Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

abhisekh banerjee

Diamond Harbour: ভোটে মুখে ডায়মন্ড হারবারে চলল গুলি! আহত শিশু-সহ দুই

নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার(Diamond Harbour), পড়ল বোমা, চলল গুলি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গুলজার বাগ এলাকায় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির মাঝেই আচমকাই বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রায় ২৫টি বোমা পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চলে গুলিও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে একটি শিশুও আহত হয় বলে অভিযোগ। আরও এক ব্যক্তি মারাত্মক আহত হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 এই ঘটনায় তৃণমূলের(TMC) এক পক্ষের অভিযোগ, জমি দখলে বাধা দিলে অপরপক্ষের লোকজন ঝামেলা শুরু করে তারপরেই শুরু হয় মারধর, আশান্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রবীন্দ্রনগর থানার বিশাল বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় RAF ও। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ।

এ ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গোলাব, মিনু আরও এক জন ছিল। বোমা ফেলছিল। হুমকি দিচ্ছিল গোটা পাড়া মেরে ফেলব। আমার বাড়ির পাশে বোমা ফেলে। আমার ঘরে বৃদ্ধ মা রয়েছে। বলছে উড়িয়ে দেব সব।” উল্লেখ্য এর আগেও গত ১৮ই মার্চে ওই একই জায়গায় বোমা বাজির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের একই ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। তবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেন বারবার অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়ের(abhisekh banerjee) গড়ে এমন বোমাবাজি অশান্তির ঘটনা ঘটছে? নাকি ভোটের মুখে এসব বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা কি ইচ্ছে করেই ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল! যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Sweta Chakrabory | 21:34 PM, Sun Apr 14, 2024

Dilip Ghosh: ভোটের মুখে আরও একবার বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হল আমরা জানি না। টিএমসি(TMC) চলে গেলে দিনটাও চলে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ কবে শুরু হয়েছে ওরা জানেন না। পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছেন, আবার পশ্চিমবঙ্গ দিবসও করছেন। পয়লা বৈশাখের সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে এবারে পশ্চিমবঙ্গ দিবসকেই একহাত নিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)।

উল্লেখ্য,গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী(mamata banerjee) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, ‘বাংলা দিবস’ নিয়ে বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও ১ বৈশাখ দিনটিই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই মত রবিবার পয়লা বৈশাখের দিনে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রসঙ্গ তুলে আনেন দিলীপ ঘোষ।

এদিন আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে প্রাতভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। জানান নববর্ষের শুভেচ্ছা। এদিন মাঠে নেমে আবার খোলা ব্যাটে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দিলীপ। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গে মমতা বা অভিষেকের(abhisekh banerjee) বক্তব্য। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তৃণমূল নেতার খোঁচার সপাট জবাব।

অভিষেক বলেছিলেন ডিসেম্বরে আবাসের টাকা ঢুকবে টিএমসি জিতলে। আর এবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই দিলীপ ঘোষ বললেন,দু তিনবার তো জেতাল। টাকা কোথায় যাবে, সবাই জেনে গেছে। বিজেপি(BJP) জিতলে সবাই সব প্রকল্পের সুবিধা পাবে। টিএমসি জিতলে কয়েকটা পরিবার। পাশাপাশি মমতা উত্তরবঙ্গে বলেছেন কেন ভোটদান বিজেপিকে, সে প্রসঙ্গেও তিনি সপাটে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, হ্যাঁ। বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাড়ি পেয়েছেন। শৌচালয় পেয়েছেন। ফ্রিতে রেশন-ভ্যাকসিনও পেয়েছেন। মমতাকে ভোট দিয়ে কী পেয়েছেন। রাস্তাও পাননি ঠিকমতো।

এ প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন,"রাস্তা করেছেন? মাঠ ফাঁকা করে দিয়েছেন লুঠ করে। ভাগ ওরা সবাই পাচ্ছে। রাস্তা তো ওনার(মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়) চোদ্দপুরুষ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য লুঠ করেছে। আর ওদের মত কাটমানিখোররা আজ টিএমসির নেতা এখানে। কটা রাস্তা হাটার মত আছে? সারা রাত পার্টি করে। সকালবেলায় ঘুমায়। ওরা কী করে জানবে? রাস্তায় তো নামুক একবার।"

