Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

dvc

WB Flood Situation: পুজোর মুখে বন্যার আশঙ্কা! জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি


নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে বন্যার ভ্রুকুটি বঙ্গে। নিম্নচাপ সরে গেলেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি (WB Flood Situation) তৈরি হয়েছে। আসলে ডিভিসি-র মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মাইথন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। আর এর ফলেই পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই হরিহরপুর, কুরচি শিবপুর, টোকাপুর, শিবানীপুর সহ একাধিক জায়গা দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জল। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে পাঁচ ছয়টি গ্রাম। জলের তলায় উদয়নারায়নপুর ডিহিভুরসুট রাজ্য সড়ক। প্লাবিত নিম্ন দামোদর অববাহিকার একাধিক গ্রাম। বাড়ি, দোকানপাট, চাষের জমি, রাস্তাঘাট জলমগ্ন। জানা গিয়েছে আগামী ২-৩ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ (WB Flood Situation) হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশে সরে গেলেও নিস্তার নেই বাংলায়।

অন্যদিকে ডেবরায় কাঁসাই নদীর বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে। প্রান বাঁচাতে ঘর ছেড়েছে একাধিক এলাকার মানুষ। রাজ্য সড়কের উপর কোমর সমান জল, যানচলাচল প্রায় বন্ধ। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। কাঁসাই নদীর জলে প্লাবিত (WB Flood Situation) হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি।

একই পরিস্থিতি আরামবাগেও। আরামবাগের হরিণখোলার দর্জিপোতায় মুন্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন বাড়ি ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় উঠে আসছেন। দামোদর নদীতে জল বাড়ায় প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী এই দুটি নদীর মাঝে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে ব্যাপক জলস্ফিতি হয়েছে। দামোদর নদে ডিভিসির ছাড়া জলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গত শনিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই কারণেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার যে সব অঞ্চল দামোদরের ধারে, সেই সব জায়গার বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা (WB Flood Situation) দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার।

Sweta Chakrabory | 15:50 PM, Wed Sep 18, 2024

DVC: কমল প্লাবনের আশঙ্কা! আপাতত জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি


নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের তুলনায় মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে শনিবার জল ছাড়ার (Water Released) পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিল দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটি (ডিভিআরআরসি)। তাদের এই সিদ্ধান্তে দুই বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার মতো এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা কিছুটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিন ডিভিআরআরসি (DVC) জানিয়েছে মাইথন থেকে ৬ হাজার ও , পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হবে। যদিও শুক্রবার মাইথন থেকে ১০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ২৯ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ার জন্য ডিভিসিকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিআরআরসি। প্রয়োজনে সেটা ৫০ হাজার কিউসেক পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও আগাম জানিয়ে রেখেছিল তারা। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছিল কমলা সতর্কতা। তবে শনিবারই জল ছাড়ার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হল।

এ প্রসঙ্গে দামোদর ভ্যালি রিভার (DVC) রেগুলেটরি কমিটির সদস্য সচিব শশী রাকেশ বলেন, ''আমাদের কাছে প্রাথমিক ভাবে খবর ছিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত উচ্চ বরাকর ও দামোদর অববাহিকায় ১০০ মিমি বৃষ্টি হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ সেই মাত্রায় হয়নি। ৩৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে জল ছাড়ার (Water Released) পরিমাণও কিছুটা কমিয়েছি আমরা।'' একইসঙ্গে তিনি জানান, জল ছাড়ার (Water Released) হার কমানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রবিবার ও সোমবার ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। যদি ব্যাপক হারে বৃষ্টি হয় তখন জল ছাড়ার পরিমাণ কী হবে তা আলোচনা করে নির্দেশ পাঠানো হবে ডিভিসির কাছে।

যদিও ডিভিসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) আঞ্জনি কুমার দুবে বলেন, ''এ দিন মাইথন থেকে ৬ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া (Water Released) হয়েছে। নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই অবস্থা জারি থাকবে।''

Sweta Chakrabory | 13:28 PM, Sun Sep 15, 2024
upload
upload