Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

bcci

Champions Trophy: পাকিস্তান থেকে সরতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! কোথায় হতে পারে টুর্নামেন্ট?


নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন বিসিসিআই ও আইসিসি-র সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে। কারণ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নারাজ বিসিসিআই। আর ভারতীয় দল (India) পাক মুলুকে খেলতে না গেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরতে পারে পাকিস্তান থেকে। আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্ট। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা ১ মার্চ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ক্রীড়াসূচির খসড়া আইসিসি-কে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আইসিসি-র এই প্রতিযোগিতাটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দেশে গিয়ে খেলতে রাজি না-ও হতে পারে ভারত। গত বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি তারা। ফলে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে যেতে রাজি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলে তবেই পাকিস্তানে পাঠানো হবে রোহিত শর্মাদের। 

(Champions Trophy) জানা গিয়েছে, ভারতীয় দল পাক মুলুকে খেলতে না গেলে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা হতে পারে। ভেতরের খবর অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে সমর্থন করবে। তারাও পাকিস্তানে যেতে আপত্তি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ৮ বছর পরে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে, এমনটা ধরে নিয়েই সূচি তৈরি করেছিল পিসিবি। নিরাপত্তার কারণে একটি মাত্র মাঠেই ভারতের ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সব ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেন ইন ব্লু’র। কিন্তু ভারত আপত্তি জানানোয় এখন এই ম্যাচ (Champions Trophy) কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সেটাই দেখার। 

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের (India) ওডিআই স্কোয়াডের জন্য নিশ্চিত নয় হার্দিক পান্ড্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যার বারবার খেলার মাঠে আহত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে হার্দিকের। তাই তাকে ঘরোয়া সার্কিটে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। ম্যানেজমেন্ট তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাকে আরও ভালো করে যাচাই করে নিতে চায়। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাছাই হিসাবে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর প্যাটেলকে অগ্রাধিকার দিতে পারে বলে এমনটাই খবর মিলেছে।

Sweta Chakrabory | 13:03 PM, Sat Jul 20, 2024

Gautam Gambhir: দ্রাবিড়ের পরে গম্ভীরেই আস্থা বোর্ডের, দল নিয়ে কী লক্ষ্য নতুন কোচের?

নিউজ ডেস্ক: গৌতম গম্ভীরকেই (Gautam Gambhir) ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। অবশেষে মঙ্গলবার সরকারি ভাবে গম্ভীরকে কোচ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। আইপিএলে মেন্টর হিসাবে সাফল্য, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং ভারতের ক্রিকেট পরিকাঠামো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকায় গম্ভীর এগিয়ে ছিলেন। এবার সিল মোহর পড়ল।

সব ঠিকঠাকই ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু ঘোষণার। মঙ্গলবার রাতে বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহ টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের নাম ঘোষণা করে দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জয় শাহ ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে স্বাগত জানান গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে আবেগ ভরা পোস্ট করেন গৌতম গম্ভীর। নতুন দায়িত্বে ভারতীয় দলে ফিরতে পেরে খুশি বলে জানান গৌতি। দেশকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করবেন বলে জানান গম্ভীর।

সূত্রের খবর, আইপিএল ফাইনালের পর গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সঙ্গে একান্তে বৈঠক হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখের। দীর্ঘ বৈঠকের পর দেশের স্বার্থে গম্ভীরকে ছাড়তে রাজি হন শাহরুখ। তাঁর সম্মতি পাওয়ার পর বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গম্ভীর। তাঁকে পেতে আগ্রহী বিসিসিআই কর্তারাও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। বিরাট কোহলিও নাকি গম্ভীরের নাম সুপারিশ করেছিলেন বোর্ড কর্তাদের কাছে। কেকেআর কর্ণধার রাজি হতেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলা হয়। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে গম্ভীর বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কমিটির সদস্যদের পাঁচটি শর্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। গম্ভীরের শর্তগুলি মেনে নেন বিসিসিআই কর্তারা।

গম্ভীরের (Gautam Gambhir) নির্বাচন নিয়ে নির্বাচক (BCCI) কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যতীন পরাঞ্জপে বলছেন, ' দলের মধ্যে কোচের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা আর সম্মান আসে তখনই যখন তাঁর অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো হয়। আর গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড অসাধারণ। যুব ক্রিকেটারদের সব সময়ই গৌতম গম্ভীর খুব সাহায্য করে। আর ক্রিকেটারদের মধ্যে ওর জন্য আলাদা একটা সম্মানের জায়গা রয়েছে কারণ গম্ভীর সব সময় বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। এখনকার ক্রিকেটারদের মনে আছে ওর ২০০৭ আর ২০১১ সালের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের কথা। 'উল্লেখ্য, ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গম্ভীর।

যতীন পরাঞ্জপে আরও বলেন, ‘ উঠতি প্রতিভাদের জন্য ক্যালেন্ডার প্ল্যান করার চিন্তাভাবনা রয়েছে গৌতম গম্ভীরের। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও জোর দিতে বলা হয়েছে, আর দলের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গম্ভীর। আমরা আগেই ওর নাম ঘোষণা করলে ভুল বার্তা যেত, তাই বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। বিশ্বকাপের সময় কোচের নাম ঘোষণা করলে দলের ফোকাস নষ্ট হতে পারত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাই এখন ভারতীয় দলের লক্ষ্য, বলে জানান গম্ভীর। রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। ’

Sweta Chakrabory | 12:08 PM, Wed Jul 10, 2024

T20 World Cup 2024: ওয়াংখেড়েতে জনপ্লাবন, বন্দেমাতরম-এর সুরে উদ্বেলিত মেন ইন ব্লু! কী বললেন রোহিত-কোহলি?

নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে রাত বৃহস্পতিবার ক্রিকেট আবেগে ভাসল দেশ। দিল্লি থেকে মুম্বই চলল বিশ্বজয়ের (T20 World Cup 2024) বন্দনা। রাজধানীর রাজপথে চলল ভাঙরা। মেরিন-ড্রাইভে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত, কোহলি,  হার্দিক, বুমরারা। সকাল ৬.০৭ মিনিটে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে রোহিত শর্মাদের বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হোটেলে যেতেই সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। একটু বিশ্রাম নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে যায় ভারতীয় দল (Team India)। মোদি-সাক্ষাতের পর মুম্বই চলে যায় তারা। সেখানে হুডখোলা বাসে রোড শো এবং ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান। গোটা একটা দিন কার্যত ঘোরের মধ্যে কাটে ক্রিকেটারদের। দেশবাসীর অফুরান ভালবাসায় ভরে গেল তাঁদের মন।

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষ করেই বিমান সংস্থা ভিস্তারার বিমানে দিল্লি থেকে মুম্বই রওনা দেন রোহিতেরা। সেই বিমানের ‘কল সাইন’ রাখা হয় ‘ভিটিআই ১৮৪৫’। বিমানের ‘ফ্লাইট নম্বর’ ছিল ‘ইউকে১৮৪৫’। কোহলি ১৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেন। রোহিতের জার্সি নম্বর ৪৫। দুই ক্রিকেটারকেই সম্মান জানানো হয়।

ভারতীয় (Team India) ক্রিকেটারদের বিমান নামার অনেক আগে থেকে রাস্তার দখল নিয়েছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। ভারত অধিনায়কের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন।  জনসমুদ্র পেরিয়ে হুডখোলা বাসে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। রাস্তা জুড়ে ছিল প্রচুর মানুষ। তাঁদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার চেষ্টা করতে থাকে পুলিশ। জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে রোহিতদের হুডখোলা বাসের এগোতে সমস্যা হচ্ছিল। ধীর গতিতে বাস এগোচ্ছিল। বাসের মাথায় ট্রফি নিয়ে উল্লাস করছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। রোহিতদের দেখতে রাস্তার ধারে গাছের উপরেও লোক উঠে পড়েছিলেন।

ফিরে এসেছিল ২০১১-এর সেই রাত। এখানেই বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। এবার রোহিত-ব্রিগেড। থিকথিক করছিল ভিড়। বন্দেমাতরমের সুরের মূর্চ্ছনায় আরবসাগরের পাড় তখন উদ্বেলিত। মাঠের মাঝে একটি মঞ্চ করা হয়েছিল। তার সামনে চেয়ারে বসে ক্রিকেটারেরা। ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আধিকারিকেরা। ট্রফি রেখে জাতীয় সঙ্গীত গান তাঁরা। তাতে গলা মেলান দর্শকেরা। এর পর একে একে রোহিত, রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট কোহলি এবং যশপ্রীত বুমরাকে ডেকে নেন সঞ্চালক। প্রত্যেকে বিশ্বজয়ের মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন। শেষে ট্রফি নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে গোটা দল। র‌্যাকেটে করে বল ছুড়ে দেওয়া হয় দর্শকদের দিকে। এদিনই বিশ্বজয়ের পুরস্কার স্বরূপ ১২৫ কোটি টাকার চেক ভারতীয় দলের হাতে তুলে দেয় বিসিসিআই। এই টাকা দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

বিশ্বকাপ ট্রফি (T20 World Cup 2024) দেশবাসীকে উৎসর্গ করেলেন রোহিত। তিনি বলেন, “আমরা যেমন ১১ বছর অপেক্ষা করেছি তেমন দেশবাসীও করেছে। ওরা আমাদের হাতে ট্রফি দেখতে চেয়েছিল। সেই প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। এই জয় শুধু আমাদের নয়, দেশবাসীর জয়।” মুম্বই যে কখনও তাঁকে খালি হাতে পাঠায়নি সে কথাও জানিয়েছেন রোহিত। ট্রফি জিতে তাই মুম্বইয়ে ফিরে উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন হার্দিক, সূর্যকুমার, বুমরা, কোহলি-সহ পুরো দলকে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়ে রোহিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁর খেলায় খুব আগ্রহ। ওঁর সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লাগল।”

এবার বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জিতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি কোহলি। গত শনিবারের কথা বলতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘২০১১ সালে এই মাঠে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, খুব আনন্দ হয়েছিল। তখন আমার বয়স ২১ কী ২২। তখন দলের সিনিয়রদের চোখে জল দেখেছিলাম। তাঁদের কান্নার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি। মনে আছে সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলাম আমরা। তাও মনে হয়েছিল, আমরা তো সহজেই বিশ্বকাপ জিতলাম। এ বার উপলব্ধি করলাম একটা বিশ্বকাপ জেতা কত কঠিন। নিজে কেঁদে বুঝলাম ২০১১ সালে সিনিয়রেরা কেন কেঁদে ছিল। আমি আর রোহিত শর্মা ১৫ বছর ধরে এক সঙ্গে খেলছি। আমরা দু’জনেই এক বার করে বিশ্বকাপ জিতেছি। দেশকে আরও একটা বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করেছি। পারিনি। এ বার জেতার পর দু’জনেই কাঁদছিলাম। কাঁদতে কাঁদতেই আমরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই মুহূর্তটা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা।’’

Sweta Chakrabory | 11:47 AM, Fri Jul 05, 2024
upload
upload