Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

arrested

RG Kar incident: অবশেষে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ


নিউজ ডেস্ক: আর জি কর (RG Kar incident) মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি খানকে। এছাড়া বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরা নামে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনার পরেই আরজি করে (RG Kar incident) আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখাই এদিন গ্রেফতার করে সন্দীপকে।

উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর টানা ১৫ দিন ধরে জেরা করা হচ্ছিল সন্দীপকে। সোমবারও সকাল থেকে টানা জেরা করা হচ্ছিল তাঁকে। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলে বলে সূত্রের খবর। এর পর হঠাৎই সন্দীপকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। সন্ধ্যেয় সেখানেই গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হওয়ার খবরে খুশিতে ফেটে পড়েন আরজি করের (RG Kar incident) আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাঁদের দাবি, গ্রেফতার করতে হবে সব দোষীকে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারের তরফে অনিকেত মাহাত বলেন, “আর্থিক তছরুপকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিক্যাল এথিক্সের জায়গা থেকে এখন স্বাস্থ্যভবনের কী করা উচিত, তা বলে দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না।”

অন্যদিকে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকে ধরা হয়েছে। সন্দীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এই সুমন। আর বিপ্লব এবং আফসার ছিলেন ভেন্ডর। তাঁরা দু'জন হাসপাতালে জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন বলে সূত্রের খবর। তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় (RG Kar incident) আপাতত কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই।

উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, উল্টে তাঁকে সমপদে পোস্টিং দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আরজি কর থেকে সরিয়ে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মাথায় বসিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন।

Sweta Chakrabory | 12:22 PM, Tue Sep 03, 2024

Kerala Congress leader arrested: বিনিয়োগে জালিয়াতি মামলায় পুলিশের জালে কেরলের কংগ্রেস নেতা

নিউজ ডেস্ক: ১৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির তদন্তে এবার কেপিসিসি সেক্রেটারি সিএস শ্রীনিবাসনকে (CS Srinivasan) গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। আগেই এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল কেরলের কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসনের। আর এবার ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার কালাডি থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শ্রীনিবাসন আগাম জামিনের আবেদন দাখিল করার পরে আত্মগোপন করে ছিলেন, কিন্তু কালাডি থেকে জেলা কাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে গ্রেফতার (Kerala Congress leader arrested) করে।

শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) ত্রিশুর কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এছাড়াও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন, যে প্রতিষ্ঠানেই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ত্রিশুরের পুনকুনমের সদর দফতরে আর্থিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অভিযোগে বিনিয়োগকারীরা বলেছেন যে হেওয়ান নিধি লিমিটেড এবং হিওয়ান ফাইন্যান্সে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, কোম্পানি তাদের টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রায় ১৭ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে।   তাদের আরও অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) এবং সুন্দর মেননের রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পৃক্ততার উপর আস্থা রেখেই হিওয়ান ফাইন্যান্স এবং হিওয়ান নিধি কোম্পানিতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। তবে এখন কোম্পানি মূল অর্থ বা প্রতিশ্রুত সুদ ফেরত দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু ব্যর্থই নয়, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতেও অস্বীকার করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। পুলিশের মতে, সংস্থাটি আরবিআই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সমস্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে।

এই মাসের শুরুতে, ৪ অগাস্ট, ত্রিশুর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় হিওয়ানের চেয়ারম্যান সুন্দর মেননকে গ্রেপ্তার করে। এই সংক্রান্ত মোট ১৮টি মামলা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। প্রায় ৩০০ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পুলিশ হিওয়ান কোম্পানি এবং এর মালিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেবে।

Sweta Chakrabory | 13:10 PM, Wed Aug 14, 2024

TMC leader arrested: জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা

নিউজ ডেস্ক: জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শিলিগুড়ির তৃণমূলনেতাকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার নাম গৌতম গোস্বামী, তাঁকে দিল্লি থেকে আটক করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটর পুলিশ। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি ছিলেন। বিজেপি জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি তুলেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।

শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটর সি সুধাকর বলেছেন, “দিল্লিতে আমাদের দল গিয়ে গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে, এই মুহূর্তে সব কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন দেবাশিষ প্রামাণিক, তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই শহর ছেড়ে ছিলেন গৌতম গোস্বামী। তখন থেকে তাঁর খোঁজ চলছিল। শিলিগুড়ি থেকে তিনি প্রথমে যান কলকাতায়, এরপর হায়দরাবাদ হয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে দিল্লিতে যান। ঠিক তারপর খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন চালিয়ে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করা হয়।”

তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির (Siliguri) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দেবাশিষ প্রামাণিক এবং গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করে চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় নেতারা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। একের পর এক সরকারি-বেসরকারি জমি দখল করছেন তাঁরা। উত্তরকন্যার পাশে বিঘের পর বিঘে সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। কাদের নির্দেশে এই অবৈধ দখল চলছে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জমিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেছেন, “আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন হবে। এই ধরনের কাজে যারা যুক্ত তাঁদের শাস্তি (TMC leader arrested) হওয়া উচিত।”

Sweta Chakrabory | 17:25 PM, Fri Jul 05, 2024

Asansol Incident: নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ - গ্রেফতার ৫

নিউজ ডেস্ক: বারাবনি থানার চীনচুরিয়া গ্রামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ধর্ষিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বারাবনি থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পস্কো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বীরভূম জেলার বাসিন্দা। ঘটনার পরেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ধর্ষিতা নাবালিকার বাবার অভিযোগ রাত্রে শৌচ কর্ম করতে বাড়ি থেকে বেরোয় ওই নাবালিকা। সেখান থেকে সাতজন দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায় তার মেয়েকে। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে খুঁজতে বেরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নাবালিকাকে।

এরপর নাবালিকার কাছে ঘটনার বিবরণ জানার পর পরিবারে লোকজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ওই গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে বসা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে পাঁচজনকে ধরতে সক্ষম হলেও আরো দুজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর বারাবনি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য বারাবনি বিধানসভার নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চীনচুরিয়া গ্রামে রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী মেলা বসেছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মেলার শেষ দিন। ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকে ওই মেলায় পসরা নিয়ে এসেছিল।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি হিরাপুর ঈপ্সিতা দত্ত বলেন ঘটনার অভিযোগ পাওয়ায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই নির্যাতিতার সাথে ঠিক কি হয়েছে তা মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

Sweta Chakrabory | 15:23 PM, Sat Apr 06, 2024

Civic Volunteer: ভুয়ো সার্টিফিকেট গছিয়ে ধৃত দুই গণধর সিভিক 


নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার (civic volunteer) গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় (Haldia)।

পুলিশ সূত্রে খবর কারখানায় কাজের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল বাহাদুর চন্দ্র দাসের। সেই মত তিনি দুর্গাচক (Durgachak) থানায় পৌঁছে যান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে জাল সার্টিফিকেট গছিয়ে দেয়। পুলিশের জাল শংসাপত্র (Fake certificate) দেওয়ার পাশাপাশি নকল স্ট্যাম্প ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সার্টিফিকেট জাল বুঝে বাহাদুর চন্দ্র দাস থানার দ্বারস্থ হন। তুই গুণধর সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর ওই দুই গুণধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হলদিয়ায় কোন কারখানায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের জন্যই কুমার চকের বাসিন্দা বাহাদুর বাবু দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন। তার দাবি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় মান্না আধার কার্ডের জেরক্স, দুটি ছবি ও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর তাকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। ওই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। সঞ্জয় তাকে যে সার্টিফিকেট দেয় যাতে দুর্গাচক থানার স্ট্যাম্প ও আধিকারিকের সই ছিল।

কিন্তু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তাকে সেই সার্টিফিকেট গছিয়ে দিয়েছে থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার তা জাল। তিনি সঞ্জয় মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। অনির্বাণের জড়িত থাকার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে।

পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া স্টাম্প তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sweta Chakrabory | 17:58 PM, Wed Apr 03, 2024

Nuh Police arrests 42 cyber criminals: সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নয়া নজির গড়ল নুহ পুলিশ

নিউজ ডেস্ক:  পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল ৪২ জন সাইবার অপরাধী। দেশব্যাপী সাইবার জালিয়াতির মামলার বিষয়ে দুই দিনে নুহ, মেওয়াতের(mewat) বিভিন্ন অংশ থেকে ৪২ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দ্বীন মোহাম্মদ, আসিফ, আরিফ, সরফরাজ, সাকিব, ইজাজ, মুনাজির প্রমুখ। শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। অভিযানের সময়, অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোট ৫০ টি সেলফোন, জাল আধার কার্ড(fake adhar card), জাল নথি সহ  ৯০ টিরও বেশি সিম কার্ড, নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮এবং ৪৭১ এর অধীনে ১৮টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে। গত বছর এপ্রিলের পর সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে, প্রায় ৫,০০০ পুলিশ একটি অভিযানে ১৪ টি গ্রাম থেকে ৬৬ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছিল । 

