Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

illegal hawker eviction programme

Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার


নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জেরে বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ফুটপাথ ‘জবরদখলমুক্ত’ (Hawker Eviction) করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুরের (sonarpur-Garia) ফুটপাতের দোকানগুলিও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার। কর্মসংস্থান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল হকারেরা। 

সোমবার রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে করা নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন বেআইনি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত (Hawker Eviction) করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই রাজপুর সোনারপুর (sonarpur-Garia) পৌরসভা ও বারুইপুর পুলিশ প্রশাসন একটি জরুরী বৈঠক করেন। তারপরেই প্রশাসন বুধবার সারাদিন মাইকিং করেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সেদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মাইকিং করে বলেন, "বৃহস্পতিবার সকালে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। এলাকায় প্রতিনিয়ত হকার্স বন্ধুদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে এবং এর পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও বেড়েছে,যার ফলে প্রতিদিন অ্যাক্সিডেন্টও ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্টেশনগুলো এরিয়া দখল করে রেখেছে রিক্সা টোটো কিছু কিছু প্রাইভেট গাড়ী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার প্রশাসনিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সোনারপুর পুলিশ আধিকারিকরা মিলে এই ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান শুরু করবে।"

এরপর পুলিশ ও স্থানীয় পুর-কর্মীরা এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান তুলে নিতে বলেছেন। দোকানদারদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে তাঁদের । অন্যদিকে গলি রাস্তার উপর লোহার রডের সঙ্গে ত্রিপ্রল দিয়ে দোকানের কাঠামোর অংশ খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা হকারদের নির্দেশ দেন, বুধবার রাতের মধ্যে এগুলি না খুললে বৃহস্পতিবার ফের অভিযান হবে ৷ তখন কলকাতা পৌরনিগমের তরফে লোক এসে সব ভেঙে খুলে (Hawker Eviction)নিয়ে চলে যাবে। এরপর হকারদের আর কিছু করার থাকবে না । সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার বেশ ফাঁকা। কারণ সব দোকানদাররা নিজেদের দোকানকে গুটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেচাকেনা বন্ধ।

Sweta Chakrabory | 16:50 PM, Thu Jun 27, 2024

Birbhum: বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান, তুলকালাম বীরভূমে


নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাটে-সিউড়িতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।

 বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

এবার হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়।

এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’

Sweta Chakrabory | 15:41 PM, Thu Jun 27, 2024
upload
upload