Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Kanchan Mullick: ''দয়া করে ওদের ছেড়ে দিন'', শিশুদিবসে বিশেষ অনুরোধ বাবা কাঞ্চন মল্লিকের
Sweta Chakra... | 17:27 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Sweta Chakra... | 17:10 PM, Thu Nov 14, 2024
RG Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পার, একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক অভয়া মঞ্চর
Sweta Chakra... | 16:52 PM, Thu Nov 14, 2024
Fire in srinagar school: শিশু দিবসের দিন শ্রীনগরের স্কুলে আগুন, সুরক্ষিত সমস্ত শিক্ষার্থী
Sweta Chakra... | 16:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Ajay Chakrabortys brothers arrested: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই মুম্বইয়ে গ্রেফতার, প্রতিক্রিয়া কুণালের
Sweta Chakra... | 16:10 PM, Thu Nov 14, 2024
Indias beats South Africa: টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে
Sweta Chakra... | 14:45 PM, Thu Nov 14, 2024
Guwahati: গুয়াহাটিতে ফাঁস সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট, গ্ৰেফতার আট
Sweta Chakra... | 14:17 PM, Thu Nov 14, 2024
EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে ২৬,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনার ভাবনা কেন্দ্রের
Sweta Chakra... | 13:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Barasat Medical College: সরকারি হাসপাতালের বাইরের ভ্যাটে পরে শরীরের একাধিক অংশ! চাঞ্চল্য বারাসতে
Sweta Chakra... | 13:18 PM, Thu Nov 14, 2024
Ratna Bhandar: খুলল পুরীর রত্নভাণ্ডার! অন্ধকার কক্ষ থেকে ঘুরে এসে কী জানালেন বিচারপতি?
নিউজ ডেস্ক: ভক্তদের বিশ্বাস জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) দুর্মূল্য রত্নরাজি আগলে রেখেছেন নাগ দেবতা। তা স্পর্শ করা সহজ সাধ্য নয়। ৪৬ বছর পর রবিবার, সেই রত্নভাণ্ডার (Ratna Bhandar) খোলা হয়েছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। ভাণ্ডারে বৈদুর্যমণি, নীলকণ্ঠমণি-সহ অসংখ্য মূল্যবান রত্ন রয়েছে বলে দাবি পাণ্ডাদের। উল্টো রথের আগের দিন মাহেন্দ্রক্ষণে সেই রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জন প্রতিনিধির একটি দল। রত্নভাণ্ডারের অন্ধকার কক্ষে কী রয়েছে তার ধারণা দিল সেই দল।
রাজ্য সরকারের তৈরি ওই প্রতিনিধি দলের সভাপতি ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ জানান, ‘‘রত্নভাণ্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, তাতে সাত থেকে আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। সে কারণে আমরা ভাল করে খতিয়ে দেখার এবং সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এত বছর পর যখন জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলা হল সেই সময় কোনও সাপ ওখানে ছিল না। এমনকী কোনও পোকামাকড় বা অন্য কোনও সরীসৃপও পাওয়া যায়নি ওখানে।’’
মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, রত্নভাণ্ডারের দুটি ভাগ, বাহির ভাণ্ডার ও ভিতর ভাণ্ডার। জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) যা কিছু আভূষণ থাকে বাহির ভাণ্ডারে। আর ভিতর ভাণ্ডারে থাকে মূল্যবান সামগ্রী, অলঙ্কার। বছরে ১৫ দিন বাহির ভাণ্ডার খোলা হয়, বন্ধ থাকে ৩৫০ দিন। বহু বছর খোলা হয়নি ভিতর ভাণ্ডার। শোনা যায়, রত্ন ভাণ্ডারে রয়েছে অসংখ্য কাঠের সিন্দুক। সেগুলির উচ্চতা ৩ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট। ১৯৭৮ সালের অডিট অনুযায়ী, রত্ন ভাণ্ডারে রয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ রকমের অলঙ্কার। যার মধ্যে ৪৫৪ ধরনের খাঁটি সোনার অলঙ্কার রয়েছে। কিছু কিছু অলঙ্কারের ওজন এক কেজির বেশি। মোট সোনার অলঙ্কারের ওজন ১২ হাজার ৮৮৩ ভরি। আছে ২৯৩ রকমের রুপোর গয়না, যেগুলির ওজন ২২ হাজার ১৫৩ ভরি।