Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

durga puja

WB Flood Situation: পুজোর মুখে বন্যার আশঙ্কা! জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি


নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে বন্যার ভ্রুকুটি বঙ্গে। নিম্নচাপ সরে গেলেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি (WB Flood Situation) তৈরি হয়েছে। আসলে ডিভিসি-র মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মাইথন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। আর এর ফলেই পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই হরিহরপুর, কুরচি শিবপুর, টোকাপুর, শিবানীপুর সহ একাধিক জায়গা দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জল। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে পাঁচ ছয়টি গ্রাম। জলের তলায় উদয়নারায়নপুর ডিহিভুরসুট রাজ্য সড়ক। প্লাবিত নিম্ন দামোদর অববাহিকার একাধিক গ্রাম। বাড়ি, দোকানপাট, চাষের জমি, রাস্তাঘাট জলমগ্ন। জানা গিয়েছে আগামী ২-৩ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ (WB Flood Situation) হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশে সরে গেলেও নিস্তার নেই বাংলায়।

অন্যদিকে ডেবরায় কাঁসাই নদীর বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে। প্রান বাঁচাতে ঘর ছেড়েছে একাধিক এলাকার মানুষ। রাজ্য সড়কের উপর কোমর সমান জল, যানচলাচল প্রায় বন্ধ। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। কাঁসাই নদীর জলে প্লাবিত (WB Flood Situation) হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি।

একই পরিস্থিতি আরামবাগেও। আরামবাগের হরিণখোলার দর্জিপোতায় মুন্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন বাড়ি ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় উঠে আসছেন। দামোদর নদীতে জল বাড়ায় প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী এই দুটি নদীর মাঝে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে ব্যাপক জলস্ফিতি হয়েছে। দামোদর নদে ডিভিসির ছাড়া জলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গত শনিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই কারণেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার যে সব অঞ্চল দামোদরের ধারে, সেই সব জায়গার বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা (WB Flood Situation) দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার।

Sweta Chakrabory | 15:50 PM, Wed Sep 18, 2024

Puja Bonus: পুজোর আগেই বোনাস পাবেন কলকাতা পুরসভার একশো দিনের কাজের কর্মীরা


নিউজ ডেস্ক: আরজি কাণ্ডে কলকাতা সহ বাংলা জুড়ে যে গণআন্দোলন হচ্ছে, তাতে অস্বস্তি রয়েছে শাসকদল। কিন্তু এরই মাঝে সরকারি কর্মীদের মন জয় করতে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। এ বার কলকাতা পুরসভায় কর্মরত একশো দিনের কাজের কর্মীদের 'উৎসব বোনাস' (Puja Bonus) দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বর্তমানে কলকাতা পুরসভার অধীনে প্রায় ১৫ হাজার এই কর্মী রয়েছেন, যাঁদের এই পুজোর বোনাস দেওয়া হবে। এর জন্যে সরকারের ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'উৎসবে ফেরার' অনুরোধ করেছিলেন। এই আবহে অনেক মানুষের মনেই একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। আবার গত এক মাস ধরেই ধরেই বহু পুজো কমিটি সরকারি অনুদানের টাকা ফিরিয়েছে। কিন্তু সে সবের মাঝেই পুরসভা জানাল একশো দিনের কর্মীদের সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে পাঠানো হবে।
পুজোর আগে যাতে সব কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুরসভা। ধাপে ধাপে এই অর্থ দেওয়া হবে। এদিকে পুজোর মুখে এই টাকা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে ওই কর্মীদের মুখে। ইতিমধ্যেই ধাপেধাপে বিভিন্ন বিভাগের ১০০ দিনের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মমতার 'উৎসবে ফেরার' (Puja Bonus) বার্তার পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার একশো দিনের কাজে কর্মীদের উৎসব বোনাস দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ করেছেন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কলকাতা পুরসভার ১৫ হাজার কর্মী রয়েছে৷ তিনটি ক্ষেত্রে সেই কর্মীরা কাজ করে থাকেন। দক্ষ শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পান ৪০৪ টাকা। অদক্ষ শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পান ৩০৩ টাকা ৷ আর সুপারভাইজারের অধীনে যারা কাজ করেন দৈনিক মজুরি পান ২০২ টাকা করে৷ তবে পুজোর আগে সবাইকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে 'উৎসব বোনাস' দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে, ১০০ দিনের প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য অসীম বসু বলেন, 'নামমাত্র দৈনিক মজুরিতে সারাটা বছর কালঘাম ঝড়িয়ে কাজ করেন এই সমস্ত কর্মীরা ৷ এই টাকা পেলে পুজোর মুখে স্ত্রী বা বাড়ির ছোট্ট ছেলে মেয়েদের নতুন জমা কাপড় কিনে দিতে পারবেন উৎসবের আবহে।'


