Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

bangladesh crisis

Holiday In Durga Puja: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বড়সড় রদবদল, দুর্গাপুজোর ছুটি নিয়ে সংশয় প্রতিবেশী দেশটিতে


নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) পরিস্থিতি। কিন্তু এরই মধ্যে এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনকে সরিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাঁর বদলে যুক্ত করা হয়েছে আরও চার উপদেষ্টাকে। জানা গিয়েছে, সাখওয়াতকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে। দু

এর আগে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সময় তিনদিন ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন সাখওয়াত। তিনি জানিয়েছিলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় সাখাওয়াতকে আওয়ামিলিগপন্থী বলে অভিযোগ তুলতে থাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই 'আওয়ামিলিগপন্থী মন্তব্যের' জেরেই বদলি হতে হয়েছে সাখাওয়াতকে। এই আবহে সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৯ দিন আগেই গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) অন্তর্বর্তীালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর এরই মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীতে এত বড় রদবদল হওয়ায় হতবাক অনেকেই। 

উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Update) সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চালু করার দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূসের কাছে তুলে ধরার জন্য আট দফা দাবির একটি তালিকা তৈরি করেছে একটি হিন্দু ছাত্র সংগঠন। এই দাবি গুলির মধ্যে একটি হল দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিনের ছুটি। সে সময় সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুর্গাপুজোর সময়ে ছুটির (Holiday In Durga Puja) বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু এরপরই তাঁর বদলির অর্ডার আসে। সুতরাং এর ফলে এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ছুটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির মধ্যে।

Sweta Chakrabory | 17:26 PM, Mon Aug 19, 2024

Hindu in Bangladesh: ‘‘গ্রামীণ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে...’’, আতঙ্কের কথা শোনালেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা এক হিন্দু

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস শান্তি ফেরানোর কথা বললেও এখনও পর্যন্ত পদ্মাপারে সুরক্ষিত নন হিন্দুরা (Hindu in Bangladesh)। অভিযোগ, নিরাপত্তা দানের জন্য তাঁদের থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের জন্য নয়, আর যদি তাঁরা এখানে থাকতে চান তবে তাঁদের ‘চাঁদা’ দিয়ে থাকতে হবে। এমনই জানালেন ঢাকায় কর্মরত এক হিন্দু ইঞ্জিনিয়ার। যিনি শিক্ষার্থী ভিসায় ভারতে এসে মহারাষ্ট্রের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। এখন ঢাকায় কাজ করছেন। সম্প্রতি দেশে পালাবদলের পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই যুবক।

ওই হিন্দু ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামে। সম্প্রতি তাঁরা একাধিক হুমকি ফোন কল পান, যেখানে তাঁদের লক্ষাধিক টাকা না দিলে বা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছেড়ে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, "আমার বাবা-মা বাংলাদেশের বন্দরনগরীর এক কলোনিতে থাকেন, যেখানে অন্যান্য হিন্দুরাও বসবাস করেন। সংখ্যালঘুদের বাড়িগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং মালিকদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ফোনে বলা হয়েছে, টাকা দিতে না পারলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে।"

ওই হুমকিদাতা নিজেকে একটি ইসলামি গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন বলেও জানা যায়। চট্টগ্রামের আরও অনেকে একই ধরনের কল পেয়েছেন। ওই হিন্দু ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, "আমি চাকরির কারণে ঢাকায় চলে এসেছি, কিন্তু আমার বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনরা তাদের নিজ শহর চট্টগ্রামে রয়ে গিয়েছেন। গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি লুট হয়ে যাচ্ছে, তবে শহরে বসবাসকারীরা কিছুটা নিরাপদ।" বাংলাদেশের শহুরে এলাকায় সংখ্যালঘুরা (Hindu in Bangladesh) এখনও রাস্তায় চলাচল করতে পারে, তবে উদ্বেগ স্পষ্ট। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা নীরবে থাকেন এবং জনসমক্ষে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলেন। ওই ইঞ্জিনিয়ার দ্রুত ভারতে ফিরতে চান। সেজন্য ভিসারও আবেদন করেছেন তিনি।

Sweta Chakrabory | 16:12 PM, Fri Aug 16, 2024

Muhammad Yunus: সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক, চালু হেল্পলাইন, বাংলাদেশে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে কী বললেন ইউনূস? 

