Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

hindu festival

Raksha Bandhan 2024: হিন্দু ধর্মের বড় উৎসব রাখি বন্ধন আজই

নিউজ ডেস্ক: আজ রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan 2024), হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ভাই-বোনের সম্পর্কের এই পবিত্র উৎসব পালিত হয় শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু-সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভাইয়েরা তাঁদের বোনদের সারা জীবন রক্ষা করার আশ্বাসও দেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ভাই বা দাদাকে রাখি বাঁধার আগে আরতি করা হয় এবং তারপর কপালে তিলক লাগানো হয়। এর পর ভাই দিদির পা স্পর্শ করেন অথবা বোন দাদার পা স্পর্শ করেন। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি আজ অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট সোমবার ভোর ৩:০৪ মিনিট থেকে শুরু গিয়েছে এবং রাত ১১:৫৫ মিনিটে শেষ হবে।

এ বছর রাখি (Raksha Bandhan 2024) বাঁধার শুভ সময় হল দুপুর ১:৪৬ থেকে ৪:১৯ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ০৬:৫৬ মিনিট থেকে ০৯:০৭ মিনিট পর্যন্তও থাকবে শুভ সময়, প্রায় ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। এবার রাখি বন্ধনে (Hindu Festival) ভদ্রা থাকবে সকালে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে রাখি বাঁধতে বারণ করছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে, ভদ্রা যেখান থেকেই হোক না কেন, এটি অশুভ ফল দেয়। ভদ্রা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।

রাখি বন্ধনের (Raksha Bandhan 2024) হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে (Hindu Festival) ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

চলতি বছরে রাখি পূর্ণিমার দিন মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ রয়েছে, বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। যার ফলে রাখি পূর্ণিমার দিন অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। রাখির দিন রাজ পঞ্চক, শ্রাবণ সোমবার, শ্রাবণ পূর্ণিমার উপবাস ও স্নান, অন্যদিকে সবার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ ও শোভন যোগ গঠিত হতে চলেছে।



Sweta Chakrabory | 17:19 PM, Mon Aug 19, 2024

Bipadtarini Puja: যিনি বিপদকে তারণ করেন তিনিই বিপত্তারিণী, কেন পালিত হয় এই ব্রত, জানুন মাহাত্ম্য 

 

নিউজ ডেস্ক: আজ বিপত্তারিণী পুজো (Bipadtarini Puja)। প্রত্যেক বছর আষাঢ় মাসে রথযাত্রা এবং উল্টোরথের মধ্যে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই পালিত হয় বিপত্তারিণী ব্রত উত্‍সব। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ বা লাল সুতো হাতে বাঁধা থাকলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। এবছর, ৯ জুলাই মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই শনিবার পালিত হবে বিপত্তারিণী ব্রত।

দেবাদিদেব মহাদেবের অর্ধাঙ্গিনী, আদি শক্তি হলেন দেবী দুর্গা। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja)। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘সঙ্কটনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। যিনি বিপদ তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আবার সব রকমের সঙ্কটকে বিনাশ করেন, তাই তিনিই সঙ্কটনাশিনী (Maa Kali Sankatnashini)। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ।

বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণী পুজো করেন। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর (Bipadtarini Puja) উৎস।

এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja) মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর (Maa Kali Sankatnashini) ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Sweta Chakrabory | 09:36 AM, Tue Jul 09, 2024

Rath Yatra: জগন্নাথ মন্দিরে হবে না নবযৌবন দর্শন, তিথির ফেরে রীতির ছন্দপতন

নিউজ ডেস্ক: এবার তিথির ফেরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চিরাচরিত প্রভু জগন্নাথের নব যৌবন’ আচারের রীতিতে ছেদ পড়তে চলেছে জগন্নাথ মন্দিরের রীতি অনুযায়ী স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ধরে জ্বরে অসুস্থতার লীলা করে থাকেন জগন্নাথদেব এর দুদিন বাদে রথযাত্রা।মাঝে মন্দিরের অন্দরে জগন্নাথদেবের বিগ্রহে রূপটানের অনুষ্ঠান নেত্র উৎসব ও নবযৌবন উৎসব আয়োজিত হয়। কিন্তু এবার তিথির ফেরে একইদিনের নেত্র উৎসব নবযৌবন বেশ ও রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুষ্ঠান পড়েছে। ফলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের ভক্ত ও সেবায়েতরা।  

তিথির ফেরে আয়োজনে সমস্যা

শ্রী মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাধব পূজাপান্ডা বলেন, “তিথির ফেরে এবার অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে স্নানযাত্রার ১৫ দিন বাদেই আষাঢ়ের শুক্লা দ্বাদশী বা রথযাত্রার তিথির ফলে সেবাইয়েতরা একযোগে ঠিক করেছেন এবছর আর মন্দিরে ঢুকে ভক্তরা প্রভুর নবযৌবন দর্শন করবেন না জগন্নাথ দেবের পহুন্ডি বিজে বা রথে আরোহনের অনুষ্ঠান দেখার টিকিট বিক্রি করা হবে না তবে একই দিনে এত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে গেলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে ফলে জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান (Rath Yatra) পড়তেই বিকেল হয়ে যেতে পারে অতীতে কোন কোন বার সব আচার সম্পন্ন করে রথচলা শুরু করতে দেরি হয়েছে আগে রথ চলার পথে মাঝখানে সারদা নদী ছিল সেই নদী পেরিয়ে যেতেও অনেক সময় লাগত এখন সেই নদী বুজিয়ে ফেলা হয়েছে তিনটি রথ তিন কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচামন্দিরে পৌঁছে যায় ১৯০৯ এবং ১৯৭১ সালেও একই দিনে নবযৌবন দর্শন এবং রথযাত্রা পড়েছিল

মাহেশে হবে নবযৌবন দর্শন

মন্দিরের প্রবীণ সেবাইত রামচন্দ্র দ্বৈতপতি, রাজেশ দ্বৈতপতিরা জানান, রথটানা শুরু হতে দেরি হলে সূর্যাস্তের সময় কিছুদূর এগিয়ে রথ থেমে অপেক্ষা করবে পরের দিন আবার র টানা হবে এটা মাথায় রেখেই রাজ্য প্রশাসন দুদিন ধরে রথযাত্রার সামলানোর ব্যবস্থা করছেন সাধারণত পুরীর রথ চলতে শুরু করলেই পথে নামে মাহেশের রথ। ফলে যে সমস্ত রথ পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ ছাড়ার (Rath Yatra) পর চলবে তাদের মনেও শঙ্কা রয়েছে মাহেশের মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল কৃষ্ণ অধিকারী বলেন,“এবার বিকেল চারটে নাগাদই রথযাত্রা শুরু হবে আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি করে রাখছি পুরী বা মাহেশ কোথায় কখন রথ টানা হবে সবই প্রভুর ইচ্ছে তবে মাহেশের মন্দিরে নবযৌবন দর্শন রথযাত্রার আগের দিন সম্পন্ন হবে।”

Pankaj Kumar Biswas | 12:28 PM, Tue Jul 02, 2024
upload
upload