RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত
নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। আর অন্যদিকে এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ''বর্তমানে ওই দেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।''
এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর আজ বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে, জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
BSF on Bangladesh Border: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে সীমান্তে হাজির শরণার্থীর দল! বুধবার ঠিক কী ঘটল, জানাল বিএসএফ
নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশি দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় তাঁরা। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
BSF: জঙ্গি অনুপ্রবেশের শঙ্কা! বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামবাসীদের নিয়ে দল বিএসএফের, আরও নানা পদক্ষেপ
নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর কান্নার রোল। অন্যদিকে, একদলের উন্মত্ত উল্লাস। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সীমাহীন। সোনার বাংলা ভূলুণ্ঠিত। শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে আসছেন সীমান্তপারে। বাংলাদেশের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে তাই ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জলসীমানা অনেকটা। তাই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে জলসীমায়। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ডাঙাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কাঁটাতার ঘেরা সীমান্তে রাত-টহলের জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে জওয়ানের সংখ্যাও।'
বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে হাই অ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জলসীমানায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে জলে-স্থলে চলতে পারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। এদিন বেলায় ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ এই হোভারক্রাফ্ট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হোভারক্রাফ্টে চেপে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় টহলদারি শুরু করেছেন। অনেক সময়ে বাংলাদেশ থেকে জলদস্যু বা মৎস্যজীবীরা জলসীমানা পেরিয়ে চলে আসে এ পারে। ট্রলারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে এই হোভারক্রাফ্ট অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার প্রতিটি থানাই জলপথে পেট্রোলিং চালাচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার স্পিডবোট এবং এফআইবি বোট নদী এবং সমুদ্রে টহল দিয়েছে।
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার একজোট হলেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামে গ্রামে টিম করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। জেল ভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারে, এমন প্রচারও চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। মূলত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। গেদে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নদিয়ায় বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কোনও অপরিচিত মানুষ দেখলে গ্রামবাসীদের কী কর্তব্য সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা-আধিকারিকরা।
বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis) রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, ‘‘অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।’’ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ (BSF)। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, "সম্প্রতি বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কোনও সন্দেহজনক কাওকে বা অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বা পুলিশকে জানানো হয়।" দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৯৩৬ কিলোমিটার নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চারটি সেক্টরে মোট ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই ফাঁকা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। বিএসএফের তরফে ফাঁকা সীমান্তে জওয়ানদের নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ির মতো সীমান্ত থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হলে তড়িঘড়ি যাতে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) অমিত ত্যাগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে অনেকেই ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসছেন। অনিয়মে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে। তবে কাঁটাতারহীন কিছু এলাকায় জওয়ানদের তরফেই অস্থায়ী বেড়া দেওয়া রয়েছে।’’
সোমবার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ নেতা ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান।
