Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

bangladesh news update

Seikh Hasina: শেখ হাসিনার জন্য প্রস্তুত ছিল রাফাল,বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর ডোভালের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) ভারতে এসেছিলেন সি১৩০জে বিমানে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী হেলিকপ্টারে উড়েছিলেন ঠিকই শেখ হাসিনা, কিন্তু তার পর সি১৩০জে বিমান দেওয়া হয় তাঁকে। সেই বিমানেই ভারতে আসেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি (Bangladesh Crisis) এ বিষয়ে কড়া নজর রেখেছিল হাসিনা যে বিমানে ভারতে আসেন, তার কল সাইন ছিল এজেক্স ১৪৩১ এবং ওই বিমান ভারতীয় সীমান্তে বেলা ০৩:০০ নাগাদ প্রবেশ করে। ভারতীয় র‍্যাডারগুলি বিমানের উপর কড়া নজর রেখেছিল।

যে পথে ভারতে এলেন হাসিনা (Seikh Hasina)

জানা গেছে ওই বিমানটি কলকাতার উপর দিয়ে উড়ে যায়। পাটনা হয়ে বিমানের গন্তব্য ছিল গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করার পর দুটি রাফাল বিমানকে সক্রিয় করা হয় যাতে কোনও সমস্যা হলে তারা ওই বিমানকে সুরক্ষা দিতে পারে। বিমানটি যখন পাটনার উপর দিয়ে উড়ে যায়, তখন বিকেল ০৪:০০ হয়ে গিয়েছিল। বিকেল ৫:৪৫ নাগাদ গাজিয়াবাদে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা। তাঁকে স্বাগত জানান এনএসএ অজিত ডোভালতড়িঘড়ি দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

পরিস্থিতির উপর নজর ভারতের 

এদিকে সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র ত্রিবেদী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে ও ম্যাথিউ সহ ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বৈঠকে মন্ত্রীদের বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দেন।

Pankaj Kumar Biswas | 17:27 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অরাজকতা থামছে না প্রতিবেশী দেশে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন জেলায় হিংসা (Bangladesh Crisis) বাড়ছে। ইতিমধ্যেই লিটন দাস, মাশরাফি মুর্তাজা সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছেদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে লুঠপাঠের পর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে তালিবানি কায়দায় খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একের পর এক হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছেসবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরাযদিও এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহ অন্যান্যদের সুরক্ষায় (Save Bangladeshi Hindus) তৎপর হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন নম্বর (Bangladesh Helpline) চালু করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যদিও তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে বলেছে সেনাবাহিনী

সেনাবাহিনীর জারি করা হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা (Bangladesh Crisis)

ঢাকার জন্য

মোহাম্মদপুরে ক্যাপ্টেন সৈকত: ১৭৬৯৫১০৫১৫

মোহাম্মদপুরের ক্যাপ্টেন রিদনান সালেহ: ১৬৪১৯৬৮২৩৭

সেগুন বাগিচায় ক্যাপ্টেন আশিক: ১৭৩৮৯৯৮৪৫৮

উত্তরায় ক্যাপ্টেন আবরার: ১৭৪১৫৬৯৮৩২

মিরপুরে ক্যাপ্টেন আতাহার ইশতিয়াক: ১৭৬৯৫১১১৪৪

স্টেডিয়াম, পল্টনে ক্যাপ্টেন জাররাফ: ১৭০৮৩৭৫৩৭১

বারিধারায় ক্যাপ্টেন নাসিফ: ১৭৬৯৫১০৮০৩

আগারগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ইমরুল: ১৭০৫২৬০০১৯

গুলশন/বনানীর জন্য: ০১৭৬৯০১৩০৯৪

মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই-এর জন্য ক্যাপ্টেন শিহাব: ০১৭৬৬০৪৭৩২৩

ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)

ক্যাপ্টেন হিমেল (০১৭৬৬১৬২০৭৭)

উত্তরা, বিমানবন্দর, দিয়াবাড়ির জন্য ০১৭৬৯০২৪২৮০, ০১৭৬৯০২৪২৮৪ এবং ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ (পারভেজ) (০১৭৬৯৫১০৪৫৭)

মিরপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন মাহমুদ (০১৮৩৩৫৮৫৭৩৬, ০১৭৬৯০২৪২৫৬) এবং (০১৭৬৯০২৪২৫২)