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকাররে প্রধান লক্ষ্য। হিন্দুরাও সরকারের কাছে সমান সাংবিধানিক অধিকার চাইতে পারেন, এমনই অভিমত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus)। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনে গিয়ে সংহতির বার্তা দেন ইউনূস। তিনি বলেন, ‘‘দেশে মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’

শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ (Bangladesh) ছাড়ার পরই সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর প্রতিদিন আক্রমণ হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ঢাকার (Dhaka) বিখ্যাত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান ইউনূস (Muhammad Yunus Visits Dhakeshwari Temple)। মন্দিরে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।  হিন্দুদের উদ্দেশে ইউনূস বার্তা দেন, ‘‘নিজেদের আলাদা ভাববেন না। সব পরিচয়ের ঊর্দ্ধে উঠে নিজেদের মানুষ বলে মনে করুন। দেশের সন্তান বলে মনে করুন। এগুলো আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার, যা আমরা সুনিশ্চিত করবই।’’ তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। তাঁর কথায়, ‘দেশে এখন সংকট চলছে। সবাইকে একজোট হয়ে থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে হিন্দুদের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে রায় দেওয়ার আগে ধৈর্য্য ধরার আবেদনও করেন ইউনূস।

হাসিনার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের ৫২টি জেলায় হিন্দুদের উপর কমপক্ষে ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সেখানে বাড়িঘরে হামলা চালানোর পাশাপাশি একাধিক মন্দিরেও ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছেন হিন্দুরা। আন্তর্জাতিক স্তর থেকেও চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। ভারতও বারবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এরপরই ঘরে-বাইরে চাপ সামলাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউনূস। তাঁর কথায়, ‘এমন একটা বাংলাদেশ গঠন প্রয়োজন যেখানে সবাই যেন এক ছাতার তলায় থাকতে পারেন। একটা পরিবারের মতো বসবাস করতে পারেন। সেখানে ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই। সবাই শান্তিতে থাকবেন। শান্তি যাতে রক্ষিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে একজোট হয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।’

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর এবং সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা। সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন জয়ন্তকুমার দেব এবং তাপসচন্দ্র পাল। এ ছাড়াও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য সভার পক্ষ থেকে ছিলেন কাজল দেবনাথ এবং মণীন্দ্রকুমার নাথ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ইউনূসের সামনে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন বলে জল্পনা। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা ইত্যাদি। জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। প্রয়োজনে সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। বলা হয়েছে মন্দির, গির্জা বা কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা হলে ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই নম্বরে ফোন বা এসএমএস করে জানানো যাবে।

Sweta Chakrabory | 10:20 AM, Wed Aug 14, 2024

Muhammad Yunus: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশে, কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের পরও সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা থামেনি। জানা গিয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। তাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মোকাবিলার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইউনূস।

বর্তমানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আসছে নানা দিক থেকে। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশে কীভাবে স্থিতাবস্থা আনা যায় এবং উদীয়মান সঙ্কটের কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার বিকেলেই এই বৈঠক হওয়ার কথা।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের (Bangladesh Crisis) পর থেকে বাংলাদেশ নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। তাই বর্তমানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষা আইনের দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানাবে আন্দোলনরত হিন্দু ছাত্র সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিনিধিরা। এই আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— হিন্দুদের উপর হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল গঠন, জরুরি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে আপগ্রেড করার দাবি, পালি শিক্ষা পর্ষদের আধুনিকীকরণ, শারদীয় দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।

প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে এই বিষয়ে প্রথম একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে লেখা হয়, “দেশের কোথাও কোথাও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনা ঘটেছে। এটি উদ্বেগজনক।” এই বিবৃতি প্রকাশের পরেই জানা যায়, সোমবার সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।

Sweta Chakrabory | 17:54 PM, Mon Aug 12, 2024

Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত


নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। আর অন্যদিকে এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ''বর্তমানে ওই দেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।''

এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর আজ বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে, জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

Sweta Chakrabory | 13:55 PM, Thu Aug 08, 2024

BSF on Bangladesh Border: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে সীমান্তে হাজির শরণার্থীর দল! বুধবার ঠিক কী ঘটল, জানাল বিএসএফ


নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশি দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি।

বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় তাঁরা। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

Sweta Chakrabory | 11:51 AM, Thu Aug 08, 2024

Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আজ গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের, প্রধান ‘গরিবের রক্ত চোষা’ ইউনূস!