Sweta Chakrabory | 17:47 PM, Sun Sep 15, 2024

Durga Puja: অভাবের সংসার থেকে শুরু পতমান, বর্তমানে থিমের মণ্ডপ শিল্পী হিসাবেই খ্যাতিলাভ পঞ্চানন ভূুঁইয়া


নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার ঝোঁক। আর বড় হয়ে সেই আঁকা বদলে গেল মণ্ডপ সজ্জা শিল্পে। সংসার চালাতে এই কাজে আসা। আর বর্তমানে এই কাজই শিল্পী পঞ্চানন ভূুঁইয়ার (Artist Panchanan Bhunia) পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার তৈরি মণ্ডপ সজ্জা অসম ও কোচবিহারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে। পুজো যত এগিয়ে আসছে কাজের চাপ তত বাড়ছে। তাই রাত দিন এক করে তারই কাজ করে চলেছে পঞ্চানন।

সালটা ২০২০। সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ। তারপর করোনা আর লকডাউন আর্থিক সংকটের জাঁতাকলে ছাড়তে হয় পড়াশোনা। দু চোখে স্বপ্ন ছিলো পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কন শিল্পী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। করোনার ফলে দীর্ঘ লকডাউনে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলো পরিবার। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়াশোনা আর করা হয়নি। তবে অঙ্কনকেই পেশা হিসাবে নিয়ে কাজ শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের কোলসর এলাকার যুবক পঞ্চানন ভূঁইয়া (Artist Panchanan Bhunia)। তাঁর তুলির টানেই ফুটে উঠেছে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের দেব-দেবী, মনীষী, বিখ্যাত মানুষ ও প্রকৃতির জীবন কাহিনী।

কখনও চালের উপর, আবার কখনও বালির ছোট নুড়ি, ফেলে দেওয়া বোতলের ছিপি, নারকেলের মালা, সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে নানান ধরনের দূর্গা প্রতিমা ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন পঞ্জানন। সারা বছর ধরে নিত্যনতুন কিছু করার চেষ্টা করে সে। তবে দুর্গাপূজার সময় ব্যস্ত হয়ে ওঠে মন্ডপ সজ্জার কাজে।

এ প্রসঙ্গে পঞ্চানন (Artist Panchanan Bhunia) জানিয়েছেন, ''আমাদের জেলার শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে তুলির টানে নানান জিনিস বানিয়ে, মণ্ডপ সজ্জা করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দিতেই এই কাজ শুরু করা। বর্তমানে কাজের পরিসর বাড়ছে। একটু একটু করে নাম ডাক হয়েছে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে।''

জানা গিয়েছে, পঞ্চাননের (Artist Panchanan Bhunia) ছোট থেকেই ছবি আঁকার নেশা ছিলো। স্থানীয় এক শিল্পীর কাছে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেয়। তার পর নিজে নিজেই ছবি আঁকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে এলাকার ছেলে মেয়েদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিজের কাজ করে চলেছে পঞ্জানন।

Sweta Chakrabory | 17:45 PM, Fri Sep 13, 2024

Baruipur Rajbari: ৩০০ বছরের সাবেক পুজোয় রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর সম্মার্জনীতে ধুলো পরিষ্কার, রীতি মেনে চলছে সব