উল্লেখ্য এ প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে উনি(মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়) পড়ে থাকুন। বসে থাকুন। শুয়ে থাকুন। উত্তরবঙ্গের আর জঙ্গলমহলের মানুষ ওনাদের শিক্ষা দিয়েছিল। ওনাদের কিছু উপায় নেই। জেতার চান্স কোথাও নাই। এখন মানুষের মন গলাবার চেষ্টা করছেন। উনি গোয়াও গেছিলেন। আসামেও গেছিলেন। কী হলো। ওখানকার লোক দেখিয়ে দিয়েছে টিএমসির কী ওজন আছে। মানুষ টিএমসি কে ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। আর পিছন দিকে তাকাবে না। দেখার আছে কোথায় যায়।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ(kirti azad) সম্প্রতি বলেছিলেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে লোক না,কতগুলো কুকুর হাঁটে। এবার কীর্তি আজাদের সেই মন্তব্য তুলে বললেন ,"একদিন আমার সঙ্গে হাঁটুন না উনি। লোক আছে কী না বুঝে যাবেন। আমার লোকেরা তো আমায় তাড়া করে না। আমাকে পালাতে হয় না নিজের লোকের চাপে। উনি নাচানাচি করে বাঁদর খেলা যেমন দেখায়, লোক জড়ো করার চেষ্টা করছেন। ঘোড়ায় চাপছেন। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটছেন। এটা কী ধরণের গণতন্ত্র? উনি দাড়িয়েছেন না ওনার স্ত্রী দাড়িয়েছেন।"

Sweta Chakrabory | 21:27 PM, Sun Apr 14, 2024

Bhupatinagar incident update: অপরাধীদের বাঁচাতে ফের 'ঘৃণ্য' রাজনীতি TMC-র ! অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা! 


নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সোমবার নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। সেই অনুযায়ী কমিশনের দফতরে যায় তাদের এক প্রতিনিধি দল। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তাঁরা ধর্নাতেও বসেন। যদিও তাঁদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁরা থানার বাইরে টেবিল ও চাদর পেতে বসে থাকেন। পুলিশ থানাকে রাজনীতির জায়গায় পরিণত না করার অনুরোধ করলেও তাঁরা সেখানে দিনভর বসে ছিলেন।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই বিষয়ে পদক্ষেপের দাবিতে সোমবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এরপর রাতভর দিল্লিতে মন্দিরমার্গ থানায় ধর্না দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। আর সেই ধরনা নিয়েও নাটকীয়তা তুঙ্গে। পুলিশের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়,সোমবার সন্ধ্যা ৬টার সময় তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁরা জোর করে থানার চত্বরে বসে আছেন। থানা চত্বরকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার না করার জন্যও আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। বলা হয়, কাউকে সরকারিভাবে গ্রেফতারও করা হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায় আম আদমি পার্টি। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূল অপরাধীদের আড়াল এবং সমর্থন দুটোই করছে তৃণমূল। এখন বিষয়টা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেছে”।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভূপতিনগরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। আর ৬ এপ্রিল এই মামলার তদন্তে ভূপতিনগরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনআইএ আধিকারিকদের। জখম হন দুই আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। এই ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকরা কতটা জখম হয়েছেন তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এফআইআর যাতে খারিজ করা হয় সেই জন্য মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন এনআইএ-র গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন।

Sweta Chakrabory | 18:04 PM, Tue Apr 09, 2024

Diamond Harbour : কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় অশান্ত সরিষা

নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকালী পুজোর বিসর্জনের সময় রাম-গান বাজানোয় হামলা ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour), রাম নবমীর আগে এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাংলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করল বঙ্গ বিজেপি।

এক্সে বিজেপি ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতি বছরই ডায়মন্ড হারবারের সরিষার কলাগাছিয়া এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের(Kali Idol Immersion ) সময় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়।

