Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

flood

WB Flood Situation: পুজোর মুখে বন্যার আশঙ্কা! জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি


নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে বন্যার ভ্রুকুটি বঙ্গে। নিম্নচাপ সরে গেলেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি (WB Flood Situation) তৈরি হয়েছে। আসলে ডিভিসি-র মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মাইথন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। আর এর ফলেই পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই হরিহরপুর, কুরচি শিবপুর, টোকাপুর, শিবানীপুর সহ একাধিক জায়গা দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জল। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে পাঁচ ছয়টি গ্রাম। জলের তলায় উদয়নারায়নপুর ডিহিভুরসুট রাজ্য সড়ক। প্লাবিত নিম্ন দামোদর অববাহিকার একাধিক গ্রাম। বাড়ি, দোকানপাট, চাষের জমি, রাস্তাঘাট জলমগ্ন। জানা গিয়েছে আগামী ২-৩ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ (WB Flood Situation) হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশে সরে গেলেও নিস্তার নেই বাংলায়।

অন্যদিকে ডেবরায় কাঁসাই নদীর বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে। প্রান বাঁচাতে ঘর ছেড়েছে একাধিক এলাকার মানুষ। রাজ্য সড়কের উপর কোমর সমান জল, যানচলাচল প্রায় বন্ধ। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। কাঁসাই নদীর জলে প্লাবিত (WB Flood Situation) হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি।

একই পরিস্থিতি আরামবাগেও। আরামবাগের হরিণখোলার দর্জিপোতায় মুন্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন বাড়ি ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় উঠে আসছেন। দামোদর নদীতে জল বাড়ায় প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী এই দুটি নদীর মাঝে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে ব্যাপক জলস্ফিতি হয়েছে। দামোদর নদে ডিভিসির ছাড়া জলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ডিভিসি জানিয়েছে, নিম্নচাপের জন্য আসানসোল-দুর্গাপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গত শনিবার থেকে অনবরত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই কারণেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার যে সব অঞ্চল দামোদরের ধারে, সেই সব জায়গার বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা (WB Flood Situation) দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার।

Sweta Chakrabory | 15:50 PM, Wed Sep 18, 2024

Bangladesh Flood: ''কথা বলেই ফরাক্কা থেকে জল ছাড়া হয়েছে'', বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানাল ভারত 

নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছে অন্যতম একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ বন্যা (Bangladesh Flood) পরিস্থিতি। বিধ্বংসী বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশের বন্যা প্রসঙ্গে মন্তব্য করল ভারত।

আসলে বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে ভারতের ওপর। যদিও ভারতের তরফে বারংবারই একটা দাবি করা হয়েছে, এটি ভারতের একার সিদ্ধান্ত নয়, প্রতিবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়া হয়েছে। আর এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবারের পর সোমবারও কেন্দ্রের তরফে আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেন, ''বর্ষায় বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর এমনই বাড়তে থাকে। আর এটাও মনে রাখতে হবে এটা ড্যাম নয়, ব্যারেজ। দুই নদীতে জলস্তর ঠিক রাখতেই ফরাক্কার বিশাল কাজ থাকে। আর প্রোটোকল মেনেই বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে ডেটা জানিয়ে উদ্বেগও জানান হয়। প্রতি বছরই তা করা হয়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।''

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভয়াবহ এই বন্যায় (Bangladesh Flood) ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে ১১টি জেলা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। তবে ভয়াবহ বন্যার কয়েকদিন পর বাংলাদেশের নিচু এলাকায় জল কিছুটা কমছে। তারপরও ঘরছাড়া রয়েছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ''ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপজ্জনক। এর ফলে এবার দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোও প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।''

Sweta Chakrabory | 14:38 PM, Tue Aug 27, 2024
Kolkata airport: জমা জলে প্লাবিত কলকাতা বিমানবন্দর! আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata airport) বৃষ্টির জলে প্লাবিত (Weather update) হয়ে গিয়েছে। রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ে উভয়ই প্লাবিত হয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধ ট্যাক্সিওয়েতে বিমানগুলিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তবে বিমান চালাচলে ব্যাঘাতের তেমন খবরাখবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। বিমানবন্দরের অন্দরে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, "রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ে উভয়ই জলমগ্ন এবং সেখানেই ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি (Kolkata airport) লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।" অপর দিকে হাওড়া, সল্টলেক এবং বারাকপুর সহ কলকাতা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলি অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টির জমা জলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।