নিউজ ডেস্ক: জমিদারি না থাকলেও, কোনও অংশে বনেদিয়ানাতে খামতি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) বাড়ির দুর্গাপুজোয়। রুপোর পাখায় বাতাস হোক কিংবা রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ, সবই চলছে রীতি মেনে। জেলার অন্যতম পুরনো পুজো এটি। বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ব্রিটিশ শাসক লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায়চৌধুরীদের। সেই থেকেই শুরু হওয়া দুর্গাপুজো নিজস্ব জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন।
বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, রুপোর পাখা দিয়ে দেবীকে হাওয়া দিতে-দিতে এবং রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে-করতে প্রতিমাকে বিসর্জন করতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য আরেক নিয়ম হল দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো। সরকারিভাবে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা ও বিজয়া দশমীতে তা ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আজও এটাই প্রধান বিশেষত্ব এই বনেদি বাড়ির পুজোর। দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ালে, সে গিয়ে কৈলাসে শিবকে খবর দেবে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছে রায়চৌধুরীরা (Baruipur Rajbari)। প্রতি বছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর এলাকার বাকি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বর্তামানে এই পুজোর দায়িত্বে থাকা রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, শাতব্দী প্রাচীন পুজোর ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন, ''তিনশো বছর আগে রাজা রাজবল্লভ রায়চৌধুরী এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এখনও তিন জন পুরোহিত রীতি মেনে এখানে পুজো করেন।''
মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। এখনও সপ্তমী ও অষ্টমীতে পাঁঠা বলি হয় সেখানে। নবমীতে হয় আখ ও চাল কুমড়ো বলি। উৎসবের দিনগুলি সমস্ত আত্মীয়স্বজন আসেন এই বাড়িতে (Baruipur Rajbari)। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে। সূদূর জয়নগর, মন্দিরবাজার, কুলতলি থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন এই দুর্গাপুজো দেখতে। সত্যি বলতে কি, চারপাশে হাজার একটা বারোয়ারী পুজোর ভিড়, থিমের চমক থাকলেও আজও অমলিন বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো।

Sweta Chakrabory | 16:30 PM, Fri Sep 13, 2024

Durga Puja Donation: আজ থেকে শুরু পুজোর অনুদান দেওয়া, আরও ২ ক্লাব ফেরাল টাকা


নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পুজোর অনুদান দেওয়া হবে বলে সোমবারই নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে অনুদান (Durga Puja Donation) দেওয়ার আগেই আরও দুই পুজো কমিটি জানিয়ে দিল, তারা অনুদান নেবে না। আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ সারাদেশ। ‘বিচার চাই, বিচার দাও’ এই স্লোগানে মুহুর্মুহু ধ্বনিত হচ্ছে কলকাতার রাজপথ। দফায় দফায় রাতদখলে নামছে মানুষ। নানাভাবে নিজেদের প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তারা। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে টলিপাড়ার কলাকুশলীরা, বাদ যাননি কেউ। আর এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিভিন্ন ক্লাব। এর আগে অনেকেই পুজোয় সরকারি অনুদান ফিরিয়েছে। আজ আবারও সেই তালিকায় নাম লেখালো খাস কলকাতার আরও দুই ক্লাব।
সরকারের দেওয়া অনুদান (Durga Puja Donation) গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে টালিগঞ্জের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতির নেতাজিনগর দুর্গোৎসব কমিটি। সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। অন্যদিকে বেহালা চৌরাস্তা সবেদাবাগান ক্লাবও জানিয়ে দিয়েছে তারা সরকারি অনুদান নেবে না। পুজোতে বাজবে না গান, কোনও অতিরিক্ত আড়ম্বর নয়। এই পুজো কমিটিরও দাবি, বিচার চাই।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের একাংশ। এই আবহে প্রতিবাদ স্বরূপ বিভিন্ন ক্লাবের পুজো কমিটিগুলি পুজোর অনুদান (Durga Puja Donation) ফিরিয়ে নেবার পদক্ষেপ নিয়েছে। অনেকেই আবার ঠিক করেছে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত অশৌচ পালন করবে তারা। দেবে না পুজোর চাঁদা, কিনবেন নতুন জামাকাপড়। এ প্রসঙ্গে সোমবার, রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বসে প্রথমে পুজো কমিটিগুলির সম্বন্ধেই কথা বলেছেন। নবান্নে আয়োজিত এই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন যে যেসব পুজো কমিটি অনুদান নিতে চায় না, তাদের বাদ দিয়ে সেই অনুদান অন্য পুজো কমিটিগুলিকে দিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, আরও বেশ কিছু পুজো কমিটি অনুদানের (Durga Puja Donation) আবেদন করেছে। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এই অনুদানে। তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকেই টাকা দেওয়া শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “কেউ যদি না নেয় তাহলে তাঁদের নিজেদের পুজো করার ক্ষমতা আছে। তাঁদের স্বাগত।” তিনি আরও বলেন যে, “শোক ভুলে সবাই পুজোর আনন্দে সামিল হন। এইবার পুজো কমিটির এক্সট্রা কিছু অনুরোধ আছে। যতটা সম্ভব করেছি।”