 

জেলার হেল্পলাইন  (Bangladesh Helpline)

দিনাজপুর

কর্নেল রওশনুল ইসলাম (০১৭৬৯৬৮২৪৫৪)

ময়মনসিংহ

ক্যাপ্টেন ফয়সাল (০১৭৬৯২০৮১৭৪)

 

সিরাজগঞ্জ

ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত (০১৭৬৯৫১০৫২৪)

 

রামপুরা

কর্নেল রেহগির আল শহীদ (০১৭৬৯০৫৩১৫০)

 

রংপুর

ক্যাপ্টেন আশরাফ (০১৬১৫৩৩২৪৪৬) এবং ক্যাপ্টেন

মারিজ় (০১৭৪৫২০৭৪৬৯)

 

কিশোরগঞ্জ(ভৈরব)-এর জন্য ০১৭৬৯২০২৩৫৪ এবং

 

ক্যাপ্টেন রায়হান (০১৭৬৯২০২৩৬৬)

যশোর

ক্যাপ্টেন সাবির (০১৮৮৬৯১০৫১৪)

 

রাজবাড়ি

ক্যাপ্টেন এনাম (০১৭৯৫-৬১৫৯৫০)

 

কক্সবাজার ক্যাপ্টেন মুজতাহিদ (০১৭৬৯১১৯৯৮৮)

ঠাকুরগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ (০১৭৬৯৫১০৮৬৬) এবং ক্যাপ্টেন মোহতাশিম (০১৭৬৯০০৯৮৫৫)


বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভিডিও বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে হেল্পলাইনে নম্বরে (Bangladesh Helpline) ফোন করেও কাজের কাজ হয়নি লুটপাট হয়েছে হাজারো সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, অফিস ঘর। আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকি বিএনপি করেন, তাদেরও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। বাংলাদেশের শেরপুর এবং সাতক্ষীরায় ১২০০ বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছাড়া পাওয়া আসামিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে (Bangladesh Crisis) লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের যে পরিমাণ হিংসা শুরু হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না

Pankaj Kumar Biswas | 17:20 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh Crisis: সেনা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে জানালেন বিদেশ মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায় হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

বিদেশ মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন,“স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সেনাবাহিনী প্রশাসনের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 16:51 PM, Wed Aug 07, 2024

Bangladesh: বঙ্গবন্ধুর খুনি সহ অজস্র বাংলাদেশী অপরাধীর আশ্রয়দাতা পশ্চিমবঙ্গ কেন? উঠছে প্রশ্ন

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আব্দুল মাজেদ ২০২০ সালে ঢাকা সংলগ্ন মিরপুর থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২২ বছর কলকাতায় লুকিয়ে ছিলেন। মাজেদের কাছে জাল ভারতীয় নথি পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে লুকিয়ে থাকাকালীন টের পায়নি বাম কিংবা পরবর্তী মমতা প্রশাসন। মাজেদ তাঁর গ্রেফতারের সময় স্বীকার করে, যে সে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) লুকিয়ে ছিল, তবে সে আত্মগোপনে থাকাকালীনতাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় নি সে

কী হয়েছিল ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ (Bangladesh)

আব্দুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সময় বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার আধিকারিক ছিলেন। ১৪ অগাস্ট ১৯৭৫ মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশি, শরিফুল হক ডালিম, মহিউদ্দিন আহমেদ, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী,আব্দুল মাজেদসহ বেশ কিছু সেনার আধিকারিক বেঙ্গল ল্যান্ড ল্যান্সার অস্ত্র বহর থেকে অস্ত্র লুট করে সেনা অভ্যুত্থান ঘটান সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়ন এই অভ্যুত্থানে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।১৫অগাস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য সহ মোট ৩৬ জন নিহত হন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁদের পরিবারের সকলকে হত্যা করার পর তাঁরা বঙ্গভবনে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকারের গঠন করেছে বলে ঘোষণা করে এবং সেই সরকারের প্রধান খন্দকার মুস্তাক আহমেদকে ঘোষণা করা হয়। এরপর জেলবন্দী আওয়ামী লীগের চার নেতা আবুল হাসনাত, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমেদকেও তাঁরা হত্যা করে