এই গ্রেফতারির একটি বিশদ বিবরন দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে নুহ পুলিশ(nuh police), আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (i4C) প্রতিবিম্ব পোর্টালের(protibimb portal) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। পোর্টালটি এ বছর চালু হয়েছে। এটি মূলত সন্দেহভাজন প্রতারকদের সিম এবং আইএমইআই নম্বর রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে প্লট করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি থেকে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে৷

 রাজ্যের পুলিশ প্রধান শত্রুজিৎ কাপুর বলেছেন যে," প্রতিবিম্ব পুলিশকে রাজ্য জুড়ে ৫৯৪ টি সাইবার জালিয়াতির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে, ১০১(১৮%) রাজস্থানের নুহ এবং পার্শ্ববর্তী শহর আলওয়ারের আশেপাশে অবস্থিত ছিল। সন্দেহভাজনদের রিয়েল-টাইম অবস্থানের ডেটা এবং তাদের ফোন নম্বরগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চকুলায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম কেন্দ্রের সাথে ভাগ করা হয়েছিল।"  শত্রুজিৎ কাপুর এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, “তাদের কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড এবং জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কতগুলি মামলায় জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে তাদের বিবরণ I4C এর সাথে সংরক্ষিত ডেটার সাথে মেলানো হবে।” 

 জানা গেছে অভিযুক্তরা ভুয়া বিজ্ঞাপন(fake advertisement), জাল চাকরির(fake job) প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। নুহ পুলিশের মুখপাত্র, কিশান কুমার বলেছেন যে যুবকরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে লোকেদের টার্গেট করত, যেমন ভিডিও কলের সময় তোলা ছবিগুলিকে অসৎ ভাবে জাল বিজ্ঞাপন দিতে ব্যবহার করত। তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যৌন নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিল, অন্যরা লোভনীয় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকেদের ঠকানো হত।”

নুহ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, নরেন্দ্র বিজার্নিয়া সাইবার অপরাধীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি সাইবার অপরাধীদের(cyber criminal) সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন যে তারা যদি পুলিশের সতর্কবার্তা না মানে তাহলে, "নুহ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোঠর ব্যবস্থা নেবে"।সাইবার ক্রাইম থানার এসএইচও, ইন্সপেক্টর বিমল রাই জানিয়েছেন যে সমস্ত থানার ম্যানেজার/অফিসার, সিআই ইউনিট/স্টাফ এবং নুহ সাইবার পুলিশের পৃথক দল সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুলিশ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে এই জালিয়াতির সাথে যুক্ত আরও অপরাধীদের ধরতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Sweta Chakrabory | 12:11 PM, Tue Apr 02, 2024

Foreigner arrested: বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার

বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার। ধৃতদের নাম আলমগীর হুসেন(৩৪) বাংলাদেশ নিবাসী। নেপালের বাসিন্দা অনুপ তামাং (৩২)। জানা গিয়েছে খড়িবাড়ি ভারত নেপাল সীমান্ত দিয়ে নেপাল নিবাসী অনুপ তামাঙ স্বচ্ছ মদত দিয়ে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে। সে সময় সশস্ত্র সীমাবলের জওয়ানেরা হাতে নাতে পাকড়াও করে। তাদের কাছে বৈধ পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তার কোন প্রমাণ পত্র পেশ করতে পারিনি বাংলাদেশ নিবাসী আলমগীর। এতেই সন্দেহ দৃঢ় হয়। এরপরই আলমগীরকে গ্রেফতার জিজ্ঞাসাবাদে চাপ দিতেই সে স্বীকার করে সে বাংলাদেশ নাগরিক। তার কাছে ভারতে প্রবেশের কোন বৈধ নথিপত্র নেই। নেপালি নিবাসী অনুপের কথামতো তার মদতেই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল সে। বাংলাদেশের নাগরিক ওই যুবককে হার গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাকে মদত দেওয়ার অভিযোগে নেপাল নিবাসী যুবক কেও খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসেসবি। হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