Sweta Chakrabory | 16:10 PM, Tue Sep 10, 2024

RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে এবার দুর্গাপুজোর অনুদান ফেরাল কলকাতার ক্লাব


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের (RG Kar Protest) জের। হুগলির চারটি ক্লাবের পর এবার খাস কলকাতার নামজাদা ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান নেবে না বলে জানিয়ে দিল। সম্প্রতি গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক'জন’ ক্লাব লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানাল তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা। ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাফ দাবি আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সরকারি অনুদান নিচ্ছে না। তাঁদের একমাত্র দাবি আর জি করের নির্যাতিতার সুবিচার।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় এই পুজো কমিটির কর্তা কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মোক্তার শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বিচারের দাবি জানিয়ে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান করছেন তাঁরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা দেখলাম মাকে আনার জন্য সরকার ৮৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে, কিন্তু বিসর্জনের জন্য ১০ লাখ টাকা। সবাই আলোচনা করে ঠিক করেছি এই অনুদান আমরা নেব না।’’ একইসঙ্গে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। তবে এ বছর আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে (RG Kar Protest) আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

আসলে প্রতিবছর রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। প্রতিবছর ধাপে ধাপে বেড়েছে অনুদানের পরিমাণ। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এবছর পুজোর জন্য ক্লাবগুলো পাবে ৮৫ হাজার টাকা। পরের বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে একলক্ষ টাকা করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে এবার তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে (RG Kar Protest) সেই অনুদান ফিরিয়ে দিল কলকাতার এই ক্লাব। যদিও এটাই প্রথম নয়, এর আগে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-র বহু ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা ঘোষণা করে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতার পুজো কমিটির নাম।

Sweta Chakrabory | 18:39 PM, Fri Aug 30, 2024

Belur Math: চিরাচরিত প্রথা মেনে জন্মাষ্টমীর পুণ্য প্রভাতে দেবী দুর্গার কাঠামো পূজা হল বেলুড় মঠে


নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাস দেড়েক। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দেবীপক্ষের সূচনা আর দ্বিতীয় সপ্তাহে ভরপুর দুর্গাপুজোর আনন্দ। তাই নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর দিনই কাঠামো ও খুঁটি পুজো হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ (Belur Math) ও মিশনে। রামকৃষ্ণ মিশনের (RKM) সদর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেদিন থেকে এখানে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই ঠিক এই নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো হয়। কাঠামোটি এখানে স্থায়ী। প্রতি বছর দশমীতে দেবী বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে ফের রাখা হয়। তাতেই বছর বছর মাটি লেপা হয়।

