Puri: ৫৩ বছর পর রথযাত্রায় বিশেষ মহাযোগ! সুবর্ণ সুযোগ ভক্তদের
Sweta Chakrabory | 18:03 PM, Tue Jun 25, 2024
Karunamoyee Kali Temple: অকাল প্রয়াত মেয়ের স্মৃতিতে তৈরি করেন কালী মন্দির
| 17:01 PM, Sat Nov 11, 2023
Kali Puja 2023: মন্দির সংস্কারের কাজ চললেও কালীপুজোর প্রাক্কালে লেক কালীবাড়িতে ভক্তের ঢল!
| 16:15 PM, Sat Nov 11, 2023
Kali Puja 2023: ঢাকার স্মৃতি বয়ে আনে কলকাতার ঢাকা কালীবাড়ি
নিউজ ডেস্ক: দেশভাগের সময় ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন ননীগোপাল চক্রবর্তী। এসে থাকতে শুরু করেন লেক গার্ডেন্স এলাকায়। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশে মানিয়ে গুছিয়ে নিলেও মাতৃভূমির কথা মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি তিনি। আর তাই এলাকাবাসীর সাহায্যে নিজ উদ্যোগে লেক গার্ডেন্স এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি কালী মন্দিরের। যা বর্তমানে ঢাকা কালীবাড়ি নামে পরিচিত।
কিন্তু কলকাতায় ঢাকা কালীবাড়ি কেন? আসলে পূর্ববঙ্গ বা বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত কালী মন্দিরের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই এই মন্দির তৈরি করেছিলেন ননীগোপাল। তাই এর নাম হয় ঢাকা কালীবাড়ি।
আবার সেই সময় ওই এলাকায় ঢাকা ফার্মাসিউটিক্যালস নামে এক ওষুধের কোম্পানি ছিল। যার নাম অনুসারে ওই জায়গাটি ঢাকার মোড় নামেও পরিচিত ছিল। ফলে ধীরে ধীরে মন্দিরের মহিমা ছড়িয়ে পড়ায় তা ঢাকা কালীবাড়ি নামেও বিখ্যাত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন।
| 16:10 PM, Sat Nov 11, 2023
রাজার আদেশ মেনেই নবমীর দিন নবকুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুমারী পুজো। অষ্টমীতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপে এবং বনেদি বাড়িরগুলিতে কুমারী পুজোর প্রচলন আছে। আবার নবমীর দিনে তিথি ও রীতি মেনে কুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। মহানবমীর দিনে রীতি মেনেই নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হল।
ন'জন কুমারীকে দেবী দুর্গার "নয় রূপে" পুজো করা হয় এই মন্দিরে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সী নাবালিকাদের দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপে পুজো করার নিয়ম সর্বমঙ্গলা মন্দিরে।
দেবী এখানে অষ্টাদশভূজা। বয়সের প্রকারভেদ অনুসারে উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর ন'টি রূপে এখানে কুমারী বালিকাদের পুজো করার চল রয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়মনিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। নবকুমারী পুজো দেখতে এ বছরও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বহ প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। অন্যান্য জায়গায় অষ্টমীতে কুমারী পুজো হলেও যেহেতু সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজো হয় তাই এখানে নবমীতেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে।
কথিত আছে বাহির সর্বমঙ্গলা অঞ্চলে বাস করা চুনুরীদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ঠি পাথরের অষ্টাদশী ভূজা দেবী মূর্তি বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে মহতাব চাঁদ মন্দির তৈরী করেন। রাজা ও রাজত্ব না থাকলেও রাজার নিয়ম নীতি সব এখনও বর্তমান। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে জেলা ও ভিন জেলার বহু ভক্ত নবকুমারী পুজো দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
| 16:41 PM, Mon Oct 23, 2023
প্রথা মেনে মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল
নিউজ ডেস্ক: প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর দিন, রবিবার সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হলো। মহাষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল নটা নাগাদ শুরু হয় কুমারী পুজো। কুমারী পুজো দেখতে মঠে হাজির হন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের প্রচলিত সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে।
প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয় এইদিন। সকালে কুমারী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। চলতি বছরে কুমারীকে উমা রূপে পূজা করা হচ্ছে। এছাড়াও মহাষ্টমীর দিনে বেলুরমঠে আগত দর্শনার্থীদের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের রান্না হয় বেলুড় মঠের প্রঙ্গণে।
| 13:07 PM, Sun Oct 22, 2023
বনেদি বাড়ির পুজো বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রা
নিউজ ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। আগে মূলত বনেদি বাড়িগুলিতে পুজো হতো। কালের বিবর্তনের সঙ্গে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি পুজোর প্রচলন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজো গুলির জৌলুস অনেকটাই কমে গেছে এবং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বারোয়ারি পুজোর জৌলুস। অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বন্ধও হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক বনেদি বাড়ির পুজো বারোয়ারি রূপ পেয়েছে। তেমনি এক বনেদি বাড়ির পুজোর বারোয়ারি রূপ পাওয়া পুজো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকার স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী ওরফে দীনু কবিরাজের বারোয়ারি মন্দিরের দুর্গাপুজো। প্রায় দেড়শ বছরের বেশি পুরনো এই পুজোটি স্বর্গীয় দীননাথ চৌধুরী বাড়ির পূর্বপুরুষরা চালু করেছিলেন।
এই জমিদার বাড়ির সদস্য কেউ নেই বললেই চলে। ফলে এই পুজো বন্ধ হয়ে যেতে বসলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন পুজোর হাল ধরতে। বর্তমানে এলাকাবাসীদের উদ্যোগে পুজো হয়ে থাকে। এইবারের থিম পুরুলিয়ার ছৌ নাচ। এই পুজোয় ঠাকুর এবার ছৌ নৃত্যের আদলে তৈরি হয়েছে। প্যান্ডেলেও ছৌ নৃত্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
| 13:40 PM, Wed Oct 18, 2023
Itu Puja 2024: আজ ইতুপুজোর শেষ দিন! কী ভাবে ব্রত পালন করলে শ্রী বৃদ্ধি হবে? জানুন নিয়ম
Sweta Chakrabory | 12:14 PM, Mon Dec 16, 2024
Kali Puja 2023: মন্দির সংস্কারের কাজ চললেও কালীপুজোর প্রাক্কালে লেক কালীবাড়িতে ভক্তের ঢল!