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis)। সংসদ ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এদিকে অশান্তি অব্যাহত দেশে (Interim Government)। অশান্তির আগুন নেভাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চলেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতেই গঠিত হবে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়ে দিলেন সে দেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফিরবেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। তাঁকেই প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন রাত আটটা নাগাদ শপথ নিতে পারেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্যারিস থেকে ঢাকায় ফিরছেন ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভার তালিকা প্রকাশিতও হওয়ার কথা। ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করে দেশের চলা অরাজক অবস্থায় ইতি টানতে চাইছে বাংলাদেশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই দেশবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানালেন নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক (Bangladesh Crisis)। তিনি বললেন, “হিংসার মাধ্যমে কোনও কিছুর সমাধান সম্ভব নয়। মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা যাতে এই জয়ের সুফল কুড়োতে পারি, সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কোনও ভুলের কারণে যেন এই জয়কে পরাজয়ে পরিণত না করি।” তিনি বলেন, “আমি বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার, সব ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ইউনূস বলেছেন, “আমাদের প্রিয় এই সুন্দর ও বিপুল সম্ভাবনাপূর্ণ দেশটিকে আমাদের নিজেদের (Interim Government) ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা ও একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমাদের প্রধান কাজ। একটি নতুন পৃথিবী বিনির্মাণে আমাদের তরুণরা প্রস্তুত। অকারণে হিংসা করে এই সুযোগটি আমরা হারাতে পারি না। হিংসা আমাদের সকলেরই শত্রু। দয়া করে শত্রু সৃষ্টি করবেন না। সকলে শান্ত থাকুন। দেশ পুনর্গঠনে এগিয়ে আসুন। অনুগ্রহ করে নিজে শান্ত থাকুন এবং আপনার আশপাশের সকলকে শান্ত থাকতে সহায়তা করুন।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবউদ্দিন ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেটাই জানিয়ে দেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, “ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে আসবেন। আমরা সকলে তাঁকে সরকার গড়তে সাহায্য করব। আশা করছি, সব ভালো হবে। আমরা এখন চমৎকার পরিবেশে কাজ করছি। আপনারা কেউ গুজবে কানা দেবেন না। নিজেরাও গুজব ছড়াবেন না।” তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবারই যাতে সরকার গঠিত হয়, সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করছি। ইউনূস দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ দেশে ফিরবেন। ৪০০ জনের উপস্থিতিতে রাত আটটা নাগাদ সরকারের শপথ গ্রহণ হতে পারে।”

পুলিশ কর্মী খুনের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পুলিশ। সে প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, “পুলিশে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। আশা করি, পুলিশের মনোবল ফিরবে। তারা দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা সকলে মিলে কাজ করব। দেশকে উপহার দেব সুন্দর ভবিষ্যৎ।” এদিকে, পুলিশকে কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন পুলিশের এআইজি শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, “পুলিশ জনগণের বন্ধু। সাধারণ মানুষকে এটা বুঝতে হবে। পুলিশ ছাড়া সমাজ চলে না। পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করছি, গুজব উপেক্ষা করে কাজে ফিরুন।”

গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তৈরি করে ক্ষুদ্র ঋণের পরিচিতি দেওয়ায় ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান অর্থনীতির অধ্যাপক ইউনূস। যাঁরা সাধারণ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধা নিতে পারেন না, যাঁরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য এই ক্ষুদ্র ঋণের প্রথম পথ দেখান (Bangladesh Crisis) তিনিই। এহেন ইউনূসকে উপদেষ্টা রেখেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন ছাত্রদের একাংশ। অন্যদিকে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দণ্ড বাতিল হল ইউনূসের। বুধবার কারাদণ্ড থেকেও মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, “ইউনূস-সহ মামলায় প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারজনকেই বুধবার বেকসুর খালাস করেছে আদালত।” উল্লেখ্য, ইউনূসের সংস্থা গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্খন করে বেআইনিভাবে কাজ চালানোর মামলা চলছিল। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, যে কোনও সংস্থায় কর্মীদের কল্যাণমূলক তহবিল তৈরি করতে হয়। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকমে ওই তহবিলের ব্যবস্থা ছিল না। শ্রম আইন লঙ্খনের অভিযোগ দায়ের হয় ইউনূস ও তাঁর সংস্থার তিন কর্মীর নামে। গত পয়লা জানুয়ারি চারজনেকই দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকা আদালত। প্রত্যেককে ছ’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। নানা সময় হাসিনা সমালোচনা করেছেন ইউনূসের। তাঁকে ‘গরিবের রক্ত চোষা’ও বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দেশে সমালোচিত হলেও, পশ্চিমী দুনিয়ার শক্তিধর দেশগুলির কাছে ইউনূসের (Interim Government) গ্রহণযোগ্যতা অন্যদের তুলনায় ঢের বেশি (Bangladesh Crisis)।

