Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

central force

RG Kar Protest BJP: ''একটি গাড়িও চলবে না'', আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য জুড়ে চাক্কা বনধের ডাক বিজেপির


নিউজ ডেস্ক: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। চলছে সিবিআই তদন্ত। ঘটনার দ্রুত বিচার চেয়ে রাজপথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। আর এইবার আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে আগামী কয়েকদিনের বিরাট কর্মসূচি (RG Kar Protest BJP) ঘোষণা করল বিজেপি। এদিন দলের তরফে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ধরনা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে রবিবার সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট ফের বঙ্গ বিজেপি শিবির ধরনায় (RG Kar Protest BJP) বসতে চলেছে ধর্মতলাতে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।'' জানা গিয়েছে, আগামী ২৮শে অগাস্ট বেলা দুটোয় পালিত হবে এই কর্মসূচি। এরপরে আগামী ২৯ অগাস্ট রাজ্য জুড়ে জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হবে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ব্লকে ব্লকে অফিসারদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে চাক্কা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রায় ১৮ দিন কেটে গিয়েছে। ন্যায় বিচারের দাবিতে এখনও পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন চলছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিলের পরেও বাংলার জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। বস্তুত, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে যাওয়ার পর থেকে আর কাউকে গ্রেফতারি করা হয়নি। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই সঞ্জয় রায়কেই ক্রমাগত জেরা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়িতে তল্লাশি চলছে ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এহেন পরিস্থিতিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি (RG Kar Protest BJP) ঘোষণা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার।

Sweta Chakrabory | 13:40 PM, Mon Aug 26, 2024

RG Kar Incident: হাসপাতাল তো নয়, যেন যুদ্ধক্ষেত্র! কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়েছে আরজি কর চত্বর


নিউজ ডেস্ক: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। চলছে সিবিআই তদন্ত। এবার এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়ল আর জি কর চত্বর। আর জি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশপথের এক পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছ’জন জওয়ান। তাঁদের কয়েক জনের হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের পনেরো জনের একটি দল। প্রবেশপথ ছেড়ে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকলে জায়গায় জায়গায় চোখে পড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।

আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) সিবিআই তল্লাশি শুরু হওয়ায় গোটা চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। পাশাপাশি এ দিন সকাল থেকে হাসপাতাল জুড়ে ছিল কলকাতা পুলিশের কর্মী, র‌্যাফ। ফলে দিনভর আর জি করে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দের বদলে কানে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের আওয়াজ। নিরাপত্তার গণ্ডি পেরিয়ে কেউ একটু এ দিক-ও দিক যেতে গেলেও কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। পড়ুয়া থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়, চিকিৎসক— কেউই প্রশ্নবাণের হাত থেকে রেহাই পাননি। কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে পরিচয়পত্র দেখার পরে তবেই যেতে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি খালি চোখে দেখলে বোঝা দায় যে এটি শহরের কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, না কি সেনাবাহিনীর ‘বেস ক্যাম্প’!

জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে হাসপাতালের ভিতরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ফলে স্টোর রুম চত্বর থেকে শুরু করে গোটা চত্বরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।

এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি থাকা পরিজনকে দেখতে হাসপাতালে আসা আসমিনা খাতুন বলেন, ‘‘স্টোর ভবনের পাশে প্রতিদিন আমরা জল আনতে যাই। কিন্তু আজ ও দিকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। ভয়ে আর ওমুখো হইনি।’’ অন্যদিকে এ দিন জরুরি বিভাগে এসে চমকে গিয়েছিলেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা এক তরুণী। বললেন, ‘‘প্রথমে হাসপাতালে (RG Kar Incident) ঢুকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, আবার বোধ হয় কোনও ঝামেলা হয়েছে। পরে শুনলাম, সিবিআই এসেছে। হাসপাতাল তো নয়, দেখে যুদ্ধক্ষেত্র মনে হচ্ছে। ভয়েই অর্ধেক রোগ সেরে যাচ্ছে।’’

Sweta Chakrabory | 12:13 PM, Mon Aug 26, 2024

Chattishgarh: ছত্তিসগড়ে বাহিনীর সঙ্গে লড়াই, খতম ১২ মাওবাদী জঙ্গি

নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়ে (Chattishgarh) টানা মাও দমন অভিযান অব্যাহত। এবার আধা সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হল ১২ জন মাওবাদী। এদের মধ্যে কয়েকজন মাও দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা। মাওবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে আধা সেনার কোন ক্ষতি হয়নি ।

