Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

hooghly

NO Pujo Donation: আরজি করকাণ্ডের বিচার চেয়ে এবার পুজোর অনুদান ফেরাল ‘বৌঠান সংঘ’


নিউজ ডেস্ক: আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার বিচার চেয়ে এবার উত্তরপাড়ার আরও একটি পুজো কমিটি ফিরিয়ে দিল দুর্গাপুজোর অনুদান। এই নিয়ে উত্তরপাড়ার তিনটি পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান (NO Pujo Donation) ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করল। এদিন ভদ্রকালীর মহিলা পরিচালিত ‘বৌঠান সংঘ’ জানিয়ে দিল, দুর্গাপুজোর অনুদান তারা নিতে নারাজ। পুজো কমিটির প্যাডে চিঠি আকারে তা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। এটি মূলত মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। নাম বৌঠান সঙ্ঘ। মহিলারাই মূলত এই পুজো আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন। তবে পুজোর সরকারি অনুদান (NO Pujo Donation) পেলে জাঁকজমকটা একটু বেশি হয়। কিন্তু আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সরকারি পুজো অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আমরা প্রতিবার পুজো অনুদান নিয়ে থাকি। এই বছর আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান নিচ্ছি না। নির্মমভাবে চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুন করে খুন করা হয়েছে। তার বিচার চাইছি আমরা। প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রতিটি ক্লাব বারোয়ারিকে ৮৫ হাজার টাকা করে পুজো অনুদান দেওয়া হবে। আগামী বছর থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে সেকথাও আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই ঘটে আরজি করে সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন। আর তারই প্রতিবাদে ফের হুগলির উত্তরপাড়ার অপর একটি পুজো কমিটি জানিয়ে দিল সরকারের পুজো অনুদান (NO Pujo Donation) তারা নেবে না। আরজি কর কাণ্ডে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহে রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি প্রকাশ্যে জানিয়ে দিচ্ছে, তারা পুজোর অনুদান নেবে না।

একাধিক মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিও এই ঘোষণা করেছে। এর আগে উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ স্ট্রিটের আপনাদের দুর্গাপুজো সরকারি পুজো অনুদান নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। তারও আগে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ জানিয়ে দিয়েছিল তারা পুজো অনুদান নেবে না। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:12 PM, Sat Aug 24, 2024

Mahesh Snan Yatra: মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা পড়ল ৬২৮ বছরে! ২২ ঘড়া জল, দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হল প্রভু জগন্নাথকে

নিউজ ডেস্ক: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra) পড়ল ৬২৮ বছরে। বাংলার পুরাতন রথযাত্রা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই রথযাত্রা। আজ জগন্নাথের স্নানযাত্রায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। মূলত প্রতিবছরই জগন্নাথদেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে প্রভুকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম এবং পুজাচারের মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়। জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) দিন তাঁকে আবার রাজপথে দেখতে পাওয়া যায়। আবার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথদেবের অভিষেক ঘটানো হয়।

আষাঢ় মাস মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গ্রীষ্মের প্রবল গরমের পর প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে স্নান (Snan Yatra 2024) করানো হয়। হুগলির মাহেশে ২২ ঘড়া জল এবং দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হয়েছে প্রভু জগন্নাথকে। এই মাহেশের স্নানযাত্রা ছয়শ বছরের বেশি প্রাচীন, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসেন প্রচুর ভক্ত। সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে। এরপর করানো হয় স্নান। তবে পুরীতে জগন্নাথের কলেবর পরিবর্তিত হলেও মাহেশে একই বিগ্রহে পুজো করে আসা হচ্ছে। স্নানের পর ঠাকুরের খুব জ্বর আসে, প্রভু জগন্নাথ লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেবন। এরপর রথযাত্রার ঠিক ২দিন আগে মন্দির আবার খোলা হয়। জ্বর সারলে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। মাহেশের রথের স্নানযাত্রায় ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়।

তীর্থ নগরী নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় অবস্থিত মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এবং নবদ্বীপ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের আনাগোনা চলে। জানা যায়, প্রায় পাঁচশো বছরের পুরানো এই মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর জগন্নাথের স্নানযাত্রার (Snan Yatra 2024) দিনে পরম্পরা মেনে মা পোড়ামার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভোরবেলায় নবদ্বীপের সুরধনীগঙ্গা থেকে ১০৮ ঘড়া গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয় এবং মাকে স্নান করিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মায়ের ভোগারতির পর বিকেলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে দেখা গেল পোড়ামা মন্দির প্রাঙ্গনে অসংক্ষ্য ভক্তদের ভিড়।

Sweta Chakrabory | 15:25 PM, Sat Jun 22, 2024

Hooghly: মূক বধির তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক: তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। মূক-বধির যুবতীকে ভূল বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলিতে (Hooghly) জানা গেছে ২৫ বছরের ওই যুবতীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই প্রতিবেশী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrest) করেছে বলাগড় (Balagarh) থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) সমর্থক বলে জানা গেছে।

 

অপরাধের ঘটনায় রাজনীতির রঙ!