Sweta Chakrabory | 10:33 AM, Thu Aug 08, 2024

BSF: জঙ্গি অনুপ্রবেশের শঙ্কা! বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামবাসীদের নিয়ে দল বিএসএফের, আরও নানা পদক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর কান্নার রোল। অন্যদিকে, একদলের উন্মত্ত উল্লাস। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সীমাহীন। সোনার বাংলা ভূলুণ্ঠিত। শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে আসছেন সীমান্তপারে। বাংলাদেশের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে তাই ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জলসীমানা অনেকটা। তাই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে জলসীমায়। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ডাঙাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কাঁটাতার ঘেরা সীমান্তে রাত-টহলের জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে জওয়ানের সংখ্যাও।'

বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে হাই অ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জলসীমানায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে জলে-স্থলে চলতে পারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। এদিন বেলায় ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ এই হোভারক্রাফ্ট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হোভারক্রাফ্টে চেপে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় টহলদারি শুরু করেছেন। অনেক সময়ে বাংলাদেশ থেকে জলদস্যু বা মৎস্যজীবীরা জলসীমানা পেরিয়ে চলে আসে এ পারে‌। ট্রলারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে এই হোভারক্রাফ্ট অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার প্রতিটি থানাই জলপথে পেট্রোলিং চালাচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার স্পিডবোট এবং এফআইবি বোট নদী এবং সমুদ্রে টহল দিয়েছে।

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার একজোট হলেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামে গ্রামে টিম করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। জেল ভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারে, এমন প্রচারও চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। মূলত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই, নদিয়া,  জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। গেদে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নদিয়ায় বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কোনও অপরিচিত মানুষ দেখলে গ্রামবাসীদের কী কর্তব্য সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা-আধিকারিকরা।

বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis) রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, ‘‘অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।’’ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।

উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ (BSF)। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, "সম্প্রতি বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কোনও সন্দেহজনক কাওকে বা অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বা পুলিশকে জানানো হয়।" দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৯৩৬ কিলোমিটার নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চারটি সেক্টরে মোট ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই ফাঁকা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। বিএসএফের তরফে ফাঁকা সীমান্তে জওয়ানদের নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ির মতো সীমান্ত থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হলে তড়িঘড়ি যাতে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) অমিত ত্যাগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে অনেকেই ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসছেন। অনিয়মে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে। তবে কাঁটাতারহীন কিছু এলাকায় জওয়ানদের তরফেই অস্থায়ী বেড়া দেওয়া রয়েছে।’’

সোমবার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ নেতা ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান।

Sweta Chakrabory | 10:29 AM, Thu Aug 08, 2024

Bangladesh Crisis: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন! প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশের হোটেলের ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের


নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে (Bangladesh Crisis) বর্তমানে কোণঠাসা হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। এবার নিজের প্রাণ বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিল ভারতীয় (Indian) এক যুবক। কয়েকদিন আগে ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন অসমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শাহিদ আলি। তখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা তপ্ত হয়নি। সে সময় দুজনে যশোরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার বিকেলে তাঁদের হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রাণে বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শাহিদ। মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দু পা ভেঙে গিয়েছে শাহিদের।

এ ঘটনার প্রসঙ্গে ভারতীয় ওই যুবকেরা জানান, আমদানি-রফতানির ব্যবসার কাজের সূত্রেই তাঁরা বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। যশোরের একটি হোটেলের ১২ তলার একটি ঘরে উঠেছিলেন তাঁরা। সোমবার দুপুরের পরে বাইরে কিছু শব্দ শুনে হোটেলের ঘরের জানলা খোলেন রবিউল এবং শহিদ। তাঁরা দেখেন আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) একাংশ ওই হোটেলটি ঘিরে ফিলেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে হোটেলের মধ্যে থেকে হট্টগোল শুনতে পান। খবর পান, হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে চার তলা থেকে পাশের একটি ভবনে চলে যান দু’জন। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন দুই ভাই। ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুই ভাই। তাঁদের কথায়, ‘‘কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরলাম। শুনেছি দু’জন মারা গিয়েছেন।’’ যদিও মৃতের কোনও তথ্য এখনও সরকারি ভাবে পাওয়া যায়নি। 

যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতির (Bangladesh Crisis) অবনতি হওয়ার পর, ভারত কূটনীতিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ভারত তার কূটনীতিক ও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা বর্তমানে বিমানবন্দরের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল, কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকা হয়ে ফিরে আসছে। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কাটিয়ে সোমবার রাত থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট পরিষেবা আবার শুরু হয়। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকজন ভারতীয় (Indian) যাত্রী মঙ্গলবার সকালে ফিরে আসেন দেশে। সেই সব যাত্রীদের মধ্যে এক যাত্রী জানান, "আমরা বাংলাদেশে কাজ করি। গতকাল আমাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রবিবার, আমরা ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা যখন রাত সাড়ে ন'টার সময় ফ্লাইটে উঠতে যাচ্ছিলাম, তখন জানতে পারি যে ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। এরপর আমরা কোনও খাবার ও জল ছাড়াই বিমানবন্দরে আটকে পড়েছিলাম।''

Sweta Chakrabory | 17:53 PM, Wed Aug 07, 2024

Seikh Hasina: শেখ হাসিনার জন্য প্রস্তুত ছিল রাফাল,বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর ডোভালের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) ভারতে এসেছিলেন সি১৩০জে বিমানে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী হেলিকপ্টারে উড়েছিলেন ঠিকই শেখ হাসিনা, কিন্তু তার পর সি১৩০জে বিমান দেওয়া হয় তাঁকে। সেই বিমানেই ভারতে আসেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি (Bangladesh Crisis) এ বিষয়ে কড়া নজর রেখেছিল হাসিনা যে বিমানে ভারতে আসেন, তার কল সাইন ছিল এজেক্স ১৪৩১ এবং ওই বিমান ভারতীয় সীমান্তে বেলা ০৩:০০ নাগাদ প্রবেশ করে। ভারতীয় র‍্যাডারগুলি বিমানের উপর কড়া নজর রেখেছিল।

যে পথে ভারতে এলেন হাসিনা (Seikh Hasina)

জানা গেছে ওই বিমানটি কলকাতার উপর দিয়ে উড়ে যায়। পাটনা হয়ে বিমানের গন্তব্য ছিল গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করার পর দুটি রাফাল বিমানকে সক্রিয় করা হয় যাতে কোনও সমস্যা হলে তারা ওই বিমানকে সুরক্ষা দিতে পারে। বিমানটি যখন পাটনার উপর দিয়ে উড়ে যায়, তখন বিকেল ০৪:০০ হয়ে গিয়েছিল। বিকেল ৫:৪৫ নাগাদ গাজিয়াবাদে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা। তাঁকে স্বাগত জানান এনএসএ অজিত ডোভালতড়িঘড়ি দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

পরিস্থিতির উপর নজর ভারতের 

এদিকে সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে ও ম্যাথিউ সহ ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বৈঠকে মন্ত্রীদের বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দেন।

Pankaj Kumar Biswas | 17:27 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অরাজকতা থামছে না প্রতিবেশী দেশে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন জেলায় হিংসা (Bangladesh Crisis) বাড়ছে। ইতিমধ্যেই লিটন দাস, মাশরাফি মুর্তাজা সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছেদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে লুঠপাঠের পর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে তালিবানি কায়দায় খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একের পর এক হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছেসবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরাযদিও এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহ অন্যান্যদের সুরক্ষায় (Save Bangladeshi Hindus) তৎপর হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন নম্বর (Bangladesh Helpline) চালু করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যদিও তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে বলেছে সেনাবাহিনী

সেনাবাহিনীর জারি করা হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা (Bangladesh Crisis)

ঢাকার জন্য

মোহাম্মদপুরে ক্যাপ্টেন সৈকত: ১৭৬৯৫১০৫১৫

মোহাম্মদপুরের ক্যাপ্টেন রিদনান সালেহ: ১৬৪১৯৬৮২৩৭

সেগুন বাগিচায় ক্যাপ্টেন আশিক: ১৭৩৮৯৯৮৪৫৮

উত্তরায় ক্যাপ্টেন আবরার: ১৭৪১৫৬৯৮৩২

মিরপুরে ক্যাপ্টেন আতাহার ইশতিয়াক: ১৭৬৯৫১১১৪৪

স্টেডিয়াম, পল্টনে ক্যাপ্টেন জাররাফ: ১৭০৮৩৭৫৩৭১

বারিধারায় ক্যাপ্টেন নাসিফ: ১৭৬৯৫১০৮০৩

আগারগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ইমরুল: ১৭০৫২৬০০১৯

গুলশন/বনানীর জন্য: ০১৭৬৯০১৩০৯৪

মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই-এর জন্য ক্যাপ্টেন শিহাব: ০১৭৬৬০৪৭৩২৩

ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)

ক্যাপ্টেন হিমেল (০১৭৬৬১৬২০৭৭)

