    Editor | 11:09 AM, Mon Jul 03, 2023

বিশেষ নিবন্ধ

  • Ganesh Chaturthi 2024: গণেশ চতুর্থীর দিন সিদ্ধিদাতার পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে, নিবেদন করুন এই ৫ ভোগ


    নিউজ ডেস্ক: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ভাদ্র শুক্লা চতুর্থী তিথিতে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। প্রতিবছর মহাসমারোহে পালিত হয় এই গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2024)। সারা ভারত জুড়ে চলে এই উৎসব। তবে মূলত মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ পুজো। লোকবিশ্বাস ভক্তিভরে নিয়ম মেনে গণেশ চতুর্থীর দিন সিদ্ধিদাতার পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে। গণেশ ঠাকুরের পুজোয় সঠিক ভোগ নিবেদন করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তিনি যে একটু ভোজনপটু, তা তাঁর চেহারা দেখলেই বিস্তর মালুম হয়। তাই আজ গণেশ জয়ন্তীতে সিদ্ধিদাতাকে তাঁর পছন্দের ভোগ নিবেদন করুন। তবে তার আগে জেনে নিন পুজোর সময় ও তিথি।

    গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2024) তিথি ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩ টে ৩১ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে গণেশের মূর্তি স্থাপন করলে অত্যন্ত শুভফল প্রাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গণেশ চতুর্থী তিথিতে ভুলেও মুলো খাবেন না৷ কোনওরকম তিতো খাবারও এই তিথিতে বাড়িতে করবেন না৷ তাহলে জীবনে তিক্ততা এড়িয়ে থাকা যাবে৷ গণেশ চতুর্থীতে আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ এই তিথিতে সাত্তিক আহার খেলে গণপতির আশীর্বাদ পাবেন৷

    এবার দেখে নিন গণেশ পুজোয় (Ganesh Chaturthi 2024) কোন কোন ভোগ নিবেদন করতেই হবে। গণপতির অত্যন্ত প্রিয় হল মোতিচুরের লাড্ডু। মনে করা হয়, মোতিচুরের লাড্ডু নিবেদন করলে খুব সহজেই তাঁকে প্রসন্ন করা যায়। আর সিদ্ধিদাতা প্রসন্ন হলে তাঁর আশীর্বাদে আপনার সংসারে সুখ সমৃদ্ধির অভাব হবে না কখনোই। অন্যদিকে গণেশের প্রিয় মোদক, তা আমরা সবাই জানি। আসলে পুরাণ অনুসারে পরশুরামের কুঠারের আঘাতে গণেশের একটি দাঁত ভেঙে যায়। সেই সময় অন্য কোনও খাবার তিনি খেতে পারছিলেন না। তখন মাতা পার্বতী তাঁর জন্য নরম পাকের মোদক বানিয়ে দেন। সেই থেকে গণেশের অতি প্রিয় খাবার হল মোদক। গণেশ জয়ন্তীতে তাঁকে মোদক নিবেদন করলে বিশেষ কৃপা লাভ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও কলা, নারকেল, ক্ষীর ইত্যাদি দিয়েও ভোগ নিবেদন করলে তুষ্ট হবেন বাপ্পা।

    এবারের গণেশ চতুর্থীতে (Ganesh Chaturthi 2024) একাধিক শুভ যোগের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ, ব্রহ্ম যোগ এবং ইন্দ্র যোগ তৈরি হওয়ার ফলে এই বছর গণেশ পূজা ভক্তদের জন্য বিশেষ আর্শীবাদ বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। গণেশ চতুর্থীতে ভগবান গণেশকে দূর্বা ও ফুলের মালা নিবেদন করলে আর্থিক উন্নতি হয়। এছাড়া 'বক্রতুন্ডায় হুম' মন্ত্র ৫৪ বার জপ করলে জীবনের বাধা ও সংকট দূর হয়।

    Sweta Chakrabory | 12:19 PM, Sat Sep 07, 2024

  • Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা, কথিত আছে এই তীর্থে এলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়


    নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) সেজে উঠেছে বোলপুরের কঙ্কালীতলা। এবার সোমবার ভোরে এই তিথি শুরু হয়ে পরের দিন সকাল পর্যন্ত থাকছে। আগের দিন যেহেতু ছু’টি তাই রবিবার থেকেই ভক্তের ঢল নামেছে কঙ্কালীতলায়। মহাপীঠ তারাপীঠের মতোই বোলপুরের কঙ্কালীতলা সতীপীঠ। অমাবস্যার বিশেষ তিথি কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা।

    কথিত আছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁক অর্থাত্‍ কোমর পড়েছিল। তখন থেকেই এই তীর্থের নাম কঙ্কালীতলা। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya 2024) পবিত্র লগ্নে তারাপীঠের মন্দিরের ন্যায় কঙ্কালী মন্দিরেও বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। মা তাঁকে নিরাশা করেনি। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্যাপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এছাড়াও শোনা যায়, এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ- নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই 'কৌশিকী অমাবস্যা' নামটি এসেছে। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী ‘তারা’ মর্ত ধামে আবির্ভূত হন৷ অন্যদিকে কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) তিথি উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তারাপীঠ মন্দিরও।

    তারাপীঠে সব থেকে বড় উৎসব কৌশিকী অমাবস্যা। এই উৎসব মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। বিশেষ এই তিথিতে পুণ্যলাভের আশায় ফিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান। যা সামাল দিতে কালঘাম ছোটে পুলিসের পাশাপাশি মন্দির কমিটির। এবার আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতেও মায়ের কাছে পুজো দেন অনেক ভক্ত। সোমবার সন্ধ্যা হতেই মন্দিরের চেহারা পাল্টে যাবে। নানা রঙের আলোর ছটা গর্ভগৃহের দেওয়ালে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে তারাপীঠের জনবহুল মোড়গুলিতে ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। যাতে ভিড়ে যাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁরা এই স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর পুজো ও আরতি দর্শন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৭০০ পুলিশ কর্মী। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে শ্মশান চত্বরকে।

    এদিকে সতীপীঠ বোলপুরের কঙ্কালীতলাতেও এবার ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী মন্দির কমিটি। তাই তাদের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগত ভক্ত ও সাধুসন্তদের সুবিধার্থে প্যান্ডেল খাটানো হয়েছে। একাধিক অস্থায়ী হোমযজ্ঞ করার জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গোটা মন্দির চত্বরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

    Sweta Chakrabory | 18:21 PM, Mon Sep 02, 2024

  • Mangala Gauri Vrat: শ্রাবণী মঙ্গলবারে পালন করুন মঙ্গলা গৌরী ব্রত, এই মন্ত্র জপ করলে কী সুফল মেলে জেনে নিন

    নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট, তৃতীয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gauri Vrat)। শ্রাবণ মাসে এই ব্রত পালন করলে তবেই সোমবারের পুণ্য লাভ হয়। এই ব্রত এবং উপবাস পালনের কিছু নিয়ম রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা সাধারণত এই ব্রত পালন করে থাকেন। সংসারের উন্নতি, স্বামীর আয়ুতে মঙ্গল কামনা এবং দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য এই ব্রত পালন করা হয়। আসুন জেনে নিই এই ব্রতর নিয়ম।

