RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত, হবে পলিগ্রাফি টেস্ট
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) নয়া আপডেট। এবার আরজির কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হবে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ রায় সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে গতকালই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট ৬ জনকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। তাদেরও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সত্য উদঘাটনে (RG Kar Incident) এবার সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে। এই ৬ জনের মধ্যে রয়েছে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারও। এর সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন চার চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, এদিন এই মামলা (RG Kar Incident) চলাকালীন আদালতে তোলা হয়েছিল সঞ্জয়কে। সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই এদিন আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বের করা হয়। এরপর তাঁকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে তাঁকে হাজির করানো হয় আদালতে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদালত চত্বরে। পুলিশের গাড়়ি আদালত চত্বরে নিয়ে আসার পরেই সাধারণ মানুষ চিৎকার করতে থাকেন, ''ফাঁসি চাই সঞ্জয়ের। মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।''
তবে এদিন গোটা আদালত চত্বর সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছিলেন। নিরাপত্তায় ছিল কলকাতা পুলিশও। সঞ্জয়কে সিজিও থেকে বের করার সময় একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। তবে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেয়নি সঞ্জয়।
RG Kar Incident: মরদেহ লোপাট থেকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?
নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর-কাণ্ডের সময় তিনিই ছিলেন এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুরো ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই।
আরজি করের (RG Kar Incident) বিতর্কের পাশাপাশি অন্য বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। ২০২৩ সালের জুনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ফলে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এবার তার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ঘটনাচক্রে, এই তিন বছরের বেশির ভাগ সময়ে কলেজের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপই।
এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে হাসপাতালের মৃতদেহ লোপাট করার মতো মারাত্মক অভিযোগও। মর্গের রেজিস্টার গুম করে দিয়েছেন তিনি, ভেঙেছেন সরকারি নিয়ম, এক বছর আগে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। পেশাগত অনিয়মের কারণে বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হওয়ার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে চেম্বারে প্রবেশ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, কোভিডের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হিসেব দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই যন্ত্রের তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ নাকি টেন্ডারের ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অবৈধ ভাবে ইন্টার্ন নিয়োগের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
RG Kar Incident: কতদূর এগোল আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত? সুপ্রিম কোর্টে আজ রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই-রাজ্য
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি এই ঘটনায় হাই কোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের বদলে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার কাঁধে নিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এর আগে শুনানির প্রথম দিনই শীর্ষ আদালত পুলিশ ও হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এখনো পর্যন্ত তদন্ত কোন পর্যায়ে তা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই্কে। এর পাশাপাশি ১৪ ই আগস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কোন পর্যায়ে বৃহস্পতিবার তা নিয়ে আলাদা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি মহিলা চিকিৎসককে যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার অটোপসি রিপোর্ট জমা দিতে পারে সিবিআই। আজ সকাল সাড়ে দশটায় শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অগস্ট আরজি করে নিগৃহীতার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন মহিলাদের একাংশ। সেই রাতে একদল দুষ্কৃতী এসে কার্যত তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল কলকাতা পুলিশ। এরপর গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর (RG Kar Incident) মামলার শুনানি হয়। শুনানির প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। তবে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলে বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ তখন কী করছিল?”
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চার তলায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেই ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়। মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রথমে বলা হয়েছিল যে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর জানা যায় খুন। পরে ধর্ষণের মামলাও রুজু করা হয়। ফলে সব মিলিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। আজ সেই মামলারই দ্বিতীয় শুনানি।
R G Kar Hospital: আরজি করকাণ্ডে পুলিশি তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?
নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন? যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব তৃণমূল বিধায়ককে
নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Case)। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সিবিআই হেফাজত থেকে বেরতে না বেরতেই ফের কি ইডির জালে ফাঁসলেন তিনি? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ, জানা গিয়েছে, এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।
এ প্রসঙ্গে ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, এরপর জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকেই প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর বহু কষ্টে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি। এবার সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফের ইডির নজরে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ।
CBI in NEET: যে আবাসনে সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই
নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালায় সিবিআই।
নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ
সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই। সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস
নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়। সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে। সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান।প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।
Mob Lynching: গণপিটুনির ঘটনায় ধৃত দু-জনকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত
নিউজ ডেস্ক: চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) ঝাড়গ্রামের যুবককে মারধরের ঘটনায় শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় দু-জনকে গ্রেফতার করে জামবনি থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল মহেন্দ্র মিত্তাল এবং ডাক্তার সোরেন। মহেন্দ্র মিত্তাল ঝাড়গ্রামের বাছুড়ডোবার বাসিন্দা। বছর আটচল্লিশের ওই ব্যক্তি রাস্তা তৈরির কাজে ম্যানেজার পদে রয়েছেন। অপর ধৃত পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি ডাক্তার সোরেন ঝাড়গ্রামের জমাদারডাঙার বাসিন্দা। তিনি সাইট ম্যানেজার। ধৃতদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ৭দিনের পুলিশ হেপাজত এর নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪১/৩৩৫/৩০৭/৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা এমনই অভিযোগ মৃত সৌরভ সাউ-এর মা প্রতিমা সাউ, এবং তাঁর আত্মীয় অপর্ণা দত্তর। শুধুমাত্র চুরি? না এর পেছনে আসলে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করে বেআইনি ভাবে জমি ও খনিজ সম্পদ বিক্রির জন্য অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই মারধর এবং খুন কিনা সেটাই এই মুহুর্তে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কারন গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত মহেন্দ্র মিত্তাল জানায় তাদের কোনও জিনিস চুরি যায়নি। তাঁদের মেশিন ও ঠিক চলছিল। তাহলে প্রশ্ন এদের গণপিটুনি দেওয়া হল কেন? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহিরাগতরা এসে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরন তৈরী করতে চাইছে। অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে তালিবানি কায়দায় মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের একাংশে কি তালিবানি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা চলছে? ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার খাতখুরা এলাকার ওই ঘটনার পেছনেও এই রকম কোনও ঘটনা কিনা সেটাই এই মূহুর্তে তদন্ত করছে পুলিশ।
মৃতের মা এবং বোন সরাসরি অভিযোগ করেছে অভিযুক্তরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, এলাকায় বেআইনি ব্যাবসা চালানোর জন্য অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করতে তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে। ২২ শে জুন জামবনি থানার খাটখুরা এলাকায় সৌরভ সাউ এবং অক্ষয় মাহাতকে মারধর করে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন। জামবনি থানার পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার করে তাদের নিয়ে আসে। তাঁদের প্রথমে চিল্কিগড় এবং পরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ শে জুন মারা যায় সৌরভ সাউ । গুরুতর আহত অবস্থায় অক্ষয় মাহাত নামে এক যুবক ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Sandeshkhali: সন্দেশখালীতে পাঁচ বছর নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন্যাজাট থানার ভাঙ্গি পাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালে ৬ই জুন সন্দেশখালী (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃণমূলের (TMC) কর্মী সভা হয়। সেই কর্মী সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মন্ডল, সুকান্ত মন্ডল ও দেবদাস মন্ডলের উপরে হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মন্ডল ও সুকান্ত মন্ডলের।
পুলিশের তদন্ত কোন পথে?
সেই সময় থেকে দেবদাস মন্ডলের খোঁজ না পাওয়ায় তার পরিবার ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালীর বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদ তৃণমূল কর্মীদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহান নাম বাদ যায় এফ আইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দারস্থ হয় কলকাতার হাইকোর্টে। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরে শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখেন। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।
বর্তমান অবস্থা
আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তার পরিবার। স্ত্রীর দাবি স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছে। তার পরিবার আদালতের কাছে দাবি করেছে দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মন্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে তা এখনো অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মন্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তার মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিল সুকান্ত। সে একদিন সংসার পাতবে । কষ্ট করে একটি বাড়ি বানিয়েছিল। বর্তমানে তার সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতন আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। দেবদাস মন্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিল দেবদাস। বর্তমান তার সংসারের অবস্থা খুবই করুন দশা। তার বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তার স্বামী ঘরে ফিরবে।
নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?
আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মন্ডল? না সেই দিনই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তার দেহ লোপাট করা হয়েছে কোন মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তার মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তার স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।
Bhupatinagar NIA Investigation: ভূপতিনগরকাণ্ডে সোমেই তৃণমূলের ৩ নেতাকে তলব NIA-র
নিউজ ডেস্ক: এবার ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাকে তলব করল এনআইএ। ওই তিন তৃণমূল নেতা মানবকুমার পইড়্যা, সুবীরকুমার মাইতি এবং নবকুমার পন্ডাকে সোমবার এনআইএর নিউ টাউনের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, যে তিন জনকে তলব করা হয়েছে তাঁরা তিনজনই পলাতক।
প্রসঙ্গত শনিবারের পর রবিবারও ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নারুয়াবিলা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালায় NIA। প্রায় ৫০ জন জওয়ান নিয়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর একটি বড় দল অভিযান চালায় এদিন। সূত্রের খবর, ভূপতিনগরকাণ্ডে NIA র স্ক্যানারে উঠে আসে এই তিন তৃণমূল নেতার নাম।
উল্লেখ্য এর আগে ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে গত শনিবার বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তবে বলাইচরণ এবং মনোব্রতকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাই এবং মনোব্রতকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে দাবি এনআইএ আধিকারিকদের। এর পরেই এনআইএর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে এক আনআইএ আধিকারিক আহত হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম। একে অপরের দিকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
Breaking NIA investigation: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে NIA কে নির্দেশ হাইকোর্টের
ভোটের মুখে আরো এক মামলায় NIA-এর নির্দেশ হাইকোর্টের। ময়নায় বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুনের মামলায় NIA কে নির্দেশ হাইকোর্টের। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে এনআইএকে,নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৪শে এপ্রিলের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের।
তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশ কার্যকরে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফলে নির্দেশ কার্যকরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্তকের ভূমিকায় হতাশ হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁ (৬০)-কে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিজয়কৃষ্ণকে অপহরণ করা হয় এবং পরে তাঁকে খুন করা হয়।
গোটা ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ময়না থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ময়না বাইপাসের ধারে তিন রাস্তার মোড়ে দলীয় পতাকা হাতে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়না বন্ধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Baruipur: রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল , খোঁজ মিলল আদেও,নাকি হাতছাড়া?
নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আঁচ ছড়াচ্ছে এরাজ্যেও। রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল এল দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের হাড়দহ এলাকায়। এই এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছে বলে কেন্দ্রীয় দলের কাছে খোঁজ ছিল।
সেই সূত্র ধরে এই গ্রামে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসে। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের খোঁজ মেলে নি। তবে বসবাসের জায়গায় রাতের খাবারের চিহ্ন মিলেছে। তদন্ত আরও জোরালো করতে শনিবার বারুইপুর ও কুলতলি এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে যাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলটি। তদন্তের সাপেক্ষে এই সফরের বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় দলটি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মায়ানমারের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। রাজধানী নেপিডো এবং আগের রাজধানী ঈয়াঙ্গনের মতো বড় শহর দুটি বাদে মাঝারি মানের বেশিরভাগ শহরই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। গত মাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি মিন্ট সোয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিদ্রোহীরা যেভাবে শক্তি সঞ্চয় করে এগচ্ছে তাতে মায়ানমার ভেঙে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির আশঙ্কা ইতিমধ্যেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ভাঙনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি। এখনই প্রায় ৫২ শতাংশ ভূখণ্ড বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির দখলে। ফলে দেশে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অচল হয়ে পড়েছে যানবাহন, বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে। তারা এই দুই দেশে আশ্রয় প্রার্থী। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি শতাধিক সেনা জওয়ান ও অফিসারও ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এবার সেই রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর খোঁজেই কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল তদন্তে নেমেছে।
H C on Sandeshkhali : সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কেন গোটা সন্দেশখালি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হল, তা নিয়ে যথাযথ তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য। এরপরই সন্দেশখালিতে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ লোকজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লাঠি হাতে পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। এরপরই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় সন্দেশখালিতে। মঙ্গলবার সেই ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, "কেন সেখানে সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে তা রাজ্যের ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট নয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। প্রয়োজন হলে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে।"এরই সঙ্গে সমগ্র এলাকা জুড়ে ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে নজরদারি চালানোর কথাও বলেছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে কারও প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরে সন্দেশখালিতে ফের বহিরাগতরা গিয়ে অশান্তি করতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশ প্রশাসনের।
Sandeshkhali Case:সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ!এখনও অধরা শাহজাহান
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্যপুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি।
প্রসঙ্গত,সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার পর ৩৩ দিন পার। এখনও অধরা দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। ইডির দেওয়া সময়সীমা পার, দ্বিতীয় তলবে এখনও এলেন না শেখ শাহজাহান । গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এরপর সেই মামলার রায়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েলেন, এই মামলার তদন্ত করবে সিট। সিবিআই ও রাজ্যের আইপিএসদের নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, আদালতের এই ঢিলেমির জন্য তৃণমূল তার লক্ষ্যে সফল হয়ে যাচ্ছে। কারণ তৃণমূলের লক্ষ্য লোকসভা ভোটের আগে শেখ শাহজাহানকে জেলে যাওয়ার থেকে আড়াল করা।এদিকে আবার মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে। তাই ৬ মার্চ এই মামলার শুনানির পর সিবিআই যদি এই মামলার তদন্তের ভার পায়ও,লোকসভা ভোটের আগে তখন আর শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব নাও হতে পারে তাদের পক্ষে,এমনই আন্দাজ বিরোধিপক্ষের।
এর আগে প্রথম বারের অভিযানে শাহাজাহানের বাড়ি তল্লাশির সময়ে গ্রামবাসীরা ইডি আধিকারিকদের ঘিরে মারধর করেন।ফলে ২ ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তারপর ইডি-র তরফে এফআইআর করা হয় আদালতে। মঙ্গলবার এই মামলারই দ্রুত শুনানির আর্জি জানায় ইডি।
নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে ইডি। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় শুনানি ছিল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর কথায় “যে গতিতে তদন্ত চলছে তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে, ED আর কিছুই পাবে না।”
২০১৯-এ শুরু হওয়া তদন্ত ২০২৪-এও শেষ হয়নি। ইডি কি ভেবেছিল সবকিছু মসৃণ হবে?এমনই প্রশ্ন বিচারপতির। মঙ্গলবার প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় ইডি তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়, “এই দুর্নীতির তদন্তে আমরা আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করেছি। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”এরপর পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “বাজেয়াপ্ত করতে এত সময় কেন লাগছে?ধীরগতিতে তদন্তে ইডি আর কিছুই পাবেনা",শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তকে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে পাটুলিতে এই তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে ইডি। বাপ্পাদিত্যের কাছে নিয়োগ দুর্নীতির অনেক তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁকে তলব করে জেরা করতে চাইছেন তাঁরা। সেইকারনে বৃহস্পতিবার বাপ্পাদিত্যকে তাঁর যতগুলি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলির নম্বর সহ আরও কিছু নথি নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে, ইডির এই তলবে তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত হাজিরা দেবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।