উত্তরা, বিমানবন্দর, দিয়াবাড়ির জন্য ০১৭৬৯০২৪২৮০, ০১৭৬৯০২৪২৮৪ এবং ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ (পারভেজ) (০১৭৬৯৫১০৪৫৭)

মিরপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন মাহমুদ (০১৮৩৩৫৮৫৭৩৬, ০১৭৬৯০২৪২৫৬) এবং (০১৭৬৯০২৪২৫২)

 

জেলার হেল্পলাইন  (Bangladesh Helpline)

দিনাজপুর

কর্নেল রওশনুল ইসলাম (০১৭৬৯৬৮২৪৫৪)

ময়মনসিংহ

ক্যাপ্টেন ফয়সাল (০১৭৬৯২০৮১৭৪)

 

সিরাজগঞ্জ

ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত (০১৭৬৯৫১০৫২৪)

 

রামপুরা

কর্নেল রেহগির আল শহীদ (০১৭৬৯০৫৩১৫০)

 

রংপুর

ক্যাপ্টেন আশরাফ (০১৬১৫৩৩২৪৪৬) এবং ক্যাপ্টেন

মারিজ় (০১৭৪৫২০৭৪৬৯)

 

কিশোরগঞ্জ(ভৈরব)-এর জন্য ০১৭৬৯২০২৩৫৪ এবং

 

ক্যাপ্টেন রায়হান (০১৭৬৯২০২৩৬৬)

যশোর

ক্যাপ্টেন সাবির (০১৮৮৬৯১০৫১৪)

 

রাজবাড়ি

ক্যাপ্টেন এনাম (০১৭৯৫-৬১৫৯৫০)

 

কক্সবাজার ক্যাপ্টেন মুজতাহিদ (০১৭৬৯১১৯৯৮৮)

ঠাকুরগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ (০১৭৬৯৫১০৮৬৬) এবং ক্যাপ্টেন মোহতাশিম (০১৭৬৯০০৯৮৫৫)


বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভিডিও বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে হেল্পলাইনে নম্বরে (Bangladesh Helpline) ফোন করেও কাজের কাজ হয়নি লুটপাট হয়েছে হাজারো সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, অফিস ঘর। আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকি বিএনপি করেন, তাদেরও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। বাংলাদেশের শেরপুর এবং সাতক্ষীরায় ১২০০ বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছাড়া পাওয়া আসামিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে (Bangladesh Crisis) লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের যে পরিমাণ হিংসা শুরু হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না

Pankaj Kumar Biswas | 17:20 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh Crisis: সেনা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে জানালেন বিদেশ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায় হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

বিদেশ মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন,“স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সেনাবাহিনী প্রশাসনের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 16:51 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh: বঙ্গবন্ধুর খুনি সহ অজস্র বাংলাদেশী অপরাধীর আশ্রয়দাতা পশ্চিমবঙ্গ কেন? উঠছে প্রশ্ন

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আব্দুল মাজেদ ২০২০ সালে ঢাকা সংলগ্ন মিরপুর থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২২ বছর কলকাতায় লুকিয়ে ছিলেন। মাজেদের কাছে জাল ভারতীয় নথি পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে লুকিয়ে থাকাকালীন টের পায়নি বাম কিংবা পরবর্তী মমতা প্রশাসন। মাজেদ তাঁর গ্রেফতারের সময় স্বীকার করে, যে সে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) লুকিয়ে ছিল, তবে সে আত্মগোপনে থাকাকালীনতাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় নি সে

কী হয়েছিল ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ (Bangladesh)

আব্দুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সময় বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার আধিকারিক ছিলেন। ১৪ অগাস্ট ১৯৭৫ মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশি, শরিফুল হক ডালিম, মহিউদ্দিন আহমেদ, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী,আব্দুল মাজেদসহ বেশ কিছু সেনার আধিকারিক বেঙ্গল ল্যান্ড ল্যান্সার অস্ত্র বহর থেকে অস্ত্র লুট করে সেনা অভ্যুত্থান ঘটান সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়ন এই অভ্যুত্থানে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।১৫অগাস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য সহ মোট ৩৬ জন নিহত হন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁদের পরিবারের সকলকে হত্যা করার পর তাঁরা বঙ্গভবনে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকারের গঠন করেছে বলে ঘোষণা করে এবং সেই সরকারের প্রধান খন্দকার মুস্তাক আহমেদকে ঘোষণা করা হয়। এরপর জেলবন্দী আওয়ামী লীগের চার নেতা আবুল হাসনাত, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদকেও তাঁরা হত্যা করে

