Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

cbi probe

CBI in NEET: যে আবাসনে সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনেসঞ্জিবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালা সিবিআই।

নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ

সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরা থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই। সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস

নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।  একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান।প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের  ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।

Pankaj Kumar Biswas | 19:09 PM, Wed Jul 03, 2024

Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার লোকসভায় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের উপর চর্চার দাবিতে বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল লোকসভা। রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগে তাঁদের তোলা বিষয় নিয়ে আলোচনা চায় কংগ্রেস।

নিটের উপর চর্চা চেয়ে হাঙ্গামা

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে নিজের প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর চর্চার দাবি তোলেন। পাল্টা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন,“রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর চর্চা হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবের পরেই অন্য বিষয়ে চর্চা হতে পারে। এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন,“আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব হবে। ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে বা কার্য স্থগিত রাখা বা অন্য কোণও প্রস্তাব নেওয়া হবে না।” তিনি বিরোধীদের সংসদ চলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর নিটসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা হতে পারে।

সংসদ শুরু হতেই বিরোধীদের হাঙ্গামা

দুপুর ১২:০০ টায় সংসদ স্থগিত হওয়ার পর যখন ফের সংসদ শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম সদস্যতার শপথ নেন অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এর আগে শপথ নিতে পারেননি। এরপর থেকেই বিরোধীরা নিসহ অন্যান্য পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে চর্চার দাবি তোলেন। যদিও ওম বিড়লা এদিন রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন বিরোধীদের প্রস্তাব নেওয়া হবে বলে জানান। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের তরফ থেকে হাঙ্গামা বজায় থাকে। পাল্টা স্পিকার বলেন,“পরিকল্পিতভাবে সংসদ চলতে না দেওয়া সংসদীয় গণতন্ত্রে কাম্য নয়। জনগণ সাংসদদের সংসদে হাঙ্গামা করার জন্য পাঠায় না। রাস্তায় বিরোধিতা করা আর সংসদে বিরোধিতা করার মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত।”

বিজেপির প্রতিক্রিয়া

বিরোধীদের হাঙ্গামা কিরেন রিজিজু বলেন,“সংসদের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব ছাড়া অন্য বিষয়ে চর্চার পরম্পরা নেই। এই প্রথমবার কংগ্রেস এবং ইন্ডিজোটের সদস্যরা অন্য বিষয়ে চর্চা চাইছেন। তাঁরা স্পিকারের আসনের কাছে চলে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আমরা এর নিন্দা করছি।” তিনি আর বলেন,“চর্চা চলাকালীন যে সমস্ত বিষয়ে আসবে সরকার তার উপরে জবাব দেবে কিন্তু সংস চলতে দিতে হবে।” হাঙ্গামা না থামায় স্পিকার দুপুর ১২:০৭ নাগাদ সোমবার সকাল ১১:০০ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।”এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদের কাজ শুরু হয় সংসদ শুরু হতেই স্পিকার ১৩ জন প্রাক্তন সাংসদদের মৃত্যুর জেরে নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নেন। নীরবতা শেষ হতেই কংগ্রেসসহ বিরোধীদলেরা নিট পরীক্ষায় বিষয়ে চর্চার দাবি তোলে। স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন সকলকে নিজেদের দাবি জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন বিরোধীদের সমস্ত বিষয়ে সরকার জবাব দেবে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীদের স্লোগান চিৎকার ও হাঙ্গামা থমসেনা দেখে দুপুর দুটো পর্যন্ত বারোটা পর্যন্ত সংসদে স্থগিত করে দেওয়া হয়

Pankaj Kumar Biswas | 18:03 PM, Fri Jun 28, 2024

CBI: নিটের তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দুই, নিটের পরীক্ষার্থীদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাও করত অভিযুক্তরা

নিউজ ডেস্ক: নিটের প্রশ্ন ফাঁস কান্ডে তদন্তে নেমে এবার সিবিআই (CBI) হাতে গ্রেফতার হলেন দুজন তদন্তে নেমে এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি বৃহস্পতিবার বিহারের পাটনা থেকে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাম মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার বলে জানা গিয়েছে

ময়দানে নেমেই সিবিআইয়ের সাফল্য (CBI)

সিবিআই সূত্রে খবরণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন।তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করা হত। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ মূলত পরীক্ষার্থীদের গাড়ি করে নিয়ে আসার কাজ ছিল মণীশে নিজের বাড়িতে পরীক্ষার্থীদের থাকা এবং খাবারের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব ছিল আশুতোষের উপর মনে করা হচ্ছে পরীক্ষার আগে একটি ফাঁকা স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের সেখানে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয় পরীক্ষার আগের দিন তাঁদের নিটের প্রশ্ন দেওয়া হয় সেগুলোর উত্তরও তৈরি করে দেওয়া হয়।নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ছটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রবিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে নেট প্রশ্ন ফাঁস কান্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক। সেদিনই প্রথম এফআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা

বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

সিবিআই (CBI) তদন্ত চালালেও সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের মামলাটি চলছে নিটেপরীক্ষায় বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবারই পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থাকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৮ জুলাই এর মধ্যে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রসঙ্গত একটি লার্নিং অ্যাপের তরফে নি দুর্নীতি এবং বাড়তি নম্বরের প্রসঙ্গ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত চার রাজ্যে এখন অবধি এই মামলায় ২৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাঁর মধ্যে বিহারে১৩, ঝাড়খণ্ডে, গুজরাটে ৫ এবং মহারাষ্ট্র থেকে জন গ্রেপ্তার হয়েছেন নিটে একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করার পরেই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয় এর পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ কিছু সমস্যার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু র‍্যাংকিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই বাড়তি নম্বরে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