    হিন্দু পঞ্জিকা মতে, এই বছর ৪টি মঙ্গলা গৌরী (Mangala Gauri Vrat) উপবাস পালিত হবে। প্রত্যেক শ্রাবণী সোমবারের পরের মঙ্গলবারে পালিত হয় ব্রত। ২৩ জুলাই, ৩০ জুলাই, ৬ অগাস্ট, ১৩ অগাস্ট — হল এই ব্রতের নির্ধারিত দিন। আজ, ৬ অগাস্ট, তৃতীয় ব্রতপালনের দিন। এই ব্রত মূলত শিবপত্নী পার্বতীর পুজো। শিব তো পার্বতী ছাড়া অসম্পূর্ণ, তাই সোমের পর মঙ্গলে শক্তির পুজো করতে হয়। তবে গৌরী ব্রত শুধু যে বিবাহিত মহিলারা করেন তাই নয়, একই ভাবে অবিবাহিত মহিলারাও পালন করে থাকেন। শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেব এবং দেবী পার্বতীকে একসঙ্গে পুজো করার নিয়ম থাকে। মঙ্গলবার মঙ্গলা গৌরী ব্রত পুজোর অভিজিৎ মুহূর্ত হল দুপুর ১২টা থেকে ১২.৫৫ মিনিট পর্যন্ত। বিজয় মুহূর্ত দুপুর ২টা ৪৪ মিনিট থেকে ৩.৩৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। দ্বিপুষ্কর যোগও এদিন গঠিত হয়েছে। ফলে আজকের এই বিশেষ দিন থাকবে সকাল ৫টা ৩৮ মিনিট থেকে, যা চলবে ১০টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত।

    এই বছর শ্রাবণ মাসে মোট সোমবার পড়েছে ৫টি। বাংলায় শ্রাবণ মাস (Mangala Gauri Vrat) শুরু হয়েছে গত ২২ জুলাই থেকে এবং চলবে ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত। এই এক মাসে সোমবার পড়ছে ২২ জুলাই, ২৯ জুলাই, ৫ অগাস্ট, ১২ অগাস্ট এবং ১৯ অগাস্ট। ভোলা মহেশ্বরের মাথায় জল ঢেলে মনস্কামনা করে থাকেন শৈব ভক্তরা। এই মাসে আবার নক্ষত্র পূর্ণিমাও রয়েছে।

    Sweta Chakrabory | 12:37 PM, Tue Aug 06, 2024

  • Shravan Somvar: আজ শ্রাবণ সোমবার, এইভাবে শিবের পুজো করলে মিলবে সুফল

    নিউজ ডেস্ক: দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয় মাস হল শ্রাবণ (Shravan Somvar)। এই মাসেই শিবভক্তরা উপোস করে প্রতি সোমবার ভগবানের উদ্দেশে পুজো নিবেদন করেন। মহাদেবের মাথায় জল ঢালা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, শিবের মাথায় সোমবার জল ঢাললে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। জীবনে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বিশেষ কিছু রীতি মেনে চললে তুষ্ট হন মহাদেব, সে নিয়েই আজকে জানব আমরা।

    শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের পুজো (Lord Shiva) করার বিশেষ কিছু নিয়ম

