Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

crime

PM Modi: নারীদের উপর অত্যাচার ও নারীদের সুরক্ষা নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী, লাল কেল্লা থেকে দিলেন বার্তা


নিউজ ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে গোটা বাংলা সহ গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। আর এরই মাঝে এবার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2024) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi on Woman)। মোদির ভাষণে সরাসরি না হলেও ইঙ্গিত গেল আরজি করের ঘটনার দিকেই। এরাজ্যের সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা এবং তার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদের দিকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তাঁর ভাষণে নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে কড়া শাস্তির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

স্বাধীনতা দিবসের সকালে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেছেন প্রধানমন্ত্রী (Modi on Woman)। সে সময়ই নারীদের উপর অত্যাচার ও নারীদের সুরক্ষা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। বলেন, ''নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আপামর জনতা ক্রুদ্ধ। নারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে অপরাধের ঘটনা ঘটাতে সকলে ভয় পায়। এই ভয় তৈরি করাটা দরকার। জনতার বিশ্বাস ফিরে পেতে কড়া পদক্ষেপ করতেই হবে।'' 

এছাড়াও এদিন জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, ''সাময়িক হাততালি কুড়োনোর জন্য কিংবা কোনও বাধ্যবাধকতার কারণে নয়, দেশকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা সংস্কারের কাজে দায়বদ্ধ। আমাদের মা, বোন, মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দেশের আক্রোশ রয়েছে, জনমানসের আক্রোশ রয়েছে। এই আক্রোশকে আমি অনুভব করছি। দেশবাসী দুর্নীতির উন্মাদনায় বিপর্যস্ত। প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি জনগণের আস্থা ভেঙে দিয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।''

উল্লেখ্য, আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2024) প্রাক্কালে রাত জেগেছেন মহিলারা৷ রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র মোমবাতি হাতে মিছিল, স্লোগান, গান, কবিতায় প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী শক্তি৷ তবে রাত দখলের আন্দোলনের ঠিক পরেরদিনই নারীদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (Modi on Woman) এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Sweta Chakrabory | 10:53 AM, Thu Aug 15, 2024

Crime rate in UP: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে এবার সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের শাসনের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেনির ১২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কি।''

এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন যে, ''গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দি, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তর প্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হইয়ে পড়বে।''

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই তিনি (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ''২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।'' এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান যে, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

ফলে এ তথ্য আবারও প্রমান করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।

Sweta Chakrabory | 11:59 AM, Fri Aug 02, 2024

Mob Lynching: গণপিটুনির ঘটনায় ধৃত দু-জনকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত

নিউজ ডেস্ক: চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) ঝাড়গ্রামের যুবককে মারধরের ঘটনায় শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় দু-জনকে গ্রেফতার করে জামবনি থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল মহেন্দ্র মিত্তাল এবং ডাক্তার সোরেন। মহেন্দ্র মিত্তাল ঝাড়গ্রামের বাছুড়ডোবার বাসিন্দা। বছর আটচল্লিশের ওই ব্যক্তি রাস্তা তৈরির কাজে ম্যানেজার পদে রয়েছেন। অপর ধৃত পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি ডাক্তার সোরেন ঝাড়গ্রামের জমাদারডাঙার বাসিন্দা। তিনি সাইট ম্যানেজার। ধৃতদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ৭দিনের পুলিশ হেপাজত এর নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪১/৩৩৫/৩০৭/৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা এমনই অভিযোগ মৃত সৌরভ সাউ-এর মা প্রতিমা সাউ, এবং তাঁর আত্মীয় অপর্ণা দত্তর। শুধুমাত্র চুরি? না এর পেছনে আসলে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করে বেআইনি ভাবে জমি ও খনিজ সম্পদ বিক্রির জন্য অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই মারধর এবং খুন কিনা সেটাই এই মুহুর্তে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কারন গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত মহেন্দ্র মিত্তাল জানায় তাদের কোনও জিনিস চুরি যায়নি। তাঁদের মেশিন ও ঠিক চলছিল। তাহলে প্রশ্ন এদের গণপিটুনি দেওয়া হল কেন? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহিরাগতরা এসে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরন তৈরী করতে চাইছে। অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে তালিবানি কায়দায় মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের একাংশে কি তালিবানি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা চলছে? ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার খাতখুরা এলাকার ওই ঘটনার পেছনেও এই রকম কোনও ঘটনা কিনা সেটাই এই মূহুর্তে তদন্ত করছে পুলিশ।

মৃতের মা এবং বোন সরাসরি অভিযোগ করেছে অভিযুক্তরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, এলাকায় বেআইনি ব্যাবসা চালানোর জন্য অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করতে তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে। ২২ শে জুন জামবনি থানার খাটখুরা এলাকায় সৌরভ সাউ এবং অক্ষয় মাহাতকে মারধর করে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন। জামবনি থানার পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার করে তাদের নিয়ে আসে। তাঁদের প্রথমে চিল্কিগড় এবং পরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ শে জুন মারা যায় সৌরভ সাউ । গুরুতর আহত অবস্থায় অক্ষয় মাহাত নামে এক যুবক ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Pankaj Kumar Biswas | 19:58 PM, Mon Jul 01, 2024

Bharatiya Nyaya Sanhita: দেশে ফৌজদারি আইনে নয়া অধ্য়ায়ের সূচনা, জানেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী বলা হয়েছে?

নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার, ১ জুলাই থেকে গোটা দেশে চালু হচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-সহ নতুন তিন অপরাধমূলক আইন। এর ফলে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে যাবে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া নিয়মগুলি। তার বদলে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর জায়গা করে নেবে ভারতের নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন (New Criminal Laws) — ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (BSA)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন, ‘১ জুলাই থেকে বদলাচ্ছে স্বাধীন ভারতের ইতিহাস। ভারতীয় ন্যায়বিচারের ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে নতুন আইন তিনটি আনা হয়েছে যার সঙ্গে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের আর কোনও সম্পর্ক রইল না।’

১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-র পরিবর্তে হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita)। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি)-র নতুন রূপ ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে কার্যকর হচ্ছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’। তবে, নতুন ফৌজদারি আইন চালু হলেও পুরনো আইনগুলি যে একেবারে ব্যবহার হবে না, তাও নয়। কারণ, দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় রবিবার পর্যন্ত পেন্ডিং কেসের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি, যার সবই চলবে পুরনো আইন মোতাবেক। নতুন কোনও অভিযোগ আইপিসি অনুসারে আর দায়ের করা যাবে না।

এত দিন আইনে সাজার কথা বলা ছিল। এ বার নতুন আইনের নামের মধ্য দিয়েই সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায় পান সেই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে। ভারতীয় বিধানে ন্যায়দণ্ডের কাছে সবাইকে সমান চোখে দেখার কথা বলা রয়েছে। ন্যায় সংহিতায় (Bharatiya Nyaya Sanhita) নতুন ২০টি অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভারতীয় দণ্ডবিধিতে থাকা ১৯টি বিধান বাদ পড়েছে ন্যায় সংহিতায়। একই সঙ্গে ৩৩টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৮৩টি অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার ২৩টি এমন অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে একটি বাধ্যতামূলক সর্বনিম্ন শাস্তির কথা বলা রয়েছে ন্যায় সংহিতায়।

নয়া আইনগুলোর (Bharatiya Nyaya Sanhita) সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এফআইআর থেকে শুরু করে আদালতে বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থাটাই থাকবে অনলাইনে। তার ফলে অভিযোগ দায়ের থেকে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি পর্যন্ত সবটাই হবে প্রযুক্তি চালিত। মামলা যাতে বছরের পর বছর ধরে পেন্ডিং না থাকে, সে জন্য বিচারপ্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক ভাবে শেষ করতে হবে ৩ বছরের মধ্যে এমনই বলা হয়েছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতায়।

নতুন আইনে (New Criminal Laws) নারী সুরক্ষা এবং নারীদের সঙ্গে ঘটা বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে বিধি আরও কঠোর করা হয়েছে। নয়া আইনে ১৮ বছরের কমবয়সি অর্থাৎ নাবালিকা ধর্ষণে সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা আজীবন কারাদণ্ড। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের সাজার কথা বলা হয়েছে। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হবে তাঁরই বাড়িতে। এক জন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই বয়ান নথিবদ্ধ করার কথাও বলা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়। বিয়ে বা অন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অপরাধের জন্য ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।

নতুন আইনে (Bharatiya Nyaya Sanhita) সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক প্রতারণার মতো নতুন অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে। এত দিন দেশে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কোনও আলাদা আইন ছিল না। এ বার এমন অপরাধে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশ দূষণ এবং মানব পাচারের মতো অপরাধকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সাজার আওতায় আনা হয়েছে। তার জন্য আলাদা আলাদা বিধানের কথাও রয়েছে এই আইনে।

Sweta Chakrabory | 13:11 PM, Mon Jul 01, 2024

Nuh Police arrests 42 cyber criminals: সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নয়া নজির গড়ল নুহ পুলিশ

নিউজ ডেস্ক:  পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল ৪২ জন সাইবার অপরাধী। দেশব্যাপী সাইবার জালিয়াতির মামলার বিষয়ে দুই দিনে নুহ, মেওয়াতের(mewat) বিভিন্ন অংশ থেকে ৪২ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দ্বীন মোহাম্মদ, আসিফ, আরিফ, সরফরাজ, সাকিব, ইজাজ, মুনাজির প্রমুখ। শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। অভিযানের সময়, অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোট ৫০ টি সেলফোন, জাল আধার কার্ড(fake adhar card), জাল নথি সহ  ৯০ টিরও বেশি সিম কার্ড, নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮এবং ৪৭১ এর অধীনে ১৮টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে। গত বছর এপ্রিলের পর সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে, প্রায় ৫,০০০ পুলিশ একটি অভিযানে ১৪ টি গ্রাম থেকে ৬৬ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছিল । 