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) প্রশাসন (এসজেটিএ)-এর প্রধান অরবনিন্দা পাঢ়ি জানিয়েছেন, বাইরের রত্নকক্ষের (Ratna Bhandar) চাবি রাখা ছিল পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর থেকে চাবি নিয়েই বাইরের রত্নকক্ষে প্রবেশ করেছি আমরা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে থাকা অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই ‘অস্থায়ী স্ট্রং রুম’-এ রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিতরের কক্ষে প্রবেশের জন্য ভাঙা হয় তালা। ওড়িশার বিজেপি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছায় ওড়িয়ারা ওড়িয়া অস্মিতার পরিচয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এর আগে মানুষের ইচ্ছায় জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হয়েছিল। ৪৬ বছর পর রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হল। মানুষ যা চায়, তাই করতে বদ্ধ পরিকর সরকার।’’
Puri Chappanna Bhog: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?
নিউজ ডেস্ক: রথের দিনগুলিতে (Rath Yatra 2024) পুরীতে তুমুল আয়োজন পুরীর জগন্নাথধামে৷ রথযাত্রার একাধিক উপাচারের অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ (Puri Chappanna Bhog) নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক।
কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ?
৫৬ ভোগ নিয়ে কী বলছে পুরাণ? (Puri Chappanna Bhog) পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ (Puri Chappanna Bhog) চলে আসছে।
মর্ত্যে এসে চার ধাম যাত্রা করেন ভগবান বিষ্ণু...
এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন, তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না এটা কখনও হয়। পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ। কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে? জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে (Puri Chappanna Bhog) রাখা হয়— ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত। (Rath Yatra 2024)
Puri Ratna Bhandar: উল্টোরথের আগেই তালা খোলা হতে পারে জগন্নাথের রত্নভাণ্ডারের!
নিউজ ডেস্ক: রথযাত্রার পরেই সম্ভবত খুলবে জগন্নাথের শ্রীমন্দিরের রত্নভাণ্ডারের (Puri Ratna Bhandar) তালা। শনিবার রত্নভাণ্ডার সম্পর্কিত নতুন তদারকি কমিটির বৈঠক হয়েছে। ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথের (Justice Biswanath Rath) নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের নতুন কমিটির ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে আগামী ৯ জুলাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার পরেই চূড়ান্ত হবে কবে খুলবে এই ‘রহস্যময়’ রত্নভাণ্ডার।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রথ (Justice Biswanath Rath) স্পষ্টভাবে জানান, রত্নভাণ্ডারের ডুপ্লিকেট চাবি কোষাগারেই রয়েছে। শ্রীজগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের মুখ্য প্রশাসক ৯ জুলাই উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে সেই চাবি তুলে দেবেন। তবে দীর্ঘদিন অব্যবহারে জীর্ণ তালা যদি সেই চাবিতে না খোলা যায়, তাহলে তালা ভাঙা হবে। এবিষয়ে একটি কার্যাবলি প্রস্তুত করে তা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। বিচারপতি আরও জানান, রত্নাবলির মূল্য নির্ধারণ ও কোনটি কোন ধাতু বা রত্ন, তা চেনার কাজে সাহায্য করার জন্য জহুরির সাহায্য নেওয়া হবে। তবে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস উল্টোরথের আগেই রত্নভাণ্ডার খোলার চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেডি সরকার রত্নভাণ্ডারের (Puri Ratna Bhandar) মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা প্রস্তুতের জন্য ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরিজিৎ পাসায়াত। শুক্রবার তাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই নতুন প্যানেলের কথা জানায় বিজেপি সরকার।