Sunday, November 10, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

indian army

Air Force Army: এবার ভারতীয় সেনার উদ্যোগেই প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাবে চিকিৎসা, কীভাবে সেটাই জানুন

নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট ওপর থেকে মাটিতে নামল আস্ত হাসপাতাল। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার (Air Force Army) যৌথ উদ্যোগে প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে প্রথম বার সফল ভাবে নামল চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital)। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য এই অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার। শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভরত ভূষণ বাবু।

সীমান্ত হোক বা দেশের যে কোনও দুর্গম অঞ্চল, এতদিন যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে ‘এয়ার লিফট’ই ছিল একমাত্র উপায়। তবে তাতে ঝুঁকি কম ছিল না। এই পরিস্থিতির বদল আনতেই অভিনব এই উদ্যোগ। যেখানে চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital) পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে। এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে চলেছে দেশের সেনাবাহিনী।

দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ তাঁবুর মতো হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ট্রমা কেয়ারের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা। এই হাসপাতালের মধ্যে ৭২ রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে থাকবে একটি ছোট আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, রান্নাঘর, খাবার, জল, একটি বিদ্যুৎ জেনারেটর, রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, একটি এক্স-রে মেশিন-সহ আরও নানান ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এই কিউবগুলি দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই এক একটি চলমান হাসপাতালের ওজন প্রায় ৭২০ কেজি। এক বার মাটি স্পর্শ করার পর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই এই হাসপাতালের ভিতরের সামগ্রী গোছানো সম্ভব। কিউবগুলি অত্যন্ত হালকা ওজনের হওয়ায় এয়ারড্রপের পর যে কোনও জায়গায় দ্রুত স্থাপন করা যেতে পারে। তবে শুধু মাটি নয়, সমুদ্র পথেও এটিকে যে কোনও জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

এদিন বায়ুসেনার হারকিউলিস বিমান চলমান হাসপাতালকে (Portable Hospital) ১৫ হাজার ফুট উপর থেকে প্যারাশুটের মাধ্যমে নামানো হয় মাটিতে। দেশীয় উপায়ে তৈরি এই চলমান হাসপাতালগুলিকে বলা হয় আরোগ্য মৈত্রী হেল্‌থ কিউব। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভীষ্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই হেলথ্‌ কিউবগুলি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই চলমান হাসপাতালগুলিকে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে মোতায়েন করা হয়েছিল।

Sweta Chakrabory | 13:37 PM, Sun Aug 18, 2024

Indian Army: কোলে করে ওয়েনাড়ের দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা জওয়ানেরা, প্রকাশ্যে ভিডিও


নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানেরা (Indian Army)। এ বার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের। 

কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কী ভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানেরা। প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানেরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে এখনই শেষ হচ্ছেনা এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়ানাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে 'কমলা' সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগস্টও ওয়ানাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Sweta Chakrabory | 11:49 AM, Thu Aug 01, 2024

Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা

নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ওপর হামলায় (Terrorist Attack) জড়িত তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করল পুলিশ। প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “ডোডা এবং ডেসরা এলাকায় এই তিনজন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গির কার্যকলাপের এই তিনজনই যুক্ত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে ওই জঙ্গিদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ নেওয়ার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে।

উর্দু ও পস্তো জানে জঙ্গিরা (Kupwara Encounter)

জানা গিয়েছে জঙ্গিরা উর্দু এবং পাস্তো ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে। জঙ্গিরা “জৈশ-এ-মোহাম্মদের” সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের অবস্থান যাতে চিহ্নিত না করতে পারে সেনা এবং পুলিশ, সেই কারণে নিজেদের ফোন ব্যবহার না করে অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন এবং পাকিস্তানে যোগাযোগের জন্য হটস্পট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

সেনার উপর ফের হামলা (Terrorist Attack)

এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara Encounter) জেলার কুমকাডি ছাউনি লক্ষ্য করে পাক জঙ্গি ও সীমান্ত বাহিনীর যৌথ হামলায় (Terrorist Attack) এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। মেজর পর্যায়ের পদমর্যাদার এক অফিসার সহ আরও চারজন সেনা পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন পাক জঙ্গিও খতম হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সর্পবিনাশ শুরু করেছে সেনা। ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলঘেরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, এমনই খবর পেয়েছে সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।





Pankaj Kumar Biswas | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024

Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় (Indian Army) সেনাবাহিনীর জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল ২৬ শে জুলাই ২০২৪ কারগিল বিজয় দিবসের(Kargil Vijay Diwas) বিশেষ দিনে টেলিকম বিভাগের তরফে সামাজিক মাধ্যমে বরফের চাদর মোড়া পাহাড়ের উপর এক সেনা জওয়ানের ছবি পোস্ট করা হয় এই পোস্টে লেখা ছিল,“কারগিলে আমাদের সেনাদের জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায়।”