এই বৃষ্টিপাত নিম্নচাপের (Weather update) জন্য সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমেই তা আরও গভীরে পরিণত হয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি বর্তমানে বিহার এবং উত্তর প্রদেশের দিকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস অনুসারে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সারা দিন ধরে চলতে পারে বৃষ্টি। হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি অংশ থেকে জলমগ্ন পরিস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশে ভারী বর্ষণের ফলে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত শহরের কয়েকটি এলাকায় ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে এই ভারী বৃষ্টি সত্ত্বেও, শুক্রবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৪ ডিগ্রি কম। একই ভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক মাত্রা থেকে ০.৬ ডিগ্রির সামান্য কম।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আবহাওয়া (Weather update) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির জন্য 'হলুদ' সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাগুলির জন্য 'কমলা' সতর্কতা এবং ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সংকেত দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় ‘লাল’ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।


Sweta Chakrabory | 16:43 PM, Sat Aug 03, 2024

Wild Animals Died: বন্যার জলে ভাসছে কাজিরাঙা! মৃত্যু শয়ে শয়ে পশুর


নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Assam Flood) বিপর্যস্ত অসম। ভাসছে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক। কাজিরাঙার একটা বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। ইতিমধ্যেই গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ-সহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু (Wild Animals Died) হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি একশৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে।

সোমবার বনদফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় (Assam Flood) ১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি একশৃঙ্গ গণ্ডার, ১৭৯টি বিলুপ্তপ্রায় প্যারা হরিণ, বারশিঙ্গা হরিণ, একটি ম্যাকাও, দুটি অন্য প্রজাতির পাখি, একটি পেঁচা এবং ২টি সাম্বর হরিণ। তবে জানা গিয়েছে, ২টি বরা হরিণের মৃত্যু জলে ডুবে হয়নি। বন্যার কবল থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলঘেঁষা জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। অন্যদিকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারে অসমের বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরছাড়া বহু পশু। প্রতি বছরই নিয়ম করে বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’। এ বারের বর্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। দুকূল ছাপিয়ে চলে আসা ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দুদিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও জলের তলায়। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে অসমের এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ঘরছাড়া।

অন্যদিকে বন্যার (Assam Flood) ফলে ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নদীতে বাড়ছে জলস্তর। এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে কাছাড়ের বরাক নদী। সব মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের ২৯টি জেলা।

Sweta Chakrabory | 10:56 AM, Thu Jul 18, 2024

Mumbai Rain: বানভাসি মুম্বই, ময়দানে নামানো হল এনডিআরএফ, আগামী দু-দিন ভয়ঙ্কর বৃষ্টির অনুমান

নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পর এবার বানভাসি অবস্থা মুম্বইয়ের। ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি (Mumbai Rain) হয়েছে বাণিজ্য নগরীতে জলমগ্ন গোটা শহর যানবাহন, ঘরবাড়ি ডুবেছে জলের তলায়। থমকে গিয়েছে ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজ।ব্যাহত হয় ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা।

বানভাসি মুম্বই (Mumbai Rain)

বৃষ্টি বিধ্বস্ত মুম্বইয়ের বহু ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান জল জমেছে বাণিজ্য নগরীতে রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুম্বইবাসী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি মুম্বইয়ের লাইফ লাইন বলে পরিচিত লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেনের লাইন বৃষ্টির জেরে (Mumbai Rain) ডুবে গিয়েছে জলের তলায়।ওয়ারলি, বানতারা ভবন, কুরলা ইস্ট কিং সার্কেল, দাদর, বিদ্যা বিহার স্টেশনের ট্র্যাক জলের নিচে প্রতিদিন ৩০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন মুম্বইয়ে। কিন্তু ট্রেনের ট্র্যাক জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেল যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দফত 

ময়দানে এনডিআরএফ

মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাত একটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টায় ৩০০ মিলিমিটার (Mumbai Rain) বৃষ্টি হয়েছে মুম্বইয়ে পালঘর এবং ঠাণে এলাকায় বৃষ্টির জেরে কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে ২৪ ঘন্টায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বীর সাভরকর মার্গ এবং এমসি এমসিআর এলাকায় ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বৃষ্টিপাতের পর সকালবেলায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ময়দানে নামেন বিএমসির কর্মীরা। নর্দমা মুখ পরিষ্কার করা হ। কিছু কিছু জায়গায় পাম্প ব্যবহার করে জল সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুম্বই পুলিশও যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা যায়। বিএমসির তরফে জানানো হয়েছে, ঘন্টা দুয়েকের জন্য (Mumbai Weather) বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে জল নামানো সম্ভব হত কিন্তু নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবারও দিনভর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মুম্বই জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ফলে চট করে জলমগ্ন মুম্বইয়ের চিত্র বদলে যাবে, তা এখনই আশা করা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য শিন্দে শিবিরের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক কুরলা স্টেশনের কাছে আটকে রয়েছেন। এদিন ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবাও বহুক্ষণ খারাপ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায়র ফলে বাধিত ছিল। ৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঠাণের কাছে এনডিআরএফ-এর দল মোতায়েন করা হয়েছে।

 

 