বিজাপুর জেলার গঙ্গলুরে মাও অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী

শুক্রবার দুপুরে ছত্রিশগড় (Chattishgarh) রাজ্যের বিজাপুর জেলার গঙ্গলুরে মাও অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী। অভিযানে ১২ জন মাওবাদীর (Maoist News) মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করেছেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদের সাঁ (Vishnudev Saai) । সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিষ্ণুদেব সাঁই বলেন,“বিজাপুর জেলার গঙ্গলুর এলাকায় পিড়িয়া থানা এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় হয়েছে সেনাবাহিনী এই অভিযানে সাফল্য পেয়েছে ১২ জন মাওবাদীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাহিনীর কারও ক্ষতি হয়নি। জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চলছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক বাহিনীর সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমরা সরকারের আসার পরেই এই মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্রিশগড়ের মানুষকে এই মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”

চলতি বছর শতাধিক মাওবাদী খতম (Chattishgarh)  

প্রসঙ্গত চলতি এপ্রিল মাসে পুলিশ এবং আধা সেনার যৌথ অভিযানে ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh) বস্তরে ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল সরকারি সূত্রের দাবি চলতি বছর প্রথম সাড়ে চার মাসে সারা দেশে শতাধিক মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে মাওবাদ দমন অভিযানে বড় সাফল্য মনে করছে আধা সামরিক বাহিনী। বর্তমানে মোদি জামানায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সশস্ত্র মাও দলে ভর্তি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপর এক ধাক্কায় শতাধিক মাওবাদিনি নিকে ওই জঙ্গি দলের জন্য বিশাল বড় ধাক্কা ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh) যে কটি এলাকায় রয়েছে মাও সমস্যা রয়েছে তাঁর মধ্যে বিজাপুর অন্যতম গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর পাচ্ছিল বাহিনী এর পরেই তাদের নিকেশ করতে অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়

মোদি জমানায় মাও দমনে সাফল্য

মাওবাদ সমস্যার জেরে ছত্রিশগড়ের (Chattishgarh) গ্রামের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির মানুষরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একসময় দুদিক থেকে চাপ আসত তাঁদের উপর।মাওবাদীদের সাহায্য না করলে কিংবা পুলিশকে খবর দিলে মাওবাদীরা গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করত আবার মাওবাদীদের সাহায্য করলে পুলিশ তাদের উপর অত্যাচার করতে বলে অভিযোগ উঠত। এর জেরেজন্ম নেয় সাওলয়া জুড়ুম। পরে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা তৈরি হয়। সেসব অবশ্য মোদি জমানায় অতীত।

কমছে মাও অধ্যুষিত এলাকা

এখন মাওবাদীরা গ্রামে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ কম পাচ্ছে জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের কিন্তু জঙ্গলে থেকেও রেহাই নেই টানা পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে এবং যেখানেই পাচ্ছে নিকেশ করছে। মোদি জামানায় রেড ডিস্ট্রিক্ট (Red District) অর্থাৎ মাও অধ্যুষিত অঞ্চলের পরিধি কমছে

Pankaj Kumar Biswas | 12:04 PM, Sat May 11, 2024

Ram Navami 2024: এবার রাম নবমী নিয়ে হুঙ্কার হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীর

নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব গোটা ভারত জুড়ে। কারন আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই দেশ জুড়ে পালন হবে রাম নবমী(Ram Navami 2024), দীর্ঘ ৫০০ বছরের প্রচেষ্টার পর অযোধ্যায়(Ayodhya) তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। তাই এবছরের রাম নবমী বিশাল সমারোহের সাথে পালন করবে হিন্দুরা। কিন্তু তার আগেই বর্ধমান দুর্গাপুরের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন। রামনবমীর মিছিল প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার রাম নবমীর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রামনবমীতে। কেউ আটকাতে পারবে না। এই দেশ রামের দেশ। ৫০০ বছরের চেষ্টায় রাম মন্দির হয়েছে। হিন্দুরা(Hindu) বিজয় উৎসব পালন করবে। আমি আবেদন রাখছি হিন্দু সমাজের কাছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামুন। দিলীপ ঘোষ সঙ্গে আছে। ত্রিশূল ধরেছি। প্রয়োজনে সব ধরবো হিন্দু সমাজের জন্য। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই হিন্দুস্থানে হিন্দুদের আটকায়। আদালত এবং সংবিধান আমরা তৈরি করেছি দেশ রক্ষার জন্য। তৃণমূল(TMC) এলে তাদের এই নির্বাচনে সমূলে বিনাশ করুন।”