Shantanu Thakur: বাংলায় জঙ্গি সংগঠন লস্করের আত্মপ্রকাশ! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেলেন জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জঙ্গিদের হুমকি!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লস্কর এ তৈয়বার (Lashkar E Tayyaba) হুমকি ভরা চিঠি! মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগণায় (North 24 Parganas)। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanau Thakur) কাছে সোমবার একটি চিঠি আসে। শান্তনু ঠাকুর এবারও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তার কাছে যে হমকি চিঠি এসেছে তাতে লেখা যদি বাংলায় এনআরসি লাগু করা হয় তাহলে হাফিজ সঈদের নির্দেশ মাফিক লস্করের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঠাকুরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) শান্তনু ঠাকুরের কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল শ্রদ্ধেয় শান্তনু বাবু। আশা করি ভালো আছেন। যাই হোক আপনাকে জানাচ্ছি যে পশ্চিম বাংলায় যদি এনআরসি (NRC) এবং এনআরসি-র ফলে যদি মুসলমানদের ওপর কোনও রকম অত্যাচার হয়, তাহলে পশ্চিমবাংলা তথা সমগ্র ভারত জ্বলবে এবং আপনাদের ঠাকুরবাড়ি(Matua Thakurbari) উড়িয়ে দেওয়া হবে। কেউ আপনাদের ঠাকুরবাড়িকে বাঁচাতে পারবে না। লস্কর-এ-তৈয়বার নাম শুনেছেন তো? আমরা লস্কর-এ-তৈয়বার সদস্য। আপনাদের হাফিজ সঈদের নির্দেশ মত আমরা পশ্চিমবাংলায় এনআরসি লাগু করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেব। চিঠির প্রেরক হিসেবে নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী ও ফজর আলীর নাম লেখা এবং ঠিকানা হাদিপুর, দেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিটি যথেষ্ট সন্দেহজনক। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে টাইপরাইটারে টাইপ করা মনে হয়। ০৫ এপ্রিল শুক্রবার এই চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও চিঠির ভিতর ০৭ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা আছে।
শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতে চলেছেন। এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়। এই ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁরা শান্তনু ঠাকরের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন।
তবে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈয়বা সক্রিয় থাকলে খুবই চিন্তার বিষয়। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির দীর্ঘ সময় থেকে অভিযোগ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিকে সেফ করিডর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে জঙ্গি সঙ্গঠনের সদস্যরা। ঘাপটি মেরে তাঁরা তাদের কাজকর্ম চালায়। ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তদন্তের সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ বিজেপির। এই রাজ্য থেকে একের পর এক নাশকতামূলইক কাজকর্ম হলেও রাজ্য পুলিশ তদন্তে অনীহা দেখায়। ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। তাতেও শাসক দলের কর্মীরা বাধা দেয়।
এর আগেও এই রাজ্যে পিএফআই, সিমি, জামাতের মত নিষিদ্ধ সংগঠনের অস্তিত্ব মিলেছে। এবার সরাসরি কেন্দ্রিয় মন্ত্রীকে হুমকির মত ঘটনা চিন্তার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দেগঙ্গা ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব দূরে নয়। কিন্তু লস্কর পাকিস্তান থেকে চালিত হয়। পাকিস্তানের এই উগ্রপন্থী সংগঠন বাংলায় কিভাবে তাদের শাখা বিস্তার করল তা চিন্তার বিষয়।
India-Bangladesh Border:ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর, সুন্দরবন সীমান্ত পরিদর্শনে এডিজি-বিএসএফ
নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য এডিজি, বিএসএফ, ইস্টার্ন কম্যান্ড সুন্দরবন অঞ্চল এবং সীমান্ত চৌকি পরিদর্শন করেন। বিএসএফ ইস্টার্ন কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শ্রী রবি গান্ধী পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবন অঞ্চল,আইসিপি পাট্রাপোল এবং অন্যান্য সীমান্ত ফাঁড়িগুলিতে অপারেশনাল প্রস্তুতির পর্যালোচনা পরিচালনা করেছেন।
একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আওতাধীন শমেশনগর,হরিদাসপুর, রাংঘাট, টিলা, সিংগামৌরা এবং ছোটিয়া ভাসমান বিওপি এবং স্থল সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে, শ্রী রবি গান্ধী, এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য সুন্দরবন অঞ্চলের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ওই এলাকায় বিএসএফ-এর ভাসমান সীমান্ত আউটপোস্ট পরিদর্শন করেন। কোম্পানি কমান্ডার তাকে দায়িত্বের ক্ষেত্র, সীমান্তের বিশেষত্ব, সম্ভাব্য চোরাচালান/অনুপ্রবেশের পথ এবং বিএসএফ কর্তৃক গৃহীত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এছাড়াও সংবেদনশীল এলাকায় মোতায়েন অফিসার এবং জওয়ানদের সাথে তার কথোপকথনে, শ্রী রবি গান্ধী এডিজি, পূর্ব কমান্ড সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং উত্সর্গের জন্য তার প্রশংসা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষায় বিএসএফ সদস্যদের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরেন এবং তাদের অটল প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
এদিন শ্রী রবি গান্ধী এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ডও টিলা, সিংগামৌরা এবং ছোটিয়ার সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেছেন, যেখানে তাকে কোম্পানি কমান্ডাররা সাধারণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আন্তঃসীমান্ত মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গৃহীত সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অফিসার ও জওয়ানদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। শ্রী রবি গান্ধী এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ডকে আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে সমস্ত ইউনিট অফিসার ও জওয়ানদের দ্বারা করা প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। সীমান্ত জনসংখ্যার মধ্যে নিরাপত্তার বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য সেক্টর সদর দফতর কৃষ্ণনগর কর্তৃক গৃহীত নাগরিক অ্যাকশন প্রোগ্রাম এবং আত্মবিশ্বাস তৈরির পদক্ষেপের মতো উদ্যোগ সম্পর্কেও তাকে অবহিত করা হয়েছিল।