Pankaj Kumar Biswas | 13:47 PM, Mon Jul 08, 2024

Assam Flood 2024: ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি! ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ


নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood situation)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীগুলোর জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে । ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল অসমের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ এর ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। রাজ্যে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাণহানি হয়েছে পশুদেরও৷ এছাড়া বহু মানুষ ঘরছাড়া। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির (Assam Flood situation) আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৩০টি জেলার ৩৬১৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল কামরূপ, করিমগঞ্জ, ধেমাজি, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, কাছাড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর ইত্যাদি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। 

গ্রামের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মরসুমে গন্ডার, হরিণ-সহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় (Assam Flood situation)ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশুকে। তার মধ্যে ৫০টিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিও গত ৯ দিন ধরে জলের তলায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে (Assam Flood 2024) বলেছেন, ''ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সকলে মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।''

তবে নতুন করে ফের আতঙ্কে (Assam Flood situation) দিন গুনছে রাজ্যবাসী। কারণ আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ৯ জুলাই পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অসম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

Sweta Chakrabory | 15:24 PM, Sat Jul 06, 2024

Assam-Manipur floods: অসম-মণিপুরের লাগাতার ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপন্ন! মৃত বেড়ে ৪৮

নিউজ ডেস্ক: অসম ও মণিপুরের (Assam-Manipur floods) বন্যা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক! লাগাতার ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্বের এই দুটি রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮। এই দুই রাজ্যে মানুষ প্রাণ যেমন হারিয়েছে, তেমনি বন্যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন।

অসমএবং মণিপুর (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যের নানা জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) এই সপ্তাহে সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে নৌকায় করে সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, রাজ্য পুলিশ, মণিপুর ফায়ার সার্ভিস, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্মীরা সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যা-দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি প্যাকেটজাত পানীয় জলের বোতল এবং খাবার বিতরণ করছে।

এখনও পর্যন্ত অসমে (Assam-Manipur floods) ৪৬ জন এবং মণিপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অসমে বন্যায় ডুবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক, কারণ ২৯টি জেলার ১৬.২৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে, মণিপুরের ২০০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২৮০০টি গ্রাম এখনও প্লাবিত হয়েছে এবং বন্যার জলে (Heavy Rain) ৩৯৪৫১.৫১ হেক্টর চাষের জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। আসামে ৩.৮৬ লাখেরও বেশি মানুষকে, ২৪টি বন্যা কবলিত জেলায় প্রশাসনের দ্বারা নির্মিত ৫১৫টি ত্রাণ শিবির কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জল (Heavy Rain) মণিপুর ও অসম (Assam-Manipur floods) উভয় রাজ্যে শতাধিক রাস্তা, কয়েক ডজন সেতু এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর উপনদীর জলের স্তর এই সপ্তাহে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। ইম্ফল নদীর পশ্চিমের সিংজামেই ওইনাম থিঙ্গেলে তার বাঁধ ভেঙ্গেছে। বৃষ্টির মধ্যে কংবা ইরং এবং ইম্ফল পূর্বের কেইরাওয়ের কিছু অংশে কংবা নদী বন্যার জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একই ভাবে উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশও ত্রাণ পাঠিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

Sweta Chakrabory | 11:58 AM, Fri Jul 05, 2024

Kaziranga: বন্যায় ভাসছে কাজিরাঙা, ডাঙার খোঁজে বন্যপ্রাণীরা

নিউজ ডেস্ক: বন্যার জেরে অসমের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসেছে অসমের বহু এলাকা, কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বহু অংশও জলে ভাসতে শুরু করেছে। কাজিরাঙা অভয়ারণ্য থেকে ইতিমধ্যেই বহু পশু–পাখি উদ্ধার করেছেন বন কর্মীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সেই কাজিরাঙা অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়ক পার করতে দেখা যায় হাতির একটি দলকে। যেখানে বড় থেকে ছোট সব ধরনের হাতিই দেখা যায়। উল্লেখ্য, কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে ১৭টি প্রাণী ডুবে মারা গিয়েছে, ৭২টি প্রাণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, অসমের ২৯টি জেলার ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অসমজুড়ে ৩৯ হাজার ৪০০ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল বন্যার জেরে নষ্ট হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, বরাক ও বুড়িডিহিং নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি সড়ক, ১১টি বাঁধ ও ১৪টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। বন্যা দুর্গতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Pankaj Kumar Biswas | 19:41 PM, Thu Jul 04, 2024

Heavy Rain in Delhi: প্রবল বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১


নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেও তাপপ্রবাহে পুড়ে যাচ্ছিল দিল্লি (Delhi rain)। আর শুক্রবার রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় চলে গেল গোটা শহর। প্রবল বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা। বৃষ্টি বিপর্যস্ত রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ছজনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টির জমা জলে ডুবে। মৃতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট চত্বর সহ দিল্লির একাধিক মেট্রো স্টেশনে জল জমেছে। আন্ডাপাসে জলে ডুবেছে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। গত দুদিনে ছজনের মধ্যে দুজনের প্রাণ কেড়েছে আন্ডারপাসের নীচের জমা জল। এ ছাড়া রাস্তায় খেলতে খেলতে জলে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

দিল্লির ওখলার আন্ডারপাসে শনিবার সকালে জমা জলে (Heavy Rain in Delhi) ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের এক প্রৌঢ়ের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্কুটার চালাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। আন্ডারপাসের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি জলে ডুবে যান স্কুটার নিয়েই। তারপর আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। যদিও খবর পেয়েই পুলিশ পৌঁছে দিগ্বিজয় কুমার চৌধুরি নামের ওই প্রৌঢ়কে জলের মধ্যে থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে দিল্লির সিরসপুর আন্ডারপাসের নীচে মেট্রো স্টেশনের কাছে জমা জলে (Delhi rain) পড়ে মৃত্যু হয় দুজন বালকের। পুলিশ সূত্রে খবর, আন্ডারপাসের নীচে আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জল জমে ছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর জল থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই দুই বালক আন্ডারপাসের কাছেই স্নান করছিল। সে সময়ে জমা জলে পড়ে যায় তারা। 

শনিবার আরও এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায়। সেখানকার একটি আন্ডারপাসের নীচে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তাঁর বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজাদপুর মান্ডি এলাকায় আংশিক সময়ের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। এছাড়া দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারও উত্তর-পূর্ব দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই বালকের। তাদের এক জনের বয়স ৮ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১০ বছর। বৃষ্টির জলে (Delhi rain) ভর্তি একটি পাঁচ ফুট গভীর গর্তের পাশে খেলা করছিল তারা। অসাবধানতায় সেখানেই পড়ে যায়। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দিল্লিতে শুক্রবার যা বৃষ্টি (Delhi rain) হয়েছে, তা ৮৮ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে। জুন মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে এক দিনেই। ফলে রাজধানীর রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। একাধিক জায়গায় গাড়ির ছাঁদ পর্যন্ত জল চলে গিয়েছে, ভেসে বেড়াচ্ছে বাইক। ভিড়ের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) কারণে ভেঙে পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport) টার্মিনাল ১-এর ছাঁদ, ব্যাহত মেট্রো চলাচলও। সবমিলিয়ে মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই জলের তলায় দিল্লির একাংশ। উল্লেখ্য, আগামী দিন বৃষ্টি (Delhi rain) আরও বাড়বে। চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে জারি করেছে সতর্কতাও। রাজধানীর বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। ফলে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে ত্রস্ত দিল্লিবাসী।

Sweta Chakrabory | 11:48 AM, Sun Jun 30, 2024

North Sikkim: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম! পর্যটকদের জন্য রংপোতে চালু হেল্পডেস্ক


নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপদসীমার কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। প্রবল বিপর্যয়ে (Flood situation) বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একের পর এক ধসের জেরে উত্তর সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়েছেন বিপুল পরিমাণ পর্যটক। জানা গিয়েছে প্রায় এক হাজারের বেশি পর্যটক এখন সেখানে আটকে রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। তা ছাড়া রয়েছেন ১৫ জন বিদেশি। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি রংপোতে পর্যটকদের সহায়তা জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

 সিকিম (North Sikkim) আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উত্তর সিকিমে প্রায় ২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনও বৃষ্টিপাতের একই পরিস্থিতি (Flood situation) থাকবে বলেই জানিয়েছে সিকিম হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছোট বড় ধস নেমেছে। আটকে বহু পর্যটক। পরিস্থিতি এমন যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা রাজ্যেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পডেস্ক। সেখানে দুজন অফিসারের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বর দুটি হল—রবি বিশ্বকর্মা (৮৭৬৮০৯৫৮৮১) এবং পুষ্পজিৎ বর্মণ (৯০৫১৪৯৯০৯৬)। তবে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। পর্যটকরা সুস্থ আছেন বলেই খবর। 

ইতিমধ্যেই এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ফুলে উঠেছে। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। তিস্তা পার সংলগ্ন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিচু এলাকায় কিছু জায়গায় প্রশাসনের তরফে ত্রিপল খাটিয়ে স্থানীয়দের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে এমত অবস্থায় সিকিমের (North Sikkim) মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে থাকা বিপুল পরিমানে পর্যটকদের বিমান পথে উদ্ধার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে চলছে চিন্তাভাবনা। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের কাছেও চাওয়া হয়েছে সাহায্য। তবে তিস্তায় সেতু তলিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধার করা আরও কঠিন হয় পড়েছে।

Sweta Chakrabory | 16:46 PM, Sat Jun 15, 2024
upload
upload