Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

cyclone dana

Cyclone Dana: দানার ভয়ে কাঁপছে বাংলা! ফিরছেন মৎস্যজীবীরা, ১৪টি জেলায় সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। স্থলভাগ দূরত্ব বর্তমানে মেরেকেটে সাড়ে সাতশো কিলোমিটার। বাংলার পাশাপাশি দানার ভয়ে সিঁটিয়ে ওড়িশাও। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের মধ্যে মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে দানা। পূর্বাভাস বলছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যেই রূপ বদলাতে শুরু করেছে পুরীর সমুদ্র। গভীর নিম্নচাপ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কী অবস্থা হবে সেটাই এখন ওড়িশা প্রশাসনের সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ।

ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য বিশেষ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। সকলেই সৈকত সংলগ্ন হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।শুধু পর্যটক নয়, ১৪টি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। দানা আতঙ্কে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটির। অন্যদিকে পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তৎপরতা বাড়িয়েছে এনডিআরএফ, ওডিআরএফ। ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা কমানো যায় সেই চেষ্টাই চলছে জোরকদমে। একইসঙ্গে প্রাণহানি যাতে শূন্যতে নামিয়ে আনা যায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের।

ঝড়ের ক্ষতি যাতে সহজে সামলে ওঠা যায়, তার জন্য সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ বেশি হলে রেহাই পাবে না রেলও। তাই শিয়ালদহ ডিভিশনের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল পূর্ব রেল। ঝড়ের পূর্বাভাস শুনেই কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এই এমার্জেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সেখানে থাকবেন অফিসাররা। রেল লাইনে জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। তাই জায়গায় জায়গায় পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পূর্ব রেল। তাই এ ব্যাপারে যাত্রীদের আগে থেকে সতর্ক করার কথা বলা হয়েছে। যদি প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে স্টেশন বা প্লাটফর্মে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তার জন্য প্লাস্টিক শিটের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও শিয়ালদহ ও কলকাতার মতো বড় স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এমার্জেন্সি লাইট। ওভারহেডের তারে সমস্যা হলে যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার জন্য টাওয়ার ওয়াগন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে যাতে বিমান চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়, বা বিপদ এড়াতে কোনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে তৎপরতা বেড়েছে দমদম বিমানবন্দরেও। সতর্ক বন্দরের কর্তারা। মঙ্গলবার হয়ে গেল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিমানগুলিকে কীভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোথায় রাখা হবে, উড়ান বাতিল হবে নাকি ঘুরপথে চলবে এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয় নিয়ে এদিন হয় বৈঠক।

Sweta Chakrabory | 17:45 PM, Tue Oct 22, 2024

Cyclone dana: বাংলার দিকেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, কোথায় ল্যান্ডফল?


নিউজ ডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে ততোই শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে রয়েছে দানা। সাগর দ্বীপ থেকে বর্তমানে সেই নিম্নচাপের দূরত্ব মাত্র ৭৭০ কিলোমিটার। বুধবারই জন্ম নেবে ‘দানা’ (Cyclone dana)। বৃহস্পতিবার রাতেই হানা দেওয়ার সম্ভাবনা।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রথম পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর, সেই আশঙ্কা সত্যি করে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলেই আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানবে ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রে বাতাসের গতি ছাড়াতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি। মঙ্গলবার সকালের পূর্বাভাস অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ - ওড়িশা সীমানার কাছে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রটি। ২৪ অক্টোবর রাতে বা ২৫ অক্টোবর সকালে ঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। সমুদ্রে দীর্ঘ সময় থাকায় ঝড়টি প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের উপরে যে নিম্নচাপ অবস্থান করছিল, তা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করছে। তারপর আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর মঙ্গল থেকে বুধবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর বুধবার বেলা বাড়লে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone dana) তৈরি হবে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাবে ‘দানা’। তারপর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার ভোররাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করবে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে রাত যত বাড়বে তত বাড়বে ঝড়ের তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, ঝড়ের (Cyclone dana) শক্তিশালী দিকটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উপকূলবর্তী সমস্ত জেলা ও তার লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বা তার বেশি বেগে হাওয়া বইতে পারে। শুধু ঝড় নয়, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে পারে। বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ওই দিন ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় জারি থাকবে কমলা সতর্কতা। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা। বৃহস্পতিবার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর বঙ্গের ৩ জেলা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। আর শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

আর এই ঝড়ের জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কোনও পর্যটককে পুরী ভ্রমণে না আসার পরামর্শও দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। ওড়িশাতেও গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জজপুর, আঙ্গুল, খুরদা, নয়াগড় এবং কটকে দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশার এই ১৪ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Sweta Chakrabory | 16:50 PM, Tue Oct 22, 2024

weather Update: রাজ্যে সাইক্লোন ‘দানা’র ভ্রুকুটি ! আগামী ২৪ ঘণ্টায় কেমন থাকবে আবহাওয়া ?

নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়(weather update) দানা, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এটি। মঙ্গলবার, এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং শক্তি বাড়িয়ে বুধবার, ২৩ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (weather update) রূপ নেবে। এই পরিস্থিতির ফলে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতি মুহূর্তেই কড়া নজরের মধ্যে বিষয়টি রেখেছে আবহাওয়া দফতর।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মূলত ২৩ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর অবধি রয়েছে হলুদ, কমলা ও লাল সতর্কতা। মঙ্গল ও বুধবার সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিশেষ করে ধানের ফসলের প্রতি নজর রাখা প্রয়োজন। যারা ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেছে, তাদের দ্রুত ফসল কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে রয়েছে দানা। সাগর দ্বীপ থেকে বর্তমানে সেই নিম্নচাপের দূরত্ব মাত্র ৭৭০ কিলোমিটার। বুধবারই জন্ম নেবে ‘দানা’। আর বৃহস্পতি রাতেই হানা দেওয়ার সম্ভাবনা। 

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে জেলা পুরুলিয়াতে এমনটাই জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। বৃষ্টির তাণ্ডব চললে আবারও নানান সমস্যায় পড়তে পারে জেলার মানুষ। হতে পারে তাপমাত্রার পরিবর্তন। ‌এই দিন পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গরম থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সুত্রে। তবে পুরুলিয়া ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর , পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে। বুধবার দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদল হবে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।

Sweta Chakrabory | 10:29 AM, Tue Oct 22, 2024

Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'! প্রস্তুত এনডিআরএফ, খুলে গেল কন্ট্রোলরুম


নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজো নির্বিঘ্নে কাটলেও কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে।

তবে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাব শহরে কতটা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় পুরোপুরি তৈরি থাকছে কলকাতা পুরসভা। গাছ পড়ে গেলে তা সরানোর জন্য প্রতিটি বরোয় মোতায়েন থাকবে বিশেষ টিম। জল নিকাশি ব্যবস্থা তো বটেই, কলকাতার বাতিস্তম্ভগুলিও সোমবার পরীক্ষা করে দেখা হবে, যাতে তড়িদাহত হয়ে কারও প্রাণহানি না হয়। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকবে পাম্পিং স্টেশনগুলি। আজ, সোমবার সব বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ঝড়ের পরে রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ সরানোর জন্য ১৬টি বরোয় আলাদা টিম গঠন করা হচ্ছে। হাইড্রোলিক ল্যাডার, ক্রেন, পে লোডার, ডাম্পার থাকবে।

তবে সময় যত কাটছে ততই বাড়ছে আশঙ্কা। ওড়িশা নয়, সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। রবিবার বিকেলের পূর্বাভাসে তেমনই জানানো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি অত্যন্ত দুর্বল শ্রেণির হতে চলেছে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ঝড়ের জেরে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও থাকছে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার রাতেই থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে আন্দামান সাগরে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সেটি গভীর নিম্নচাপের পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় দানার চেহারা নেবে সেই নিম্নচাপ। এর পর উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সম্ভবত বুধবার মধ্যরাতে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে সেটি।

পূর্বাভাস অনুসারে বুধবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে শুরু হবে দমকা হাওয়া। সঙ্গে শুরু হবে বৃষ্টি। ধীরে ধীরে উপকূল লাগোয়া অন্যান্য জেলাতেও আবহাওয়ার অবনতি হবে। বুধবার বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আসল দাপট টের পেতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। বুধবার গভীর রাতে সম্ভবত সুন্দরবন দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে এই ঝড়।

ঝড়ের (Cyclone Dana) কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ - ৮৫ কিমি। দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস তাতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ প্রভাব পড়তে পারে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।

Sweta Chakrabory | 11:59 AM, Mon Oct 21, 2024
upload
upload