RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Burdwan: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে
নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন কেউটে, কারও দাবি গোখরো। গ্রামের বয়স্করা বলেন কালনাগিনী (Snake)। পূর্ব বর্ধমানের চার গ্রামে জ্যান্ত সাপকে দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে তাই কেউ সাপ বলেন না, সাপ এখানে 'ঝাঁকলাই' নামে পরিচিত। ফি বছর ঝাঁকলাইয়ের পুজো হয়। এবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পলসোনা গ্রামে দেখা গেল, মন্দিরে এক পুরোহিতের লাঠির মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে বিশাল একটি সাপ। অন্য পুরোহিত তখন মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সেই কেউটের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। নিজের হাতে সিঁদুর মাখিয়ে দিচ্ছেন ফণাধারী কেউটের মাথায়। সোমবার এ ভাবেই জ্যান্ত কেউটেকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০০ বঙ্গাব্দ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে ভাতারের বড়পোশলা, শিকোত্তর, মুকুন্দপুর এবং মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা, পলসোনা, মুশারু, নিগন মিলে মোট সাতটি গ্রামে ঝাঁকলাইয়ের (Snake) পুজো হয়। স্থানীয়রা জানান, এক সময় সাতটি গ্রামেই দেখা যেত ঝাঁকলাই। তবে এখন বড়পোশলা, ছোটপোশলা, মুশারু এবং পলসোনা এই চার গ্রামেই শুধু দেখা মেলে এই কেউটের। সাপ এখানে ঘরের লোক। কাছের আত্মীয়। বিষধর জীব নয়, বরং দেবতা। সাপের সঙ্গে দিব্যি খেলে কচিকাঁচারা। প্রতি ঘরে সাপের বিশ্রামের জন্য বিছিয়ে রাখা হয় খড়ের গাদা। সাপে-মানুষে দিব্যি সহাবস্থান এখানে। সাপের কামড়ানোকে গ্রামবাসীরা প্রসাদ বলেন। কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁর চিকিৎসা না করিয়ে মন্দিরের মাটি শরীরে বুলিয়ে দেওয়া হয়।
মুশারু,পলসোনা, বড়পোশলা, ছোটপোশলার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মনসামঙ্গলের বেহুলা-লখিন্দরের উপাখ্যান। ঝাঁকলাই নিয়ে অনেক লোককথা। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ঝাঁকলাই আসলে 'কালনাগিনী'। লখিন্দরকে লোহার বাসরঘরে দংশন করে পালানোর সময় বেহুলা কাজললতা ছুড়ে মেরেছিলেন। সেই কাজললতার আঘাতে কালনাগিনীর (Snake) লেজ কেটে যায়। পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি গ্রামে যে ঝাঁকলাইয়ের দেখা মেলে, তাদেরও লেজ কাটা। মনসামঙ্গলে কালনাগিনী বেহুলার শাপে মর্ত্যে আসে। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, 'ঝঙ্কার' শব্দটা এসেছে বেহুলার বালার আওয়াজ থেকে। লোহার বাসরে লখিন্দরকে ছোবল মারার পরে কালনাগিনীর (Snake) বিষ প্রয়োগের ক্ষমতা চলে যায়। বেহুলা শর্ত দেন, নির্বিষ হয়ে তাকে সাত গ্রামে লুকিয়ে থাকতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) এই সাত গ্রামেই নাকি এখন কালনাগিনীর বাস। তারই নাম 'ঝাঁকলাই।' তাকেই ঝঙ্কেশ্বরী দেবী রূপে পুজো করা হয় গ্রামে।
বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা ধরে বলগোনা পেরিয়ে নিগনের ঠিক আগে বাস থামে মুশারুতে। এখান থেকে ভ্যান রিকসা বা ই-রিকসা চেপে যাওয়া যায় গ্রামের ভিতরে। পলসোনাতে যাওয়ার পথও এখান থেকেই। মহারাষ্ট্রের কেউটে গ্রাম শেতপালের মতো বাংলার পূর্ব বর্ধমানের এই চারটে গ্রাম। গ্রামবাসীদের কথায়,ঝাঁকলাই (Snake) কামড়ায় না। পরোপকারী বন্ধু। বংশ পরম্পরায় সাপের পুজো করি আমরা।
সর্প বিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, "ঝাঁকলাই একটি বিরল প্রজাতির সাপ। এই গ্রামবাসীদের এই ভক্তি এবং শ্রদ্ধার জন্যই বিরল প্রজাতির সাপটি এখনও টিকে রয়েছে এখানে। এটা অবশ্যই এক বিরল ঘটনা। তবে, সিঁদুরে রাসায়নিক থাকে। ঝাঁকলাইয়ের পুজোর সময় সিঁদুর মাখানো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।"
Eastern Railway: লাইনের ধারে উঠছে পাঁচিল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে বড় পদক্ষেপ নিল রেল
নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় একেবারে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের পক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেল লাইনের দুপাশে অনেকটা অংশ জুড়ে রেল দফতরের জমি রয়েছে। সেই জমি এতদিন ফাঁকা পড়ে থাকত। দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রেলের এই উদ্যোগের ফলে সেই জমি দখল হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না।
হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে রেললাইনের (Eastern Railway) ধার বরাবর টানা পাঁচিল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই পাঁচিল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। মূলত এই শাখায় পর পর চারটি পাশাপাশি রেললাইন। সেই রেললাইন থেকে কিছুটা অংশ ছেড়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই পাঁচিল। আপ ও ডাউন দুদিকেই এই ধরনের পাঁচিল করা হয়েছে। এর জেরে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমবে। দ্রুতগতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। রেললাইনের ওপর বাইরে থেকে কিছু উঠে আসতে পারবে না। যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে। অনেক সময় লাইনের ধার থেকে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এই উদ্যোগে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। রেললাইনের ধারে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের পাঁচিল। তবে, কিছু প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমত অনেকে আবার এই উদ্যোগকে টাকা নষ্ট বলে উল্লেখ করছেন। কারণ তাঁদের মতে, এই পাঁচিল তৈরি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু, এভাবে কি রেললাইনকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব? এই পাঁচিল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা রয়েছে। সেই পাঁচিল আদৌ কতটা রক্ষা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অনেকের মতে, সাধারণ মানুষও এই পাঁচিল নষ্ট করে দিতে পারে। সেটা কীভাবে আটকানো যাবে? এই বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
রেলের (Eastern Railway) এক আধিকারিক বলেন, অনেক জায়গায় রেলের ফাঁকা জমি জবরদখল করে নেয়। পরে, তাদের সেখান থেকে সরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়। এই উদ্যোগের ফলে একেবারে মেপে রেলের জায়গার ভিতর তৈরি হয়েছে এই পাঁচিল। এর ফলে রেলের জায়গা জবরদখল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমবে। সব মিলিয়ে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। রেলের এই অভিনব উদ্যোগকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Burdwan Tea Stall: রাজনীতি নিয়ে আলোচনা নিষিদ্ধ করে পোস্টার চা দোকানদারের
নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই চায়ের দোকান(Tea Stall) মানেই বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা-তর্ক ও রাজনৈতিক চর্চা। আর এই ভোটের মরসুমে চায়ের দোকান বাঙালির কাছে যে রাজনৈতিক আলোচনার পীঠস্থান তা বলাই বাহুল্য। আর রাজনৈতিক আলোচনা(Political Discussion) মানে এক কথা দু কথায় তর্কাতর্কি বিতর্ক। আর এই বিতর্ক আটকাতেই এক অভিনব উপায় বের করেছে পূর্ব বর্ধমানের এক চা ব্যবসায়ী।
বর্ধমান শহরের চা দোকানের মালিক অমিত দাসের এসব রাজনৈতিক তর্কাতর্কি একেবারে নাপসন্দ। তাই চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আর রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না, এমনই এক পোস্টার দিয়ে দোকানের খদ্দেরদের কাছে আবেদন তাঁর।
বাঙালির একটা ইস্যু পেলেই হল। ভোটের বাজারে এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনায়(Political Discussion) চায়ের আড্ডায় ঝড় ওঠে। এক কাপ চা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে পারে তর্ক বিতর্ক। তাই বিতর্ক এড়াতেই এবার তার সোজা সাপটা পদক্ষেপ। দোকানের বাইরে পোস্টার দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, ‘এখানে রাজনৈতিক আলোচনা করিবেন না।’
প্রসঙ্গত, বর্ধমান শহরের পার্কাস রোডের চার্চ মোড় এলাকায় চায়ের দোকান অমিতকুমার দাসের। অমিত দাসের কথায়, “সামনে ভোট। দোকানে বিভিন্ন মানুষ চা খেতে আসেন। আর তাঁদের নানা রকম আলোচনা হয়। তার মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা করতে করতে তর্ক বিতর্কও হয়। এই পোস্টারটা দেখে মানুষ যাতে একটু সচেতন হয়। চায়ের আড্ডায় কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়।” তবে এই পোস্টারের প্রশংসা করছেন অনেকেই। ভালই ফিডব্যাক পাচ্ছেন চা দোকানের মালিক(Tea Stall owner) অমিত।
অমিত জানায়,"চা খেতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিও বলছেন, খারাপ নয় ব্যাপারটা। চা খেতে এসে রাজনৈতিক আলোচনা থেকে ঝগড়া লেগে আরেক কাণ্ড বাধবে। তার থেকে এসব বন্ধ রাখাই ভাল।"
যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটের সময় পূর্ব বর্ধমানেরই এক চায়ের দোকানে রাজনীতির 'চায়ে পে চর্চা'য় আপত্তি নিয়ে পোস্টার পড়েছিল। আর এবার আবারও লোকসভা ভোটের (lok sabha vote)আগে সেই একই চিত্র দেখা গেল অমিতকুমার দাসের চায়ের দোকানে।