Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Kanchan Mullick: ''দয়া করে ওদের ছেড়ে দিন'', শিশুদিবসে বিশেষ অনুরোধ বাবা কাঞ্চন মল্লিকের
Sweta Chakra... | 17:27 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Sweta Chakra... | 17:10 PM, Thu Nov 14, 2024
RG Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পার, একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক অভয়া মঞ্চর
Sweta Chakra... | 16:52 PM, Thu Nov 14, 2024
Fire in srinagar school: শিশু দিবসের দিন শ্রীনগরের স্কুলে আগুন, সুরক্ষিত সমস্ত শিক্ষার্থী
Sweta Chakra... | 16:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Ajay Chakrabortys brothers arrested: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই মুম্বইয়ে গ্রেফতার, প্রতিক্রিয়া কুণালের
Sweta Chakra... | 16:10 PM, Thu Nov 14, 2024
Indias beats South Africa: টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে
Sweta Chakra... | 14:45 PM, Thu Nov 14, 2024
Guwahati: গুয়াহাটিতে ফাঁস সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট, গ্ৰেফতার আট
Sweta Chakra... | 14:17 PM, Thu Nov 14, 2024
EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে ২৬,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনার ভাবনা কেন্দ্রের
Sweta Chakra... | 13:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Barasat Medical College: সরকারি হাসপাতালের বাইরের ভ্যাটে পরে শরীরের একাধিক অংশ! চাঞ্চল্য বারাসতে
Sweta Chakra... | 13:18 PM, Thu Nov 14, 2024
Jagadhatri Puja 2024: ১৫ লাখেরও বেশি সমাগম! নবমী রাতে চন্দননগরে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেল পুলিশ
নিউজ ডেস্ক: গতকাল ছিল নবমী। জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেজে উঠেছে কৃষ্ণনগর থেকে চন্দননগর। চারিদিকে শুধুই আলোর রোশনাই। প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন প্রচুর দর্শনার্থী। আর এই ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের। রাত যত বেড়েছে, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখার ভিড় ততই বেড়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাইরে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। আর এই ভিড় দেখেই কর্মকর্তারা জানালেন এবার পুজোয় অষ্টমীর ভিড় ছাপিয়ে গেল নবমীতে। পুলিশের হিসাব বলছে, ১৫ লাখের বেশি লোক চন্দননগরে ভিড় করেছেন নবমীতে।
আসলে রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় নবমীতে জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও চন্দননগরে উৎসব চলে পাঁচ দিন ধরে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হওয়া উৎসব শেষ হবে দশমীতে শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে। চন্দননগরে দশমীতে সাধারণত এই শোভাযাত্রা দেখতেই ভিড় করেন মানুষ। তাই সেই অর্থে মণ্ডপ এবং প্রতিমা দর্শনের শেষ দিন রবিবারই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শেষ দিনে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল চন্দননগরের রাস্তায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। সকলের মুখে একটাই কথা, ‘‘আবার তো একটা বছর।’’
এ প্রসঙ্গে চন্দননগরের হালদারপাড়া আদি বারোয়ারির সহ-সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন পুজোর সঙ্গে যুক্ত আছি। নবমীতে এত মানুষ দেখিনি। যা আশা ছিল তার থেকে অনেক বেশি দর্শনার্থীদের সাড়া পেয়েছি।’’ আসলে ষষ্ঠী সপ্তমীর ভিড় সামাল দেওয়া গেলেও অষ্টমীর দুপুর থেকেই মূলত চন্দননগরে ভিড় হতে শুরু হয়েছিল। অষ্টমীর রাতেও রেকর্ড পরিমাণ ভিড় হয়েছিল চন্দননগর শহরে। কিন্তু বিকেল থেকে জনপ্লাবন বইতে শুরু করে চন্দননগরের অলিতে গলিতে। এই ভিড় সামাল দিতেই রাত ১টা পর্যন্ত রবিবার লঞ্চ সার্ভিস চালু ছিল। ভোররাত পর্যন্ত ছিল পূর্ব রেলের ট্রেন পরিষেবা। পুজোর সময় এই ভিড়ের মধ্যে যাতে কারুর কোনরকম সমস্যা না হয়, বা কোন অপ্রিতিকর অঘটন না ঘটে তাই জন্য পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। এর পাশাপাশি .১৩৩টি পুজো কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর কর্মকর্তারা ভিড় সামলাতে ছিলেন রাস্তায়।
নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য নিয়ে চর্চা হলে কৃষ্ণনগরের কথা আসবেই। বলা হয়, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেব জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করার পরেই তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলা জুড়ে। আর কৃষ্ণনগরের জনপ্রিয় পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর শহরে চাষাপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজো। এই বারোয়ারির প্রতিমা 'বুড়িমা' নামে পরিচিত। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঐতিহ্য ও আবেগের অন্য নাম চাষাপাড়ার 'বুড়িমা'। প্রায় কমবেশি ২৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। ১৭৭২ সালে এই পুজো শুরু হয়। এবছর ২৫২তম বর্ষে পদার্পণ করল 'বুড়িমা'র পুজো।
কথিত, কোনও এক সময়ে রাজা চাষাপাড়ার পুজোর দায়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তখন দেবী নাকি তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, চাষাপাড়ায় যে সব লেঠেলরা রয়েছেন, তাঁরাই এই পুজোর দায়ভার বহন করবেন। তবে কারও কারও মতে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার গল্প সত্যি নয়। রাজা নাকি তাঁর বাড়ির পুজো অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই প্রজাদের অনুদান দিতেন। দেবীর এই ‘বুড়িমা’ নাম কিন্তু প্রথম থেকেই ছিল না। আনুমানিক ৭০-৭৫ বছর আগে এই নাম দেওয়া হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পুজো চার দিনের হলেও কৃষ্ণনগরে মূলত একদিনের পুজো হয়। কৃষ্ণচন্দ্রের শহরে মূল পুজো হয় নবমীর দিনে। এই পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন কৃষ্ণনগরে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে ভোগ প্রসাদ দেওয়া হয়। এই পুজোর জন্য কোনও চাঁদা তুলতে হয় না, মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে চাঁদা জমা দিয়ে যান। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পরে 'বুড়িমা'র পুজোর জন্য। ১৫ কেজির সোনার অলংকার দিয়ে সাজানো হয় 'বুড়িমা'কে।
পুজো উপলক্ষে পাঁচ দিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুড়িমার বিসর্জন রীতিতেও আছে বৈশিষ্ট্য। কৃষ্ণনগরের সকল প্রতিমা বিসর্জনের পরে সব শেষে বুড়িমার বিসর্জন করা হয়। যত ক্ষণ না প্রতিমার বিসর্জন হচ্ছে, তত ক্ষণ রাস্তার দু’ধারে ভক্তরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রথা মেনে দেবী কাঁধে চেপেই বিসর্জনের পথে যান। আগে তাঁকে রাজবাড়ি ঘোরানো হয়, তার পরে নিয়ে যাওয়া হয় জলঙ্গীর ঘাটে।
Jagadhatri Puja Speial Train: জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় সামলাতে বিশেষ উদ্যোগ, স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা রেলের
নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান চন্দননগরে ৷ পুজোর ক'টা দিন বিপুল সংখ্যক মানুষের ভরসা লোকাল ট্রেন ৷ লক্ষাধিক মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরোন ট্রেনে ৷ ফেরেনও ট্রেনে ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে লক্ষাধিক মানুষ চন্দননগর আসেন জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই সময় লোকাল ট্রেনগুলিতে থিকথিকে ভিড় হয় ৷ সেই অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই পূর্ব রেল আজ ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রুটে মোট ৬ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সমস্ত স্টেশনে থামবে।
