RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Nadia: সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানের ওপর হামলা পাচারকারীর, উদ্ধার সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা
নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে (Nadia) ফের সোনা উদ্ধার করল বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিজয়পুর গ্রাম। এই গ্রামে চোরাচালানের কারবার বহু বছর থেকেই চলে আসছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত জওয়ানরা এক পাচারকারীকে হাতনাতে ধরেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ সোনা। পাচার করতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে বিএসএফ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।
বিজয়পুর গ্রামে সকালে টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত জওয়ানরা। সেই সময় ওই গ্রাম থেকে একজন পাচারকারী সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। কর্তব্যরত জওয়ানদের ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। বিএসএফ সূত্রের খবর, সীমান্ত পারে বাঁশ বাগানের মধ্যে দিয়ে ওই ব্যক্তি সাইকেলে করে যাচ্ছিল। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশির চেষ্টা করে বিএসএফ। তৎক্ষণাৎ ওই সাইকেল-আরোহী পালানোর চেষ্টা করে। ওই পাচারকারীর সঙ্গে বিএসএফের জওয়ানদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই চোরাচালানকারী পালানোর চেষ্টায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। তাড়াহুড়োয় পালানোর সময় ওই পাচারকারীর কোমরে বাঁধা সোনার বিস্কুটগুলি পড়ে যায়। তখনই বিএসএফের সন্দেহ প্রমাণিত হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সমস্ত সোনা।
বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২টি সোনার বিস্কুট, ৮টি সোনার ইট এবং ১টি ছোট সোনা আটক করা করেছে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়রের অধীনস্থ বিজয়পুর বর্ডার ফাঁড়ির ৩২তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। ইতিমধ্যেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার কথা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। যে সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বলে জানা যাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের খবর এলাকায় চাউর হতেই তা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এই পাচারের কাজে আর কারা যুক্ত তা জানতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত
নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। আর অন্যদিকে এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দিল্লিতে ফেরালো ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ''বর্তমানে ওই দেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।''
এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর আজ বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে, জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
BSF on Bangladesh Border: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে সীমান্তে হাজির শরণার্থীর দল! বুধবার ঠিক কী ঘটল, জানাল বিএসএফ
নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশি দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় তাঁরা। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
BSF: জঙ্গি অনুপ্রবেশের শঙ্কা! বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামবাসীদের নিয়ে দল বিএসএফের, আরও নানা পদক্ষেপ
নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর কান্নার রোল। অন্যদিকে, একদলের উন্মত্ত উল্লাস। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সীমাহীন। সোনার বাংলা ভূলুণ্ঠিত। শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে আসছেন সীমান্তপারে। বাংলাদেশের এই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে তাই ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জলসীমানা অনেকটা। তাই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে জলসীমায়। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ডাঙাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কাঁটাতার ঘেরা সীমান্তে রাত-টহলের জন্য নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে জওয়ানের সংখ্যাও।'
বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে হাই অ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের জলসীমানায় ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে জলে-স্থলে চলতে পারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। এদিন বেলায় ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ এই হোভারক্রাফ্ট। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা হোভারক্রাফ্টে চেপে বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমানায় টহলদারি শুরু করেছেন। অনেক সময়ে বাংলাদেশ থেকে জলদস্যু বা মৎস্যজীবীরা জলসীমানা পেরিয়ে চলে আসে এ পারে। ট্রলারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে এই হোভারক্রাফ্ট অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার প্রতিটি থানাই জলপথে পেট্রোলিং চালাচ্ছে। এ দিন সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার স্পিডবোট এবং এফআইবি বোট নদী এবং সমুদ্রে টহল দিয়েছে।
