Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

artist panchanan bhunia

Durga Puja: অভাবের সংসার থেকে শুরু পতমান, বর্তমানে থিমের মণ্ডপ শিল্পী হিসাবেই খ্যাতিলাভ পঞ্চানন ভূুঁইয়া


নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার ঝোঁক। আর বড় হয়ে সেই আঁকা বদলে গেল মণ্ডপ সজ্জা শিল্পে। সংসার চালাতে এই কাজে আসা। আর বর্তমানে এই কাজই শিল্পী পঞ্চানন ভূুঁইয়ার (Artist Panchanan Bhunia) পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার তৈরি মণ্ডপ সজ্জা অসম ও কোচবিহারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে। পুজো যত এগিয়ে আসছে কাজের চাপ তত বাড়ছে। তাই রাত দিন এক করে তারই কাজ করে চলেছে পঞ্চানন।

সালটা ২০২০। সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ। তারপর করোনা আর লকডাউন আর্থিক সংকটের জাঁতাকলে ছাড়তে হয় পড়াশোনা। দু চোখে স্বপ্ন ছিলো পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কন শিল্পী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। করোনার ফলে দীর্ঘ লকডাউনে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলো পরিবার। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়াশোনা আর করা হয়নি। তবে অঙ্কনকেই পেশা হিসাবে নিয়ে কাজ শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের কোলসর এলাকার যুবক পঞ্চানন ভূঁইয়া (Artist Panchanan Bhunia)। তাঁর তুলির টানেই ফুটে উঠেছে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের দেব-দেবী, মনীষী, বিখ্যাত মানুষ ও প্রকৃতির জীবন কাহিনী।

কখনও চালের উপর, আবার কখনও বালির ছোট নুড়ি, ফেলে দেওয়া বোতলের ছিপি, নারকেলের মালা, সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে নানান ধরনের দূর্গা প্রতিমা ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন পঞ্জানন। সারা বছর ধরে নিত্যনতুন কিছু করার চেষ্টা করে সে। তবে দুর্গাপূজার সময় ব্যস্ত হয়ে ওঠে মন্ডপ সজ্জার কাজে।

এ প্রসঙ্গে পঞ্চানন (Artist Panchanan Bhunia) জানিয়েছেন, ''আমাদের জেলার শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে তুলির টানে নানান জিনিস বানিয়ে, মণ্ডপ সজ্জা করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দিতেই এই কাজ শুরু করা। বর্তমানে কাজের পরিসর বাড়ছে। একটু একটু করে নাম ডাক হয়েছে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে।''

জানা গিয়েছে, পঞ্চাননের (Artist Panchanan Bhunia) ছোট থেকেই ছবি আঁকার নেশা ছিলো। স্থানীয় এক শিল্পীর কাছে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেয়। তার পর নিজে নিজেই ছবি আঁকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে এলাকার ছেলে মেয়েদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিজের কাজ করে চলেছে পঞ্জানন।

Sweta Chakrabory | 17:45 PM, Fri Sep 13, 2024
upload
upload