প্রতি বছরই বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ (Belur Math) ও মিশনে জন্মাষ্টমীর দিন থেকেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। রীতি মেনে ওই দিনই কাঠামো ও খুঁটি পুজো হয়। তাই প্রতি বারের মত এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। নিয়মমতো মূল মন্দিরে ঠাকুরের মঙ্গলারতির পরে কাঠামো পুজা শুরু হয়। মঠের সন্ন্যাসী এবং মহারাজেরা পুষ্প অর্ঘ্য দেন। পরে গীতা পাঠ ও আরতি প্রভৃতি হয়। এক হিসেবে, বলা যেতে পারে, এ বছরের দেবী দুর্গার আবাহন-পর্ব শুরু হল বেলুড় মঠে। অন্য দিকে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার বেলুড় মঠের মূলমন্দিরের ভেতরে ফুলমালা দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।

উল্লেখ্য, বেলুড় মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর বিশেষ খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুজোর চারটি দিন এখানে মহাধূমধামে মায়ের পুজো হয়। তা দেখতে ভিড় জমান বহু ভক্ত। বিশেষত অষ্টমী-নবমীর কুমারী পুজোয় উপচে পড়ে ভিড়।

Sweta Chakrabory | 17:28 PM, Mon Aug 26, 2024

NO Pujo Donation: আরজি করকাণ্ডের বিচার চেয়ে এবার পুজোর অনুদান ফেরাল ‘বৌঠান সংঘ’


নিউজ ডেস্ক: আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার বিচার চেয়ে এবার উত্তরপাড়ার আরও একটি পুজো কমিটি ফিরিয়ে দিল দুর্গাপুজোর অনুদান। এই নিয়ে উত্তরপাড়ার তিনটি পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান (NO Pujo Donation) ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করল। এদিন ভদ্রকালীর মহিলা পরিচালিত ‘বৌঠান সংঘ’ জানিয়ে দিল, দুর্গাপুজোর অনুদান তারা নিতে নারাজ। পুজো কমিটির প্যাডে চিঠি আকারে তা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। এটি মূলত মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। নাম বৌঠান সঙ্ঘ। মহিলারাই মূলত এই পুজো আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন। তবে পুজোর সরকারি অনুদান (NO Pujo Donation) পেলে জাঁকজমকটা একটু বেশি হয়। কিন্তু আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সরকারি পুজো অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আমরা প্রতিবার পুজো অনুদান নিয়ে থাকি। এই বছর আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান নিচ্ছি না। নির্মমভাবে চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুন করে খুন করা হয়েছে। তার বিচার চাইছি আমরা। প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রতিটি ক্লাব বারোয়ারিকে ৮৫ হাজার টাকা করে পুজো অনুদান দেওয়া হবে। আগামী বছর থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে সেকথাও আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই ঘটে আরজি করে সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন। আর তারই প্রতিবাদে ফের হুগলির উত্তরপাড়ার অপর একটি পুজো কমিটি জানিয়ে দিল সরকারের পুজো অনুদান (NO Pujo Donation) তারা নেবে না। আরজি কর কাণ্ডে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহে রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি প্রকাশ্যে জানিয়ে দিচ্ছে, তারা পুজোর অনুদান নেবে না।

একাধিক মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিও এই ঘোষণা করেছে। এর আগে উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ স্ট্রিটের আপনাদের দুর্গাপুজো সরকারি পুজো অনুদান নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। তারও আগে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ জানিয়ে দিয়েছিল তারা পুজো অনুদান নেবে না। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:12 PM, Sat Aug 24, 2024

Puja Special Trains 2024: এবার পুজোয় ছুটবে কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেন! জানাল পূর্বরেল


নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সুখবর দিল ভারতীয় রেল। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই পুজোর মরশুম। এই আবহে অনেক বাঙালিই বেরিয়ে পড়তে চান। কিন্তু অনেক সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। আর তাই সেই কথা মাথায় রেখে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিদের জন্য পূর্বরেল ঘোষণা করল পুরী স্পেশ্যাল ট্রেন (Puja Special Trains 2024)। আসলে ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে পুরী যাত্রায় ট্রেন পথই বেশি পছন্দের। ট্রেনে যাত্রা কেবল সাশ্রয়ী নয়, এটি আনন্দদায়কও। তাই যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবং অতিরিক্ত ভ্রমণের চাপকে সামাল দিতে এবার ইস্টার্ন রেলওয়ে অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কলকাতা ও পুরীর মধ্যে চলাচল করবে।