১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল নেটওয়ার্ক (Indian Army)

১৯৯৯ সালের ২৬ শে জুলাই কারগিল যুদ্ধের (Kargil War) শেষ ঘোষণা করা হয় তারপর থেকে এই দিনটিকে কারগিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কার্গিল এবং আশপাশের পাহাড়ে পাকিস্তানি সেনাকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার সেই উপলব্ধিকে প্রত্যেক বছর ভারত সরকার ধুমধাম করে পালন করে এই যুদ্ধে ৫২৮ জন (Indian Army) সেনা নিজের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন।তাঁদের স্মৃতিতে সারা ভারত জুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কিন্তু এবার সেনার বলিদান স্মরণ করেতাঁদের একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছে টেলিকম বিভাগ। যে সময় যুদ্ধ হয়েছিল তখন এই অঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা তো দূর অস্ত টেলিফোন পরিষেবাও ছিল না। যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন এবং সেনা নিজস্ব কিছু পদ্ধতির উপরে ভরসা করতে হত। কিন্তু এখন সারা বছর এই অঞ্চলে যারা মাইনাস তাপমাত্রায় তাদের কর্তব্য পালন করে,তাঁদের স্বাভাবিক জীবনের কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনা জওয়ানরা সহজে পরিবারের সঙ্গে শুধু কথা বলতে পারবে এমনকিতাঁদের কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে

সেনাকে উপহার

অন্যদিকে কারগিল বিজয় দিবসকে (Kargil Vijay Diwas) একটু আরওবিশেষ করার উদ্দেশ্যে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে (Indian Army) সেনাবাহিনীকে উপহার পাঠানো হয়। শিল্পপতি নিজেই একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে আপলোড করে লিখেছেন,“১৪০ কোটি ভারতবাসীর তরফে এই উপহার পাঠানো হয়েছে ভারতবাসী শুধু সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চায়, এমন নয় সেনাকে তাঁরা পরিবারের সদস্য মনে করে কারণ তাঁরা নিজেদের জীবন বাজিয়ে রেখে আমাদের জীবন বাঁচান।”

কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (Kargil War)

কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত হয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল যখন শীতের সময় বরফের চাদরের আড়ালে পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাঁরা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ভারতীয় দিকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে।

পরিবেশবান্ধব সড়ক পরিবহণে জোর দিচ্ছে সরকার, পরিবেশ রক্ষায় হাইড্রোজেন হাইওয়ে!

দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী (Indian Army) ‘অপারেশন বিজয় শুরু করেছিল। ভারতীয় বাহিনী অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানীদের পিছু হটিয়ে যুদ্ধে (Kargil Vijay Diwas) জয়ী হয়।

 

Pankaj Kumar Biswas | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024

Agniveer Budget: অগ্নিবীরের বাজেট বুম, তিন বছরে ১৫৯ কোটি থেকে বেড়ে হল ৫,২০৭ কোটি

নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অল্প সময়ের জন্য সৈনিক ভর্তির উদ্দেশ্যে সরকার অগ্নিবীর (Agniveer Indian Army) প্রকল্প চালু করেছে সরকারের উদ্দেশ্য অল্প সময়ের জন্য তিন বাহিনীতে তরুণ সৈনিক ভর্তি করা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনায় প্রায় এক লক্ষ অগ্নিবীর ভর্তি করা হয়েছে। বেশি সংখ্যায় তরুণ প্রজন্মকে ভর্তি করলে সেনায় তারুণ্য ও সংখ্যা বল দুটোই বাড়বে। এই লক্ষ্যেই সরকার অগ্নিবীরের(Agniveer Budget) বাজেটেও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

গ্নিবীরের বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget)

২০২২-২৩ প্রাথমিকভাবে অগ্নিবীর প্রকল্পের জন্য ১৫৯.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রকল্প চালু জন্য প্রাথমিক বাজেট ছিল এটি।

২০২৩-২৪ সালে ধাক্কায় এই বছর বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget) বাড়িয়ে,৮০০ কোটি টাকা করা হয়। এবারের বাজেট বরাদ্দ ছিল নিয়োগ, পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাতে খরচ বাবদ

২০২৪-২৫ চলতি বছর বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৫,২০৭.২৮ কোটি টাকা করা হয়। নিয়োগ পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ অগ্নিবীর প্রকল্পে আরওকিছু উল্লেখ্যযোগ্যপরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ সরকারের।

অগ্নিবীরের উপর সরকারের ভরসা  (Agniveer Indian Army)

