Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

history

Khudiram Bose: আজ ভারতের বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবস, ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

নিউজ ডেস্ক: "হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী", অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস (Khudiram Bose Death Anniversary) আজ। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাসিমুখে ফাঁসিতে চড়েছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose)।

১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারান এবং এর এক বছর পর তাঁর বাবা মারা যান। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি কলকাতার বারিন্দ্রকুমার ঘোষের মতো বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন ক্ষুদিরাম। স্থানীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী পুস্তিকা বিতরণের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাঁকে আটক করে।  ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষুদিরামের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফফরপুরে একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিংসফোর্ড সেদিন ক্লাবে আসেননি। দুই ইংরেজ মহিলা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা একই লাল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সেই বোমা হামলায় তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধরার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। আর অন্যদিকে এই ঘটনার পর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান৷ তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷

বিখ্যাত অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া (Khudiram Bose Death Anniversary) হয় মুজফফপুর সংশোধনাগারে। বর্তমানে সেই কারাগারের নাম বদলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। এই কারাগারেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর শরীরের মৃত্যু হলেও আজীবন তিনি অমর হয়ে থেকে গেলেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায়।

Sweta Chakrabory | 15:59 PM, Sun Aug 11, 2024

Kargil Vijay Diwas: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন? 

নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ২৬ জুলাই পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas)। এই দিনটির যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে ভারতীয় ইতিহাসে। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ জয়। ২৬ জুলাই এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। চলতি বছরে আজ শুক্রবার হল কার্গিল বিজয় দিবস। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে সেসময় জঙ্গিরাও ছিল কার্গিল যুদ্ধে (Kargil Day)।

১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের (Kargil Day) বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান (Kargil Vijay Diwas)। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

কার্গিলের যুদ্ধের (Kargil Vijay Diwas) সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

Sweta Chakrabory | 11:37 AM, Fri Jul 26, 2024
World Population Day: সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করেন ভারতে! জেনে নিন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস কেন পালন করব আমরা?

নিউজ ডেস্ক: আজ, ১১ জুলাই ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ডে বা বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)। সারা পৃথিবীতে প্রায় প্রতিনিয়তই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। এর ফলে একদিকে যেমন স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে তেমনই বাড়ছে উদ্বেগ। এর ভালো মন্দ দু'রকমের প্রভাবই পড়ছে। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ড. কিসী। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪০ কোটি এবং ১৮০৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ বিলিয়নে। এরপর ১৯৬০ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৩ বিলিয়ন এবং ১৯৮৭ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৫ বিলিয়নে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নেরও বেশি। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)।

এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে পরিবেশের ওপর। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণে দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে এবং যার ফলে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।

বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার দিকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India), জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.৭২ কোটি। সব থেকে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির, জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। তবে প্রতিবছর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। এর ভালো মন্দ দুইই রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালে চিনের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে ১৩১ কোটিরও বেশি। ওই সময়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত সম্ভাব্য জনসংখ্যা ১৬৬ কোটিরও বেশি। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এক্ষেত্রে দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রকল্প আবশ্যিক ভাবে কার্যকর করা উচিত বলে অভিমত অনেকের। খাদ্য, বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রয়েছে নানা সমস্যা। দেশে কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণও। জন বিস্ফোরণ হলে, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এ বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে কথা বলেন। তিনি জানান, জনসংখ্যার ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের সকলের জন্য জনসংখ্যা নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত, বলে মনে করেন তিনি। জনসংখ্যা (India) ভারসাম্য হারালে ভৌগলিক সীমারেখার ওপর প্রভাব পড়বে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আর অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না বলেও তাঁর মত।


