Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

bhupatinagar incident update

Bhupatinagar incident update: অপরাধীদের বাঁচাতে ফের 'ঘৃণ্য' রাজনীতি TMC-র ! অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা! 


নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সোমবার নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। সেই অনুযায়ী কমিশনের দফতরে যায় তাদের এক প্রতিনিধি দল। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তাঁরা ধর্নাতেও বসেন। যদিও তাঁদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁরা থানার বাইরে টেবিল ও চাদর পেতে বসে থাকেন। পুলিশ থানাকে রাজনীতির জায়গায় পরিণত না করার অনুরোধ করলেও তাঁরা সেখানে দিনভর বসে ছিলেন।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই বিষয়ে পদক্ষেপের দাবিতে সোমবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এরপর রাতভর দিল্লিতে মন্দিরমার্গ থানায় ধর্না দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। আর সেই ধরনা নিয়েও নাটকীয়তা তুঙ্গে। পুলিশের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়,সোমবার সন্ধ্যা ৬টার সময় তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁরা জোর করে থানার চত্বরে বসে আছেন। থানা চত্বরকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার না করার জন্যও আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। বলা হয়, কাউকে সরকারিভাবে গ্রেফতারও করা হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায় আম আদমি পার্টি। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূল অপরাধীদের আড়াল এবং সমর্থন দুটোই করছে তৃণমূল। এখন বিষয়টা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেছে”।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভূপতিনগরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। আর ৬ এপ্রিল এই মামলার তদন্তে ভূপতিনগরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনআইএ আধিকারিকদের। জখম হন দুই আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। এই ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকরা কতটা জখম হয়েছেন তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এফআইআর যাতে খারিজ করা হয় সেই জন্য মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন এনআইএ-র গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন।

Sweta Chakrabory | 18:04 PM, Tue Apr 09, 2024
upload
upload