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার একজোট হলেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামে গ্রামে টিম করে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। জেল ভাঙা জামাত জঙ্গিরা যে কোনও সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পারে, এমন প্রচারও চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। মূলত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। গেদে ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নদিয়ায় বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য-সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা। কোনও অপরিচিত মানুষ দেখলে গ্রামবাসীদের কী কর্তব্য সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা-আধিকারিকরা।
বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis) রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, ‘‘অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।’’ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ (BSF)। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুর্যকান্ত শর্মা বলেন, "সম্প্রতি বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে কোনও সন্দেহজনক কাওকে বা অপরিচিত কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বা পুলিশকে জানানো হয়।" দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত উত্তরের পাঁচ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৯৩৬ কিলোমিটার নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে। সীমান্তে নজরদারির জন্য চারটি সেক্টরে মোট ১৮টি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ১০৯ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সেই ফাঁকা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে। বিএসএফের তরফে ফাঁকা সীমান্তে জওয়ানদের নজরদারি দ্বিগুণ করা হয়েছে। চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ির মতো সীমান্ত থেকে এক দেড় কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হলে তড়িঘড়ি যাতে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) অমিত ত্যাগী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে অনেকেই ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসছেন। অনিয়মে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে। তবে কাঁটাতারহীন কিছু এলাকায় জওয়ানদের তরফেই অস্থায়ী বেড়া দেওয়া রয়েছে।’’
সোমবার বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ নেতা ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ (BSF)। অনুপ্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান।
Bangladesh Protest: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া ফিরলেন দেশে
নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) এখন অগ্নিগর্ভ। সেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরে আসছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে আসছেন। আবার একই ভাবে নেপাল, ভুটান এবং মলদ্বীপের পড়ুয়ারাও সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে তারপর নিজের দেশে ফিরছেন। পড়ুয়াদের নিরাপদে নিজের দেশে ফিরতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফ (BSF)।
ভারতের বিএসএফ সূত্রে বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙা, নদিয়ার গেদে এবং মালদার মহদিপুর বর্ডারে বিশেষ হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত এই চারটি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ সহযোগিতা করে প্রায় ১২০৮ জন পড়ুয়াকে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ঢুকতে সহযোগিতা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০৪৫ জন ভারতীয়, ১৫২ জন নেপালি, ৮ জন ভুটানি এবং ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, ফুলবাড়ি দিয়ে অনেকই প্রবেশ করেছেন। কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে রবিবার ৪৪১ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪৩ জন ভারতীয়, ১৭৩ জন নেপাল, ২৫ জন ভুটান এবং একজন মলদ্বীপের ছাত্র। আবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। এই দলে উত্তর প্রদেশের ১ জন, নেপালের ১০ জন এবং ভুটানের ৩ জন পড়ুয়া রয়েছেন। একই ভাবে অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, "ভুটান এবং নেপালের অনুরোধ এই দুটি দেশের পড়ুয়াদেরও ভারতে আসতে সাহায্য করা হচ্ছে।"
বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তের ডিআইজি এ কে আর্য বলেছেন, “বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরাতে আমরা অত্যন্ত সচেতন। বিজিপির সঙ্গে আমরা সবসময় যোগাযোগ রেখে চলেছি। রাতের বেলাতেও যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। বর্ডারে বিশেষ হেল্প ডেস্ক সহ, মেডিক্যাল সুবিধার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”
ঢাকা থেকে ২০জনের একটি ভারতীয় পড়ুয়াদের দল দেশে ফিরেছেন। এই দলের মধ্যে গুজরাট এবং কাশ্মীরের বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা সকলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। এক ছাত্র ফাইজা বলেছেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) কার্ফু চলছে। তাই দেশে ফিরে এলাম। নিজেদের অত্যন্ত সুরক্ষিত মনে করছি।” একই ভাবে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ সহ বগুড়া, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জায়গার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা দেশে ফিরছেন। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়েও অনেক পড়ুয়াকে ভারতে ফেরাতে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে সীমান্ত সুরক্ষা বল।