Sweta Chakrabory | 11:46 AM, Thu Jul 11, 2024

PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

নিউজ ডেস্ক: ফ্লিপকার্টের সাধারণ কর্মী থেকে এখন প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার কোম্পানি চালান তিনি। এই ব্যবসায়ীর নাম সমীর নিগম। চেনেন না তো? ফোন পে(PhonePe) কথা নিশ্চয়ই জানেন। সেই কোম্পানির সিইও তিনি। ইউপিআই ( UPI)  অ্যাপের সিইও এখন ভারতবর্ষের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। তাঁর অ্যাপ এখন ভারতবর্ষের ইউপিআই দুনিয়ার অন্যতম সফল অ্যাপ। ফোন পে বর্তমানে কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারীর অর্থনৈতিক লেনদেনের ভরসার প্রতীক

২০২২ সালে ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয় ফোন পে (PhonePe)

ফোন পের যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নেয় যখন এটিকেফ্লিপকার্ট ২০ মিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যে অধিগ্রহণ করে। ফ্লিপকার্টে ওয়ালমার্টের বেশিরভাগ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের পর, ওয়ালমার্ট ফোন পে(PhonePe) উপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তবে ২০২২ সালে একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ফোন পে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয়ে যায়এখান থেকেই কোম্পানির স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু। ফোন পে ডিজিটাল ওয়ালেট, ইউপিআই পেমেন্ট, বিল পেমেন্ট এবং নির্বিঘ্ন ক্রয় লেনদেন সহ তার বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এই ইউপিআই প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালে ক্রস-বর্ডার ইউপিআই(UPI) পেমেন্ট এবং পিনকোড, একটি হাইপারলোকাল শপিং এবং কমার্স অ্যাপ লঞ্চের মাধ্যমে অফার এবং পরিষেবাগুলিকে প্রসারিত করে।

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু ফোন পে’র (UPI)

২০১৫ সালে, ভারতীয় উদ্যোক্তা সমীর নিগম ফোন পে চালু করেন এবং বর্তমানে তিনি কোম্পানির সিইও। আগে ফ্লিপকার্টের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি তাঁর প্রথম ব্যবসা, মাইম ৩৬০ প্রতিষ্ঠা করেনদ্য ইকোনমিক টাইমস তাঁকে চল্লিশ বছরের নিচে শীর্ষ ৪০ ভারতীয় কর্পোরেটদের মধ্যে স্থান দিয়েছে বর্তমানে সমীর নিগম কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। তিনি নয়ডা থেকে মুম্বাই এবং তারপর ব্যাঙ্গালুরুতে যান, যেখানে ফোন পে সদর দফতরের অবস্থান। ফোন পে যে বছর চালু হয়েছিল সেই বছরই ভারত সরকার ডিমনিটাইজেশন করেছিল।বর্তমানে ৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী এবং ৩.৭ কোটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, ফোন পে (PhonePe) এবং ভারত বিল পে সিস্টেম বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করে। নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত, এর আনুমানিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার (৯৯.৪০০ কোটি টাকার বেশি) ছাড়িয়ে গেছে।

 

Pankaj Kumar Biswas | 12:10 PM, Sun Jul 07, 2024

Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম,সেঙ্গল সরানো হবে না জানাল বিজেপি

নিউজ ডেস্ক: লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে ফের একবার চর্চায় ‘সেঙ্গল’। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’(Sengol Controversy) সরিয়ে সেখানে ‘সংবিধান রাখার দাবি তুলেছেন। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবির বিরোধিতা করেছে।

সমাজবাদী সাংসদের দাবি

সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী (Sengol Controversy) বলেছেন, সংবিধান গণতন্ত্রের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নতুন সংসদে ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেছে। সেঙ্গলের অর্থ রাজদণ্ড। রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র স্থাপন হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান থাকা উচিত রাজদণ্ড নয়। সংবিধান বাঁচানোর জন্য সংসদ ভবন থেকে ‘সেঙ্গল’ সরিয়ে দেওয়া হোক।

বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sengol Controversy)

এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদদের তরফেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি বলেন,‘সেঙ্গল’ রাষ্ট্রের প্রতীক একবার ‘সেঙ্গল’ যখন(Parliament) স্থাপন হয়েছে এটাকে আর কেউ সরাতে পারবে না।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি এল ভার্মা বলেন,“সমাজবাদী পার্টি নেতাদের আগে (Sengol Controversy) সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। স্বাধীনতার সময় থেকেই ‘সেঙ্গল’আছে। স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে ‘সেঙ্গল তুলে দেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞ ব্যক্তিদের সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে বিনামূল্যের জ্ঞান বিতরণ করা উচিত নয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগন বলেন,“তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধীরা পরিচিত নয় সে কারণেই তাঁরা সেঙ্গলের বিরোধিতা করছে। বিরোধীরা আমাদের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা নষ্ট করতে চাইছে। ‘সেঙ্গল’ সরানো হলে তামিল সংস্কৃতিকে আঘাত করা হবে।”

সেঙ্গলের ইতিহাস

প্রসঙ্গত ‘সেঙ্গল প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন সেই সিঙ্গল নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের (Sengol Controversy) পাশে রাখা হয়েছে।‘সেঙ্গল ইংরেজদের থেকে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্ত এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রতীক বলে দাবি করা হয়। অতীতে চোল সাম্রাজ্যের সেঙ্গলর অধিকারী রাজার কাছ থেকে পক্ষপাতহীন ন্যায় এর আশা করা হত। চোল সাম্রাজ্যের আগে মৌর্য সাম্রাজ্যেও রাজার কাছে ‘সেঙ্গল থাকতপরবর্তীকালে গুপ্ত সাম্রাজ্যে রাজার হাতে ‘সেঙ্গল থাকত। এমনকি মোলদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ক্ষমতায় নেওয়ার সময়ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের উপর অধিকারের প্রতীক হিসেবে ‘সেঙ্গল নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। যা পরবর্তীকাল রাজতন্ত্রের অবসান অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাউন্টব্যাটেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

Pankaj Kumar Biswas | 14:33 PM, Fri Jun 28, 2024

International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পেছনে!


নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day), যা মে দিবস নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পেছনে তা জেনে নিন আজকের এই প্রতিবেদনে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় যে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের দিন এই শ্রমিক দিবস। কাজ তো করতেই হবে৷ কিন্তু সারাদিন ধরে কাজ করা তো সম্ভব নয়৷ তাই কাজ যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাওয়া। এই সহজ কথাটাই নতুন করে মনে করার দিন পয়লা মে, আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস (Labour Day)। আর এরই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।

আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

১৯ শতকের শ্রমিক আন্দোলন থেকে শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি, যেখানে শ্রমিকরা আরও ভাল কাজের পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত কাজের সময় এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৮৮২ সালে সেন্ট্রাল লেবার ইউনিয়নের (Central Labour union) আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম শ্রমিক দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৮৮৬ সাল থেকে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার (America) শিকাগো শহরের হে মার্কেটে নিহত শহিদদের আত্মত্যাগকে মনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। সেদিন দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা (workers) হে মার্কেটে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি কেউ একজন বোমা ছোঁড়ে। তার পরে পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন।

এই দিনটির তাৎপর্য

বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি দেশে শ্রমিক দিবস পালিত হয়, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অনন্য উপায়ে দিবসটি পালন করে। অনেক দেশে, শ্রমিক দিবস একটি জাতীয় সরকারী ছুটির দিন (National Holiday) হিসাবে পালন করা হয়, যার ফলে শ্রমিকরা তাদের কাজের থেকে প্রাপ্য বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।

সচেতনতা বৃদ্ধি

শ্রমিক দিবসের দিন অনেক জায়গাতেই প্যারেড বা সমাবেশ হয়, যেখানে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলি তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হতে এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আসলে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও উন্নত কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।

Sweta Chakrabory | 11:28 AM, Wed May 01, 2024
Poila Baisakh: ১৪৩০-কে পিছনে ফেলে রেখে আমরা পা রাখব ১৪৩১-এ