বলাগড় বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শেখ মইনুদ্দিনের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বলেন, আমরা চাই নির্যাতিতা সুবিচার পাক। শাসকদলে থাকায় অপরাধ করে যেন ছাড় না পায়। যদিও পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। বলাগড় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আইনের কাজ আইন মেনেই হবে। সব ব্যাপারে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া বিজেপির কাজ।

 

ঠিক কী হয়েছিল?

নির্যাতিতার মা জানান, “ছেলেটা দীর্ঘদিন থেকেই আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ এটা করেছে। মেয়ে ওই ঘটনার পর আমাকে পুরো ঘটনা জানায়। সব কথা গ্রামের লোককে জানাই। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে নি। আমাদের কেউ সাহায্যকরে নি। আমরা বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে কেস করি। যে ছেলেটা এই কাজ করেছে ও তৃণমূল করে। আজ (শুক্রবার) গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পুলিশ বলছে আজ হবে না। আমরা বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। পুলিশ কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে?” আইনজীবী শুভঙ্কর পাল বলে, “পরিবারের লোকেরা আমাকে জানিয়েছে অভিযুক্ত শাসক দল ঘনিষ্ঠ। সে তার পরিবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই আমরা কোর্ট মনিটরিংয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছি।” 

 

কেন গোপন জবানবন্দিতে দেরী?

আদালত সূত্রে জানা গেছে যুবতী যেহেতু সাংকেতিক ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারে না সেই কারণে সাংকেতিক ভাষা জানা দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মত শনিবার আদালতে দোভাষীর উপস্থিতিতে বিচারক গোপন জবানবন্দি নেবেন।  

Editor | 18:51 PM, Sat Apr 13, 2024

Konnagar Incident: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার কোন্নগরে! পাঁচিল ধসে মৃত ২

নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার হুগলীর(Hooghly) নবগ্রাম। পাঁচিল ধসে মৃত দুই শ্রমিক। জানা গেছে কোন্নগরের (Konnagar )নবগ্রামে পাঁচিল ধসে(wall collapse ) মৃত্যু হয় ওই দুই শ্রমিকের। কোনরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার ইদের দিনেই এমন দুর্ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হুগলির উত্তরপাড়া(uttarpara) থানার অন্তর্গত নবগ্রাম পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নির্মাণ কাজ চলার সময় পাঁচিল ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন শ্রমিকের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক জন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে ওই শ্রমিকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গেছে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় শ্যামল দাস(৪৮) নামে এক শ্রমিকের। এরপর আহত দুজনকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় সোনা শীল(৩১) নামে আরেক শ্রমিকের। আহত সোনা শীলকে উত্তরপাড়া থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গেছে গত পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ(Illegal Construction) চলছিল। রাস্তার পাশে পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই কাজ হচ্ছিল। বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন কীভাবে পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, খোদ প্রধানের ওয়ার্ডে এমন কাজ হচ্ছে। তাহলে অন্য জায়গায় কী হচ্ছে। এছাড়া ভারী গাড়িতে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসায় রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি, অভিযোগ স্থানীয়দের।
গোটা ঘটনায় নির্মাতা গণেশ দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়। বাঁশ দিয়ে পাঁচিল ঘেরা ছিল। কপালে ছিল তাই দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগ ছিল না।’’
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি এবং বাম নেতাদের বক্তব্য, নিয়ম না মেনেই ওই নির্মাণ চলছিল। তবে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নবগ্রাম(nabagram) অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। অসাবধানতাবশত একটি পাঁচিল ভেঙে দুর্ঘটনাটি ঘটে।’’

