Saturday, December 07, 2024

Logo
Loading...

ঐতিহ্য

Loading...
  • Kali Puja 2023: ঢাকার স্মৃতি বয়ে আনে কলকাতার ঢাকা কালীবাড়ি

    নিউজ ডেস্ক: দেশভাগের সময় ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন ননীগোপাল চক্রবর্তী। এসে থাকতে শুরু করেন লেক গার্ডেন্স এলাকায়। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে মানিয়ে গুছিয়ে নিলেও মাতৃভূমির কথা মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি তিনি। আর তাই এলাকাবাসীর সাহায্যে নিজ উদ্যোগে লেক গার্ডেন্স এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি কালী মন্দিরের। যা বর্তমানে ঢাকা কালীবাড়ি নামে পরিচিত।

    কিন্তু কলকাতায় ঢাকা কালীবাড়ি কেন? আসলে পূর্ববঙ্গ বা বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত কালী মন্দিরের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই এই মন্দির তৈরি করেছিলেন ননীগোপাল। তাই এর নাম হয় ঢাকা কালীবাড়ি।

    আবার সেই সময় ওই এলাকায় ঢাকা ফার্মাসিউটিক্যালস নামে এক ওষুধের কোম্পানি ছিল। যার নাম অনুসারে ওই জায়গাটি ঢাকার মোড় নামেও পরিচিত ছিল। ফলে ধীরে ধীরে মন্দিরের মহিমা ছড়িয়ে পড়ায় তা ঢাকা কালীবাড়ি নামেও বিখ্যাত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। 

    | 16:10 PM, Sat Nov 11, 2023

  • রাজার আদেশ মেনেই নবমীর দিন নবকুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে 

    নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুমারী পুজো। অষ্টমীতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপে এবং বনেদি বাড়িরগুলিতে কুমারী পুজোর প্রচলন আছে। আবার নবমীর দিনে তিথি ও রীতি মেনে কুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। মহানবমীর দিনে রীতি মেনেই নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হল।

    ন'জন কুমারীকে দেবী দুর্গার "নয় রূপে" পুজো করা হয় এই মন্দিরে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সী নাবালিকাদের দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপে পুজো করার নিয়ম সর্বমঙ্গলা মন্দিরে।

    দেবী এখানে অষ্টাদশভূজা। বয়সের প্রকারভেদ অনুসারে উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর ন'টি রূপে এখানে কুমারী বালিকাদের পুজো করার চল রয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়মনিষ্ঠায় কোনও  নড়চড় হয় না। নবকুমারী পুজো দেখতে এ বছরও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বহ প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। অন্যান্য জায়গায় অষ্টমীতে কুমারী পুজো হলেও যেহেতু সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজো হয় তাই এখানে নবমীতেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে।

    কথিত আছে বাহির সর্বমঙ্গলা অঞ্চলে বাস করা চুনুরীদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ঠি পাথরের অষ্টাদশী ভূজা দেবী মূর্তি বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে মহতাব চাঁদ মন্দির তৈরী করেন। রাজা ও রাজত্ব না থাকলেও রাজার নিয়ম নীতি সব এখনও বর্তমান। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে জেলা ও ভিন জেলার বহু ভক্ত নবকুমারী পুজো দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

    | 16:41 PM, Mon Oct 23, 2023

  • প্রথা মেনে মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল

    নিউজ ডেস্ক: প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর দিন, রবিবার সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হলো। মহাষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল নটা নাগাদ শুরু হয় কুমারী পুজো। কুমারী পুজো দেখতে মঠে হাজির হন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন।

    স্বামী বিবেকানন্দের প্রচলিত সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। 

    প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয় এইদিন। সকালে কুমারী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। চলতি বছরে কুমারীকে উমা রূপে পূজা করা হচ্ছে। এছাড়াও মহাষ্টমীর দিনে বেলুরমঠে আগত দর্শনার্থীদের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের রান্না হয় বেলুড় মঠের প্রঙ্গণে।

    | 13:07 PM, Sun Oct 22, 2023

  • বনেদি বাড়ির পুজো বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রা

    নিউজ ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আগে মূলত বনেদি বাড়িগুলিতে পুজো হতো। কালের বিবর্তনের সঙ্গে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি পুজোর প্রচলন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজো গুলির জৌলুস অনেকটাই কমে গেছে এবং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বারোয়ারি পুজোর জৌলুস। অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বন্ধও হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বারোয়ারি রূপ পেয়েছে। তেমনি এক বনেদি বাড়ির পুজোর বারোয়ারি রূপ পাওয়া পুজো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকার  স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী ওরফে দীনু কবিরাজের বারোয়ারি মন্দিরের দুর্গাপুজো। প্রায় দেড়শ বছরের বেশি পুরনো এই পুজোটি স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী বাড়ির পূর্বপুরুষরা চালু করেছিলেন।

    এই জমিদার বাড়ির সদস্য কেউ নেই বললেই চলে। ফলে এই পুজো বন্ধ হয়ে যেতে বসলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন পুজোর হাল ধরতে। বর্তমানে এলাকাবাসীদের উদ্যোগে পুজো হয়ে থাকে। এইবারের থিম পুরুলিয়ার ছৌ নাচ। এই পুজোয় ঠাকুর এবার ছৌ নৃত্যের আদলে তৈরি হয়েছে। প্যান্ডেলেও ছৌ নৃত্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    | 13:40 PM, Wed Oct 18, 2023

সংস্কৃতি

  • Koushiki Amavasya 2023: কলকাতায় মহাজাগ্রত দেবী, ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না শ্যাম সুন্দরী

    নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় মা কালীর মন্দিরের কথা বললেই কালীঘাট কিংবা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কথা মনে আসে। কিন্তু খাস কলকাতাতেই রয়েছে এক মহাজাগ্রত মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না।



    কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট। সেখানে রামমোহন হলের পিছনের এক প্রাচীন বনেদি বাড়িতে এই মন্দির। শ্যামসুন্দরী মন্দির ঘিরে শোনা যায় নানান আলৌকিক কাহিনী। লোকমুখে শোনা কাহিনী ও মানুষের অভিজ্ঞতা শুনতে আমরা হাজির হয়েছিলাম মন্দিরের দরজায়।  পুরোহিত কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বহু বছর আগের ঘটনা। তখন মা পুরাতন মন্দিরে বিরাজমান ছিলেন। একদিন সকালে স্নান শেষে পুজার পুর্বে এক ছোট্ট মেয়ে পুরোহিতের কাছে চাল কলা খেতে চাইল। পুরোহিত হাত খালি থাকায় তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এক দিন তিনি যখন মায়ের পুজোয় লীন হঠাৎ দেখতে পান কালো একরত্তি মেয়ে বলে আমাকে খেতে দিবি না। দিবি না আমাকে চাল কলা। মাকে যেন সেই আগের দিনের ওই মেয়ের মত দেখতে লাগছিল। খানিকটা ভয়ে কিছুটা আনন্দে কেঁদে ফেলেন পুরোহিত। তার পর অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় ওই মেয়ে”।