নিউজ ডেস্ক: বাংলা ক্যালেন্ডারে চলছে চৈত্রমাস। এটাই বছরের শেষ মাস। সামনেই বৈশাখ মাস। সূচিত হবে নতুন বঙ্গাব্দ(bengali new year)। ১৪৩০-কে পিছনে ফেলে রেখে আমরা পা রাখব ১৪৩১-এ। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো বা বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় নতুন বাংলা বছর।

 সাধারণত দেখা যায়, পয়লা বৈশাখ(Poila Baisakh) ১৪ বা ১৫ এপ্রিল পড়ে। চলতি বছরেও সেই রেশই রয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল শনিবার পড়েছে চৈত্র সংক্রান্তি। আর তার পরের দিন ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে বাংলা ক্যালেন্ডারের(bengali calender) ১৪৩১ সালের প্রথম দিন(Bangla Naboborsho 2024) অর্থাৎ বৈশাখের ১ তারিখ পড়ছে ১৪ এপ্রিল রবিবার। ফলে নতুন জামা পড়ে, জাঁকিয়ে খাবার দাবার সাজিয়ে আর কিছুদিন পরেই পয়লা বৈশাখ উপভোগ করতে চলেছে আপামর বাঙালি।

 মুঘল আমল থেকে পয়লা বৈশাখ(Poila Baisakh) পালনের ইতিহাস পাওয়া যায়। চৈত্র সংক্রান্তির মধ্যে সারা বছরের কর মিটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে উত্‍সব পালন করার প্রথা ছিল। সেই সময় মূলত কৃষি উত্‍সব হিসেবেই পালিত হত বাংলা বছরের প্রথম দিনটি। বাঙালি জমিদাররা এদিন প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ও উনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই পয়লা বৈশাখ পালনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় সাধারণ মানুষের মধ্যে।

 বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি পয়লা বৈশাখ(Poila Baisakh) নামে পরিচিত। বৈদিক পঞ্জিকা অনুযায়ী চৈত্র মাস থেকে নতুন বছর শুরু হলেও বাংলা ক্যালেন্ডারের(bengali calender) হিসেবে নতুন বছর শুরু হয় বৈশাখ মাস থেকে। সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করা থেকেই শুরু হয় নতুন বাংলা বছর। অর্থাত্‍ মেষ সংক্রান্তি বা চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিনটি পয়লা বৈশাখ নামে পরিচিত। দেশের অন্যত্র অনেক স্থানেই এই দিনটি বৈশাখী নামে পরিচিত।

পয়লা বৈশাখ থেকেই শুরু হয়ে যায় বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বাংলায় প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হালখাতা পার্বণ(bengali rituals) করার রেওয়াজ আছে। ব্যবসায়ীরা এদিন লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করেন। এই চৈত্র ও বৈশাখ জুড়ে দেশের নানা প্রান্তে নববর্ষ সূচিত হয়। আবার অন্যদিকে পয়লা বৈশাখের পাশাপাশি এ সময়েই অনুষ্ঠিত হয় বিহু, উগাড়ির মতো বর্ষবরণের অনুষ্ঠানও। তিথি ও শুভক্ষণ থাকলে অনেকেই শুভ কাজ করে থাকেন পয়লা বৈশাখে।

 বাংলা গান,নাচ,কবিতার মধ্যে দিয়ে এই দিনটি পালন করেন অনেকে। এই দিনে বাঙালি তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে আরও বেশি করে ফুটিয়ে তোলে। নিজের শিকড়ের আরও কাছাকাছি এদিন আসে বাঙালি সমাজ। বাঙালি মেয়েরা শাড়ি ও ছেলেরা ধুতি-পাঞ্জাবি বা পাজামা-পাঞ্জাবিতে সেজে বাঙালির ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটান। অনেক জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করে পয়লা বৈশাখের(poila baishakh) দিনটি উদযাপিত হয়।