| 16:15 PM, Sat Nov 11, 2023
Kali Puja 2023: ঢাকার স্মৃতি বয়ে আনে কলকাতার ঢাকা কালীবাড়ি
| 16:10 PM, Sat Nov 11, 2023
প্রথা মেনে মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল
| 13:07 PM, Sun Oct 22, 2023
Koushiki Amavasya 2023: কলকাতায় মহাজাগ্রত দেবী, ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না শ্যাম সুন্দরী
নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় মা কালীর মন্দিরের কথা বললেই কালীঘাট কিংবা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কথা মনে আসে। কিন্তু খাস কলকাতাতেই রয়েছে এক মহাজাগ্রত মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না।
কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট। সেখানে রামমোহন হলের পিছনের এক প্রাচীন বনেদি বাড়িতে এই মন্দির। শ্যামসুন্দরী মন্দির ঘিরে শোনা যায় নানান আলৌকিক কাহিনী। লোকমুখে শোনা কাহিনী ও মানুষের অভিজ্ঞতা শুনতে আমরা হাজির হয়েছিলাম মন্দিরের দরজায়। পুরোহিত কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বহু বছর আগের ঘটনা। তখন মা পুরাতন মন্দিরে বিরাজমান ছিলেন। একদিন সকালে স্নান শেষে পুজার পুর্বে এক ছোট্ট মেয়ে পুরোহিতের কাছে চাল কলা খেতে চাইল। পুরোহিত হাত খালি থাকায় তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এক দিন তিনি যখন মায়ের পুজোয় লীন হঠাৎ দেখতে পান কালো একরত্তি মেয়ে বলে আমাকে খেতে দিবি না। দিবি না আমাকে চাল কলা। মাকে যেন সেই আগের দিনের ওই মেয়ের মত দেখতে লাগছিল। খানিকটা ভয়ে কিছুটা আনন্দে কেঁদে ফেলেন পুরোহিত। তার পর অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় ওই মেয়ে”।
মহালয়ার পুণ্যলগ্নে দেবীর আবির্ভাব তিথি। ওই দিন দেবী প্রথম দর্শন দিয়েছিলেন। এই মন্দিরের মাতৃপ্রতিমা যেন ছোট মেয়ের মত। ভক্তদের বিশ্বাস তারা মাতৃপ্রতিমায় বাড়ির ছোট মেয়েকে দেখতে পান। বহুকাল আগে এই মন্দিরের তৎকালীন পুরোহিত একদিন মাকে সেই রূপে জীবন্ত দেখেছিলেন। মা নাকি তার কাছ থেকে চাল কলা খেতে চেয়েছিলেন।
দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যাশক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ তিথি। ভাদ্রমাসের এই তিথিতে তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রের রীতি মেনেই কালীপুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এই অমাবস্যায় রীতি মেনে মায়ের পুজ করলে চললে জীবনে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। কথিত আছে, কঠিন ও গুপ্ত সাধনার মাধ্যমে কৌশিকী অমাবস্যা পালন করলে সিদ্ধিলাভ ঘটে, আশাতীত সাফল্য লাভ পারেন ভক্তরা।
Pankaj Kumar Biswas | 14:12 PM, Wed Sep 13, 2023
Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস,
স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'
নিউজ ডেস্ক:
পার্কস্ট্রিটে পা রাখলেই রবিবারের সকালে ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা অফিস-ফেরত হালকা ডেজার্ট,
একটাই নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে- 'ফ্লুরিস'। এক সময় বহু মানুষের অলস বিকেলটা কেটে যেত
এখানেই, হাতে দার্জিলিং চায়ের কাপ নিয়ে কাচের ওপারে ব্যস্ত শহরটাকে দেখতে দেখতে। শহরের
সবথেকে বিলাসবহুল, ঐতিহ্যবাহী রাস্তা পার্ক স্ট্রিট। একসময় কলকাতায় থাকতেন বা এখনও
থাকেন এমন কেউ নেই যারা বড়দিনের আমেজে এই দোকানের বাইরে লাইন দেননি কিংবা এর বিখ্যাত
'রামবল' (Rumball) নিজে চেখে দেখেননি। বরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের 'প্রতিদ্বন্দ্বী'
এবং 'জন অরণ্য' ছবির শুটিংও হয়েছিল এখানেই। কথা হচ্ছে কলকাতার অন্যতম প্রাচীন কনফেকশনারি
'ফ্লুরিস'কে নিয়ে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচার হেরিটেজ সংক্ষেপে 'ইনটাক' (INTACH) ঐতিহ্য এবং প্রাচীনত্বের বিচারে পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিসকে হেরিটেজ ফলক দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯২৭ সালে সুইস দম্পতি জোসেফ এবং ফ্রিডা ফ্লুরি ১৮, পার্ক স্ট্রিট ঠিকানায় শুরু করেন তাদের এই কনফেকশনারি। আর এই দোকান ধীরে ধীরে ব্রিটিশ এবং অভিজাত কলকাতাবাসীদের কাছে প্রসিদ্ধ চায়ের ঠেকে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান
অনেক ঐতিহাসিক
বলেন, একসময় সুইজারল্যান্ড থেকে কুইন্তো সিনজিও ট্রিংকা নামের এক ভদ্রলোক ফ্লুরি-দম্পতির
সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঐ একই ঠিকানায় শুরু করেছিলেন 'ফ্লুরি অ্যান্ড ট্রিঙ্কা' নামে একটি
দোকান। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই অংশীদারি ব্যবসা আর চলে না, ১৯৩৯ সালে ট্রিঙ্কা
ফ্লুরি দম্পতির থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে রাস্তার ঠিক উলটো পারেই তৈরি করেন 'ট্রিঙ্কাস'।
ফ্লুরিসের ভিতরে ঢুকলে আজও যেন মনে হবে সেই পুরনো ইউরোপিয়ান টি-সালোঁর ঘরানা বজায় আছে।
সুদৃশ্য ঝাড়লণ্ঠন, ভাস্কর্যের সমাহারে একটা প্রাচীনত্বের ছোঁয়া যেন ধরা দেয় ফ্লুরিজের
গায়ে গায়ে। ১৯৬৫ সালে এই দোকানের মালিকানা হস্তান্তরিত হয় এপিজে গ্রুপের হাতে। জোসেফ
ফ্লুরির কাছ থেকে এই ব্যবসাটি কিনে নেন জিত পল। কল্লোলিনী তিলোত্তমার বুকে কালের কল্লোল
এভাবেই ধরে রেখেছে ফ্লুরিস। পার্ক স্ট্রিটের পিচের সড়কে আজও যেন বেজে চলে ফ্লুরি দম্পতির
হেঁটে চলা, অভিজাত কলকাতাবাসীদের আমেজভরা বিকেলের সুখের গান।
Editor | 13:38 PM, Fri Jul 21, 2023
Kolkata Heritage: পড়ুয়াদের জন্য মুক্ত পাঠাগার! নজির গড়ল ১৩৭ বছরের পুরনো কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান
নিউজ ডেস্ক:
কলকাতার সব থেকে পুরনো বইয়ের দোকান দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং এক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে।
পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই দোকানের চত্বরের মধ্যেই একটা অংশে চালু করা হচ্ছে মুক্ত
পাঠাগার। বিনামূল্যে এখানে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। যেসব পড়ুয়াদের বই কেনার সামর্থ্য
নেই, তাদের কথা ভেবেই মূলত এই উদ্যোগ নিতে চলেছে দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং।
কলকাতার বুকে এই দোকানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। এখানে ১৮৯০ থেকে ১৯০০ সালের বহু পুরনো বই, ঘড়ি ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য উপাদান রয়েছে, ফলে এর একটা আর্কাইভাল গুরুত্বও রয়েছে। যদিও ২০০৪ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে সেসবের অধিকাংশই পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। জানা গিয়েছে বইয়ের দোকানের দোতলায় সেই পাঠাগার তৈরি হতে চলেছে। দোকানের কর্ণধার ৭১ বছরের অরিন্দম দাশগুপ্ত বলেন যে, আগামী দুর্গাপুজোর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বই নিয়ে চালু হতে চলেছে এই মুক্ত পাঠাগার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে দুপুর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে এসে বই পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষারই বইপত্র থাকবে এখানে, সব বয়সের মানুষেরাই এখানে এসে বই নেড়েঘেঁটে দেখতে পারবেন। কর্ণধার আরো জানান যে এই পাঠাগারের মাধ্যমে বাংলা মাধ্যম এবং ইংরেজি মাধ্যম উভয় ব্যবস্থার ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election in Bengal: সরকার ও নির্বাচন কমিশন- ভোট ও ছাপ্পা! আসলে জনগণকে ধাপ্পা
১৮৮৬ সালে কলেজস্ট্রিটে তৈরি হয়েছিল এই বইয়ের দোকানটি যা বর্তমানে হেরিটেজ বুকশপ-এর আখ্যা পেয়েছে। এই বছর ১ জুলাই কলকাতা কর্পোরেশন এই দোকানটিকে গ্রেড ২ এ হেরিটেজের আখ্যায় ভূষিত করেছে। জানা গিয়েছে ২৪ জুলাই দোকানে লাগানো হবে নীল সিলমোহর। কিন্তু কেন বইয়ের দোকানের মধ্যেই পাঠাগার চালু করতে চাইলেন কর্ণধার অরিন্দম দাশগুপ্ত? তাঁর কথায় জানা যায়, এখন যেভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে তাতে লকডাউনের সময় তিনি দেখেছেন যে বহু মুসলিম-প্রান্তিক ছেলে-মেয়ে তাদের দোকানে এসে বই কিনত, দেখেই বোঝা যেত তাদের সামর্থ্য ছিল অনেকটাই কম। আর তাই সেই প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই পাঠাগার চালু করার পরিকল্পনা করেছেন অরিন্দম দাশগুপ্ত।
১৮৮৬-তে অরিন্দম পূর্বপুরুষ গিরিশচন্দ্র দাশগুপ্ত যশোরের কালিগ্রাম থেকে এদেশে এসে এই দোকানটি প্রথম চালু করেন। সেই থেকেই বহু ইতিহাসের সাক্ষী কলেজস্ট্রিটের বুকের এই দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোং। আজও দিনে প্রায় ৪০০ মানুষ বই কিনতে হাজির হন ইতিহাস-প্রাচীন এই দোকানে। দেওয়ালে দেওয়ালে বইয়ের ধুলোর মধ্যে আজও যেন ইতিহাস কথা বলে।
Editor | 15:54 PM, Sat Jul 15, 2023
Tala Bridge History: চলতি কথায় টালা ব্রিজ, পোশাকি নাম হেমন্ত সেতু, কে এই 'হেমন্ত' জানেন কী?
নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ নয় দশক ধরে উত্তর কলকাতার মানুষের সাথী এই টালা ব্রিজ। ডানলপ, সোদপুর, দক্ষিণেশ্বর যেখান থেকেই শ্যামবাজার পাঁচ মাথা পেরিয়ে যেতে চান না কেন, টালা ব্রিজ পেরোতেই হবে। ২০১৯ সাল থেকে মেরামতির জন্য বন্ধই ছিল টালা ব্রিজ, বাস-প্রাইভেট গাড়ি সবই চলাচল করছিল পার্শ্ববর্তী লকগেটের রাস্তা দিয়ে। বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে সাজানো টালা ব্রিজের উদ্বোধন হল। ১৯৩৬ সালে প্রথম চালু হয় এই টালা ব্রিজ, তবে অনেক পরে টালা ব্রিজের নতুন করে স্থায়ী কাঠামো তৈরি হয় ১৯৬৪ সালে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন প্রফুল্লচন্দ্র সেন। ব্রিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক লোককথা, অনেক ইতিহাস। অনেকেই জানেন, এই ব্রিজের পোশাকি নাম হেমন্ত সেতু। কিন্তু জানেন কী আসলে কে এই হেমন্ত? বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামেই কি এই সেতুর নাম? নাকি এই নামকরণের আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো ইতিহাস?
সরকারি নথির ইতিহাস বলছে, ১৯৭৩ সালের ৫ অক্টোবর টালা ব্রিজের নামকরণ হয় হেমন্ত সেতু। নামের মধ্যে এই হেমন্ত আসলে হেমন্তকুমার বসুকেই স্মরণ করায়। হেমন্তকুমার ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর সহকর্মী এবং সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের চেয়ারম্যান। তখন সত্তর দশক। নকশাল আন্দোলনের জোয়ারে পুরো বাংলা উত্তাল। তারই সঙ্গে বাংলাদেশে চলছে মুক্তিযুদ্ধ। রক্তাক্ত বাংলার রাজপথ রোজ আলিঙ্গন করছে নতুন নতুন মৃতদেহ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনে ফরোয়ার্ড ব্লকের হয়ে শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান হেমন্তকুমার বসু। ছিয়াত্তর বছরের এক বৃদ্ধের উপর হয়তো ক্ষোভ ছিল কারো।
আরও পড়ুন: Flurys: হেরিটেজের তকমা পেল পার্ক স্ট্রিটের ফ্লুরিস, স্বীকৃতি দিল 'ইনটাক'
১৯৭১ সাল, ২০ ফেব্রুয়ারি। টাউন স্কুলের সামনে একদল আততায়ী আক্রমণ করে হেমন্তকুমার বসুকে। ভোজালির ঘায়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। টালা ব্রিজের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই রক্তাক্ত ইতিহাস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। তাঁর উদ্যোগেই হেমন্তকুমার বসুর স্মৃতিতে তাঁর ৭৮তম জন্মদিনে টালা ব্রিজের নাম বদলে রাখা হয় 'হেমন্ত সেতু'। কলকাতার দৈনন্দিন ব্যস্ততার আড়ালেই রয়ে গেছে এই ভুলে যাওয়া ইতিহাস।
Editor | 11:09 AM, Mon Jul 03, 2023
Itu Puja 2024: আজ ইতুপুজোর শেষ দিন! কী ভাবে ব্রত পালন করলে শ্রী বৃদ্ধি হবে? জানুন নিয়ম
Sweta Chakrabory | 12:14 PM, Mon Dec 16, 2024
Sweta Chakrabory | 16:06 PM, Fri Nov 08, 2024
Jagadhatri Puja: জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় সাজছে বাংলা, সুরুচি, ত্রিধারার থিমে সাজবে চন্দননগর
Sweta Chakrabory | 13:32 PM, Wed Nov 06, 2024
Sweta Chakrabory | 18:07 PM, Thu Oct 31, 2024
Laxmi Puja at Tarapith: তারাপীঠে আজ দেবীর আরাধনা লক্ষ্মীরূপে, ভক্তের ঢল মন্দির চত্বরে
নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠে আজ তারা মায়ের আর্বিভাব তিথি। তাই তারাপীঠ মন্দিরে প্রতি বছর কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী রূপে মা তারাকে (Laxmi Puja at Tarapith) আরাধনা করা হয়৷ তাই পুজো উপলক্ষে এই সময় ভক্ত সমাগমে পরিপূর্ণ রয়েছে মন্দির চত্বর। গত দুদিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত পবিত্র এই সিদ্ধপীঠে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
বুধবার ভোরে শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে সূর্যোদয়ের পর মাকে গর্ভগৃহ থেকে বিশ্রাম মন্দিরে আনা হয়েছে । জীবিতকুণ্ড থেকে জল এনে স্নান করানোর পর মাকে রাজবেশে সাজানো হয়েছে । সারাদিন মায়ের পুজো চলবে এবং ভক্তরা মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারবেন, যা বছরে একবারই হয়ে থাকে। সন্ধ্যায় দেবীকে গর্ভগৃহে ফিরিয়ে এনে লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হবে। বিশেষ দিনটির ঐতিহ্য অনুযায়ী, আজ দেবীর কোনও অন্নভোগ হয় না, ফলে তারাপীঠের সেবায়েতরাও এই দিন অন্ন গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
জানা যায় পাল রাজত্বকালে জয়দত্ত সদাগর মায়ের শিলামূর্তি উদ্ধার করে প্রথম পুজো শুরু করেন। সেই থেকে এই তিথি তারা মায়ের আর্বিভাব তিথি হিসেবে পালিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় পুনরায় স্নান করিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হবে। এর পর দেবী রাজরাজেশ্বরী রূপে লক্ষ্মী মূর্তিতে পূজিত হবেন। যেহেতু তারা মা সিদ্ধ মা তাই তাকেই সব দেবী (Laxmi Puja at Tarapith)রূপে পুজো করা হয়। রাতের বিশেষ ভোগে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁঠার মাংস, মিষ্টি, পায়েস ও দই নিবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, তারাপীঠ মন্দিরে মা তারাকে বাদ দিয়ে কোনও মূর্তি পুজোর চল নেই৷ মহাপীঠ তারাপীঠে তারা মা-কেই দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয়৷ একই ভাবে আজকের দিনে মা তারা পূজিত হন মা লক্ষ্মী রূপে৷ এ দিন তারাপীঠ মন্দিরে দু' বার আরতি করা হয়৷ প্রথমে নিয়মিত সন্ধ্যা আরতির পর পূর্ণিমা উপলক্ষে আরতি করা হয়৷
