Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

by election 2024

Naihati Boroma: ভোটের জন্য বন্ধ বড়মা দর্শন! পিছনের দরজা দিয়ে মন্দিরে তৃনমূল প্রার্থী, বেরোতেই বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক: চলছে রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, এই ছয় আসনের বিধায়ক গত লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ায় উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধেই সকালে বন্ধ রাখা হয়েছে বড়মার মন্দিরের দরজা। স্বাভাবিকভাবেই দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এসেছিলেন পুজো দিতে। কিন্তু মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পুজো দিয়ে আসেন। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্য ভক্তরা।

পুজো দিয়ে বেরোনোর সময় ভক্তদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন নৈহাটি উপনির্বাচনে, তৃণমূলের প্রার্থী সনৎ দে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের অভিযোগ আজ নির্বাচনের কারণে মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থী গিয়ে পুজো দিতে পারলেন। এরপরই মন্দির খোলার দাবিতে প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ভক্তরা। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু ভক্ত। বিষয়টি নিয়ে নৈহাটির বড়মার মন্দিরের সামনে বুধবার সকালের দিকে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমতো ভিড় জমে যায় গোটা রাস্তায়। বেশ কিছু ভক্ত তর্ক জুড়ে দেন তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে।

আসলে, ভোটের কারণে বুধবার সকালে বড়মার মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেটা না জেনেই বহু দর্শনার্থী সেখানে হাজির হন। শোরগোল চলছিলই। এরই মাঝে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে পুজো দিতে দেখেন ভক্তরা। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে মন্দির ছাড়েন সনৎবাবু। মন্দির থেকে বেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে যান তিনি।

অন্যদিকে, ভোট শুরুর আগে নৈহাটির মালঞ্চ হাইস্কুলের ৬৩ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির এজেন্টকে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র নিজে গিয়ে মহিলা এজেন্টকে বুথে বসান। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা মেরে ভাগিয়ে দেয় তাঁর এজেন্টকে। ই-মেল করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপি প্রার্থী, পাল্টা দাবি করে তৃণমূল।

Sweta Chakrabory | 13:12 PM, Wed Nov 13, 2024

WB Assembly By Election:  ৬ বিধানসভায় উপনির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্য, উপনির্বাচনের মধ্যেই তপ্ত ভাটপাড়া

নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর জেরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।আর এরই মধ্যে নৈহাটিতে উপনির্বাচন চলাকালীনই ভাটপাড়ায় চলল গুলি। তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। বাইকে এসে তৃণমূল নেতাকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সে সময় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।  ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জগদ্দলের পালঘাট রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধের নাম অশোক সাউ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অশোক সাউ ২০১৯ সালে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখনও তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে টোটোয় তিনি যাচ্ছিলেন। সে সময় পিছন থেকে কয়েক জন যুবক বাইকে তাঁকে অনুসরণ করছিল। পালঘাট রোড এলাকায় বাইক থেকেই এক জন যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।  আহত অবস্থায় অশোককে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কারা গুলি করল, তা নিয়েই ধন্দে আহতের পরিবার। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ, নাকি পুরনো কোনও শুত্রুতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে বন্ধুদের গোলমাল বলেই দাবি করেছেন অর্জুন সিং।

প্রসঙ্গত, এ উপনির্বাচনকে তৃণমূলের জন্য এক বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এরই মধ্যে ঘটেছে আরজি হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যা ঘিরে তীব্র আন্দোলন। চিকিৎসকেরা ওই হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন অবরোধ, রাজ্যজুড়ে রাতজাগা কর্মসূচি এবং অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। একটানা ১৭ দিন অনশন করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে না এলে অনশনকারীরা ধর্ষণের শিকার ও খুন হওয়া চিকিৎসকের মা–বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। আর এ ছয়টি আসনেই তীব্র লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। আরজিকর–কাণ্ডের জেরে এবার বিজেপি, বাম দল এবং কংগ্রেস আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও মাঠে রয়েছে। তৃণমূল মনে করছে নিজেদের পাঁচ আসনে তো তারা জিতছেই, বাকি বিজেপির হাতে থাকা মাদারিহাট আসনটিও এবার তারা বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেবে।

অন্যদিকে বিজেপি বলেছে, তারা তাদের একমাত্র আসন মাদারিহাটে জিতে বাকি পাঁচটি আসনেও ভাগ বসানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করছে, ওই পাঁচটি আসনের একটি বা দুটি ছিনিয়ে নিতে পারলেই তারা কার্যত জয়ী হবে। তারা আরও মনে করছে, এবারের আরজিকর–কাণ্ড নতুন করেই রাজ্যবাসীর চোখ খুলে দিয়েছে। তাই তারা মনে করছে, এবার মানুষ তাদের দিকেই থাকবে।

Sweta Chakrabory | 12:05 PM, Wed Nov 13, 2024
upload
upload