    ১) সোমবার সকালে স্নান করার পরে শিবের মন্দিরে যান। এক্ষেত্রে খালি পায়ে মন্দিরে যেতে পারলে ভালো হয়। জল ভর্তি পাত্র বাড়ি থেকে নিয়ে যান। মন্দিরের শিবলিঙ্গে তা অর্পণ করুন। ১০৮ বার শিব মন্ত্র জপ করুন। দিনে অন্ন গ্রহণ না করাই ভালো, শুধু ফল খান। সন্ধ্যায় (Shravan Somvar) আবার দেবাদিবের মন্ত্রগুলি জপ করুন।  ২) ভগবান শিবকে (Shravan Somvar) খুশি করতে শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী নিবেদন করুন। গঙ্গাজল, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, ভাঙ, কর্পূর, দুধ, রুদ্রাক্ষ, ভস্ম নিবেদন করুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই জিনিসগুলি অর্পণ করলে ব্যক্তির সৌভাগ্য জাগ্রত হয়। ৩) শিবের (Lord Shiva) মাথায় জল ঢালার পর প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে আরতি। পুজো শেষে উপোস ভাঙতে পারেন ফল খেয়ে। ভক্তি দিয়ে পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। ৪) শাস্ত্রবিদদের মতে, শিবের পুজোতে চন্দন, অখন্ড চাল, ধুতুরা ফুল, আকন্দ, বেলপাতা, দুধ ও গঙ্গাজল অর্পণ করলে প্রসন্ন হন মহাদেব। ৫) শ্রাবণ মাসের ব্রত পালন করার সময় ঠাকুরঘরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। পুজোর সময় ঘর অন্ধকার রাখবেন না। ৬) সন্ধ্যাবেলার চেয়ে শ্রাবণ মাসের (Shravan Somvar) পুজো সকালে করে নেওয়াই ভালো। ৭) শাস্ত্রবিদদের মতে, ফল খেয়ে এই পুজো করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই দিন খাবারের তালিকায় আলু, লাউ এবং কুমড়ো অবশ্যই রাখুন। ৮) ব্রত পালনের দিনটি যতটা সৎ জীবনযাপন করুন। ৯) শিবপুজোর সময় অবশ্যই ঘি, মধু, সিদ্ধি, দুধ এবং গঙ্গাজল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করুন। ১০) বেলপাতা, ধুতুরা এবং আকন্দ ফুল শিবের সবচেয়ে প্রিয়। এই জিনিসগুলো পুজোয় অর্পণ করতে কখনও ভুলবেন না। ১১) শিবপুজোর সময় শিবলিঙ্গে আতপ চাল এবং যব অর্পণ করলে মিলবে শুভ ফল। ১২) শিবপুজো করার আগে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করেন শাস্ত্রবিদরা।

    শিবের পুজো করার সময় যা করতে নেই (Shravan Somvar)

    ১) মহাদেবকে কখনও কেতকী ফুল অর্পণ করতে নেই বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। ২) তুলসীপাতা শিবের পুজোয় কখনও ব্যবহার করবেন না। ৩) শিবের পুজোয় সব কিছু সাদা রঙের জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, এমনটাই মত শাস্ত্রবিশারদদের। ৪) শিবলিঙ্গে কখনই হলুদ, সিঁদুর, তুলসী, ডাল, কুমকুম, তিল, চাল, লাল ফুল, শঙ্খ সহ গঙ্গাজল অর্পণ করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। ৫) শিবলিঙ্গ কখনও প্রদক্ষিণ করবেন না। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাদেব তাঁকে প্রদক্ষিণ করা পছন্দ করেন না। তাই শিবলিঙ্গ বা মহাদেবের মূর্তিকে ভুলেও প্রদক্ষিণ করবেন না। ৬) মহাদেবের আরাধনায় বেলপাতা জরুরি হলেও সোমবার ভুলেও বেলপাতা ছিঁড়বেন না। আপনি সোমবার পুজো করলে আগের দিন বেলপাতা গাছ থেকে তুলে রাখুন। ৭) শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে জল এবং দুধ ঢালতে হয়। কিন্তু তার জন্য ভুলেও স্টিল বা তামার পাত্র থেকে শিবলিঙ্গে জল দেবেন না। কেবলমাত্র পেতলের পাত্র থেকেই শিবলিঙ্গে জল ঢালুন। ৮) উপবাসের সময় ভুলেও দুধ খাবেন না। শ্রাবণ মাসে মহাদেবকে দুধ নিবেদন করুন, শিবলিঙ্গে দুধ ঢালুন। এর ফলে কোষ্ঠী থেকে চন্দ্র দোষ দূর হবে এবং মনের অশান্তি কমবে।

    Sweta Chakrabory | 09:54 AM, Mon Aug 05, 2024

বাংলার ইতিহাস

  • Janmasthami 2023: বাঙালির ঘরের আদুরে ঠাকুর লাড্ডু-গোপাল, কীভাবে নিত্যদিন পরিচর্যা করবেন তাঁকে?  

    নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর এবং পরশু অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালন করা যাবে জন্মাষ্টমীর। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাত ১২টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। এই কারণে তিথি অনুযায়ী দুই দিনই আরাধনা করা যায় তাঁর। দেশ জুড়ে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের পুজো হলেও বাঙালি তার আদরের  লাড্ডু গোপালের আরাধনা কোর্টেই উৎসাহী বরাবর। তাই বাঙালির পুজোর বেদীতে বড় আঁকারের মূর্তি নয়, শ্রী কৃষ্ণ শোভা পান ছোট্ট খাটে আদরের গোপাল রূপেই। পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখা হয় তাঁকে। অর্থাৎ, খাওয়া-ঘুম-স্নান-- বাড়ির আর ৫ জনের মতো এই দৈনন্দিন কৃত্যগুলি করতে হয় বাঙালির গোপালকেও। 

    গোপালকে বাড়ির সদস্যের মধ্যে ধরা হলেও তার দেখভালের জন্য কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। আর সেগুলি যথাযথভাবে না মানলে গোসা করে বসে আদুরে গোপাল! বাড়িতে লাড্ডু গোপালকে এনে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই নিয়ম মেনে করতে হয় তার পরিচর্যা। নিয়মিত স্নান করানো, শঙ্খের জল দিয়ে অভিষেক করানো, যত্ন করে গা মুছিয়ে দেওয়া, তারপর সুন্দর জামা-কাপড় পরানো-- এ সবকিছুরই দাবি করে থাকে গোপাল। 

    দিনে ২ বার অবশ্যই পুজো করতে হয় গোপালের। আর ভোগ হিসেবে তো রাখতেই হবে তাঁর সাধের মাখন! তবে তেমনও আড়ম্বর আশা করেন না ছোট্ট গোপাল। বাড়িতে বড় করে পুজো-উৎসব না থাকলে নিত্যদিন সাধারণ কোনও মিষ্টি, নকুলদানা-বাতাসা বা চিনিও গোপাল গ্রহণ করেন ভোগ হিসেবে। তবে হ্যাঁ, বাড়িতে নতুন কোনও সাত্ত্বিক খাবার এলে অবশ্যই তা প্রথমে নিবেদন করতে হবে গোপালকে। তা না হলে নাকি ভীষণ কষ্ট পান তিনি। অনেক স্নেহময়ী গৃহকর্ত্রী  আবার আদরের আতিশয্যে খেলনা কিনে দেওয়া কিংবা বাচ্চাদের মতো ছড়া পড়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন না। এভাবেই শুধু জন্মাষ্টমী নয়, বছরের ৩৬৫ দিনই বাঙালির পরিবারের একজন হয়েই রয়ে যায় আদরের কাঙাল গোপাল ঠাকুর!

    | 17:17 PM, Tue Sep 05, 2023

  • Largest Marble Shiva Lingam: এশিয়ার বৃহত্তম কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ সহ মন্দির তৈরি করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, কিন্তু কেন জানেন?

    নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা এসে জল অর্পণ করতে এলেন এশিয়ার বৃহত্তম কষ্টিপাথরে শিবলিঙ্গ শিব নিবাসে। দূর দূরান্ত থেকে পুরুষ ও মহিলা ভক্তরা এসেছেন তাদের মনস্কামনা পূরণ করতে শিবনিবাস মন্দিরে জল ঢেলে। কিন্তু জানেন কি কেন এই মন্দির তৈরি করেছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়? জানা যায় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগর থেকে এখানে সরিয়ে আনেন। শিবের ভক্ত কৃষ্ণ চন্দ্র তার আরাধ্যের নামে নামকরণ করেন শিবনিবাস। এখানে সুন্দর রাজপ্রাসাদ ও কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার মধ্যে এখন মাত্র তিনটি মন্দির অবশিষ্ট আছে। প্রতিটি মন্দিরের উচ্চতা ৬০ ফুট। 