এদিন মন্দিরে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো৷ তবে উৎসবের ভিড় সামলাতে ইতিমধ্যেই মন্দির কর্তৃপক্ষ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসনের তরফেও কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থার আয়োজন করা হয়েছে।
Sweta Chakrabory | 15:47 PM, Wed Oct 16, 2024
নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমীতে ঘরের মেয়ের বিদায়। আবার এক বছরের অপেক্ষা। তবুও বিসর্জনের শেষে মিষ্টিমুখ, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা জানানোর পালা চলে। বিদায়ের দুঃখের আবহেই কেন এহেন আনন্দ রীতি জারি থাকে আজকের প্রতিবেদনে আসুন সেটাই জেনে নি।
ফেসবুক-হোয়াটসাঅ্যাপ খুললেই চারিদিকে খালি একটাই বার্তা, ‘শুভ বিজয়া’। দশমী চলে আসা মানেই উমাকে বিদায় জানানোর পালা। প্রতিমা বিসর্জনের শেষে বিজয়া করার পালা। বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বা ছোটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমরা বলি ‘শুভ বিজয়া’। কিন্তু মা চলে গেলে তো সবার মনেই থাকে বিষাদের সুর। তাহলে কেন শুভ বিজয়া বলা হয়? আসলে পুরাণ অনুসারে মহিষাসুরের সঙ্গে ন’দিনের ভীষণ যুদ্ধের শেষে দশম দিনে অত্যাচারী অসুররাজকে বধ করেছিলেন দশভুজা দেবী দুর্গা। দশম দিনে নারী শক্তির জয়লাভকেই বিজয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাই এই দিন ‘শুভ বিজয়া’ বলার চল।
তাই এই দিনেই বিসর্জনের পর চলে বিজয়ার পালা, অর্থাৎ মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি, প্রণাম, স্নেহ-আশীর্বাদ বিনিময়। এ ছাড়াও অনেক রীতি রয়েছে, যেমন, দশমীর দিন কোনও কোনও বাড়িতে জোড়া ইলিশ আনা হয়, যাত্রাঘট পাতা হয়, আবার লক্ষ্মীপুজোর কদম ফুল কিনে ফেলা হয়। নিয়ম রীতির অন্ত নেই বাঙালির।
অন্যদিকে আরেক ইতিহাসও রয়েছে। ঋগবেদের সময়ে এক শরৎ থেকে আরেক শরতে বছর গণনা করা হত। শরৎ ঋতুতেই বছর আরম্ভ হত। তখন দীর্ঘায়ু কামনায় বলা হত, ‘জীবেম শরদ শতম’। যা আদপে একধরনের শতায়ু কামনা। বিজয়া দশমী ছিল শরৎ বর্ষের প্রথম দিন, অর্থাৎ বিজয়া দশমীই হল নববর্ষের উৎসবের দিন। আত্মীয়-পরিজন নিয়ে আনন্দ-আহ্লাদে, খাওয়াদাওয়ার মধ্যে দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করার নিয়ম ছিল। মনে করা হত, বছরের প্রথমদিন ভালো কাটালে সারাবছর ভালো যাবে। বিজয়া নামের উৎপত্তির একটি সংগত কারণ এখানে খুঁজে পাওয়া যায়; এই দিনটিতে প্রার্থনা করা হত ‘নববর্ষে সকলের বিজয় হউক’। স্পষ্টভাবে বললে, বৈশাখের নববর্ষ বা পুণ্যাহ হল ব্যবসায়ীদের। এককালে জমিদার, ভূস্বামীদের খাজনা আদায়ের জন্যেই তার প্রচলন ঘটেছিল। অগ্রহায়ণে নবান্ন হল কৃষকদের নববর্ষ। বর্ধমানের কিছু অঞ্চলের কৃষকেরা আবার আষাঢ়ে নববর্ষ ও হালখাতা পালন করেন আজও। আম বাঙালির নববর্ষ ছিল বিজয়া দশমী। যা আনন্দের উৎসব, বর্ষের শুভারম্ভ। কালে কালে সেই নববর্ষ হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রয়ে গিয়েছে সামাজিক আচারগুলি। উমার বিসর্জনের পর প্রণাম, আশীর্বাদ, কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ অদ্যাবধি সেই স্মৃতিই বহন করছে।
Sweta Chakrabory | 17:32 PM, Mon Oct 14, 2024
Belur Math: পঞ্চমীতেই বোধন বেলুড় মঠে, জেনে নিন কুমারী পুজো থেকে সন্ধি পুজোর নির্ঘণ্ট
নিউজ ডেস্ক: আজ মহাপঞ্চমী। প্রতিবারের মত এবছরেও বেলুড় মঠে নিয়ম মেনে হবে দুর্গা পুজো। নিয়ম অনুযায়ী আজ থেকেই পুজো শুরু বেলুড় মঠে (Belur Math)। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৬ টায় বোধন হবে মায়ের। আসলে বেলুড় মঠে যে কোনও পুজো ও আচার অনুষ্ঠান হয় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত অনুসারে। তাই অন্যান্য পুজোর থেকে বেলুড় মঠের পুজোর নির্ঘণ্ট অনেকটাই আলাদা।
এবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, ১০, ১১, ১২ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার বেলুড় মঠে মা দুর্গার পুজো হবে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পুজোর সময় সূচি-
মহাসপ্তমী ২৪ শে আশ্বিন ( ১০ অক্টোবর ২০২৪) বৃহস্পতিবার । দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হবে ভোর ৫.৪০ মিনিটে। মহাঅষ্টমী ২৫ আশ্বিন ( ১১ অক্টোবর ২০২৪) শুক্রবার। পুজো আরম্ভ ভোর ৫:৩০ মিনিট। মহাঅষ্টমীতে কুমারী পুজো সময় সকাল ৯। কুমারী পুজোর পর সন্ধিপুজো অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১. ৪৩ মিনিট থেকে ১২ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। মহানবমী ২৬ আশ্বিন ( ১২ অক্টোবর) শনিবার। পুজো আরম্ভ ভোর ৫.৩০ মিনিট। মহা নবমীতে সকাল ন’টায় হোম। আর বিজয়া দশমী ২৭ আশ্বিন ( ১৩ অক্টোবর) রবিবার।