Editor | 17:50 PM, Thu Mar 28, 2024

Agartala RPF: আরপিএফ-এর হাতে উদ্ধার নিষিদ্ধ সামগ্রী, আটক ১৭ জন

নিউজ ডেস্ক: উত্তরপূর্ব সীমান্ত (এনএফ) রেলওয়ের অধীন আরপিএফ নিষিদ্ধ সামগ্রীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ১৮ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত আরপিএফ আগরতলা, ডিমাপুর, বাগডোগরা, রঙিয়া ও কিষাণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, ট্রেনে নিষিদ্ধ সামগ্রী পরিবহণের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৬.৭ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে তাঁরা মোট ১৬৭ কেজি ওজনের গাঁজা উদ্ধার করার পাশাপাশি ১৭ জনকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাজেয়াপ্তকৃত সামগ্রী সহ ধৃতদের সংশ্লিষ্ট ওসি/জিআরপি অথবা স্থানীয় থানার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। রবিবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এ খবর দিয়ে জানান। ২০ মার্চ আগরতলা আরপিএফ-এর একটি দল আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে তারা ব্যাগ সহ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। ব্যাগটি খোলার পর তারা আনুমানিক ৪.৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৪৮ কেজি গাঁজা পায়। এই ঘটনা সম্পর্কে ছয় জনকে আটক করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত গাঁজা সহ ধৃতদের আগরতলা জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ১৮ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেনে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ পৃথক পৃথক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১১৯ কেজি ওজনের গাঁজা উদ্ধার করে। ওই অভিযানেও ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ধৃতদের পাশাপাশি উদ্ধারকৃত গাঁজা সংশ্লিষ্ট বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Sweta Chakrabory | 15:10 PM, Mon Mar 25, 2024

Arvind Kejriwal Arrested : গ্রেফতার কেজরিওয়াল, প্রতিবাদে AAP, শুক্রবারই তাকে কোর্টে পেশ করবে ইডি

নিউজ ডেস্ক : লোকসভা ভোটের মুখে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার দেশজোড়া প্রতিবাদে নামছে আপ। বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামছে কেজরিওয়ালের দল, এমনই ঘোষণা করেছেন দলীয় নেতা গোপাল রাই। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও।

আবগারি দুর্নীতিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করে মোট নবার তলব করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রতিবারই তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে আপের তরফে জানানো হয়েছে, কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরাবে না দল। গ্রেফতার হলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না অরবিন্দ। জেল থেকেই চালাবেন সরকার, এমনটাই জানিয়েছে তার দল। ইডি কর্মকর্তা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুক্রবার একটি বিশেষ PMLA আদালতে পেশ করা হবে।

উল্লেখ্য আবগারি মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। কদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার গ্রেপ্তার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।আবগারি সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয়, সেজন্য হাইকোর্টে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হন আপ নেতা। তবে জানা গেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর আবগারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আম আদমি পার্টি। 

অন্যদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। পাশাপাশি কেজরিওয়ালের গ্রেফতারে সরব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হন প্রিয়াঙ্কা।

Sweta Chakrabory | 10:27 AM, Fri Mar 22, 2024

Poacher Arrested: গন্ডার শিকারের মাস্টার মাইন্ড গ্রেফতার

অসমের কামরূপ জেলা থেকে কুখ্যাত গন্ডার শিকারি রিকোচ নার্জিনারীকে গ্রেফতার করল বনদফতর। বৃহস্পতিবার তাকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সহ একাধিক বনাঞ্চলে গন্ডার শিকার করেছে রিকোচ। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে বন দপ্তর। জানা গিয়েছে ১৯ মার্চ অসমের কামরূপ জেলা থেকে রিকোচকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বন দপ্তরের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অবশেষে তাকে হেপাজতে নিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। তাকে হেফাজতে নিয়ে আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলেছে বন দপ্তর।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাশোয়ান বলেন, “ গণ্ডার শিকার চিন্তার বিষয়। খবর পেয়েই আমরা আসামীকে ধরতে তৎপর হই। এবার সে ধরা পড়েছে। আমরা কোন বন্য জন্তুর শিকার বর্দাস্ত করব না। ১৯ মার্চ যৌথ অভিযানে এই অভিযুক্তকে ধরা হয়। ২০১৪ থেকে ওই ব্যক্তি বন্য প্রাণীর শিকারের সঙ্গে যুক্ত। আন্তর্জাতিক অপরাধীদের সঙ্গে যোগসাজেশ রেখে কাজ করছিল। ও বন্দুক জোগাড় করা, মৃত পশুকে পাচার করার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এককথায় যাকে মাস্টারমাইন্ড বলে। ওর সঙ্গে ২০১৯ সাল সহ বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। ও মোবাইল পরিচয় বদল করে বহু জায়গায় অস্থায়ী ভাবে থাকত। ওকে ধরা কঠিন কাজ ছিল। তবে পুলিশের সহযোগিতায় ওকে ধরা হয়েছে। যারা প্রাণী শিকারের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে”।