    এই শিবনিবাসে তাঁর রাজধানী প্রতিষ্ঠার একটি কাহিনী আছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নসরত খাঁ নামক এক দুর্ধর্ষ ডাকাতকে দমন করতে মাজদিয়ার কাছে এক গহন অরণ্যে উপস্থিত হন। ডাকাতকে দমন করে সেখানে তিনি একরাত অবস্থান করেন। পরদিন সকালবেলায় তিনি যখন নদীতীরে উপস্থিত হন তখন একটি রুইমাছ জল থেকে লাফিয়ে মহারাজের সামনে এসে পড়ে। আনুলিয়া নিবাসী কৃষ্ণরাম নামক মহারাজের এক আত্মীয় তখন মহারাজকে বলেন, 'এ স্থান অতি রমণীয়, উপরন্তু রাজভোগ্য সামগ্রী নিজে থেকেই মহারাজের সামনে এসে হাজির হয়। তাই এই স্থানে মহারাজ বাস করলে মহারাজের নিশ্চয়ই ভাল হবে'। মহারাজও তখন বর্গীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই রকমই একটা নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলেন। স্থানটি মনোনীত হলে তিনি কঙ্কনাকারে নদীবেষ্টিত করে স্থানটি সুরক্ষিত করেন। এই শিবনিবাসেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র মহাসমারোহে অগ্নিহোত্র বাজপেয় যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। এই উপলক্ষ্যে কাশী, কাঞ্চি প্রভৃতি স্থান থেকে সমাগত পণ্ডিত মণ্ডলী তাঁকে 'অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী' আখ্যা প্রদান করেন। সেই সময়ে শিবনিবাস কাশীতুল্য বলে পরিগণিত হত। 


    কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসের মন্দিরগুলি বাংলা মন্দিররীতিতে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এখানকার প্রথম দেবালয়টি 'রাজরাজেশ্বর' শিবমন্দির নামে পরিচিত। সাধারণের কাছে যা 'বুড়োশিবের মন্দির' নামে অভিহিত। এই মন্দিরটি বাংলার প্রচলিত মন্দিররীতির কোন শ্রেণীতে পড়ে না। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, অষ্টকোণ প্রস্থচ্ছেদের এই মন্দিরের শীর্ষদেশ ছত্রাকার। খাড়া দেওয়ালের প্রতিটি কোণে মিনার আকৃতির আটটি সরু থাম। প্রবেশদ্বারের খিলান ও অবশিষ্ট দেওয়ালে একই আকৃতির ভরাটকরা নকল খিলানগুলি 'গথিক' রীতি অনুযায়ী নির্মিত। যার প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৫৪ খ্রিষ্টাব্দ।

    পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় ৯ ফুটের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ এখানে নিত্যপূজিত হয়। শিবলিঙ্গের উচ্চতার জন্য শিবলিঙ্গের মাথায় জল, দুধ ইত্যাদি ঢালবার জন্য সিঁড়ি আছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাবার মাথায় জল ঢেলে অপর দিক দিয়ে নেমে যেতে পারেন এবং শিবলিঙ্গের পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পারেন। বর্তমানে অবশ্য শিবলিঙ্গের পূর্ণ প্রদক্ষিণ বন্ধ আছে। পাশেই রয়েছে 'রাজ্ঞীশ্বর' শিবমন্দির। এই মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের চারচালাযুক্ত এই মন্দির। প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠাফলক আছে। প্রতিষ্ঠাফলকে উৎকীর্ণ লিপি থেকে জানা যায় যে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দ্বিতীয়া মহিষী স্বয়ং যেন মূর্তিমতী লক্ষ্মী ছিলেন। সম্ভবত এই মন্দিরটি মহারাজা তাঁর দ্বিতীয়া মহিষীর জন্য নির্মাণ করেছিলেন এবং প্রথমটি প্রথম মহিষীর জন্য। এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ প্রথম মন্দিরের চেয়ে কিছুটা ছোট ( উচ্চতা সাড়ে সাত ফুট ) এবং পূর্বোক্ত মন্দিরের মত এখানেও শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালবার জন্য সিঁড়ি আছে। এর পাশেই রয়েছে আরকটি রামসীতার মন্দির এটিও বেশ জনপ্রিয়।

    Editor | 14:18 PM, Mon Aug 07, 2023