বেলুড় মঠের (Belur Math) পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দেবী দুর্গার আরাধনার এই তিনদিন মঠে আগত ভক্ত ও দর্শকরা দেবীর ভোগারতির পর পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারবেন৷ পুজোর তিনদিন ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আরতির পর সন্ধ্যারতি সম্পন্ন করা হবে৷ যাঁরা বেলুড় মঠে গিয়ে দুর্গাপুজো দেখতে চান, তাঁরা সেটা পারবেন। কারণ সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি আছে। আর প্রতিবারের মতো এবারও ইউটিউব চ্যানেলেপুজোর লাইভ স্ট্রিম করা হবে। এছাড়াও ডিডি বাংলায় পুজো সম্প্রচার হবে।
১৯০১ সালে বেলুড় মঠে প্রথম দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয় স্বামীজীর হাত ধরে। থেকে প্রতিবছর বেলুড় মঠে (Belur Math) জন্মাষ্টমীর সকালে প্রথা মেনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দেবীর কাঠামো পুজো।জেলা সারা বাংলা এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দুর্গাপুজো বলতে বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোর প্রতি আলাদা আকর্ষণ।
Sweta Chakrabory | 17:31 PM, Tue Oct 08, 2024
Burdwan Durgapuja: রীতি মেনে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপন, পুজো শুরু বর্ধমানে
নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল বর্ধমানের পুজোর বিধি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজো (Burdwan Durgapuja) শুরু হল। প্রথা মেনে প্রতিপদে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপন হতেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বর্ধমানে। বহু প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অধিষ্ঠাতা দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত হিসেবেই মানেন অবিভক্ত গোটা বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা। কথিত আছে, রাজা তেজচন্দের আমলে এই মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। মন্দির ঘিরে অনেক উপকথা আছে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীকে এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পুজিতা হন। সারাবছরই তিনি বিরাজ করেন।
বৃহস্পতিবার প্রতিপদের দিন বর্ধমানের রাজাদের খনন করা কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হল ঘটে। প্রথা অনুযায়ী, সেই ঘট সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে স্থাপন হল। দেবীকে এদিন পরানো হয় রাজবেশ। আর এরই মধ্য দিয়ে বর্ধমান সহ কার্যত গোটা রাঢ়বঙ্গে এদিন থেকেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। আগে মহিষ ও পাঁঠা বলি হত। এখন বলিপ্রথা বন্ধ হয়েছে। আগে সন্ধিপুজোর (Burdwan Durgapuja) মহালগ্নে কামান দাগা হত। কিন্তু ১৯৯৭-এ বিস্ফোরণের পর থেকে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।
আসলে বর্ধমানের রাজারা জন্মসূত্রে ছিলেন পাঞ্জাবী। পরে রানী হিসেবে নানা রাজ্যের মেয়েরা এসেছেন পরিবারে। নানা সংস্কৃতি, লোকাচারের মিশেল হয়েছে এখানে। প্রতিবার প্রতিপদে শুরু হয় রাঢ়-জননী সর্বমঙ্গলার পুজো। কৃষ্ণসায়র থেকে আচার মেনে জল ভরা হয়। একটি শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেন পুরপ্রধান পরেশ সরকার, বিধায়ক খোকন দাস সহ ভক্তরা। এরপর হয় ঘটস্থাপন। প্রতি বছরই এই পুজো (Burdwan Durgapuja) চলে নবমী অর্থাৎ নবরাত্রি অবধি। নবমীতে কয়েক হাজার মানুষকে ভোগ বিলি করা হয়। পুজোর দিনগুলোতে কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয়।
জানা গিয়েছে, মন্দিরে থাকা সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি মন্দিরের থেকেও বেশি প্রাচীন। অনেকের মতে ১০০০ বছর, আবার কারও মতে তা ২০০০ বছরের পুরনো। এই মূর্তিটি হল কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মর্দিনী। দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরে, বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজা উদয় চাঁদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। তারপর থেকে বোর্ডের হাতেই মন্দিরের (Burdwan Durgapuja) পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমানে এই বোর্ডে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও আছেন।
Sweta Chakrabory | 17:38 PM, Thu Oct 03, 2024
Itu Puja 2024: আজ ইতুপুজোর শেষ দিন! কী ভাবে ব্রত পালন করলে শ্রী বৃদ্ধি হবে? জানুন নিয়ম
Sweta Chakrabory | 12:14 PM, Mon Dec 16, 2024
Karunamoyee Kali Temple: অকাল প্রয়াত মেয়ের স্মৃতিতে তৈরি করেন কালী মন্দির
| 17:01 PM, Sat Nov 11, 2023
Kali Puja 2023: মন্দির সংস্কারের কাজ চললেও কালীপুজোর প্রাক্কালে লেক কালীবাড়িতে ভক্তের ঢল!
