Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

bangladesh hindu

Bangladesh Durga Puja: বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে হুমকি, পুজো করতে হলে দিতে হবে ৫ লাখ!


নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাদেই পুজো। কিন্তু ওপার বাংলায় পুজো (Bangladesh Durga Puja) ঘিরে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, ভয়ের পরিবেশ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ঘনঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। কার্যত তোলাবাজি চলছে। বলা হচ্ছে, টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে না।

আসলে সম্প্রতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়স্থান। এনিয়ে সেখানকার হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে এবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও এবার পুজোয় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Durga Puja)। দেশের নেতারা সম্প্রীতির কথা বলছেন। তার পরেও থামছে না হুমকি। জানা গিয়েছে খুলনায় এক পুজো কমিটির কাছে এক উড়ো চিঠি এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুজো করতে গেলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। 'এক সপ্তাহের ওই টাকা তৈরি রাখতে হবে। কালিনগর বাজারে যেখানে বলব সেখানে টাকা নিয়ে যাবি। প্রশাসন বা সাংবাদিকদের বললে কচুকাটা করব। তোদের পরিবারও রেহাই পাবে না। প্রশাসন, সেনাবাহিনী সব আমাদের কেনা। কোনও চালাকি করবি না। টাকা না পেলে কেটে টুকরো টুকরো করব।'

প্রসঙ্গত, মৌলবাদীরা প্রতি বছর পুজোয় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজো প্যান্ডেলগুলিকে টার্গেট করে। শেখ হাসিনার শাসনকালে সারা দেশে (Bangladesh Durga Puja) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই পুজোয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আলাদা। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পরেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার নেমে এসেছিল। আর এবার হুমকি চিঠি পাওয়ায় দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশের পুজো কমিটিগুলি।

যদিও বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর (Bangladesh Durga Puja) নিরাপত্তা নিয়ে আইজি ময়মুল ইসলাম বলেন, ''দুর্গাপূজোয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। পুলিস দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রাক-দুর্গাপুজো, দুর্গাপুজো চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপুজো-পরবর্তী- এ তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে পুলিসের পুজোকেন্দ্রিক নিরাপত্তার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোমণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিস সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।''

Sweta Chakrabory | 14:49 PM, Thu Sep 26, 2024

Medhas Muni Ashram: বাংলাদেশে মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ, আগেও হয়েছিল হামলা

নিউজ ডেস্ক: মেধস মুনির আশ্রম (Medosh Munir Ashram) বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। প্রথম দুর্গাপুজোর (Durga Puja) প্রচলন এই আশ্রমেই হয়েছিল বলে বিশ্বাস হিন্দুদের। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হল পাহাড়ের ওপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম। প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেকগুলি মন্দিরও রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রমকে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন স্বরূপ চৌধুরী। তিনি জানান, ৩০জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে মন্দিরকে দেখাশোনার জন্য। অন্যদিকে, আশ্রমেরই এক সন্ন্যাসী শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজ অভিযোগ এনেছেন যে শ্রী শ্রী চণ্ডী তীর্থ ও মেধস মুনির আশ্রমের মোট জমির পরিমাণ ছিল ৬৮.১৯ একর। কিন্তু বেশ কিছু প্রভাবশালী মানুষজন নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই জমি দখল করেছেন। জমি দখলের পরিমাণ ৫৫ একর।

মেলেনি সরকারি সাহায্য (Medosh Munir Ashram)

বোয়াখালী থেকে মন্দির যাওয়ার পথ একেবারেই দুর্গম কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন এই আশ্রমে (Medosh Munir Ashram)আশ্রমকে ঘিরে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ। নির্জন ও শান্ত পরিবেশ আশ্রমের। কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, যদি যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা যেত তাহলে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় আরও বাড়তে পারত। ভক্তদের দানের ওপর নির্ভর করেই চলে এই মন্দির, সরকারি সাহায্য মেলেনি বলেও অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষের।

রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য

দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু-জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের। ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া হয়েছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির (Medosh Munir Ashram)

মেধস মুনির আশ্রমে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) পৌরাণিক আখ্যান

রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 17:23 PM, Sun Jul 07, 2024
upload
upload