বঙ্গবন্ধু সহ বাকিদের হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া

১৯৯৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকার দায়রা জজ আদালত ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়২০০১ সালে, হাইকোর্ট তিনজনকে বেকসুর খালাস করে। ২০০৯ সালে পলাতক অবস্থাতেই মাজেদের মৃত্যুদন্ড ফের কার্যকর করা নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে, মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করা পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় পলাতক থাকার কারণে আব্দুল মাজেদ শাস্তি কার্যকর করা যায়নি। তিনি সেই সময় আত্মগোপন করে কলকাতায় ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি লুকিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আসেন। এরপরেই খবর পেয়ে বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রানজ্যাকশনাল ক্রাইম বিভাগ তাঁকে ৭ এপ্রিল ২০২০ মিরপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। মুজিব হত্যাকারী আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর কলকাতায় আত্মগোপন করেছিলেন, ১২ এপ্রিল ২০২০ আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা কারা?

আব্দুল মাজেদ ছাড়াও আরও আরও অনেক ঘাতক বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। নুর চৌধুরী নামে একজন কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী নামে একজন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। দুজনেই বাংলাদেশে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিলেন এবং তাঁদের বিচার এখনও হয়নি। এদের মধ্যে নুর চৌধুরী চৌধুরী সেই ব্যক্তি যিনি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছিলেন। পদ্মশ্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলি জহিরের মতে, বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করা একজন অফিসার, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন, কূটনৈতিক চ্যানেল এবং সর্বোচ্চ স্তরে বৈঠকের মাধ্যমে হত্যাকারীদের ফেরানোর আবেদন করেছিলেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের প্রত্যর্পণের আর্জি প্রত্যাখান করে দেয়। উভয় দেশের সরকারগুলি এই দুজনকে রক্ষা করে চলেছে। কানাডা এবং আমেরিকা দুষ্কৃতীদের আশ্রয়দাতা হয়ে উঠেছে। ভারতের শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সহ  সন্ত্রাসবাদী, খুনি এবং এই জাতীয় অন্যান্য অপরাধীদের জন্য আশ্রয়স্থল কানাডা।অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও বাংলাদেশের অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে বহু মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) রাজ্যে এসে আশ্রয় নেয়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রেফতার হয়। অনেকেই পালিয়ে যায়। চলতি বছর আনোয়ারুল আজিম আনার নিউটাউনে খুন হন। তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশ এবং আমেরিকায় পালিয়ে যায়। অথচ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি রাজ্যের পুলিশ। পরে বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়টি জানালে ময়দানে নামে সি আই ডি। এর আগে বাম আমলে ২০০৭ সালে, প্রায় জন বাংলাদেশী মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এর মধ্যে খুনি, ধর্ষক, চোরাকারবারি এমনকি স্থানীয় অপরাধীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে একজন হ্যারিস আহমেদ যিনি বাংলাদেশে ৪০টি হত্যা মামলা ও কয়েক ডজন তোলাবাজি মামলায় ওয়ান্টেড ছিলেন। জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সে পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে ছিল এবং সেই সময় একটি পোশাকের দোকান চালাত। তাছাড়া তিনি বাংলা থেকে ফোনে তার চাঁদাবাজি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পর ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতজনকে অপহরণ করে খুন মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ নূর হোসেন সহ তিন জন অস্ত্র সহ কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়। পরে তাঁকে বাংলাদেশের অনুরোধে ফেরত পাঠানো হয়। এহেন অনেক উদাহরণ রয়েছে বাংলাদেশী অপরাধীদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই নেওয়ার।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 16:45 PM, Wed Aug 07, 2024

RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা বাড়তেশুরু করে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আর বেড়েছে।বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট লুট করা হচ্ছে সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে এই পরিস্থিতি জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)

আরএসএসের দাবি (RSS)

আরএসএস সরকারের কাছে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভৈয়াজি জোশী বলেন, বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। " জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। জোশি আরও বিশদভাবে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাসকে বলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির

হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেনা

বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ২৪ টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ৪০ জনের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মনে করেন, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যদিও অনেক জায়গায় মুসলিমরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন এমন ছবিও দেখা গেছে। কিন্তু সকল সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।  

বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা (Bangladeshi Hindus)

জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০ টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus) তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে

Pankaj Kumar Biswas | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
upload
upload