| 16:15 PM, Sat Nov 11, 2023
প্রথা মেনে মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল
| 13:07 PM, Sun Oct 22, 2023
Janmasthami 2023: বাঙালির ঘরের আদুরে ঠাকুর লাড্ডু-গোপাল, কীভাবে নিত্যদিন পরিচর্যা করবেন তাঁকে?
নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর এবং পরশু অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালন করা যাবে জন্মাষ্টমীর। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাত ১২টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। এই কারণে তিথি অনুযায়ী দুই দিনই আরাধনা করা যায় তাঁর। দেশ জুড়ে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের পুজো হলেও বাঙালি তার আদরের লাড্ডু গোপালের আরাধনা কোর্টেই উৎসাহী বরাবর। তাই বাঙালির পুজোর বেদীতে বড় আঁকারের মূর্তি নয়, শ্রী কৃষ্ণ শোভা পান ছোট্ট খাটে আদরের গোপাল রূপেই। পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখা হয় তাঁকে। অর্থাৎ, খাওয়া-ঘুম-স্নান-- বাড়ির আর ৫ জনের মতো এই দৈনন্দিন কৃত্যগুলি করতে হয় বাঙালির গোপালকেও।
গোপালকে বাড়ির সদস্যের মধ্যে ধরা হলেও তার দেখভালের জন্য কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। আর সেগুলি যথাযথভাবে না মানলে গোসা করে বসে আদুরে গোপাল! বাড়িতে লাড্ডু গোপালকে এনে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই নিয়ম মেনে করতে হয় তার পরিচর্যা। নিয়মিত স্নান করানো, শঙ্খের জল দিয়ে অভিষেক করানো, যত্ন করে গা মুছিয়ে দেওয়া, তারপর সুন্দর জামা-কাপড় পরানো-- এ সবকিছুরই দাবি করে থাকে গোপাল।
দিনে ২ বার অবশ্যই পুজো করতে হয় গোপালের। আর ভোগ হিসেবে তো রাখতেই হবে তাঁর সাধের মাখন! তবে তেমনও আড়ম্বর আশা করেন না ছোট্ট গোপাল। বাড়িতে বড় করে পুজো-উৎসব না থাকলে নিত্যদিন সাধারণ কোনও মিষ্টি, নকুলদানা-বাতাসা বা চিনিও গোপাল গ্রহণ করেন ভোগ হিসেবে। তবে হ্যাঁ, বাড়িতে নতুন কোনও সাত্ত্বিক খাবার এলে অবশ্যই তা প্রথমে নিবেদন করতে হবে গোপালকে। তা না হলে নাকি ভীষণ কষ্ট পান তিনি। অনেক স্নেহময়ী গৃহকর্ত্রী আবার আদরের আতিশয্যে খেলনা কিনে দেওয়া কিংবা বাচ্চাদের মতো ছড়া পড়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন না। এভাবেই শুধু জন্মাষ্টমী নয়, বছরের ৩৬৫ দিনই বাঙালির পরিবারের একজন হয়েই রয়ে যায় আদরের কাঙাল গোপাল ঠাকুর!