 

Pankaj Kumar Biswas | 17:50 PM, Thu Jun 27, 2024

ECL: কয়লা কাণ্ডে সিবিআইকে চরম ভর্ৎসনা করল আদালত

নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের কয়লা দুর্নীতি তদন্তের সাতদিন পরেই ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠনের কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারক মন্তব্য করলেন " It is factor of impossibility". সিবিআই তদন্তে রয়েছে চূড়ান্ত গাফিলতি। তদন্তের পদ্ধতি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। আদৌ ৩ জুলাই ফাইনাল চার্জফ্রেম গঠন সম্ভব ? প্রশ্ন তুললেন খোদ সিবিআই বিচারক।
সিবিআই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন "আপনারা পারলে ভালো, নইলে আমি নিজেই চার্জ নিয়ে নেবো।" অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবিদের প্রশ্ন, “কয়লা দুর্নীতি মামলায় আসামী হিসাবে নাম রয়েছে অনেক পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। অথচ তাদের নাম চার্জশিটে নেই। তাই বিচারকের ইচ্ছা থাকলেও সিবিআইয়ের গড়িমসি ভাবে আদৌ চার্জফ্রেম গঠন দ্রুত সম্ভব নয় বলেই মত অভিযুক্তদের আইনজীবিদের।"
ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারকের সিবিআইকে প্রশ্ন, শেষ দশ বছরে একটা কোনও মামলা বলুন যা শেষ হয়ে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কয়লা কাণ্ডে আরও তিনজন গ্রেফতার হয়। বুধবার ওই তিনজনকে তোলা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত (বাপি) ঠাকুর, বিদ্যাসাগর দাসকে। তাঁদের মঙ্গলবার বিকেলেই গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ কয়লা কারবারে লালার সিন্ডিকেটে মদত ও সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার তাঁদের আনা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সিবিআই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করে। এদিন শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআই আইনজীবী ও সিবিআই আধিকারিককে প্রশ্ন করেন। গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধরের নাম এফআইআরে এক নম্বরে রয়েছে। ২০২০ সালে এফআইআর হয়। অথচ এক নম্বরে থাকা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগে গেল? সিবিআইয়ের দাবি ছিল, উনি সরকারি কর্মী। ওনাকে গ্রেফতার করার অনুমতি পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন ছিল। তাই সময় লাগল। পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন, তথ্য প্রমাণ ছিল না ? শুধু সন্দেহের বশেই ওই আধিকারিকের নাম উঠল এফআইআরে ? সমাজে কয়লা চোর অপবাদ নিয়ে তো চলতে হল ওনাকে। সাড়ে তিন বছর লেগে গেল গ্রেফতার করার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে ? অথচ যাদের এফআইআরে নাম নাই সেই জিএমদের আপনারা গ্রেফতার করলেন। কেউ কেউ পাঁচ ছয় মাস জেল খাটলো। এ কি ধরনের আপনাদের তদন্ত ? যেন choose and select..। সিবিআইয়ের দাবি কয়লা দুর্নীতি অনেক বড় তদন্ত। অনেকের নাম রয়েছে। ৪৩ জনের নামে চার্জশিট। তাই এতটা সময় লাগলো। বড় তদন্ত নাকি আপনারা বড় করে ফেলেছেন ? পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন। উপর ছেড়ে তো এবার তো নিচের দিকে আপনারা নামছেন। তাহলে তো রাস্তায় যারা কয়লা ঠেলে এবার তো তাদেরকেও ধরে নিয়ে আসবেন। এত বড় এজেন্সির তদন্ত এরকমভাবে চলতে পারে ?
একইভাবে এদিন আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসে। এফআইআরে দু নম্বরে থাকা নাম রয়েছে আরেক জিএম জে সি রায়। সেই জিএম এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি বা তথ্য প্রমাণের জোগাড় হয়নি। বিচারকের প্রশ্ন এফআইআরে থাকা এক নম্বরে জিএম গ্রেফতার সাড়ে তিন বছর পর। ২ নম্বরে থাকা জিএমও কি তবে গ্রেফতার হতে আরও সাড়ে তিন বছর ? ৩ জুলাই কিভাবে ফাইনাল চার্জগঠন সম্ভব ? তাহলে যারা বিচারের আশায় বসে আছেন তাঁরা অনন্তকাল ধরে বসে থাকবেন ? আর আপনারা তদন্ত চালিয়েই যাবেন। নতুন নতুন গ্রেফতার হতেই থাকবে। এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী চরম ভর্তসনা করেন সিবিআইকে।
মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইসিএলের প্রাক্তন জিএম অমিত কুমার ধর ও দুই কয়লা কারবারি শ্রীমন্ত ঠাকুর, বিদ্যাসাগর দাসকে। তাঁদের বিকেলেই গ্রেফতার করা হয়। বুধবার এদের আনা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সিবিআই চারদিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আবেদন করে। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। ২৯ জুন ফের তাঁদের আদালতে আনা হবে। গত ২১ জুন ইসিএলের জিএম নরেশ কুমার সাহা ও কয়লা কারবারি অশ্বিনী কুমার যাদব গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৫ দিন পর আবার তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী ৩ জুলাই চার্জশিটে নাম থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ৪২ জনকেই হাজির হতে হবে আদালতে। এই চার্জশিটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে শুধুমাত্র বিনয় মিশ্র এখনও রয়েছে ফেরার। বুধবার আসানসোলে এক আইনজীবী মারা যাওয়ায় অভিযুক্তর আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিচার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করেননি। অভিযুক্তরা নিজে লিখিত সাবমিশন জমা করেছেন।

Pankaj Kumar Biswas | 18:23 PM, Wed Jun 26, 2024
upload
upload