আসলে গত কয়েক বছর ধরে পুজোর মরশুমে পুরী ভ্রমণের আগ্রহ দারুন ভাবে বেড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। একদিকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের তীর্থস্থান জগন্নাথ দেবের মন্দির। প্রভু জগন্নাথ দর্শন হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পুণ্যের। তাই সকল বয়সের মানুষের পুরী ভ্রমণের প্রতি থাকে আলাদা আকর্ষণ। তাই এবার সেই কথা চিন্তা করেই পুজোর অনেক আগে থেকেই বিশেষ ট্রেনের (Puja Special Trains 2024) ঘোষণা করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ৷

দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্রতিবার দুর্গাপুজোর সময় যেহেতু টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে৷ তাই পুজো স্পেশাল ট্রেনগুলো ঘোষণা আগে থেকে করা হচ্ছে৷ এতে যাত্রীরা আগাম টিকিট বুকি করতে পারবেন৷ অনলাইনে বা কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার জন্য অনেকটাই সময় পাবেন যাত্রীরা৷ জানা গিয়েছে, মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতিবার এই স্পেশ্যাল ট্রেনের (Puja Special Trains 2024) ব্যবস্থা করেছে তারা। রাত ১১:৫০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেবে এই ট্রেন। আন্দুল, খড়গপুর, বালাসোর, ভদ্রক, কটক স্টেশনে দাঁড়াবে। ট্রেনগুলির ফেরার রুটও তাই। শুক্রবার দুপুর তিনটেয় পুরী জংশন থেকে ওই ট্রেন ছাড়বে। আর কলকাতা স্টেশনে এসে পৌঁছবে পরের দিন।

ট্রেনে এয়ার-কন্ডিশনড, স্লিপার ক্লাস এবং জেনারেল সেকেন্ড ক্লাসের আসন থাকবে। তাই আর দেরি নয়। যাঁরা এখনও রিজার্ভেশন পাননি, তাঁরা ০৩১০১ কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল' এই ট্রেনের টিকিট অনলাইন এবং পিআরএস পদ্ধতিতে কেটে ফেলুন।

Sweta Chakrabory | 15:16 PM, Sat Aug 24, 2024

Holiday In Durga Puja: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বড়সড় রদবদল, দুর্গাপুজোর ছুটি নিয়ে সংশয় প্রতিবেশী দেশটিতে


নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) পরিস্থিতি। কিন্তু এরই মধ্যে এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনকে সরিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাঁর বদলে যুক্ত করা হয়েছে আরও চার উপদেষ্টাকে। জানা গিয়েছে, সাখওয়াতকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে। দু

এর আগে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সময় তিনদিন ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন সাখওয়াত। তিনি জানিয়েছিলেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় সাখাওয়াতকে আওয়ামিলিগপন্থী বলে অভিযোগ তুলতে থাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই 'আওয়ামিলিগপন্থী মন্তব্যের' জেরেই বদলি হতে হয়েছে সাখাওয়াতকে। এই আবহে সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৯ দিন আগেই গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Update) অন্তর্বর্তীালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর এরই মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীতে এত বড় রদবদল হওয়ায় হতবাক অনেকেই। 

উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Update) সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলি তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চালু করার দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূসের কাছে তুলে ধরার জন্য আট দফা দাবির একটি তালিকা তৈরি করেছে একটি হিন্দু ছাত্র সংগঠন। এই দাবি গুলির মধ্যে একটি হল দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিনের ছুটি। সে সময় সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুর্গাপুজোর সময়ে ছুটির (Holiday In Durga Puja) বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু এরপরই তাঁর বদলির অর্ডার আসে। সুতরাং এর ফলে এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ছুটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির মধ্যে।

Sweta Chakrabory | 17:26 PM, Mon Aug 19, 2024
upload
upload