উল্লেখ্য রাজ্যে এখন ভোটের হাওয়া। রাম নাবমীর একদিন বাদেই অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যের শুরু হচ্ছে ২০২৪ এর প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন(Lok Sabha Vote 2024),বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি দলের প্রার্থীরাই। কিন্তু অন্যদিকে ভোটের আবহের মধ্যেই রাজ্যে রামমহোৎসব শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৫ দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। তার মধ্যে আছে রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২০২৩-এ রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছিল। তাই এবার একাধিক জনসভায় রামনবমী নিয়ে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাম নবমীর অনুষ্ঠান ও মিছিলের অনুমতি পেতে আদালতের দারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই মামলার শুনানিতে সোমবারই আদালত রাম নবমীর মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন,রাজ্য পুলিশের(West Bengal Police) পক্ষে রাম নবমীর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে বাহিনী(Central Force) চাইতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সেই মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Sweta Chakrabory | 14:42 PM, Tue Apr 16, 2024

North Dinajpur: ভোটের মুখে ভোটারদের হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের(north Dinajpur) চোপড়ার(chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে ২৬শে এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর চোপড়ার বাহিনীরাই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের(voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন হামিদুল রহমান।

বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী(TMC candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই তা ঘিরে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানকে হুমকি-টুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি(BJP) নেতা বরুন সিংহ।

উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচাইতে উত্তেজনাপ্রবন এলাকা ছিল চোপড়া। বিরোধী সিপিএম(CPIM), কংগ্রেস(congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলি বিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেন নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবারও সেই একই পথে হাঁটছে রাজ্যের শাসক দল। লোকসভা নির্বাচনেও চোপড়া(chopra) বিধানসভা এলাকায় বিরোধীরা কেউ যাতে অন্য দলে ভোট না দেন সেবিষয়ে নির্বাচনের আগেই সতর্ক করলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বুধবার চোপড়ার বিধায়ক বলেন, যে বিরোধী ভোটার(voter) তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। থাকবে এলাকার বাহিনী। তারা কিছু করলে তিনি তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবেন না।

একই সঙ্গে বিধায়ক আরো জানিয়েছেন চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। চোপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে তিনি দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করাবেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের বুথে লিড দিলেই হবে না বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে পেতেই হবে। যদি এই কাজ না হয় তবে তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে ঘোষনা করেছেন। আর বিধায়কের(MLA) এই হুমকির পর চোপড়া এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

তবে এ প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি টুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুন সিংহ। বরুনবাবু জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে জোরজার খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।

Sweta Chakrabory | 13:11 PM, Fri Apr 12, 2024

Election Commission on Jalpaiguri: লাগবেনা ভোটার কার্ড! ভোটার স্লিপ থাকলেই ভোট দেওয়া যাবে

নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ঝড়ে বিপর্যস্তদের জন্য নির্বাচনে নয়া সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা নির্বাচন রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। তাই বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দাদের জন্য ভোটার কার্ড ছাড়াই ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার ব্যবস্থা করল কমিশন।

উত্তরবঙ্গের কালবৈশাখী-বিধ্বস্ত জেলাগুলির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকার ভোটারদের আশ্বস্ত করে এ কথা জানানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোটের লাইনে শুধু ভোটার স্লিপ নিয়ে দাঁড়ালেই ভোট দিতে পারবেন ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কয়েক মিনিটের 'মিনি টর্নেডো-তে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙে ঘরছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ঘরগুলিতে থাকা বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্রও খুঁজে পাচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোন পরিচয়পত্র নিয়ে লোকসভা ভোট দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। তাঁদের সেই চিন্তার অবসান ঘটাল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India).

এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, এটা একটি বিপর্যয় এবং এর ফলে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি তাঁরা প্রায় সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড (voter cards)হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা হারিয়ে গেছে। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে এর জন্য চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তাঁরা শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ (voters' slip) দেখিয়েই ভোটদান করে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

Sweta Chakrabory | 13:50 PM, Wed Apr 03, 2024

Loksabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট চাইল স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক

নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। বাংলায় এবার লোকসভা ভোট ৭ দফায়। তাই ভোটের আগেই আঁটসাঁট নিরাপত্তায় রাজ্যকে মুড়ে ফেলতে তৎপর সিআরপিএফ। সিআরপিএফ-এর পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। সূত্রের খবর, বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে রোজ সকালে রিপোর্ট দেবেন আইজি সিআরপিএফ পশ্চিমবঙ্গ সেক্টর। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কখন কী করছে, কোথায় মোতায়েন রয়েছে, কোন দিকে যাচ্ছে, কখন যাচ্ছে, সবকিছুই খুঁটিনাটি রিপোর্ট দিতে হবে রোজ।

রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নজর রাখতে এই পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। সিআরপিএফ-এর পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান ও গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট ইমেল করতে হবে। এছাড়া তার হার্ডকপিও পাঠাতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। জানা গেছে, ২৯ মার্চ থেকে এই নিয়ম চালু হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টার ইমেল মারফৎ রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এর মধ্যে ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি এসেছে। এছাড়া ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ৫০ কোম্পানি বাহিনী এসেছে। কমিশন জানিয়েছে, আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে রাজ্যে। এপ্রিল শুরুতেই বাহিনী চলে আসবে। যদিও সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহিনী কোথায় যাবে তার সবটাই নির্ধারণ করবে কমিশন।

Sweta Chakrabory | 11:28 AM, Tue Mar 26, 2024

ED Raid: রাজ্যে আরও এক মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও এক মন্ত্রীর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) হানা। শুক্রবার সকার থেকেই বোলপুর, চেতলা,বিরাটি সহ লেকটাউনে শুরু হয়েছে ইডির তল্লাশি। ইডির স্ক্যানারে এবার রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা। তিনটি গাড়ি করে মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছোন ইডি আধিকারিকরা।

তবে জানা গেছে বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়িতে নেই মন্ত্রী। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। তাই বর্তমানে বোলপুরে মন্ত্রীর স্ত্রী ও দুই পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডির আধিকারিকরা। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চলছে ইডির তল্লাশি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘিরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।

Sweta Chakrabory | 10:48 AM, Fri Mar 22, 2024

Lok Sabha Elections 2024: ভোটের আগে আজই রাজ্যে উপস্থিত কমিশনের তিন পর্যবেক্ষক?

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কোচবিহার,জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার এই তিন আসনের নির্বাচন আছে প্রথম দফায়। ২৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে প্রথম দফায় তিনটি লোকসভা আসনে নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্যে এসে পৌঁছচ্ছেন তিন পর্যবেক্ষক। আধা সেনা মোতায়েনে নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত।

১৯ এপ্রিল নির্বাচন প্রথম দফার আর এই তিন জেলাতেই ২০ মার্চ থেকে মনোনয়ন শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় আধা সেনা মোতায়েনের রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার ভোটে তিনটি আসনে প্রতিটি বুথেই আধা সেনা রেখেই ভোট পর্ব অনুষ্ঠিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সূত্র মারফত জানা গেছে বাংলায় সুষ্ঠ ভাবে ভোট করাতে এমনই পরিকল্পনা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য চলতি নির্বাচনের জন্য বেনজিরভাবে বাংলায় সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে ভোটের আগে ইতিমধ্যেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে বাংলাতে। বিভিন্ন জেলায় রুট মার্চও শুরু হয়ে গেছে। আর এবার প্রথম দফার এই তিনটি আসনের নির্বাচনের জন্য প্রায় ২৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।


Sweta Chakrabory | 15:26 PM, Tue Mar 19, 2024

Central Force Root March: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাকদ্বীপে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ

এখন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিক্ষণ ঠিক হয়নি তার আগে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন এলাকার কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত পুকুর বেরিয়া, কামার চক সহ সুন্দরবন পুলিশ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এক কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করছে। সঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন স্পষ্ট কাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষদের জিজ্ঞাসা করছে কোনরকম অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা এই এলাকায় হচ্ছে কিনা। ভোটারদের প্রভাবিত করছে কিনা কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা সেটিও জিজ্ঞাসা করছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীরা ভোটারদের আশ্চর্য করছে আপনার ভোট আপনি নিজেই দিতে পারবেন। ভোটধানে বাধা থাকবে না অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সুন্দরবন পুলিশ জেলা বিভিন্ন স্পর্শকাতর বুথগুলিতে টহল দেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল শুরু করাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্থানীয়রা। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হওয়ার আগেই এলাকাগুলিতে নজর কেন্দ্রীয় বাহিনীদের। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকট নির্বাচন কমিশন। অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার লক্ষ্যে আগেভাগে বিভিন্ন এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