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছেই রয়েছে রত্নভাণ্ডার (Puri Ratna Bhandar)। এটাই মন্দিরের সবথেকে দামি প্রকোষ্ঠ। যুগ যুগ ধরে এখানে জমা হয়ে রয়েছে, জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রার রত্নরাজি। এই রত্নভাণ্ডার নিয়ে নানা বিষ্ময়কর বিশ্বাস রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে যা সম্পত্তি রয়েছে, তা দেশ-বিদেশের কোথাও নেই। মনে করা হয়, পুরীর রত্নভাণ্ডারে এমন সব মণিমাণিক্য আছে, যার দিকে তাকালেই নাকি চোখে ঝলমলিয়ে ওঠে। বৈদুর্যমণি, নীলকণ্ঠমণি-সহ একাধিক মূল্যবান রত্ন রয়েছে জগন্নাথধামের ভাণ্ডারে, এমনই দাবি পাণ্ডাদের। নীলাচলবাসীর বিশ্বাস মহাপ্রভুর এই বিপুল ঐশ্বর্যর পাহারায় রয়েছে বিষধর সাপ। তবে এ সবই গল্পকথা নাকি আসলেই সব সত্যি, তা জানা যাবে রত্ন ভাণ্ডার খুললেই।
Rath Yatra: জগন্নাথ মন্দিরে হবে না নবযৌবন দর্শন, তিথির ফেরে রীতির ছন্দপতন
নিউজ ডেস্ক: এবার তিথির ফেরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চিরাচরিত প্রভু জগন্নাথের ‘নব যৌবন’ আচারের রীতিতে ছেদ পড়তে চলেছে। জগন্নাথ মন্দিরের রীতি অনুযায়ী স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ধরে জ্বরে অসুস্থতার লীলা করে থাকেন জগন্নাথদেব। এর দুদিন বাদে রথযাত্রা।মাঝে মন্দিরের অন্দরে জগন্নাথদেবের বিগ্রহে রূপটানের অনুষ্ঠান নেত্র উৎসব ও নবযৌবন উৎসব আয়োজিত হয়। কিন্তু এবার তিথির ফেরে একইদিনের নেত্র উৎসব ও নবযৌবন বেশ ও রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুষ্ঠান পড়েছে। ফলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন জগন্নাথ মন্দিরের ভক্ত ও সেবায়েতরা।
তিথির ফেরে আয়োজনে সমস্যা
শ্রী মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাধব পূজাপান্ডা বলেন, “তিথির ফেরে এবার অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্নানযাত্রার ১৫ দিন বাদেই আষাঢ়ের শুক্লা দ্বাদশী বা রথযাত্রার তিথির ফলে সেবাইয়েতরা একযোগে ঠিক করেছেন এবছর আর মন্দিরে ঢুকে ভক্তরা প্রভুর নবযৌবন দর্শন করবেন না। জগন্নাথ দেবের পহুন্ডি বিজে বা রথে আরোহনের অনুষ্ঠান দেখার টিকিট বিক্রি করা হবে না। তবে একই দিনে এত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে গেলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান (Rath Yatra) পড়তেই বিকেল হয়ে যেতে পারে। অতীতেও কোনও কোনও বার সব আচার সম্পন্ন করে রথচলা শুরু করতে দেরি হয়েছে। আগে রথ চলার পথে মাঝখানে সারদা নদী ছিল। সেই নদী পেরিয়ে যেতেও অনেক সময় লাগত। এখন সেই নদী বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনটি রথ তিন কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচামন্দিরে পৌঁছে যায়। ১৯০৯ এবং ১৯৭১ সালেও একই দিনে নবযৌবন দর্শন এবং রথযাত্রা পড়েছিল।
মাহেশে হবে নবযৌবন দর্শন
মন্দিরের প্রবীণ সেবাইত রামচন্দ্র দ্বৈতপতি, রাজেশ দ্বৈতপতিরা জানান, রথটানা শুরু হতে দেরি হলে সূর্যাস্তের সময় কিছুদূর এগিয়ে রথ থেমে অপেক্ষা করবে। পরের দিন আবার রথ টানা হবে। এটা মাথায় রেখেই রাজ্য প্রশাসন দুদিন ধরে রথযাত্রার সামলানোর ব্যবস্থা করছেন। সাধারণত পুরীর রথ চলতে শুরু করলেই পথে নামে মাহেশের রথ। ফলে যে সমস্ত রথ পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ ছাড়ার (Rath Yatra) পর চলবে তাদের মনেও শঙ্কা রয়েছে। মাহেশের মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল কৃষ্ণ অধিকারী বলেন,“এবার বিকেল চারটে নাগাদই রথযাত্রা শুরু হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি করে রাখছি। পুরী বা মাহেশ কোথায় কখন রথ টানা হবে সবই প্রভুর ইচ্ছে। তবে মাহেশের মন্দিরে নবযৌবন দর্শন রথযাত্রার আগের দিন সম্পন্ন হবে।”
নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির আশ্বাস পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার শীঘ্রই খোলা হবে। রবিবার রাজ্যের নবনির্বাচিত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ এবং বিধায়কদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মোহন মাঝি বলেন, “প্রত্যেকের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে রত্ন ভান্ডার কখন খোলা হবে। আমি বলতে চাই যে, রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) খুব শীঘ্রই খোলা হবে এবং সেখানে রাখা পবিত্র অলংকারগুলি খতিয়ে দেখা হবে। রত্ন যদি লোপাট হয় এবং কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী মাঝি বলেন, “ওড়িশার (Odisha) অস্মিতা রক্ষার জন্য একটি নতুন ওড়িশার ভাবনা আমরা নিয়েছি। উৎকলের (ওড়িশা) ভাবমূর্তি বিকৃত করে, ওড়িশার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভাষাকে যারা অপমান করেছিল, তাঁদের শাসনের অবসান ঘটেছে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ওড়িয়া অস্মিতাকে রক্ষা করতে এবং ওড়িশাকে ভারতের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করতে কঠোর পরিশ্রম করবে। ওড়িশা ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি বিকসিত রাজ্য হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির এই অঙ্গীকার করেছেন।” মাঝি আরও জোর দিয়ে বলেন, “কর্মী ও নেতাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে দীর্ঘ সংগ্রামের পরে বিজেপি নিজেরাই সরকার গঠনে সফল হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে রাজ্যে বহুল আলোচিত সুভদ্রা যোজনা চালু করা হবে। এতে মহিলারা এই যোজনার অধীনে ৫০,০০০ টাকার নগদ ভাউচার পাবেন, যা বিজেপির অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।”
এদিনের অনুষ্ঠানে সিএম মাঝি, দুই ডেপুটি সিএম, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং জুয়েল ওরাম, রাজ্য ইউনিট বিজেপি সভাপতি মনমোহন শ্যামল, দলের অন্যান্য সাংসদ এবং বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে ওড়িশায় ১ লক্ষ কোটি টাকার নতুন রেল প্রকল্প হবে। অতীতে কেন্দ্রের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার এবং ওড়িশায় বিজু জনতা দল (বিজেডি) সরকার দ্বারা ওড়িশায় রেল উপেক্ষিত ছিল।" কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “বিজেপি সরকার ভগবান জগন্নাথের আশীর্বাদ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সমর্থন ও নির্দেশনায় ওড়িশার (Odisha) জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কঠোর পরিশ্রম করবে। জনগণকে আশ্বাস দিচ্ছি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে।”
Birbhum: বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান, তুলকালাম বীরভূমে
নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাটে-সিউড়িতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এবার হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়।
এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’
Puri Jagannath Temple: রত্ন ভাণ্ডার খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি
নিউজ ডেস্ক: পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার (Jagannath Temple Ratna Bhandar) ৮ জুলাই খুলতে চলেছে।একথা জানিয়েছেন ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) এর সার্ভে সুপার ড. ডিবি গড়নায়ক।পুরীর রত্নভান্ডারে প্রায় ১৫০ কেজি সোনার গহনা আছে।২৫৮ কেজি রুপোর গহনা আছে।রত্নভান্ডার খোলা হলে সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের।
চার দ্বার খোলার পর এবার খুলবে রত্ন ভাণ্ডার
সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দ্বার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার।এর পর থেকে রত্ন ভাণ্ডার (Jagannath Temple Ratna Bhandar) খোলার কথা সামনে আসতে থাকে।বিজেপির ঘোষণাপত্রে মন্দিরের চারটি দ্বার ও রত্নভান্ডার খোলার প্রতিশ্রুতি ছিল।১৯৭৮ সাল থেকে রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়নি।ফলে মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ সংক্রান্ত কোনও অডিট হয়নি।জানা গেছে রত্ন ভাণ্ডার খোলার দাবি উঠলেও চাবি হারিয়ে আওয়ার অজুহাতে রত্ন ভাণ্ডার খোলা এবং অডিটের চেষ্টা বিফল হয়ে যায়।
মন্দির কমিটির বক্তব্য (Jagannath Temple Ratna Bhandar)
