Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

cv ananda bose

CV Ananda Bose: ''বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন'', আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ রাজ্যপালের


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আবহে উত্তাল রাজ্য। আজ এক মাস পূর্ণ হল চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। আর এরই মধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(CV Ananda Bose)। সূত্রের খবর, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনগণের ক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে রাজ্য়পাল অবিলম্বে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।
রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই এ কথা বলেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতা, তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং ১৪ অগস্ট রাত দখলের সময় আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের ভাঙচুরের ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে পুলিশকেই। চিকিৎসকরাও দাবি তুলেছেন পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলের ইস্তফার। তাই জনগনের দাবি মতো, পুলিশ কমিশনারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এমন এক নক্কারজনক ঘটনায় রাজ্য সরকার দায় এড়াতে পারে না এবং রাজ্যে যা হচ্ছে, তা নিয়ে চুপ থাকতে পারে না বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপির পদত্যাগ চেয়ে লালবাজার অভিযান করেছিলেন চিকিৎসকেরা। লালবাজারের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিপির সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। রবিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতাকে। আরজি কর আবহে জনতার দাবি প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose) বলেন, ''সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে রাজ্যের কাজ করা উচিত। সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজ্য সরকারের।'' একইসঙ্গে মৃত মহিলা চিকিৎসকের বিচারের আশায় সাধারণ মানুষ যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। ফলে রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে এবার মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন কি না, তাই-ই এখন দেখার।

Sweta Chakrabory | 12:55 PM, Mon Sep 09, 2024

Aparajita Bill 2024: অপরাজিতা বিলেও ধাক্কা! টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া সই পাওয়া সহজ হবে না, জানালেন রাজ্যপাল


নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিকাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। তাই এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরকারের এই বিলটি অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলের অনুকরণে তৈরি বলেও খোঁচা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় তার সরকার মহিলা সুরক্ষায় নতুন একটি বিল আনতে চলেছে। সম্প্রতি সেই 'অপরাজিতা বিল ২০২৪' (Aparajita Bill 2024) সম্প্রতি বিধানসভায় পাস করিয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই।
বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের উপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের মধ্যেই বিলের (Aparajita Bill 2024) টেকনিক্যাল রিপোর্ট চলে যাবে। অন্য রাজ্য সঙ্গে এখানকার বিষয় আলাদা। তাই অবিলম্বে এই বিল পাস করিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। সবটাই বাংলার স্বার্থে।”
উল্লেখ্য, এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:19 PM, Fri Sep 06, 2024

Governor On Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে রাজ্যকে বিশেষ বার্তা রাজ্যপালের


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে। এবার সে প্রসঙ্গেই রাজ্যকে বিশেষ বার্তা দিলেন রাজ্যপালের সিভি আনন্দ বোস। 'ছাত্র সমাজ'-র ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ দমন করতে সরকারি ক্ষমতার যেন অপব্যবহার না করা হয়। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্য সরকারকে কার্যত ‘ওয়ার্নিং’ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

নবান্ন অভিযানের আগে যে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor On Nabanna Abhijan) সেই বার্তার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় রাজভবন থেকে। যার মূল কথা, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের দমনে সরকারি শক্তি প্রয়োগ চলবে না।

ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন,"আগামীকাল বাংলার ছাত্র সমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে জোর করে আন্দোলন দমনের খবর আসছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে বাংলায় যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কণ্ঠরোধ করা নয়।"

প্রসঙ্গত, আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শহরজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে 'অরাজনৈতিক' সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সে কারনেই নবান্নের নিরাপত্তায় থাকছেন প্রায় ১০০ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। ২ হাজার কনস্টেবল। এছাড়াও কলকাতা ও হাওড়া ঘিরে রাখবে পুলিশ। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই তাৎপর্পূর্ণ বার্তা দিলেন সি ভি আনন্দ বোস।

প্রসঙ্গত এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশ স্পষ্টত জানিয়েছে, যে নবান্ন অভিযানের ডাক (Governor On Nabanna Abhijan) দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কারণ, একে তো কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। দুই প্রথা মাফিক তথা নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে কোনও আবেদন জানানো হয়নি। তাই পুলিশ কোনও অনুমতি দিচ্ছে না। এতএব বোঝাই যাচ্ছে, মঙ্গলবার প্রবল উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে।

Sweta Chakrabory | 13:25 PM, Tue Aug 27, 2024

CV Ananda Bose:‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ’, মমতাকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট তলব বোসের

নিউজ ডেস্ক: দেশে কার্যকর হওয়া নতুন তিন আইনের পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করল নবান্ন। এরপরই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের পরেই রাজ্যের কাছে নতুন কমিটি সম্পর্কে তথ্য তলব করেছেন রাজ্যপাল বোস। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সময়ে জবাব দিয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ।’’

জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে তিন নতুন ফৌজদারি আইন। ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ বাতিল হয়ে লাগু হয়েছে ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। কার্যকর হওয়া ওই তিন আইন খতিয়ে দেখতে বুধবার সাত সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে থাকছেন অসীম রায়, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর এই তিন নতুন আইন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই বলেছিলেন যে এই আইন নিয়ে বাদল অধিবেশনে সরব হবে তাঁর দল। তার আগেই আইন খতিয়ে দেখতে এই কমিটি গঠন করা হল। নবান্নের তৈরি করা সেই কমিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে এই কমিটি তৈরির উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তিনি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলা ব্যানানা রিপাবলিক হতে পারে না।’ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নয়া আইন প্রনয়ণের আগে মতামত চেয়েছিল, তখন কোনও প্রত্যুত্তর রাজ্য দিয়েছিল কি?’ রাজভবন সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটির কাজ কী হবে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর মত, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশ যখন নতুন আইন অনুযায়ী চলছে, তখন বাংলা তার থেকে আলাদা হতে পারে না।’’

Sweta Chakrabory | 09:00 AM, Thu Jul 18, 2024

CV Ananda Bose: রাজ্যপালের মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে কী নির্দেশ হাইকোর্টের? 


নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose) সম্পর্কে আর কোনও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য নয়। রাজ্যপালের করা মামলায় মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। কার্যত মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে হাইকোর্ট। আদালত তরফে নির্দেশ আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রিয়াদ হোসেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HighCourt) মামলা করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় রাশ টানল। অর্থাৎ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা না হয় তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের দুই জয়ী প্র্রার্থীর শপথকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই অপমানিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল। 

এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তিকালীন আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। বিচারপতি রাও এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্য যে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলিকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন তবে তিনি যেই হোন তাকে ভুগতেই হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক কলিগ। আমি সেই হিসাবেই তাঁকে মর্যাদা দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিটা আদালত (Calcutta HighCourt) বিচার করবে।

Sweta Chakrabory | 10:41 AM, Wed Jul 17, 2024

CV Ananda Bose: আচমকা চোপড়া সফর বাতিল রাজ্যপালের, শিলিগুড়িতে বসে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন সিভি আনন্দ বোস

নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) শিলিগুড়ি পৌঁছান। ঠিক ছিল সড়কপথে তিনি চোপড়া পৌঁছবেন। ঠিক ছিল, চোপড়াকাণ্ডের আক্রান্ত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। কিন্তু, আচমকা তাঁর চোপড়া সফর বাতিল হয়ে যায়। তিনি ফের শিলিগুড়ি থেকে দিল্লি ফিরে যান। তবে, আচমকা কেন তাঁর সফর বাতিল হল তা জানা যায়নি।

এদিন শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে বসে চোপড়াকাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেভাবে প্রকাশ্যে মহিলার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, "যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না। সরকারের সমর্থনে হিংসা চলছে রাজ্যে।" রাজ্যপালের এই বক্তব্যে তৃণমূল সরকার যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

রবিবারই চোপড়ার (Chopra Incident) লক্ষ্মীপুরে হওয়া একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, এক তরুণ এবং এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে একছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন এক ব্যক্তি। মার খেতে খেতে  প্রায় গুটিয়ে যাওয়া তরুণীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে আবার চলছে মার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা বিবাহিত। তবে, তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। পরে ফিরে এলে তাঁদের কাছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে এলাকায় (Chopra Incident) থাকতে দেওয়া হবে না ফতোয়া দেওয়া হয়। তার পরও সেই টাকা না দেওয়ায় রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁদের। পরে, জানা যায়, ভিডিও যিনি তাঁদের মারছিলেন, তাঁর নাম তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। তিনি তৃণমূল নেতা। তবে এলাকায় পরিচিত চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।

Sweta Chakrabory | 15:39 PM, Tue Jul 02, 2024

CV Ananda Bose: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল! পুলিশকর্মীদের রাজভবন থেকে সরানোর নির্দেশ 

নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজভবনের চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্তদের' নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন।

Sweta Chakrabory | 13:42 PM, Mon Jun 17, 2024

Bhupatinagar incident update: অপরাধীদের বাঁচাতে ফের 'ঘৃণ্য' রাজনীতি TMC-র ! অভিযুক্তদের আড়ালের চেষ্টা! 


নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সোমবার নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। সেই অনুযায়ী কমিশনের দফতরে যায় তাদের এক প্রতিনিধি দল। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তাঁরা ধর্নাতেও বসেন। যদিও তাঁদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁরা থানার বাইরে টেবিল ও চাদর পেতে বসে থাকেন। পুলিশ থানাকে রাজনীতির জায়গায় পরিণত না করার অনুরোধ করলেও তাঁরা সেখানে দিনভর বসে ছিলেন।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই বিষয়ে পদক্ষেপের দাবিতে সোমবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এরপর রাতভর দিল্লিতে মন্দিরমার্গ থানায় ধর্না দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। আর সেই ধরনা নিয়েও নাটকীয়তা তুঙ্গে। পুলিশের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়,সোমবার সন্ধ্যা ৬টার সময় তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁরা জোর করে থানার চত্বরে বসে আছেন। থানা চত্বরকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার না করার জন্যও আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। বলা হয়, কাউকে সরকারিভাবে গ্রেফতারও করা হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ায় আম আদমি পার্টি। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূল অপরাধীদের আড়াল এবং সমর্থন দুটোই করছে তৃণমূল। এখন বিষয়টা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে গেছে”।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভূপতিনগরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। আর ৬ এপ্রিল এই মামলার তদন্তে ভূপতিনগরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় এনআইএ আধিকারিকদের। জখম হন দুই আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। এই ঘটনায় এনআইএ আধিকারিকরা কতটা জখম হয়েছেন তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এফআইআর যাতে খারিজ করা হয় সেই জন্য মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন এনআইএ-র গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন।

Sweta Chakrabory | 18:04 PM, Tue Apr 09, 2024

CV Ananda Bose In Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বোস, সঙ্গে বিরোধী দলনেতাও

নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। আহতদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর–সহ একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।

রাজ্যপাল জানান, রাজভবনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পিস রুম, খোলা হয়েছে জরুরি সেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন। রবিবার কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রসঙ্গত,রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার সকাল হতেই রাজ্যপাল সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার পর চার্টার্ড ফ্লাইটে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শুভেন্দু বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছেন সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ। অর্থাৎ, তাঁদের যাত্রার সময়ের ব্যবধান প্রায় ১৩ ঘণ্টা।

এ প্রসঙ্গে সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। রাজ্যপালও তেমন গিয়েছেন।’’ মমতার দ্রুত যাওয়া নিয়ে নির্বাচনী বন্ডের প্রসঙ্গও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

Sweta Chakrabory | 13:56 PM, Mon Apr 01, 2024

Gourbanga University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ! রাজ্যপালে কড়া ভাষায় আক্রমন ব্রাত্যর


নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য অপসারণ নিয়ে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ। গত বছর জুন মাসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের একাধিক উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। দু’মাস উপাচার্যহীন থাকার পর গত অগস্ট মাসে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রজতকিশোর দে-কে। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস এই পদে বসিয়েছিলেন তাঁকে।

উল্লেখ্য, ৯ মাসের মাথায় সেই আচার্যই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন রজতকিশোর দে-কে। অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার জন্যই সরানো হয়েছে, মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী। "মাথা গরম হয়ে এ কাজ করেছেন"-কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর। তবে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে রাজভবনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন কনভেনশন হয়েছে।ওয়েবকুপার সভাপতি হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।এই কনভেনশনের পরই সোমবার আচমকা জানা গেল পদ থেকে সরানো হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের পর আরেকজন উপাচার্যর চাকরি গেল। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাবর্তনের আগের সন্ধ্যায় সরানো হয়েছিল বুদ্ধদেব সাউকে। এবার সেই ছবি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল ‘পাগলামি’ করছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য।

Sweta Chakrabory | 13:24 PM, Mon Apr 01, 2024

CV Ananda Bose:"যেখানেই হিংসা হবে আমি মাঠে থাকব"- দিনহাটা যাওয়ার পথে বললেন রাজ্যপাল

নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিনহাটা পৌঁছলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় রাজ্য মন্ত্রী নিশিত প্রামাণিক এবং রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এবং আহত দের সাথে দেখা করতে দিনহাটা পৌঁছলেন রাজ্যপাল।

ঘটনাস্থলে পৌছনোর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান,"উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন তা দেখার চেষ্টা করছি। গতকালের ঘটনা দেখার পর মনে হয়েছে সেখানে রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো নয়, আমি সেটাও দেখতে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। আমি ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।"

এরপাশাপাশি এদিন রাজ্যপাল আরও বলেন, নির্বাচনের সময় তিনি কোনোরকম হিংসা হতে দেবেন না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে হিংসা হয়েছিল সেটা আবার কাম্য নয়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানান,"যেখানেই হিংসা হবে আমি মাঠে থাকব। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।"

Sweta Chakrabory | 15:14 PM, Wed Mar 20, 2024
upload
upload