বঙ্গবন্ধু সহ বাকিদের হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া

১৯৯৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকার দায়রা জজ আদালত ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়২০০১ সালে, হাইকোর্ট তিনজনকে বেকসুর খালাস করে। ২০০৯ সালে পলাতক অবস্থাতেই মাজেদের মৃত্যুদন্ড ফের কার্যকর করা নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে, মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করা পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় পলাতক থাকার কারণে আব্দুল মাজেদ শাস্তি কার্যকর করা যায়নি। তিনি সেই সময় আত্মগোপন করে কলকাতায় ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি লুকিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আসেন। এরপরেই খবর পেয়ে বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রানজ্যাকশনাল ক্রাইম বিভাগ তাঁকে ৭ এপ্রিল ২০২০ মিরপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। মুজিব হত্যাকারী আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর কলকাতায় আত্মগোপন করেছিলেন, ১২ এপ্রিল ২০২০ আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা কারা?

আব্দুল মাজেদ ছাড়াও আরও আরও অনেক ঘাতক বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। নুর চৌধুরী নামে একজন কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী নামে একজন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। দুজনেই বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিলেন এবং তাঁদের বিচার এখনও হয়নি। এদের মধ্যে নুর চৌধুরী চৌধুরী সেই ব্যক্তি যিনি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছিলেন। পদ্মশ্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলি জহিরের মতে, বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করা একজন অফিসার, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন, কূটনৈতিক চ্যানেল এবং সর্বোচ্চ স্তরে বৈঠকের মাধ্যমে হত্যাকারীদের ফেরানোর আবেদন করেছিলেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের প্রত্যর্পণের আর্জি প্রত্যাখান করে দেয়। উভয় দেশের সরকারগুলি এই দুজনকে রক্ষা করে চলেছে। কানাডা এবং আমেরিকা দুষ্কৃতীদের আশ্রয়দাতা হয়ে উঠেছে। ভারতের শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সহ  সন্ত্রাসবাদী, খুনি এবং এই জাতীয় অন্যান্য অপরাধীদের জন্য আশ্রয়স্থল কানাডা।অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও বাংলাদেশের অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে বহু মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) রাজ্যে এসে আশ্রয় নেয়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রেফতার হয়। অনেকেই পালিয়ে যায়। চলতি বছর আনোয়ারুল আজিম আনার নিউটাউনে খুন হন। তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশ এবং আমেরিকায় পালিয়ে যায়। অথচ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি রাজ্যের পুলিশ। পরে বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়টি জানালে ময়দানে নামে সি আই ডি। এর আগে বাম আমলে ২০০৭ সালে, প্রায় জন বাংলাদেশী মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এর মধ্যে খুনি, ধর্ষক, চোরাকারবারি এমনকি স্থানীয় অপরাধীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে একজন হ্যারিস আহমেদ যিনি বাংলাদেশে ৪০টি হত্যা মামলা ও কয়েক ডজন তোলাবাজি মামলায় ওয়ান্টেড ছিলেন। জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সে পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে ছিল এবং সেই সময় একটি পোশাকের দোকান চালাত। তাছাড়া তিনি বাংলা থেকে ফোনে তার চাঁদাবাজি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পর ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতজনকে অপহরণ করে খুন মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ নূর হোসেন সহ তিন জন অস্ত্র সহ কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়। পরে তাঁকে বাংলাদেশের অনুরোধে ফেরত পাঠানো হয়। এহেন অনেক উদাহরণ রয়েছে বাংলাদেশী অপরাধীদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই নেওয়ার।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 16:45 PM, Wed Aug 07, 2024

RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা বাড়তেশুরু করে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আর বেড়েছে।বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট লুট করা হচ্ছে সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে এই পরিস্থিতি জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)

আরএসএসের দাবি (RSS)

আরএসএস সরকারের কাছে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভৈয়াজি জোশী বলেন, বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। " জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। জোশি আরও বিশদভাবে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাসকে বলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির

হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেনা

বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ২৪ টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ৪০ জনের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মনে করেন, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যদিও অনেক জায়গায় মুসলিমরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন এমন ছবিও দেখা গেছে। কিন্তু সকল সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।  

বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা (Bangladeshi Hindus)

জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০ টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus) তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে

Pankaj Kumar Biswas | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh Crisis: কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে হাসিনার পতন! ফিরে দেখা