শ্রী রবি গান্ধী এডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিএসএফ কর্মীদের প্রচেষ্টা এবং উত্সর্গের প্রশংসা করেছেন। তিনি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তঃসীমান্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য বিএসএফ কর্মীদের আহ্বান জানান।
India-Bangladesh Border: চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে আটক পাচারকারী
নিউজ ডেস্ক: চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে একজন পাচারকারীকে আটক করেছে বিএসএফ। ওই পাচারকারীর কাছ থেকে প্রায় ৯.৭ লক্ষ্য টাকা মূল্যের রূপোর অলঙ্কার উদ্ধার করেছে বিএসএফ জাওয়ানরা। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি বিথারির বিএসএফ জওয়নারা এই চোরাচালানকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে পাচারকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে রূপোর এই গয়না পাচার করার চেষ্টা করছিল । উদ্ধার হওয়া রূপোর এই গয়নার আনুমানিক মূল্য ৯,৭০,৩০৪/- টাকা। তথ্য অনুযায়ী, ২০ মার্চ সীমান্ত চৌকি জওয়ানরা গোপন সূত্রে রূপার অলঙ্কার পাচারের খবর পায়। এরপর ডিউটিতে থাকা বিএসএফ সৈন্যরা সন্দেহভাজন ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের গতিবিধি লক্ষ্য করে তদন্তে নামে। এবং যে ব্যক্তি ভ্যানে চড়ে স্বরূপদহ থেকে আসছিল তাকে থামিয়ে ভ্যানে তল্লাশি চালায়।
তখনই তল্লাশির সময়, একটি বাদামী টেপে মোড়ানো ৮ টি প্যাকেট উদ্ধার হয়। যার মধ্যে ৩.৬৪০ কেজি ওজনের সিলভার অ্যাঙ্কলেট এবং ৭,৪৮,৯৯২/- টাকা মূল্যের ৯.৯৬০ কেজি ওজনের রূপো উদ্ধার করা হয়, যেগুলি ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছিল। এরপরেই সৈন্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই গয়না উদ্ধার করে পাচারকারীকে আটক করে।
ধৃত পাচারকারীর নাম সবুজ মন্ডল,উত্তর ২৪ পরগনার পদ্মবিল্লার বাসিন্দা তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ মণ্ডল জানায়, ২০ মার্চ পদ্মবিল্লার এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে গোলপাতায় বাদামি রঙের টেপে মোড়ানো সিলভারের গয়নাগুলি দেয়। এর পরে, তিনি একটি ইঞ্জিনযুক্ত ভ্যানের একটি ইম্প্রোভাইজড গহ্বরে সিলভারের অলঙ্কারগুলি লুকিয়ে রাখেন। যখন তিনি সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প গেট পার হচ্ছিলেন,তখন বিএসএফ সেনারা তার গাড়ি তল্লাশি করে। চেক করার সময় ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের চেসিসের ভিতরে একটি ইম্প্রোভাইজড ক্যাভিটি থেকে রূপোর গয়না উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিএসএফের আধিপত্যের লাইন অতিক্রম করার পরে তিনি পদমভিলা গ্রামে একই ব্যক্তির কাছে রূপোর গয়না গুলি হস্তান্তর করবেন এবং এই কাজের জন্য তিনি ১,০০০/- টাকা পাবেন কিন্তু পথে বিএসএফের কর্তব্যরত কর্মীরা তার প্রচেষ্টা নষ্ট করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আটক ব্যক্তিকে তেঁতুলিয়া কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিআইজি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী এ কে আর্য বলেছেন," বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সমস্যায় পড়েন। আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।"
Mayanmar Border: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতার, FMR সাসপেন্ডের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের- কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?
নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মায়ানমারে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতার। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারে সরকারি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, গুলিযুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জীবন বাঁচাতে মায়ানমারের শীলখালি ও বলিবাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে সীমান্তে জমায়েত হয়েছেন। পাশাপাশি অশান্তির ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসছে মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকরাও।
সম্প্রতি মায়ানমার সেনার একটি দলও ভারতে ঢুকে আসে। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই এবার ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ১৪৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে। কড়া নজরদারি চলবে সেখানে। তুলে নেওয়া হবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (FMR)। এই ঘোষণার অর্থ, এতদিন ভারত এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা সীমান্তের দু’পারে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারতেন, এখন থেকে সেটা আর করা যাবে না। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বেশ প্রভাব ফেলবে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর। মনে করা হচ্ছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে ভারতের এই সিদ্ধান্ত।