Sweta Chakrabory | 20:57 PM, Thu Apr 11, 2024

Howrah Incident: নকল মৃতদেহ সাজিয়ে চোলাই পাচার!পুলিশের হাত ফসকে চম্পট পাচারকারী

নিউজ ডেস্ক: দেহের ভিতর সোনা পাচারের খবর শোনা যায় কিন্তু নকল মৃতদেহ সাজিয়ে চোলাই পাচারের ঘটনা! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। পুলিশ এবং আবগারি দপ্তর এসে চোলাই উদ্ধার করেন। ৮০০ লিটার চোলাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর অর্থমূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা। পুলিশ দেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি।

জগৎবল্লভপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে একটি ইটভাটা রয়েছে। সেখানেই এই নকল দেহটি আনা হয়েছিল সৎ কাজের জন্য। পুলিশ দেখে আসলে সেটি কোনও দেহ নয়। বালিশ ও চাদর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল নকল দেহ। তার চারপাশে রাখা ছিল চোলাই মদের বোতল। নির্বাচনকে সামনে রেখে আবগারি দফতর নিয়মিত চোলাই ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিন আবগারি দপ্তরের কাছে খবর আসে দুপুরে হুগলি থেকে বিপুল পরিমাণে চোলাই জগৎবল্লভপুরে ঢুকছে। তা হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হবে। খবর পেয়ে আবগারি দফতর অভিযান চালায়। আবগারি দপ্তর ও পুলিশ আসে স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন ইটভাটার পাশে। সেখানেই একটি শ্মসানে আনা হয়েছিল নকল মৃতদেটি। আবগারি দপ্তর ও পুলিশ শ্মসানে গিয়ে দেখে একটি দেহর মত করে শোয়ানো আছে। চারপাশে রয়েছে কিছু লোক। পুলিশ দেখেই তারা চম্পট দেয়। শ্মসানযাত্রীরা ছিলেন চোলাই মদের কারবারি।

জানা গিয়েছে এভাবে নকল মৃতদেহ সাজিয়ে হুগলি থেকে লরিতে করে তারা চোলাই মদের জার এনেছিলেন। এমনকি এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যাতে মনে হয় দেহ সৎকার করার জন্য মৃতদেহ আনা হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 10:57 AM, Sat Mar 23, 2024

Police Atrocities: রক্ষকই ভক্ষক! চোর সন্দেহে থানায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনন্থার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক: পুলিশ রক্ষক নাকি ভক্ষক? সম্প্রতি হুগলীর এক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এক মহিলাকে চোর সন্দেহে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে চলল অকথ্য মার, অত্যাচার। সম্প্রতি থানাকুল থানার মালঞ্চ ফাঁড়ির ইনচার্জ তুষারের নেতৃত্বেই এই ঘটনাটি ঘটে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের সন্দেহ ছিল, ঐ মহিলা নাকি সোনার ব্রেসলেট চুরি করেছেন। আর সেই সন্দেহেই মহিলা এবং তার ৫ বছরের ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় হুগলি থানার পুলিশ। জানা গেছে মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতেই একজন মহিলাকে তুলে আনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে এলাকার মানুষজন।

পুলিশের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে ঐ মহিলার অভিযোগ, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ তো করা হয়েইছে উল্টে মারধোর অবধি করা হয়। এমনকি তার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া থেকে শুরু করে তার গোপনাঙ্গে আঘাতও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই মহিলাকে হেনস্থা করার পাশাপাশি পুলিশ কর্তারা রেহাই দেয়নি তার নাবালক ছেলেকেও। এই ঘটনায় মুখ খুললে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ হবে বলে পুলিশ তরফে হুমকিও দেওয়া হয় ওই মহিলাকে। যদিও পুলিশ নির্যাতনের এই খবর চাপা থাকেনি। খবর জানাজানি হতেই পথে নামেন মহিলারা। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কাউকে কিভাবে থানায় নিয়ে যেতে পারে? আর তাও আবার মহিলা পুলিশ ছাড়া! এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাধারন জনতা।

যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনো উত্তর দেয়নি জেলা পুলিশের কর্তারা। এসবের পরেও ব্রেসলেট সংক্রান্ত কোনও তথ্য না মেলায় অবশেষে ঐ মহিলা এবং তার নাবালক ছেলেকে ছাড়তে বাধ্য হয় খানাকুল থানার মালঞ্চ ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের এমন আচরনে স্বাভাবিকভাবেই নিন্দার ঝড় তুলেছে সকলে। আইন রক্ষক হয়ে কীভাবে তথ্য প্রমাণ ছাড়া এমন পদক্ষেপ নিল পুলিশ তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Sweta Chakrabory | 15:52 PM, Fri Feb 23, 2024
upload
upload