জানা গিয়েছে, কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবক গেরুয়া জামা পরেছিলেন। বাজছিল রামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান(Ram Song)। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একদল যুবক। পুড়িয়ে দেওয়া গেরুয়া গেঞ্জি। নিরঞ্জনে অংশ নেওয়া যুবকদের বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় ১১ জন বিজেপি(BJP) সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপি(BJP) দাবি করেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, এগুলি পরিকল্পিত হিংসা। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এগুলি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, গতবারও রামনবমীর(ram navami) আগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরে বেছে বেছে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করছে। নির্বাচনে যাতে ভাইপো(abhisekh banerjee) জেতেন তার জন্যই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিনও রাজ্যে অশান্তির ছবি ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য(amit malviya)। সেই সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(election commission) কাছে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Sweta Chakrabory | 17:42 PM, Tue Apr 09, 2024

Basirhat ISF Candidate: ডায়মন্ড হারবারে লড়ছেন না নওশাদ! তবে অভিষেকের বিপক্ষে কে?


নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে(diamond harbour) তৃনমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন না আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি(nawsad siddique), বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুরফুরা শরিফে সাংবাদিক বৈঠক করে পাঁচটি লোকসভা আসনে নিজেদের দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেন আইএসএফ নেতৃত্ব। সেখানে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী হিসেবে নাম ছিলনা নওশাদের। এবারের নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফ প্রার্থী করা হয়েছে মজনু লস্করকে। অর্থাৎ তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(abhisekh banerjee) বিপরীতে লড়বেন আইএসএফ প্রার্থী অ্যাডভকেট মজনু লস্কর।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ প্রার্থী হবেন বলে জল্পনা ছিল। যেহেতু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এলাকার সাংসদ, তাই ওই আসনে সংখ্যালঘু নেতা নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল। এর আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নওশাদ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হবেন। কিন্তু আইএসএফ নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কোনও জোট করছি না। ওদের অনেক সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যা বুঝলাম, তাতে ওরা জোটে আগ্রহী নয়।" এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে তিন রাজনৈতিক পক্ষের জোট আলোচনা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। যদিও, মুর্শিদাবাদ আসনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ।

নওশাদের দলের এমন অবস্থানে বেজায় ক্ষুব্ধ সিপিএম। তারা জানিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে শ্রীরামপুর আসনে আইএসএফ প্রার্থী প্রত্যাহার করলেই জোটের আলোচনা সম্ভব হবে। পাল্টা নওশাদের(nawsad siddique) যুক্তি ছিল, আলোচনা করলেই সব সমস্যার সমাধান করা যেত। কিন্তু সিপিএমের একতরফা ভাবে প্রার্থীঘোষণাকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি আইএসএফ। তাই শেষ পর্যন্ত যাদবপুরেও(jadavpur) প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলেই দলের দাবি।

যাদবপুরে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী নুর আলম খান, বালুরঘাটে মোজাম্মেল হক, উলুবেড়িয়ায় মফিকুল ইসলাম এবং ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী জামির হোসেনকে। বসিরহাট(basirhat) লোকসভা কেন্দ্রে আবার প্রার্থী বদল করেছে আইএসএফ। নতুন প্রার্থী আখতার আলি বিশ্বাস। এর আগে প্রার্থী হয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম মোল্লা।

উল্লেখ্য, আইএসএফ তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকায় বসিরহাটের নাম রেখেছিল। প্রার্থী করেছিল শহিদুল ইসলাম মোল্লাকে। তবে বৃহস্পতিবার নওশাদ সিদ্দিকীর দলের দ্বিতীয় তালিকা সামনে আসার পরই শহিদুল জানিয়ে দিলেন, বসিরহাট থেকে তিনি ভোটে লড়ছেন না। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের জোট না হওয়া। এর পরেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে আবার নতুন করে প্রার্থী বদল করেছে আইএসএফ(ISF ).

Sweta Chakrabory | 12:40 PM, Fri Apr 05, 2024

Abhisekh Banerjee In Jalpaiguri: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় কেন্দ্র কে নিশানা অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক: প্রথম দফায় নির্বাচন হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায়। আর তার আগেই উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় আছড়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় এলেন অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে জলপাইগুড়ির ঝড়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আবাস যোজনার বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন অভিষেক। এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় কেন্দ্র কে নিশানা করে অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায় বলেন,"সুকান্ত-শুভেন্দুরা বাংলার টাকা বন্ধ করে রেখেছেন। আজ যদি আবাস যোজনার টাকা দিত কেন্দ্র, তাহলে মাথার ওপরে এই আঘাতটা আসতো না। সুকান্ত মজুমদার নিজে বলেছেন টাকা বন্ধ করেছে বিজেপি।" এই দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে,এদিন এমনই বক্তব্য রেখে কেন্দ্রকে নিশানা করেন অভিষেক।

দুর্যোগে মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে দায় ঠেললেন অভিষেক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় বিজেপি রাজনীতি করছে বলেও সরাসরি তোপ দাগলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। দুর্যোগে মৃত্যুর দায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের,বললেন অভিষেক।

অপরদিকে,তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা হোক পাল্টা সুর চড়াল বিজেপি। দুর্যোগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে রাহুল সিনহা বলেন, "তৃণমূল টাকা চুরি না করলে সব বাড়ি পাকা হয়ে যেত।" পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ ফোন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। বিপর্যয় নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:41 PM, Mon Apr 01, 2024

High Court On Sheikh Sahajahan: হাইকোর্টের বিরুদ্ধে মিথ্যে দাবি! শাহজাহানকে গ্রেফতারে নেই কোনো বাঁধা-অভিষেকের দাবি উড়িয়ে জানালেন বিচারপতি

High Court On Sheikh Sahajahan: হাইকোর্টের বিরুদ্ধে মিথ্যে দাবি! শাহজাহানকে গ্রেফতারে নেই কোনো বাঁধা-অভিষেকের দাবি উড়িয়ে জানালেন বিচারপতি নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রসঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল মাথা শেখ শাহাজাহান। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্যের পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবার এমন কথাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রবিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'শেখ শাহাজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে রাজ্যের হাত বেঁধে রেখেছে বিচার ব্যবস্থা'। তবে সোমবার হাই কোর্টের তরফ থেকে অভিষেকের সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। পাশাপাশি সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, ৫২ দিন পেরলেও এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালির মহিলা সহ সকলেই। বিরোধীরা বারবার কাঠগড়ায় তুলছে শাসকদলকে। দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলই আড়াল করছে শাহজাহানকে। এর উত্তরে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে রবিবার পালটা জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে রবিবার হাই কোর্টকেই দায়ী করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন হাই কোর্টের নির্দেশের কারণেই নাকি রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না শাহজাহানকে। এরই সঙ্গে দাবি করেছিলেন,তৃণমূল নয়, শাহজাহানকে আড়াল করছে বিচারব্যবস্থাই। সোমবার অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায় শুনে অভিষেকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সোমবার কুনাল ঘোষ বলেন, শেখ শাজাহান গ্রেপ্তার নিয়ে অভিষেক সঠিক বলেছিলেন। আদালতের আইনি জটেই বিষয়টা আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাইকোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাজাহান গ্রেপ্তার হবে।

সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে। ৫৩ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও অধরা। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে জেলা তৃণমূলের নেতারা সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার মানুষ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আসবেন। ৩ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে সন্দেশখালিতে একটি বড় সমাবেশ করা হবে। সেই সভা থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সন্দেশখালির সাধারণ মানুষকেও ‘বার্তা’ দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু রবিবারের পর সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আপাতত ৩ মার্চ, রবিবার সেখানে ব্রিগেডের ‘প্রস্তুতি সমাবেশ’ করবে তৃণমূল।

Sweta Chakrabory | 15:11 PM, Mon Feb 26, 2024
upload
upload