Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

aparajita bill

Aparajita Bill 2024: টেকনিক্যাল রিপোর্ট হাতে পেয়েই 'অপরাজিতা বিল' রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন রাজ্যপাল


নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণ-বিরোধী বিল ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill 2024)। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী তা গিয়েছে রাজভবনে। বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ না-থাকায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই বিলে সম্মতি দিতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবারই সেই রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন। তার পরেই সেই বিল বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

গতকাল এক্স হ্যান্ডলে এই বিল নিয়ে রাজভবনের মিডিয়া সেলের তরফে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোষ্টে বলা হয়, শুক্রবার মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন। তারপরই রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট। তা খতিয়ে দেখে বিলটি (Aparajita Bill 2024) রাষ্ট্রপতি কাছে পাঠিয়ে দেয় রাজভবন।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিলটি (Aparajita Bill 2024) পাশ করাতে তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে রাজ্য। বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে, যা সংশোধন করা প্রয়োজন। রাজ্যপাল সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে কাজ করবেন না, নইলে পরে অনুতপ্ত হবেন।’’ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিলটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জনগণ অপেক্ষা করতে পারে না। তারা ন্যায়বিচার চায় এবং বিদ্যমান আইনের কাঠামোর মধ্যে তাদের ন্যায়বিচার দিতে হবে। সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিলেই জনগণ ন্যায়বিচার পাবে। কন্যাকে হারানো শোকাহত মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।

প্রসঙ্গত, বিলটিতে (Aparajita Bill 2024) দেশের ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কড়া শাস্তি দেওয়া যায়। রাজ্যপাল বিলট সই করলেই আইনে পরিণত হত। এখন রাষ্ট্রপতি বিল নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেন সেটাই দেখার। রাষ্ট্রপতি সই করলে তবে এই বিল আইনে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু এবার রাজভবনের আপত্তি ওঠায় বিলের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেইসময় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজভবনে। আশা করব উনি দ্রুত তা স্বাক্ষর করে বিলটি রাষ্ট্রপতিকে পাঠাবেন।” তারপরই মুখ্যসচিবকে টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজভবনে পাঠায় রাজ্য প্রশাসন।

Sweta Chakrabory | 13:24 PM, Sat Sep 07, 2024

Aparajita Bill 2024: অপরাজিতা বিলেও ধাক্কা! টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া সই পাওয়া সহজ হবে না, জানালেন রাজ্যপাল


নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিকাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। তাই এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরকারের এই বিলটি অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলের অনুকরণে তৈরি বলেও খোঁচা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় তার সরকার মহিলা সুরক্ষায় নতুন একটি বিল আনতে চলেছে। সম্প্রতি সেই 'অপরাজিতা বিল ২০২৪' (Aparajita Bill 2024) সম্প্রতি বিধানসভায় পাস করিয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই।
বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের উপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের মধ্যেই বিলের (Aparajita Bill 2024) টেকনিক্যাল রিপোর্ট চলে যাবে। অন্য রাজ্য সঙ্গে এখানকার বিষয় আলাদা। তাই অবিলম্বে এই বিল পাস করিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। সবটাই বাংলার স্বার্থে।”
উল্লেখ্য, এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:19 PM, Fri Sep 06, 2024

Aparajita Bill 2024: দেশের মধ্যে এই প্রথম! বিধানসভায় পাস হল অপরাজিতা বিল, কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?


নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিধানসভায় পেশ হল ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। নানা বিতর্কের পর অবশেষে শাসক ও বিরোধীদের সম্মতিতে এই বিল পাস হয় বিধানসভায়। কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতায় সংশোধন ঘটিয়ে ধর্ষণ, গণধর্ষণ এবং নারী ও শিশুদের উপর যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে এই প্রথম পৃথক বিল পাস করল দেশের কোনও রাজ্য। তবে বিলটি বিধানসভায় পাস হলেও, আইন হিসেবে সেটি কার্যকর হতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁদের অনুমোদন পেলে তবেই আইনে পরিণত হবে ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill 2024)।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, নতুন এই বিলের মাধ্যমে বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত এবং দ্রুত ন্যায় বিচার-এর মতো বিষয়গুলিকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। নারী নির্যাতন কমাতে ‘অপরিজিতা টাস্ক ফোর্স’ নামে বিশেষ পুলিশ বাহিনী গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান। এরপর আজকের এই দিনটিকে 'ঐতিহাসিক' বলে উল্লেখ করেন মমতা। এই বিলে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডের বিধান এনেছে রাজ্য। বিল পেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''রাজ্য চাইলে আইন আনতেই পারে। সংবিধান সেই অধিকার আমাদের দিয়েছে।''

একইসঙ্গে বিল পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী নজরুল ইসলামের কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন, ''বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/ অর্ধেক তার নর।'' এই বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''এই বিলে (Aparajita Bill 2024) আমরা ধর্ষণে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছি। এটা সমাজের একটা অভিশাপ। সমাজ সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।'' উল্লেখ্য, আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের জন্য পৃথক ধর্ষণবিরোধী বিল (Aparajita Bill 2024) আনার ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো, মঙ্গলবার বিধানসভায় 'অপরাজিতা বিল' পাস হল।

অপরাজিতা বিলকে সমর্থন করেছে বিজেপিও। এই বিল সমর্থন করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''আমি রেজাল্ট দেখতে চাই।'' এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বিরোধী দলনেতাকে বলুন বিলে রাজ্যপালকে সই করতে। তার পরেই দেখবেন রুলস হয়ে গিয়েছে।''

Sweta Chakrabory | 17:17 PM, Tue Sep 03, 2024
upload
upload