| 17:17 PM, Tue Sep 05, 2023
| 12:23 PM, Tue Aug 15, 2023
| 11:05 AM, Mon Aug 14, 2023
Largest Marble Shiva Lingam: এশিয়ার বৃহত্তম কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ সহ মন্দির তৈরি করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, কিন্তু কেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা এসে জল অর্পণ করতে এলেন এশিয়ার বৃহত্তম কষ্টিপাথরে শিবলিঙ্গ শিব নিবাসে। দূর দূরান্ত থেকে পুরুষ ও মহিলা ভক্তরা এসেছেন তাদের মনস্কামনা পূরণ করতে শিবনিবাস মন্দিরে জল ঢেলে। কিন্তু জানেন কি কেন এই মন্দির তৈরি করেছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়? জানা যায় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলায় বর্গী আক্রমণের সময় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগর থেকে এখানে সরিয়ে আনেন। শিবের ভক্ত কৃষ্ণ চন্দ্র তার আরাধ্যের নামে নামকরণ করেন শিবনিবাস। এখানে সুন্দর রাজপ্রাসাদ ও কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার মধ্যে এখন মাত্র তিনটি মন্দির অবশিষ্ট আছে। প্রতিটি মন্দিরের উচ্চতা ৬০ ফুট।
এই শিবনিবাসে তাঁর রাজধানী প্রতিষ্ঠার একটি কাহিনী আছে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নসরত খাঁ নামক এক দুর্ধর্ষ ডাকাতকে দমন করতে মাজদিয়ার কাছে এক গহন অরণ্যে উপস্থিত হন। ডাকাতকে দমন করে সেখানে তিনি একরাত অবস্থান করেন। পরদিন সকালবেলায় তিনি যখন নদীতীরে উপস্থিত হন তখন একটি রুইমাছ জল থেকে লাফিয়ে মহারাজের সামনে এসে পড়ে। আনুলিয়া নিবাসী কৃষ্ণরাম নামক মহারাজের এক আত্মীয় তখন মহারাজকে বলেন, 'এ স্থান অতি রমণীয়, উপরন্তু রাজভোগ্য সামগ্রী নিজে থেকেই মহারাজের সামনে এসে হাজির হয়। তাই এই স্থানে মহারাজ বাস করলে মহারাজের নিশ্চয়ই ভাল হবে'। মহারাজও তখন বর্গীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই রকমই একটা নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলেন। স্থানটি মনোনীত হলে তিনি কঙ্কনাকারে নদীবেষ্টিত করে স্থানটি সুরক্ষিত করেন। এই শিবনিবাসেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র মহাসমারোহে অগ্নিহোত্র বাজপেয় যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। এই উপলক্ষ্যে কাশী, কাঞ্চি প্রভৃতি স্থান থেকে সমাগত পণ্ডিত মণ্ডলী তাঁকে 'অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী' আখ্যা প্রদান করেন। সেই সময়ে শিবনিবাস কাশীতুল্য বলে পরিগণিত হত।
কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবনিবাসের মন্দিরগুলি বাংলা মন্দিররীতিতে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এখানকার প্রথম দেবালয়টি 'রাজরাজেশ্বর' শিবমন্দির নামে পরিচিত। সাধারণের কাছে যা 'বুড়োশিবের মন্দির' নামে অভিহিত। এই মন্দিরটি বাংলার প্রচলিত মন্দিররীতির কোন শ্রেণীতে পড়ে না। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, অষ্টকোণ প্রস্থচ্ছেদের এই মন্দিরের শীর্ষদেশ ছত্রাকার। খাড়া দেওয়ালের প্রতিটি কোণে মিনার আকৃতির আটটি সরু থাম। প্রবেশদ্বারের খিলান ও অবশিষ্ট দেওয়ালে একই আকৃতির ভরাটকরা নকল খিলানগুলি 'গথিক' রীতি অনুযায়ী নির্মিত। যার প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৫৪ খ্রিষ্টাব্দ।
পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় ৯ ফুটের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ এখানে নিত্যপূজিত হয়। শিবলিঙ্গের উচ্চতার জন্য শিবলিঙ্গের মাথায় জল, দুধ ইত্যাদি ঢালবার জন্য সিঁড়ি আছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাবার মাথায় জল ঢেলে অপর দিক দিয়ে নেমে যেতে পারেন এবং শিবলিঙ্গের পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পারেন। বর্তমানে অবশ্য শিবলিঙ্গের পূর্ণ প্রদক্ষিণ বন্ধ আছে। পাশেই রয়েছে 'রাজ্ঞীশ্বর' শিবমন্দির। এই মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। বর্গাকার প্রস্থচ্ছেদের চারচালাযুক্ত এই মন্দির। প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠাফলক আছে। প্রতিষ্ঠাফলকে উৎকীর্ণ লিপি থেকে জানা যায় যে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দ্বিতীয়া মহিষী স্বয়ং যেন মূর্তিমতী লক্ষ্মী ছিলেন। সম্ভবত এই মন্দিরটি মহারাজা তাঁর দ্বিতীয়া মহিষীর জন্য নির্মাণ করেছিলেন এবং প্রথমটি প্রথম মহিষীর জন্য। এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ প্রথম মন্দিরের চেয়ে কিছুটা ছোট ( উচ্চতা সাড়ে সাত ফুট ) এবং পূর্বোক্ত মন্দিরের মত এখানেও শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালবার জন্য সিঁড়ি আছে। এর পাশেই রয়েছে আরকটি রামসীতার মন্দির এটিও বেশ জনপ্রিয়।
Editor | 14:18 PM, Mon Aug 07, 2023
Vindhyachal: বিন্ধ্যাচল: মন্দিরের অনুদান বাক্স থেকে মিললো ৩৩.৭২ লক্ষ টাকা
Sweta Chakrabory | 18:01 PM, Thu Dec 05, 2024
Editor | 11:50 AM, Wed Jul 26, 2023
Swami Vivekananda: সত্যিই কি গীতা পাঠ বন্ধ করে ফুটবল খেলতে বলেছিলেন স্বামীজী?
Editor | 16:56 PM, Sat Jul 15, 2023
Itu Puja 2024: আজ ইতুপুজোর শেষ দিন! কী ভাবে ব্রত পালন করলে শ্রী বৃদ্ধি হবে? জানুন নিয়ম
Sweta Chakrabory | 12:14 PM, Mon Dec 16, 2024
Latu temple: শীতকালীন মরসুমের জন্য বন্ধ হলো লাটু মন্দিরের দরজা
Sweta Chakrabory | 17:40 PM, Sat Dec 14, 2024
Tirupati Temple: তিরুপতি মন্দিরের বড় সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড থেকে বাদ অহিন্দুরা
Sweta Chakrabory | 17:22 PM, Tue Nov 19, 2024
Kartik Purnima 2024: আজ কার্তিক পুজো, কী ভাবে ব্রত পালন করলে মিলবে ভগবানের আশির্বাদ?
Sweta Chakrabory | 11:01 AM, Sat Nov 16, 2024
Kartik Purnima 2024: কার্তিক পূর্ণিমার দিনটি এত বিশেষ কেন? পৌরাণিক বিশ্বাস জানুন
Sweta Chakrabory | 17:00 PM, Fri Nov 15, 2024