Editor | 16:28 PM, Thu Mar 21, 2024

Sheikh Sahajahan Arrested: ৫৫ দিনের লুকোচুরি শেষ,গ্রেফতার সন্দেশখালির 'বাঘ'


নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৫৫ দিন পর গ্রেফতার সন্দেশখালির 'বাঘ'। পুলিশের জালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি রাজ্য পুলিশের। বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত তাঁকে রাখা হয়েছে বসিরহাট আদালতের লকআপে।বিঘার পর বিঘা জমি ও ভেড়ি দখল, নারী নির্যাতন-সহ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ রয়েছে গ্রামবাসীদের। বুধবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় শেখ শাহাজাহানকে ধরতে পারে ইডি, সিবিআই কিংবা রাজ্য পুলিস। তার পরেই সন্দেশখালি ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় পুলিসের জালে শেখ শাহজাহান।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কান্ডে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আদালত হাত-পা বেঁধে রেখেছে তাই গ্রেফতার করা যাচ্ছে না শেখ শাহাজাহান কে।' অভিষেকের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি, যে গ্রেফতার করা যাবে না।’

এরপরেই সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবেন শাহজাহান। আর ঠিক তাই হল। তার এই কথার ৩ দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হল শেখ শাহাজাহান। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এর কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে সন্ত্রাসের রাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুমকি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম, শিবু ও অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করা হলেও শাহজাহান এতদিন অধরা ছিল। তবে শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভের পারদ ক্রমশ বাড়তে থাকে। জন আন্দোলনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির গ্রামের পর গ্রাম। বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শাহাজাহান। যদিও গত ৫৫ দিন ধরে সন্দেশখালির বাঘ কোথায় লুকিয়ে ছিল তা এখনও অস্পষ্ট।

Sweta Chakrabory | 10:29 AM, Thu Feb 29, 2024

Nawsad Siddiqui Arrested: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার-নওশাদ সিদ্দিকী

নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এবার গ্রেফতার ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন নওশাদ। কিন্তু সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ৬২ কিমি আগেই সায়েন্স সিটির কাছে বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির পর প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় নওশাদকে।

পুলিশের দাবি, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগে নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক। তার পাল্টা দাবি, তিনি কোথাও জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ভাঙেননি তিনি। তা হলে কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্নই পুলিশকে করেছিলেন নওশাদ। বিধায়কের আরও অভিযোগ, সায়েন্স সিটির কাছে ১৪৪ ধারা জারি না থাকলেও সেখানেই তাঁকে গ্রেফতারের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গ্রেফতারির পরেই উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নওশাদ। তাঁর এই গ্রেফতারিতে পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে বলেও তোপ দেগেছেন বিধায়ক। উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির পাশাপাশি বাসন্তী যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সায়েন্স সিটির কাছে তিনি পৌঁছনোর পর সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়, নওশাদ সন্দেশখালি গেলে সমস্যা হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রা রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধিরা।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এর আগে বারংবার বাঁধা পেয়েছে বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী হোক বা সিপিএম এর বৃন্দা কারাট সন্দেশখালি যাবার পথে সবাই বাঁধা পেয়েছেন কিন্তু তৃণমূলের নেতা দের ক্ষেত্রে সেখানে প্রবেশে কোনো বাঁধা নেই। মঙ্গলবার নওশাদের গ্রেফতারের পর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও জোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা।

Sweta Chakrabory | 11:09 AM, Tue Feb 27, 2024

Journalist Arrested: নিম্ন আদালতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য পুলিশ! ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত সাংবাদিকের

নিউজ ডেস্ক :নিম্ন আদালতে বড় ধাক্কা রাজ্য পুলিশের। বসিরহাট আদালতে সাংবাদিক গ্রেফতারের মামলায়  পুলিশ সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়েছিল। তবে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালত তরফে মিলল ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত। অন্যদিকে দিল্লিতে প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিবাদ চলছে। শুধু দিল্লি নয় সন্দেশখালির সত্য খবর সামনে আনতে গিয়ে কর্তব্যরত সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে বিরোধী দল।

