Shamik Bhattacharya slams TMC: তৃণমূল হতাশা থেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে: শমীক ভট্টচার্য
রাজীব কুমারকে ডিজিপি রেখে অবাধ ও সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয়। ভয় মুক্ত নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ ব্যবস্থা তৈরি করার উদ্দেশ্যে তাঁকেপরিবর্তন করা হয়েছিল বলুলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ডিজিপি পরিবর্তন করার জন্য অন্য যে তিনটি নাম সেটি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অর্থে রাজ্য সরকারই নিয়োগ করেছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিবেক সহায়ের কার্যকাল শেষ হচ্ছে ২১মে। নির্বাচন চলবে জুন মাস পর্যন্ত। তারপর ভোট পরবর্তী ঘটনা রয়েছে। সেই কারণে নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্কের অবকাশ নেই। তৃণমূল হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী”।
প্রসঙ্গত রাজীব কুমারের অপসারণ নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল শাসকদলের বিভিন্ন মহল থেকে। পরে যখন বিবেক সহায়কে পরিবর্তন করা হয় সেক্ষেত্রেও প্রতিবাদে মুখরিত হন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীরা। যদিও বিরোধীদের তরফ থেকে এই ঘটনাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে দাবি করা হয়েছে। নিউটাউনের ইকো পার্কে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন,“শুধু রাজীব কুমার নয়, ছটি রাজ্যে চিফ সেক্রেটারি বদল করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্য আছে। ফলে পুলিশ কমিশনার ডিজিপি ও চিফ সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন পদে বদলি প্রক্রিয়া ইলেকশন কমিশনের কর্মপদ্ধতির অঙ্গ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে সমস্ত অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে তাদের প্রয়োজন বোধ হলে বদলি করে দেয় নির্বাচন কমিশন। আগেও হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করলে আগামী দিনও আরও বেশ কিছু বদল করতেই পারে”।