জগন্নাথ ধাম মন্দির কমিটির তরফে সুদর্শন পট্টনায়েক বলেন, 'রত্নভাণ্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কমিটি। ২০১৮ সালে পরীক্ষায় উঠে আসে রত্ন ভাণ্ডারে বৃষ্টির জল ঢোকা সহ একাধিক সমস্যার কথা। ছয় বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রত্ন ভাণ্ডার সারাইয়ে কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষনকে (ASI) চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। লেজার স্ক্যানিংয়ে রত্ন ভাণ্ডারে ফাটল নজরে এসেছে।মন্দির সুরক্ষার দায়িত্ব সকলের উপর বর্তায়। রত্ন ভাণ্ডারের মেরামতিতে ছয় বছর দেরি হওয়ার কারণ অনুসন্ধান হওয়া উচিত। আমি এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝিকে ASI, মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।' শ্রী জগন্নাথ মন্দির অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (SJTA)-এর তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের চাবি হারানোর ঘটনাকে এবার ভোটপ্রচারের হাতিয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও জানা গেছে পুরী জগন্নাথ মন্দির কমিটির বৈঠকে শেষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে।পুরী জগন্নাথ ধামে রথযাত্রার আগেই রত্নভাণ্ডার (Jagannath Temple Ratna Bhandar) খোলা হলে এটি বিজেপির নৈতিক জয় হবে।কারণ বিজু জনতা দলের আমলে একবারও রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়নি।
Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের তাৎপর্য জানুন
নিউজ ডেস্ক: চার ধামের অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। কথিত আছে চারটি গেট চারটি প্রাণী দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয় এবং এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের এই চার দুয়ার হল- 'সিংহ দুয়ার','অশ্ব দুয়ার','ব্যাঘ্র দুয়ার' ও 'হস্তি দুয়ার'।
আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চার দুয়ারের তাৎপর্য - (Significance Of Entrance Gates)
১) পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার- এই গেটটি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশের প্রধান দরজা। পৃথিবীতে গুণ প্রচারের জন্য সিংহকে ভগবানের একটি বিশেষ অবতার বলে মনে হয়। আর সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হওয়ার কারণে মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটটিই সিংহ দুয়ার নামে পরিচিত। এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষলাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।
২) পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার- বাঘ হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু ও বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন।
৩) উত্তর দুয়ার বা হস্তি দুয়ার- হাতিটিকে সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদে ভরে ওঠে ভক্তের ঘরে। জানা গিয়েছে হস্তি দুয়ারের প্রতি পাশে এক করে হাতির বিশাল মূর্তি ছিল, যা মুঘল আক্রমণের সময় বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে, এই হস্তি দুয়ার মেরামত করে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এই দরজা দিয়ে ঋষি ও বিশেষ ভক্তরা প্রবেশ ও প্রস্থান করেন।
৪) দক্ষিণ দুয়ার বা অশ্ব দুয়ার- জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে সম্রাটরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিয়ে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতেন। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে কামের অনুভূতি কেটে যায়। এখানে একাধিক দেবতার প্রতীক রয়েছে। লোকনাথ, ঈশানেশ্বর, পরশুনাথ, ধবলেশ্বর, লক্ষ্মী নৃসিংহ ও তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে এই দরজায়।