এই গ্রেফতারির একটি বিশদ বিবরন দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে নুহ পুলিশ(nuh police), আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (i4C) প্রতিবিম্ব পোর্টালের(protibimb portal) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। পোর্টালটি এ বছর চালু হয়েছে। এটি মূলত সন্দেহভাজন প্রতারকদের সিম এবং আইএমইআই নম্বর রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে প্লট করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি থেকে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে৷

 রাজ্যের পুলিশ প্রধান শত্রুজিৎ কাপুর বলেছেন যে," প্রতিবিম্ব পুলিশকে রাজ্য জুড়ে ৫৯৪ টি সাইবার জালিয়াতির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে, ১০১(১৮%) রাজস্থানের নুহ এবং পার্শ্ববর্তী শহর আলওয়ারের আশেপাশে অবস্থিত ছিল। সন্দেহভাজনদের রিয়েল-টাইম অবস্থানের ডেটা এবং তাদের ফোন নম্বরগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চকুলায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম কেন্দ্রের সাথে ভাগ করা হয়েছিল।"  শত্রুজিৎ কাপুর এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, “তাদের কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড এবং জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কতগুলি মামলায় জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে তাদের বিবরণ I4C এর সাথে সংরক্ষিত ডেটার সাথে মেলানো হবে।” 

 জানা গেছে অভিযুক্তরা ভুয়া বিজ্ঞাপন(fake advertisement), জাল চাকরির(fake job) প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। নুহ পুলিশের মুখপাত্র, কিশান কুমার বলেছেন যে যুবকরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে লোকেদের টার্গেট করত, যেমন ভিডিও কলের সময় তোলা ছবিগুলিকে অসৎ ভাবে জাল বিজ্ঞাপন দিতে ব্যবহার করত। তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যৌন নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিল, অন্যরা লোভনীয় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকেদের ঠকানো হত।”

নুহ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, নরেন্দ্র বিজার্নিয়া সাইবার অপরাধীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি সাইবার অপরাধীদের(cyber criminal) সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন যে তারা যদি পুলিশের সতর্কবার্তা না মানে তাহলে, "নুহ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোঠর ব্যবস্থা নেবে"।সাইবার ক্রাইম থানার এসএইচও, ইন্সপেক্টর বিমল রাই জানিয়েছেন যে সমস্ত থানার ম্যানেজার/অফিসার, সিআই ইউনিট/স্টাফ এবং নুহ সাইবার পুলিশের পৃথক দল সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুলিশ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে এই জালিয়াতির সাথে যুক্ত আরও অপরাধীদের ধরতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Sweta Chakrabory | 12:11 PM, Tue Apr 02, 2024

H S Exam 2025 dates: উচ্চমাধ্যমিকে মোবাইল অপরাধে “ লেডিজ ফার্স্ট”

আগামী বছর ৩ মার্চ ২০২৫ সালে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক। শেষ হবে ১৮ মার্চ ২০২৫। বুধবার জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি আরও জানান প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে দ্রুত। আইন বিভাগে রয়েছে। প্রসঙ্গত এদনই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আজ শেষ হয় অন্যদিকে এবার মোবাইল সহ পরীক্ষা দেওয়ার অভিযগে মোট ৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে বহুসংখ্যক ছাত্রীরা। মোট ২৫। সংখ্যালঘু ছাত্ররা। যাদের সংখ্যা মাত্র ১৬। এরপর বিকাশ ভবনে শিক্ষা দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এর সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচাৰ্য।

ব্রাত্য বসু জানান, “২০২৪ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যথা সময় শুরু হয় এবং আজকে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শেষ হল। সামগ্রিকভাবে সমস্ত পরীক্ষা সুষ্ঠু নির্বিঘ্নে এবং খুবই সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২২১ এর সামান্য বেশি। মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল 827 টি। ৬৭৯১ টি স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে গোটা রাজ্যে। ২৩ টি জেলার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা থেকে ছাত্রের সংখ্যা বেশি ছিল। ১ লক্ষ ৩ হাজার সতেরো জন ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ছাত্রের থেকে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকেছে এবং পরীক্ষা বাতিল হয়েছে এরকম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১ জন। যেহেতু এই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে সেই কারণে ফলে এটা খুব সাবধানে এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত চালাচ্ছে। পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার মধ্য বেশ কিছু অসাধুচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল যাতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা যায় সরকারকে কালিমা লিপ্ত করা যায় নানা রকম প্রয়াস তারা চালিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। সরকার এবং সংসদ এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানা এ ধরনের ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার যে চক্র তার মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে। চারজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে বা অন্য কোন কারণে এক্সিডেন্টে চারজন মারা গেছেন। দুজন মুর্শিদাবাদ জেলায়, একজন আলিপুরদুয়ার জেলায়, একজন পূর্ব বর্ধমান জেলায় এদের অকাল প্রয়াণে মর্মাহত।

Editor | 18:18 PM, Thu Feb 29, 2024
upload
upload