সরকার চাইছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৪ থেকে ৫ লক্ষ অগ্নিবীর ভারতীয় সেনার ৩ বিভাগে ভর্তি করা হবে। এর ফলে সৈন্য বাহিনীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে ভারত প্রত্যেক সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে। সরকার পরপর বাজেট (Agniveer Budget) বৃদ্ধি করার পিছনে যুক্তি হল, অগ্নিবীদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র উর্দি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করা। এর জন্য সেনায় প্রচুর পরিমাণে  অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন। সরকার সব দিকে নজর রেখেই পরপর বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে। প্রাথমি বাজেটে সরকার পরিকাঠামগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছিল। ধীরে ধীরে সরকার অগ্নিবীদের কৌশলগত বৃদ্ধির সংক্রান্ত বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে শুরু করে।

অগ্নিবীর প্রকল্পে সরকারের আস্থা

অগ্নিবীর প্রকল্পে ক্রমাগত (Agniveer Budget) বিনিয়োগ বৃদ্ধি সরকারের এই প্রকল্পের সাফল্যের দিক নির্দেশ করে। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বোঝা যায় সরকার অগ্নিবীরদের  (Agniveer Indian Army) উপরে যথেষ্ট আস্থা রেখেছে। প্রসঙ্গত চীন ও পাকিস্তান দু দিক থেকেই ভারতের উপর যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। একদিকে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে ড্রাগনের ক্রমাগত আগ্রাসন বৃদ্ধি অন্যদিকে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের পাঠানো জঙ্গিদের তান্ডব ও মাদক পাচারের সমস্যা ঠেকাতে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন বোধ করে সেনা। প্রয়োজনে অগ্নিবীদের দুই ফ্রন্টে পাঠানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে

Pankaj Kumar Biswas | 17:26 PM, Wed Jul 24, 2024

VSHORADS: শীঘ্রই সেনার হাতে আসবে নয়া মিসাইল 

ভারতীয় সেনার হাতে নয়া ব্রহ্মাস্ত্র আসতে চলছে। নিমেশেই শত্রু হবে শেষ। এই অস্ত্রের এখনও নামকরণ করা হয়নি। পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে এই অস্ত্র। প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) । ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে পরপর দু দিন এই মানব বহনযোগ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পরীক্ষা করা হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় পুরোপুরি সফল হয়েছে এই অস্ত্র।

কী কাজে লাগবে এই নয়া অস্ত্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর আকাশে গতিশীল যে কোন লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ছোট্ট মিসাইল। বিমান, ইউএভি, ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম এই অস্ত্র। রকেট লঞ্চার থেকে এই অস্ত্র শত্রুকে লক্ষত করে ছুড়লেই হবে। সেনাবাহিনী সুত্রে খবর ফায়ার এন্ড ফরগেট অর্থাৎ রকেট লঞ্চার থেকে ছুঁড়ে দেওয়ার পর লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য এই মধ্যে থাকবে সীকার রেডার। নিজে থেকে লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করে ধ্বংস করবে ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) । তবে সেনাবাহিনীর হাতে কবে এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে খুব দ্রুত সেনাবাহিনীর পাক ও চীন সীমান্তে এই অস্ত্র খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমানে ভারতীয় সেনা রাশিয়ার ইগ্লা সিস্টেম ব্যবহার করে, তবে ভারতের VSHORADS এর তুলনায় অনেক উন্নত। এই নতুন অস্ত্র ভারতের আত্মনির্ভর ভারতের ভিত শক্ত করবে। বিশ্বের বিভিন্ন সেনাবাহিনীতে এই প্রজাতির অস্ত্রসম্ভার রয়েছে। ফান্স মিস্ত্রাল, রাশিয়া ইগ্লা এবং মার্কিন মুলুকের স্ট্রিগার মিসাইল ব্যবহার করে। তবে এগুলি তৃতীয় প্রজন্মের। চতুর্থ প্রজন্মের এই ধরণের মিসাইল হল আমেরিকার FIM-92 Stinger Block 2, রাশিয়ার Verba, চিনের QW-4, ব্রিটেনের Javelin এবং জাপানের Type 91। ভারত ষষ্ঠ দেশ হিসেবে VSHORADS উৎপাদন করবে। এত দিন এই ধরণের অস্ত্রের জন্য ভারতকে মিত্র রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে থাকতে হত। এখন এই অস্ত্রেও আত্মনির্ভর ভারত। যা যুদ্ধপরিস্থিতিতে ভারতকে সুবিধা দেবে। কারণ অস্ত্রের ঘাটতি হলে ভারতকে পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সেনাবাহিনী ফের এই অস্ত্রের পরীক্ষা করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে এই মিসাইল ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। সেনার তরফে এই মিসাইলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করার হয়েছে। এই মিসাইল গবেষণা ও নির্মাণে এখন পর্যন্ত ১৯২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Editor | 17:09 PM, Fri Mar 01, 2024
upload
upload