Nadia: সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের, পাচার রুখতে চলল গুলি
নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের (BSF) গুলিতে গুরুতর জখম হন এক বাংলাদেশি পাচারকারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার মলুয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম আজমল হোসেন। তার বয়স ২৫ বছর। তাকে বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
নদিয়ার একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বেআইনিভাবে একাধিক জিনিস পাচারের অভিযোগ ওঠে। কোথাও গরু পাচার, আবার কোথাও সোনা পাচারের অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যার কারণে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও কঠোর পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী একদল গরু নিয়ে অনৈতিকভাবে সীমান্ত পারাপার করছিল। খবর পেয়ে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। বিএসএফ জওয়ানরা এলাকায় পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাচারকারীরা। এরপরই তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। তাতেই আজমল নামে পাচারকারীর পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় সে। তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা শক্তিনগর (Nadia) জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানেই বাংলাদেশি ওই চোরাচালানকারী আজমল চিকিৎসাধীন।
বিএসএফের এক কর্তা বলেন, সীমান্তে (Nadia) পাচার রুখতে কড়া নজরদারি চালায় বিএসএফ। এদিন জওয়ানরা সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল। সেই সময় একটি গ্যাং গরু পাচার করার চেষ্টা করে। জওয়ানরা প্রথমে তাদের থামতে বলে। কিন্তু, তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এই আজমল একটু সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মূলত, ভারতের কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা জানা যাবে। আর কীভাবে তারা এই চোরাচালান করে থাকে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।
India-Bangladesh Border: চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে আটক পাচারকারী
নিউজ ডেস্ক: চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে একজন পাচারকারীকে আটক করেছে বিএসএফ। ওই পাচারকারীর কাছ থেকে প্রায় ৯.৭ লক্ষ্য টাকা মূল্যের রূপোর অলঙ্কার উদ্ধার করেছে বিএসএফ জাওয়ানরা। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি বিথারির বিএসএফ জওয়নারা এই চোরাচালানকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে পাচারকারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে রূপোর এই গয়না পাচার করার চেষ্টা করছিল । উদ্ধার হওয়া রূপোর এই গয়নার আনুমানিক মূল্য ৯,৭০,৩০৪/- টাকা। তথ্য অনুযায়ী, ২০ মার্চ সীমান্ত চৌকি জওয়ানরা গোপন সূত্রে রূপার অলঙ্কার পাচারের খবর পায়। এরপর ডিউটিতে থাকা বিএসএফ সৈন্যরা সন্দেহভাজন ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের গতিবিধি লক্ষ্য করে তদন্তে নামে। এবং যে ব্যক্তি ভ্যানে চড়ে স্বরূপদহ থেকে আসছিল তাকে থামিয়ে ভ্যানে তল্লাশি চালায়।
তখনই তল্লাশির সময়, একটি বাদামী টেপে মোড়ানো ৮ টি প্যাকেট উদ্ধার হয়। যার মধ্যে ৩.৬৪০ কেজি ওজনের সিলভার অ্যাঙ্কলেট এবং ৭,৪৮,৯৯২/- টাকা মূল্যের ৯.৯৬০ কেজি ওজনের রূপো উদ্ধার করা হয়, যেগুলি ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছিল। এরপরেই সৈন্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই গয়না উদ্ধার করে পাচারকারীকে আটক করে।
ধৃত পাচারকারীর নাম সবুজ মন্ডল,উত্তর ২৪ পরগনার পদ্মবিল্লার বাসিন্দা তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ মণ্ডল জানায়, ২০ মার্চ পদ্মবিল্লার এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে গোলপাতায় বাদামি রঙের টেপে মোড়ানো সিলভারের গয়নাগুলি দেয়। এর পরে, তিনি একটি ইঞ্জিনযুক্ত ভ্যানের একটি ইম্প্রোভাইজড গহ্বরে সিলভারের অলঙ্কারগুলি লুকিয়ে রাখেন। যখন তিনি সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প গেট পার হচ্ছিলেন,তখন বিএসএফ সেনারা তার গাড়ি তল্লাশি করে। চেক করার সময় ইঞ্জিন লাগানো ভ্যানের চেসিসের ভিতরে একটি ইম্প্রোভাইজড ক্যাভিটি থেকে রূপোর গয়না উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিএসএফের আধিপত্যের লাইন অতিক্রম করার পরে তিনি পদমভিলা গ্রামে একই ব্যক্তির কাছে রূপোর গয়না গুলি হস্তান্তর করবেন এবং এই কাজের জন্য তিনি ১,০০০/- টাকা পাবেন কিন্তু পথে বিএসএফের কর্তব্যরত কর্মীরা তার প্রচেষ্টা নষ্ট করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আটক ব্যক্তিকে তেঁতুলিয়া কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিআইজি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী এ কে আর্য বলেছেন," বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সমস্যায় পড়েন। আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।"
Mayanmar Border: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতার, FMR সাসপেন্ডের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের- কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?
নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মায়ানমারে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বসছে কাঁটাতার। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারে সরকারি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, গুলিযুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জীবন বাঁচাতে মায়ানমারের শীলখালি ও বলিবাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে সীমান্তে জমায়েত হয়েছেন। পাশাপাশি অশান্তির ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসছে মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকরাও।
সম্প্রতি মায়ানমার সেনার একটি দলও ভারতে ঢুকে আসে। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই এবার ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ১৪৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে। কড়া নজরদারি চলবে সেখানে। তুলে নেওয়া হবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (FMR)। এই ঘোষণার অর্থ, এতদিন ভারত এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা সীমান্তের দু’পারে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারতেন, এখন থেকে সেটা আর করা যাবে না। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বেশ প্রভাব ফেলবে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর। মনে করা হচ্ছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে ভারতের এই সিদ্ধান্ত।
Chopra Issue: সন্দেশখালির পাল্টা চোপড়া! ইস্যু ছাড়তে নারাজ তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক: চার জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার রাতে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় এলেন। সন্তান হারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলের কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “বিএসএফ চাইলেও এই দায় এড়াতে পারে না । এত বড় একটা কাজ করা হয়েছে অথচ কোনো সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। অন্তত স্থানীয় প্রশাসন মহলে বিষয়টি নজরে আনতে পারতেন। তাহলে হয়তো এই অঘটন ঘটতো না” । পাশাপাশি তিনি রাজ্যপালের কাছে বিনীত অনুরোধ করেন অন্তত একবার এই এলাকা এসে পরিদর্শন করে যাওয়ার । রাজ্যপাল সন্দেশখালি যেতে পারলে এখানেও আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন । অন্য এক প্রতিনিধি সদস্য অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “এখানকার সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যতে পাঠানো হবে । নালা তৈরীর সময় এলাকায় সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন সতর্কবার্তা অবলম্বন করা উচিত ছিল বলে তিনি মনে করেন”।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল এদিন চোপড়া কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, ব্রাত্য বসু, বীরবাহা হাসদা, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। তারা রাজ্যপালালের কাছে চোপড়া পরিদর্শন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠানোর আবেদন জানায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর চন্দ্রিমা ভট্টচার্য বলেন, "আমরা আমাদের দলের তরফে একটি ডেপুটেশনে দিতে রাষ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। উত্তর দিনাজ পুরের চোপড়ার হৃদয় বিদারক ঘটনা। তারা গ্রানবাসীকে সতর্ক করেনি। তারফলে, জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে প্রায়। আমরা রাজ্যপালকে বললাম, আপনি ঘটনা স্থলে যান। বিএসএফ অবৈধ ভাবে কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান। আপনি সন্দেশখালীতেও কাটছাঁট করে গিয়েছিলেন। এবারও চোপড়ায় যান। মাননীয় রাজ্যপাল অত্যন্ত মানবিক ভাবে শুনেছেন। উনি যাবেন বলে খুশি। আমরা দেখব উনি কবে যাবেন। সন্দেশখালি তে এক তরফা ভাবে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের থেকেও রিপোর্ট নিন। যেটা কোনও কিছু না দেখে যেটা আইনত করার সেটাই করুন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে তিনি কখনও অপমান করেন না। সম্মান করেন"।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। BSF এর ভয়ঙ্কর গাফিলতির অভিযোগ তুলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলটি। গ্রামবাসী ও পরিবারের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলছেন। গতকাল রাতেই BSF এর সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিনিধি দল। BSF স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনায় সাবধানতা অভাব ছিল বলে জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।
North Dinajpur: চোপড়া কাণ্ডে BSF-কে কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল, গ্রেফতার জেসিবি চালক
নিউজ ডেস্ক: চোপড়া কাণ্ডে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিএসেফকে কাঠগড়ায় তুলল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ৪ শিশুর মৃত্যুতে বিএসএফের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। চোপড়ার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় জেসিবি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং জেসিবি আটক করা হয়। অভিযুক্ত চালকের নাম আজগার আলী। অভিযুক্তকে চালককে আজ ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছেও বিএসএফের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হবে এমনই দাবি করে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি রাজ্যপালকে চোপড়া যেতেও আবেদন জানাবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছে শাসকদলের তরফে। ঠিক হয়েছে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসুর পাশাপাশি সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ-সহ মোট ১২ জনের প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করবেন। একই সঙ্গে চোপড়াতেও অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। জানাজার নামাজ পরে চার শিশুর দেহ কবরস্থ দেওয়ার জন্য কাঁটা তারের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ একাধিক তৃণমূলের নেতৃত্বরা উপস্থিত আছেন। কবরস্থের পর চেতনা গজ বিএসএফ ক্যাম্পের পাশেই বিএসএফ এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,জানা গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনা গজ এলাকায় বি এস এফ এর অধিনস্ত নো ম্যানস ল্যান্ড এ সিপিডব্লুডির রাস্তার পাসে মাটি খুড়ে ড্রেন করা হয়। এবছর তা আরো গভীর করে করা হয়েছে কয়দিন আগে। সোমবার এলাকার বাচ্চারা খেলার জন্য সেই এলাকায় যায়। হঠাৎ করে ড্রেনের মাটি ধসে পড়ে সেই মাটিতেই পড়ে মৃত্যু হয় চার শিশুর। পুলিশ ও বিএসএফ এর সহযোগিতায় বাচ্চা গুলি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক চারজনকেই মৃত বলে ঘোষনা করে ।
ড্রেন সম্প্রসারণের কাজ দেখতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। কীভাবে বিএসএফ ৪টে বাচ্চার উপর মাটি চাপা দিয়ে তাদের মেরে ফেলল ! এমনই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ফলত চোপড়ার ঘটনাকে ইস্যু করে তৃণমূলের ময়দানে নামা রাজনৈতিক মহলেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে।