Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

indian students

Canada: গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু সংখ্যা কত? রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের


নিউজ ডেস্ক: কত স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পড়তে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি দেয় স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। অনেক সময় স্বপ্নপূরণ হয়, আবার বহু সময় অধরা থেকে যায় স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নকে ছাপিয়ে সরকারি তথ্যে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের যে মৃত্যুর খবর (Indian students died in abroad) তুলে ধরা হয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকারের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে বিদেশে পড়তে যাওয়া ৬৩৩ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা (Canada)। সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ১৭২। শুক্রবার লোকসভায় মোদি সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ছাড়াও এই মৃত্যুর (Indian students died in abroad) পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। জানা গিয়েছে, ৬৩৩টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ১০৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ৫৮টি ব্রিটেনে, ৫৭টি অস্ট্রেলিয়ায়, ২৪টি জার্মানিতে এবং ৩৭টি রাশিয়ায় ঘটেছে। এছাড়াও হামলার কারণে ১৯জন ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কানাডা থেকে ৯টি ও মার্কিন মুলুক থেকে ৬টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, “মন্ত্রকের কাছে উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক কারণ, দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণে গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের মৃত্যুর (Indian students died in abroad) ৬৩৩টি ঘটনা ঘটেছে। বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা প্রদান করা ভারত সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। বিদেশে ভারতীয় মিশন/পোস্টগুলি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নথিভুক্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখে।” এছাড়াও কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, গত তিন বছরে মোট ৪৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে। তবে কেন এই কঠিন পদক্ষেপ তা সেদেশের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে অ-অনুমোদিত কর্মসংস্থান, বহিষ্কার এবং স্থগিতাদেশ, ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের রিপোর্ট তৈরির ব্যর্থতা ছাত্রদের দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাব্য কারণ। অনেক সময় ভিসা জটিলতার ফলেও একজন পড়ুয়ার ভিসা বাতিল হতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাসিত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে কমপক্ষে ৮৫৮০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী চীনে, ৭৩০০ জন নিউজিল্যান্ডে, ২১৩৪ জন নেপালে, ২০০০ জন সিঙ্গাপুরে, ১৫৩২ জন জাপানে এবং ১০২০ জন ইরানে অধ্যয়নরত রয়েছে। অন্তত ১৪ জন ভারতীয় ছাত্র প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে পড়াশোনা করছে। আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে রয়েছে ২৫১০ জন ভারতীয় ছাত্র। ফলে এসকল ছাত্রছাত্রীদের নিয়েও আশঙ্কার মেঘ জমছে সরকারের মনে।

Sweta Chakrabory | 17:19 PM, Sun Jul 28, 2024

Indian students: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে দেশে ফিরল ৪৫০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া


নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে (Bangladesh Protest) এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বহু মানুষ। জারি হয়েছে কার্ফু। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা। এমত পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে। এ প্রশ্নে তিনি এক লাইনে জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’ 

রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক মহল বলছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশে প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার ঘটনায় (Bangladesh Protest) সাউথ ব্লকের গভীর অস্বস্তি এবং উদ্বেগকেই আড়াল করতে চেয়েছেন রণধীর। কারণ এখন এ নিয়ে রা কাড়াও ভারতের পক্ষে বুমেরাংয়ের সমান। গত ছমাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জুড়ে ভারত-বিরোধিতার যে ঢেউ দেখা গিয়েছে, তা-ই নতুন মোড়কে ফিরে এসেছে এখন। ঢাকার রাজপথে গর্জন শোনা গিয়েছে, ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি।’ ফিরে এসেছে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে, ‘ভারতের তাঁবেদার সরকার’ আওয়ামী লীগকে হটানোর ডাক। আর এ সবই ঘটেছে নয়াদিল্লির নাকের ডগায়। 

সব মিলিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব স্তরে ‘সোনালি অধ্যায়ের’ একটি ছবি দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পেলেও, দুদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বিভিন্ন স্তরে আরও বাড়ানোর কথাই যে এ বার ভাবতে হবে, তা ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করছে নয়াদিল্লি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য আরও বেশি স্কলারশিপ বাড়ানো, নজরদারি বহাল রেখে ভিসা আরও শিথিল করা, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার মতো বিষয়গুলিতে কত দূর এগোনো যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। 

অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন (Bangladesh Protest) ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক, অভিবাসন দপ্তর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। হিসেব বলছে ৪৫০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে দেশে ফিরেছে। তবে শুধু ভারতীয় পড়ুয়াই নয়, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের বহু পড়ুয়ারাও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফেরত এক ভারতীয় পড়ুয়া বলেছেন, ''অনেক শিক্ষার্থী বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু সেখানে কার্ফু রয়েছে, তাই তাঁরা বিমানবন্দরে যেতে পারেননি। বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। এখনও অনেক ভারতীয় ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হস্টেলে রয়েছেন।''

প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনের (Bangladesh Protest) পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল, তা কমিয়ে ৭ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে এতদিন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের’ জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল, তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাকি ২ শতাংশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সুপ্রিম রায়ে আন্দোলনের জয়জয়কার হলেও বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সে দেশে পড়তে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় (Indian students)। বিষয়টি সামনে আসতেই ভারতের তরফে শুরু হয় তৎপরতা। এরপর ধাপে ধাপে তাঁদের ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

Sweta Chakrabory | 15:52 PM, Mon Jul 22, 2024
upload
upload