Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

durga puja rituals

Durga Puja Rituals: শ্যামবর্ণা দেবী দুর্গা! বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী পূজিত হন কালী রূপে


নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পুজোর একটা বড় অংশ হল বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja Rituals)। এই সব বাড়ির পুজোতে আছে নানা ধরনের রীতিনীতি। বনেদি বাড়ির পুজো মানে তার জাঁকজমকই আলাদা। কোথাও পূজিত হন একচালার দুর্গা, কোথাও মা আসেন তাঁর সখী জয়া-বিজয়ার সঙ্গে। কোথাও আবার পুজোয় আছে কামান দাগার চল। সেই সব রীতিনীতি জানলে চোখ কপালে ওঠে। তেমনই বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। যাঁর গল্প শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।

অবিভক্ত বঙ্গভূমের পাবনা জেলায় ছিল স্থলবসন্তপুর৷ সেই স্থলবসন্তপুরের প্রথম জমিদার হরিদেব ভট্টাচার্য৷ তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ কালীসাধক এবং পণ্ডিত মানুষ৷ তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়েই রানি ভবানী তাঁকে স্থলবসন্তপুরের জমিদারি দান করেছিলেন৷ কথিত আছে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই কৃষ্ণবর্ণা দশভূজার (Black Idol of Durga) আরাধনা (Durga Puja Rituals) শুরু করেছিলেন তিনি৷ সেটা ছিল ১৭৩০ সাল৷ সেই ঐতিহ্য আজও অব্যাহত৷ তবে, এখন আর পাবনায় পুজো হয় না৷ আসানসোল ঘুরে ভট্টাচার্য পরিবারের বর্তমান ঠিকানা কলকাতার বেলেঘাটা৷ কৃষ্ণবর্ণা দেবী দুর্গা এখন পূজিতা হন এখানেই।

হরিদেব ভট্টাচার্য ছিলেন কালী ভক্ত। দুর্গা পুজো শুরুর বহু আগে থেকেই তার বাড়িতে মা কালীর আরাধনার চল ছিল। কথিত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই দুর্গা পুজো (Durga Puja Rituals) শুরু করেন ভট্টাচার্য মশাই। মায়ের আদেশেই মূর্তির রং স্থির হয় কালো। কিন্তু মূর্তি কেন কৃষ্ণ বর্ণ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনে। হরিদেব ভট্টাচার্য কথা বলেন, বহু পণ্ডিতের সঙ্গে কিন্তু কেউ তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শেষে একদিন গঙ্গার ঘাটে খুঁজে পান উত্তর। এক সাধুকে তার মনের সব কথা জানালে, তিনি নাকি বলেন মা পূজিতা হতে চান ভদ্রকালী রূপে। তাই এই কালো বর্ণের আদেশ। এরপর সেই সাধুই তালপাতায় লেখা একটি পুঁথি দেন হরিদেব ভট্টাচার্যকে। সেই পুঁথিতে লেখা নিয়ম অনুসারেই আজও পুজিত হন মা।

তবে মায়ের গায়ের রং কালো হলেও সন্তানদের রং কিন্তু গৌর বর্ণ, আর অসুরের রং হয় সবুজ। এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে (Durga Puja Rituals) পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ। সন্ধি পুজোতে থাকে মাছ ভাজা, দশমীতে পান্তা ভাত এবং দই কলা। নিয়ম মেনেই বিসর্জন হয় দশমীতে।

Sweta Chakrabory | 13:49 PM, Thu Oct 10, 2024

Baruipur Rajbari: ৩০০ বছরের সাবেক পুজোয় রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর সম্মার্জনীতে ধুলো পরিষ্কার, রীতি মেনে চলছে সব


নিউজ ডেস্ক: জমিদারি না থাকলেও, কোনও অংশে বনেদিয়ানাতে খামতি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) বাড়ির দুর্গাপুজোয়। রুপোর পাখায় বাতাস হোক কিংবা রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ, সবই চলছে রীতি মেনে। জেলার অন্যতম পুরনো পুজো এটি। বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ব্রিটিশ শাসক লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায়চৌধুরীদের। সেই থেকেই শুরু হওয়া দুর্গাপুজো নিজস্ব জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন।
বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, রুপোর পাখা দিয়ে দেবীকে হাওয়া দিতে-দিতে এবং রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে-করতে প্রতিমাকে বিসর্জন করতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য আরেক নিয়ম হল দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো। সরকারিভাবে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা ও বিজয়া দশমীতে তা ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আজও এটাই প্রধান বিশেষত্ব এই বনেদি বাড়ির পুজোর। দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ালে, সে গিয়ে কৈলাসে শিবকে খবর দেবে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছে রায়চৌধুরীরা (Baruipur Rajbari)। প্রতি বছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর এলাকার বাকি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বর্তামানে এই পুজোর দায়িত্বে থাকা রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, শাতব্দী প্রাচীন পুজোর ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন, ''তিনশো বছর আগে রাজা রাজবল্লভ রায়চৌধুরী এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এখনও তিন জন পুরোহিত রীতি মেনে এখানে পুজো করেন।''
মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। এখনও সপ্তমী ও অষ্টমীতে পাঁঠা বলি হয় সেখানে। নবমীতে হয় আখ ও চাল কুমড়ো বলি। উৎসবের দিনগুলি সমস্ত আত্মীয়স্বজন আসেন এই বাড়িতে (Baruipur Rajbari)। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে। সূদূর জয়নগর, মন্দিরবাজার, কুলতলি থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন এই দুর্গাপুজো দেখতে। সত্যি বলতে কি, চারপাশে হাজার একটা বারোয়ারী পুজোর ভিড়, থিমের চমক থাকলেও আজও অমলিন বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো।

Sweta Chakrabory | 16:30 PM, Fri Sep 13, 2024
upload
upload