 

Editor | 12:16 PM, Wed Mar 06, 2024

Central Force: ভোটের আগেই জেলায় জেলায় হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী ,মানুষকে ভোটমুখী করতে বিশেষ পদক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। এখনো ঘোষণা হয়নি নির্বাচনের তারিখ। তার আগেই কালিয়াচকে আসলো এক কোম্পানি সিআইএসএফ জওয়ান। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ কালিয়াচক পলিটেকনিক কলেজে এসে পৌঁছায় সিআইএসএফ বাহিনী। লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ কালিয়াচক এলাকায় রুটম মার্চ শুরু হবে শনিবার থেকেই।

এদিন রাতে পলিটেকনিক কলেজে জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও পলিটেকনিক কলেজে ক্লাস চলছে। এখনো ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। তাই কালিয়াচক পলিটেকনিক কলেজের পাশের বিল্ডিংএ আপাতত তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে এক কোম্পানি সিআইএসএফ জওয়ান কালিয়াচকে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েক কোম্পানির দল এখানে আসবে। কালিয়াচক পলিটেকনিক কলেজে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,কালিয়াচকের পাশাপাশি কলকাতা পূর্ব ডিভিশনের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় এক কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান আসছে। তবে তাঁদের পৌঁছতে শনিবার রাত হয়ে যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর পুলিশ জেলায় দু’কোম্পানি করে বিএসএফের জওয়ানেরা ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। উল্লেখ্য জলপাইগুড়ি জেলায় ইতিমধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছয় শুক্রবার। রাতে দুর্গাপুর থেকে দুকোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় ঢুকেছে।

কমিশন সূত্রের খবর, এলাকায় পৌঁছনোর পর থেকেই মানুষের মধ্যে থেকে ভয় দূর করতে এবং আস্থা দিতে এলাকায় এলাকায় টহল দেবে বাহিনী। স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে বাহিনীর বেশি করে ঘোরার কথা। কমিশন-কর্তারা জানান, বেশি সংখ্যক মানুষকে ভোটমুখী করতে সব পদক্ষেপই করা হবে।

Sweta Chakrabory | 15:31 PM, Sat Mar 02, 2024

Loksabha Election 2024: লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনি, জেলায় জেলায় শুরু রুট মার্চ

নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল চলতি মাসেই দুধাপে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বঙ্গে ৷ প্রথম দফায় রাজ্যে আসবে ১০০ কোম্পানি বাহিনী ৷ ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আসবে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী ৷ কমিশনের সেই ঘোষণা মতোই লোকসভা নির্বাচনের জন্য কলকাতার আনন্দপুরে এল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পাশাপাশি ভোটের দিন ঘোষণার আগেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কলকাতার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলাতেও চলে এল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গ থেকে এসএসবির জওয়ানরা জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে আসেন । আগামিকাল থেকে জেলা জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করবে বলে জানা গিয়েছে ।

প্রসঙ্গত,মার্চ মাসের ১৪ তারিখে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই ১ মার্চ রাজ্যে পা রাখছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের থাকার জন্য বিভিন্ন স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই পঠনপাঠন লাটে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে পঠনপাঠন ব্যাহত করা চলবে না। বেশ কিছু স্কুলে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে ক্লাস। এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে রীতিমতো অন্ধকারে রেখে কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ।

কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে উত্তর কলকাতার বেথুন স্কুলকে বাছা হয়েছে। ওই স্কুলে স্থানীয় থানা থেকে নোটিশ এসেছে। সুতরাং আজ, শুক্রবার স্কুলের সমস্ত ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সব ক্লাসকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু শুক্রবার নয়, এখন থেকে বেথুনে পঠনপাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা স্কুলে থাকতে শুরু করলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন কী ভাবে ক্লাস হবে সেটা নিয়ে পরবর্তী সময়ে স্কুলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ছাত্রীদের।

Sweta Chakrabory | 17:58 PM, Fri Mar 01, 2024
upload
upload