প্রসঙ্গত,এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রিপাবলিকের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রিপাবলিক বাংলার ওই সাংবাদিকের নাম সন্তু পান। সত্যানুসন্ধানে সন্দেশখালিতে গিয়ে রাতদিন কাজ করে চলেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালির ভেতরের আসল সত্য তারা সবার সামনে নিয়ে আসছে। কিন্তু কর্তব্যরত এক সাংবাদিককে এভাবে গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাচ্ছে সকলেই। 

উল্লেখ্য পুলিশের এই পদক্ষেপের অভিযোগে সোমবারই আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক সন্তু পান। এ বিষয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানির। তার অভিযোগ সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে  মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য শুনে বিচারপতি মামলা দায়ের করতে বলেন। তবে এরই সঙ্গে বিচারপতি জানান মামলা দায়ের হলেও এই মুহূর্তে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। নিম্ন আদালত এবং জামিনের জন্য নির্দিষ্ট এজলাস এর দ্বারস্থ হওয়ার সংস্থান রয়েছে, এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি। অবশেষে বিচারপতির কথাই মিলে গেল। জামিন হলনা সন্তুর। আপাতত ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকবে ওই সাংবাদিক।

Editor | 17:11 PM, Tue Feb 20, 2024

Journalist Arrest in Sandeshkhali: রিপাব্লিকের সাংবাদিক সন্তুর জামিন নিয়ে সংশয়! সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধের চেষ্টা শাসকের?

নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি এখন তোলপাড়। এরই মধ্যে সন্দেশখালি থেকে রিপাবলিকের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিপাবলিক বাংলার ওই সাংবাদিকের নাম সন্তু পান। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য পুলিশের এই পদক্ষেপের অভিযোগে সোমবারই আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক সন্তু পান। এ বিষয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। তার অভিযোগ সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে  মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য শুনে বিচারপতি জামিনের আবেদন ও তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে বলেন। তবে এরই সঙ্গে বিচারপতি জানান মামলা দায়ের হলেও এই মুহূর্তে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। নিম্ন আদালত এবং জামিনের জন্য নির্দিষ্ট এজলাস এর দ্বারস্থ হওয়ার সংস্থান রয়েছে, এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি।সাংবাদিককে গ্রেফতার করার বিষয়ে বসিরহাটের এসপি জানান, এক মহিলা তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি যখন বাড়িতে কিছুটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিলেন তখন ওই সাংবাদিক প্রায় জোর করে বাড়িতে ঢুকতে চান। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে সন্দেশখালির ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কোনও তদন্তের আগেই, কোনও নোটিস না পাঠিয়েই, এক কর্তব্যরত সাংবাদিককে তড়িঘড়ি এভাবে গ্রেফতার করা হল কেন? এ প্রশ্নের জবাব চাইছে সকলেই।

এ প্রসঙ্গে ওই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি চেয়ে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদ মাধ্যমের অনেকেই। সন্তু পানকে গ্রেফতারের ঘটনায় গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সরিয়ে সেখানে কালো করে দেন তিনি। সেই পোস্টে তিনি লেখেন - 'সন্দেশখালির নিগৃহীতা মাতৃশক্তির খবর জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পান কে মমতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই বেআইনি গ্রেফতারের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার নক্কারজনক প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আমি আমার সমস্ত অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘন্টার জন্য কালো করলাম' । অন্যদিকে সাংবাদিকের গ্রেপ্তারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।

Editor | 12:56 PM, Tue Feb 20, 2024

TMC Leader arrested in Narendrapur incident: নরেন্দ্রপুরে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা সহ আরও অনেকে 

নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি স্কুলে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রবীর সর্দার ওরফে “ছোটন” ও তাঁর সঙ্গী অসীম ঈশ্বর। বৃহস্পতিবার রাতে এই মোট ৪ জন অভুযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোটন ও অসীমের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। অভিযোগে নাম ছিল পঞ্চায়েত সদস্য অলোক নাড়ু এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিজুর রহমান মণ্ডলের। শুক্রবার ভোরে এদের গ্রেফতার করে তদন্তকারী পুলিশ। আরও জানা গেছে ধৃতদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আকবর আলি খান কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও অধরা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলিপুর জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

Editor | 13:36 PM, Fri Feb 02, 2024
upload
upload