রেল জানিয়েছে, শুক্রবার ৮ নভেম্বর থেকে আগামী মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি দিন বিকেল ও রাতে হাওড়া–ব্যান্ডেল শাখায় বাড়তি ট্রেন চলবে। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী শেষ ট্রেনগুলি ছাড়বে বিকেল ৫.২০, সন্ধে ৭.৫৫, রাত ৮.৩৫, রাত ১১.৩০ এবং রাত সাড়ে বারোটায়। আবার ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধে ৬.৩৫, রাত ৯.২০, রাত ৯.৫৫, রাত ১টা এবং রাত ২টোয়। এমনকী হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী বিশেষ ট্রেনও চালাবে পূর্ব রেল। জানানো হয়েছে, বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। আর বিসর্জনের দিন, অর্থাৎ ১২ তারিখ হাওড়া–ব্যান্ডেল শাখায় আরও অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে রেল। তবে কয়েকটি লোকালের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ৯ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত একটি ইএমইউ স্পেশাল হাওড়া থেকে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ছাড়বে। দুই জোড়া ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন ব্যান্ডেল থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ১টা, ২টোয়। একটি আপ হাওড়া-বর্ধমান ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন হাওড়া থেকে রাত ১টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। একইসঙ্গে বর্ধমান-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন বর্ধমান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছাড়বে ৮/৯ নভেম্বর থেকে ১১/১২ নভেম্বর পর্যন্ত। একটি অতিরিক্ত হাওড়া-ব্যান্ডেল-হাওড়া হওড়া থেকে রাত ২টো ৩৫ মিনিটে ছাড়বে। ১২ নভেম্বর (বিসর্জনের দিন) ব্যান্ডেল থেকে ভোর ৪টেয় ছাড়বে।
Jagadhatri Puja: জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় সাজছে বাংলা, সুরুচি, ত্রিধারার থিমে সাজবে চন্দননগর
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা কাটিয়ে বাঙালি এবার দেবী জগদ্ধাত্রীর অপেক্ষায়। মা কালীর বিসর্জনের পরই হৈমন্তিকার আরাধনায় মেতে ওঠে বঙ্গবাসী। নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরে এখন সাজসাজ রব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ফরাসি সরকারের দেওয়ান ছিলেন চন্দননগরের ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তিনি আবার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেবার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখে তাঁর ভালো লাগে। ইন্দ্রনারায়ণের হাত ধরেই পুজো শুরু হয় চন্দননগর শহরে।
চন্দননগরের আলোর পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পুজোও সমানভাবে বিখ্যাত। গঙ্গাপাড়ের এই শহরের বিভিন্ন ক্লাবের পুজোয় এবছর সুরুচি, মুদিয়ালি, ত্রিধারা, হাজরা পার্কের এবছরের দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমী ও নবমী একই দিনে পড়েছিল। মূল পুজো শেষ হয়েছিল তিনদিনে। যা নিয়ে পুজোপ্রেমীদের আক্ষেপের শেষ ছিল না। তবে জগদ্ধাত্রী পুজো চারদিনে হবে। শুক্রবার ৮ নভেম্বর সপ্তমী। অষ্টমী শনিবার ৯ তারিখ। ১০ তারিখ মহানবমী। মূলত এই দিনই সাড়ম্বরে মায়ের পুজো হয়।
তবে যাই হোক, স্বাধীনতার বহু আগেই চন্দননগরে ধুমধাম করে শুরু হয় বিখ্যাত শিব মন্দির তেমাথা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো। এই বিষয়ে মতান্তর নেই। এখানে দেবী পূজিত হন ‘রানিমা’ হিসেবে। গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরে অন্যতম পুরনো পুজো ধরা হয় ‘রানিমা’র পুজোকেই। যার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। জানা যায়, প্রায় ৮০ বছর আগে চন্দননগর শিব মন্দির তেমাথা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু। মায়ের নাম ‘রানিমা’। এই নাম কেন? কথিত, ফরাসিদের উপনিবেশ গড়ে ওঠার সময় চন্দননগরের সব প্রতিমা সেজে উঠত সাদা ডাকের সাজে। একমাত্র এই পুজোয় মা সাজতেন একেবারে রাজরানির বেশে। সোনালি সেই সাজে মায়ের রূপ চোখ ধাঁধিয়ে দিত সকলের। সেই থেকেই ‘রানিমা’ নামটি প্রচলিত। পাশাপাশি, যেখানে এই পুজো হয় তার পাশেই রয়েছে বুড়ো শিবতলা। আজও মন্দিরে মহাদেবের পুজো হয় আগে, তার পরে শুরু হয় মায়ের পুজো।