নিউজ ডেস্ক: সোমবার ৫ অগাস্ট ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রসঙ্গত, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। যার ফলে মৃত্যু হয় ৩০০ জন মানুষের। হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিকরা শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা চালান। এরপরেই বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (Sheikh Hasina)। নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চলে আসেন ভারতে এবং গাজিয়াবাদের এক গোপন আস্তানায় তাঁকে রাখা হয়। এরইমধ্যে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা করেন যে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি, তিনি প্রতিশ্রুতিও দেন যে দেশের সমস্ত অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং নাগরিক হত্যার সুবিচার দেওয়া হবে। সোমবারই গণভবন দখলের পরে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে থাকে (Bangladesh Crisis)। ৫ অগাস্ট গণভবন দখল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা, তাঁর দেশ ছেড়ে যাওয়া- এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। আমরা সেই সমস্ত ঘটনাক্রমগুলি নিয়েই আজকে আলোচনা করব।

বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের গোড়াতেই। সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নীতিকে নিয়েই বিতর্কে সূত্রপাত। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পরিবারদের চাকরিতে ব্যাপক কোটা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, মহিলাদেরও অনেকটাই সংরক্ষণ দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই সমস্ত পরিবারের উত্তরসূরিদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে হাইকোর্টও এই সংরক্ষণ নীতিতে সিলমোহর দেয়। এরপরেই প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয় সেদেশে, পরবর্তীকালে তা ব্যাপক সহিংস আকার ধারণ করে। গত ১৮ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দফতরে আগুন লাগিয়ে দেয় সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি গুলিও চালায়। এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বাড়ে আহতদের সংখ্যাও (Bangladesh Unrest)। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, মহিলাদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেয়। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের (Sheikh Hasina) নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ের আন্দোলনে নিহত হন ২০০-এর ওপর মানুষ।

গত ২১ জুলাই সংরক্ষণ মামলায় রায় দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নিজেদের রায়ে জানায়, সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অন্যান্য শ্রেণির জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এর পাশাপাশি, পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ফিরে যেতে বলে শীর্ষ আদালত। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে হিংসা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান যে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সংরক্ষণ, সরকারি চাকরিতে একেবারে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পাশাপাশি, আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে যেভাবে ২০০ জন আন্দোলনকারীকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী হত্যা করেছে, সেটার ন্যায়-বিচারের দাবিতেও আবার দলে দলে মানুষ রাস্তায় নামতে থাকেন। ঢাকা, খুলনা, সিলেট, নরসিংদি, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে মসজিদে নমাজের পরেই অসংখ্য হিংসার (Bangladesh Crisis) ঘটনা সামনে আসতে থাকে। চট্টগ্রামে জুম্মার নামাজের পরে সেখানকার স্থানীয় ওয়াসা মোড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়তে থাকেন। পাল্টা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে, রবার বুলেট চালায়, টিয়ার গ্যাস ছুড়ে জবাব দেয়, চলে গুলিও। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিংসার পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। গত ৪ অগাস্ট আওয়ামি লিগ সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এর ফলে শতাধিক মানুষ নিহত হন। জানা যায়, নিহতদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ কর্মীও ছিলেন। বাংলাদেশের এমন সহিংস পরিস্থিতিতে রবিবারই দেশজুড়ে ফের একবার কার্ফু জারি করে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৫ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেয় হাসিনা সরকার। ঠিক এই আবহে 'বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা'- এই দাবি তুলে আসিফ মাহমুদের নেতৃত্বে পড়ুয়ারা 'লং মার্চ টু ঢাকা' অভিযান শুরু করেন সোমবার। একমাত্র লক্ষ্য হয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা (Bangladesh Crisis)।

বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে এই তীব্র সংঘর্ষের আবহে বাংলাদেশের জামাত-এ-ইসলামি ও বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ সরকারকে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারাও যোগ দেয় এই বিক্ষোভে। এর ফলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিএনপি ও জামাতের কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে যোগ দেয় হাসিনা সরকারের পতন অভিযানে। অর্থাৎ, সামনে ছাত্র আন্দোলন এবং পিছনে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জামাত-বিএনপির। এই দুই সংগঠন হিন্দু বিরোধী ও ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত। উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি বিএনপি ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং ভারত বিরোধী 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচার আন্দোলন চালায় (Bangladesh Crisis)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষোভকারীরা এখন বর্তমানে জামাত ও বিএনপি'র হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ঠিক সে কারণেই তাদের কার্যকলাপগুলিও সেভাবে দেখা যাচ্ছে। হিন্দু মন্দির গুলিতে হামলা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক যুগের অবসান (Bangladesh Crisis) ঘটল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Sweta Chakrabory | 12:57 PM, Tue Aug 06, 2024
upload
upload