Sweta Chakrabory | 21:20 PM, Fri Apr 12, 2024

Holi festival of Shovabazar Palace: শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজকীয় দোল উৎসব

শোভাবাজার রাজবাড়ি। নামটা শুনলেই মনে আসে দুর্গাপুজার কথা। কিন্তু এই রাজবাড়িতে আরও বেশ কয়েকটি উৎসব হয় যা চলে আসছে রাজা নবকৃষ্ণ দেব ও তার বশধরদের আমল থেকে। আজ রাজা নেই, নেই রাজত্ব। তবু দুশো বছর পার হলেও রাজার বংশধররা তাঁদের সামর্থ্যমত লালন পালন করে চলেছেন তাঁদের অতীতের সোনালী ঐতিহ্য।


শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দোলযাত্রাও হত চোখধাঁধানো। খানাপিনা, নাচের মজলিশ হত সেকালে। আজও দোল উপলক্ষে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। শোভাবাজার রাজবাড়ির গোপীনাথ বাড়িতে। এই রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপীনাথ জিউ। কথিত আছে ভগবান স্বয়ং রাজা নবকৃষ্ণ দেবের কাছে আবদার করে থেকে গিয়েছিলেন এই রাজবাড়িতে।

শনিবার দোল উৎসবের প্রাক্কালে শোভাবাজার রাজবাড়ির তরফে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে বসেছিল রবীন্দ্র সঙ্গীতের আসর। গানের আসর জমিয়ে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট গায়ক মনোজ মুরলী নায়ার। রাজাবাড়ির সদস্য, স্থানীয় গুনী মানুষজন ও বিশিষ্টদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল স্বাধীনতার আগেকার এই রাজবাড়ির সোনালি দিনগুলির কথা। এই রাজবাড়িতে প্রথম নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দকে। এই রাজবাড়িতেই হয়েছিল জমিদারবাড়ির প্রথম বারোয়ারি পুজো। যার সাক্ষী হয়েছিলেন লর্ড ক্লাইভ। এই রাজবাড়ির প্রথম রাজা নবকৃষ্ণ দেব ছিলেন তারই দেওয়ান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাধারণ মানুষকে দলে যোগদান করিয়ে রাজনৈতিক কর্মী সাজানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

 

বালুরঘাট, ১৮ মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রবিবার রাতে বালুরঘাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে বিভিন্ন দল ছেড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন যুবক যুবতী যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিপুলকান্তি ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বালুরঘাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার যুবক-যুবতীরা গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। কেউ বামফ্রন্ট, কেউ কংগ্রেস করত, আবার কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল না। তারা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী উন্ননযজ্ঞে সামিল হতে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। যোগদানকারীদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে উন্নয়ন করেছেন সেই জায়গা থেকে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন।

যোগদানকারী নন্দিতা সেন বলেন, “আমরা বেশিরভাগ মানুষ কোন দল করি না। কেউ কেউ সিপিএম কংগ্রেস করতেন। দেখছি দিদি ভাল কাজ করছেন তাই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি”। এক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠছে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে ঝান্ডা ধরিয়ে অন্য দল থেকে যোগদান শীর্ষক দিয়ে কেন প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। কেউ কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই পারেন। তাতে কোন অসুবিধে নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দলে টানা হচ্ছে এই অভিযোগ করছে বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের হাতে দলের ঝাণ্ডা তুলে দেওয়া হয়েছে। যে লাভের আশা দেওয়া হয়েছে তারও বেশিরভাগ কেন্দ্র সরকারের অনুদানে চলা প্রকল্প। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিপুল কান্তি ঘোষ বলেন, “ কেউ প্রভাব দেখায় নি। মানুষ উপকৃত হয়ে অনেকেই আমাদের দলে আসছে। আরএসপি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল এই এলাকা। এখন আমরা ফের শক্তি সঞ্চয় করছি। যারা এলেন তাঁরা আমাদের সৈনিক হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে”।

 

Editor | 17:58 PM, Mon Mar 18, 2024
upload
upload