Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

illegal construction

Konnagar Incident: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার কোন্নগরে! পাঁচিল ধসে মৃত ২

নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার হুগলীর(Hooghly) নবগ্রাম। পাঁচিল ধসে মৃত দুই শ্রমিক। জানা গেছে কোন্নগরের (Konnagar )নবগ্রামে পাঁচিল ধসে(wall collapse ) মৃত্যু হয় ওই দুই শ্রমিকের। কোনরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার ইদের দিনেই এমন দুর্ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হুগলির উত্তরপাড়া(uttarpara) থানার অন্তর্গত নবগ্রাম পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নির্মাণ কাজ চলার সময় পাঁচিল ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন শ্রমিকের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক জন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে ওই শ্রমিকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গেছে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় শ্যামল দাস(৪৮) নামে এক শ্রমিকের। এরপর আহত দুজনকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় সোনা শীল(৩১) নামে আরেক শ্রমিকের। আহত সোনা শীলকে উত্তরপাড়া থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গেছে গত পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ(Illegal Construction) চলছিল। রাস্তার পাশে পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই কাজ হচ্ছিল। বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন কীভাবে পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, খোদ প্রধানের ওয়ার্ডে এমন কাজ হচ্ছে। তাহলে অন্য জায়গায় কী হচ্ছে। এছাড়া ভারী গাড়িতে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসায় রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি, অভিযোগ স্থানীয়দের।
গোটা ঘটনায় নির্মাতা গণেশ দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়। বাঁশ দিয়ে পাঁচিল ঘেরা ছিল। কপালে ছিল তাই দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগ ছিল না।’’
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি এবং বাম নেতাদের বক্তব্য, নিয়ম না মেনেই ওই নির্মাণ চলছিল। তবে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নবগ্রাম(nabagram) অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। অসাবধানতাবশত একটি পাঁচিল ভেঙে দুর্ঘটনাটি ঘটে।’’

Sweta Chakrabory | 20:57 PM, Thu Apr 11, 2024

Calcutta High Court: একসাথে ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে পুরসভাকে নির্দেশ হাই কোর্টের

নিউজ ডেস্ক : আবারও শিরোনামে অবৈধ নির্মাণ। নারকেলডাঙা এলাকায় একসাথে ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট(Calcutta High Court)। একই এলাকায় এতগুলি বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলেও এত দিন পুরসভা কী করছিল, এ দিন কার্যত সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সিংহ।

মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, অবিলম্বে কলকাতা পুরসভাকে(kolkata municipal corporation) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। আগামী সাত সপ্তাহের মধ্যে ওই ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

নারকেলডাঙা তল্লাটে, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক বেআইনি বহুতল গড়ে ওঠার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুরসভার সেই অনুসন্ধানেই ১৪টি বেআইনি নির্মাণের কথা সামনে এসেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। নারকেলডাঙ্গা(narledanga) থানার ওসিকে সশরীরে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। এবার ফের ওই থানা এলাকার তিন নম্বর বরোর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পর পর ১৪ টি বেআইনি নির্মাণের হদিশ পেল কলকাতা পুরসভা। যদিও কলকাতার বিভিন্ন তল্লাটে বেআইনি নির্মাণ নতুন কোনও ব্যাপার নয়। দিনের আলোয় বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলেও পুলিশ এবং পুর প্রশাসনের সে সব নজরে আসে না বলেই অভিযোগ।

উল্লেখ্য , এই নারকেলডাঙা এলাকাতেই একটি বেআইনি ছ’তলা বাড়ি ভাঙা নিয়ে আদালতে পরস্পরের উপরে দায় চাপিয়েছিল কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ(kolkata police)। আর এবার সেই এলাকাতেই অবৈধ বাড়ি ভাঙতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। 

Sweta Chakrabory | 13:56 PM, Wed Apr 03, 2024

Narkeldanga Illegal Construction: নারকেলডাঙায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে সময় বেঁধে দিল হাই কোর্ট

নিউজ ডেস্ক: নারকেলডাঙায় একটি বেআইনি নির্মান ভেঙে ফেলতে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শনিবার থেকেই ভাঙার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কোনও পক্ষপাত না করে আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া উচিৎ বলেই জানালেন স্থানীয় কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, "আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন তা মানবে। আমি নিজেই বেইয়ানী নির্মাণের পক্ষে নই।" জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নারকেল ডাঙা থানা এলাকার ৩ডি/এইচ/৭ এম এন চ্যাটার্জি সরনিতে কোনও অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে আস্ত একটি ছয় তলা বিল্ডিং। রাতারাতি ওই নির্মাণে বসতিও গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি পুর-প্রসাসনের নজরে আসাতে ভাঙার জন্য আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করে পুরসভা। কিন্তু চেষ্টা করলেও ওই বিল্ডিংটি খালি করা যায়নি দাবি পুরসভার।

মামলার গত শুনানিতে পুরসভা জানায়, পুলিশের গড়িমসি রয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ। তার প্রেক্ষিতে নারকেলডাঙা থানার ওসি কে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে এদিন হাজির হয়ে ওসি জানান, "বাড়িটি সম্পূর্ণ ফাঁকা রয়েছে। সেখানে কেউ থাকে না।" রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বলা হয়েছে পুরসভার অভিযোগ ছিল পুলিশ সহযোগিতা করছে না। এই অভিযোগ মিথ্যে, ভিত্তিহীন। ৪ জানুয়ারি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁকা করার কোনও নির্দেশ ছিল না। ৬ জানুয়ারি পুরসভা বাড়ি ভাঙতেও শুরু করে। তখন থেকে কেউ ওই বাড়িতে থাকে না।”

তার প্রেক্ষিতেই ওই নির্মাণ ভাঙতে সময় বেঁধে দেয় আদালত। এদিকে ওই বাড়ির একতলার বাসিন্দা বলেন, "নির্মানের গ্রাউন্ড ফ্লোর নিয়ম মেনেই হয়েছে। তাই স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।" তারপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "যদি এই নির্মান কোনও দিন আপনার উপরেই ভেঙে পড়ে, তখন কে বাঁচাবে আপনাকে ?" যদিও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন শনিবার ফের ভাঙা হবে। পুলিশের উপিস্থিতিতেই হবে।

Sweta Chakrabory | 13:09 PM, Sat Mar 23, 2024
upload
upload