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরে একসময় চারটি প্রবেশদ্বারই খোলা থাকত। তবে নিয়ম বদলায় কোভিড অতিমারি শুরু হলে। কারন তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিমারির সময় থেকেই মন্দিরের তিনটি দরজা বন্ধ করে দেয়। খোলা ছিল একটি মাত্র দরজা। সেই একটি মাত্র দুয়ার দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু কভিড পরবর্তী সময়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এতদিন পর্যন্ত সেই নিয়মই বহাল ছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন ভক্তরা। তবে সম্প্রতি নতুন সরকার আশায় মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Puri Chandan Yatra: জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় বাজি ফেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত
নিউজ ডেস্ক: সামনেই রথযাত্রা। সেজে উঠছে পুরী। কিন্তু রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় (Puri Chandan Yatra) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন বহু ভক্ত। বুধবার রাতে ওড়িশার (Odisha) পুরীতে চন্দন যাত্রা উপলক্ষে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০ জনেরও বেশি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আতশবাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। ঘটনার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে জখমদের নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা।
জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা উপলক্ষে পুরীর নরেন্দ্র পুষ্করিণী এলাকায় কয়েক শো পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। আসলে এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য পুরীতে রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। তাই এই উৎসবে অনেকে সেখানে বাজি পুড়িয়ে আনন্দ করছিলেন। সেই সমস্ত বাজি ওখানেই জড়ো রাখা ছিল। আর তার থেকেই বাধে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে লাগে বাজির স্তূপে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। একের পর এক বাজি ফাটতে শুরু করে। যেখানে বাজি রাখা ছিল, তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তারা অগ্নিদ্বগ্ধ হন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে সরোবরে ঝাঁপ দেন। জানা গিয়েছে হটাৎ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। সকলেই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার খরচ ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মেটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
>Odisha CM Naveen Patnaik tweets, "Sorry to hear about the accident near Puri Narendra pool. The chief administrative secretary and the district administration have been directed to ensure proper treatment of the injured and monitor the system. All the medical expenses of the… pic.twitter.com/5bXwQMT4oP
— ANI (@ANI) May 29, 2024
অন্যদিকে এ ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার প্রার্থনা ভগবানের আশীর্বাদে যেন আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।"
TMC Leaders drug connection: শাহজাহান বাহিনীর মাদক যোগ!
নিউজ ডেস্ক: ফের প্রসঙ্গে সন্দেশখালি (sandeshkhali), আর শেখ শাহাজাহান। সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে নতুন নতুন অভিযোগ উঠতে থাকে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের (sheikh shahjahan) বিরুদ্ধে। এবার শাহজাহানের ড্রাগ ব্যবসার অভিযোগ উঠল। তবে এর অনেক আগে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
২০২২ সালে সুকান্ত মজুমদার(sukanta majumder) ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়(jagannath chaterjee) সাংবাদিক বৈঠক করে উত্তর ২৪ পরগনায় ড্রাগ পাচারের একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেখানেই উঠে এসেছিল সন্দেশখালির দুই দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান ও শিবু হাজরার নাম। বলা হয়েছিল, প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের (sariful enterprise) নামে কলকাতা বন্দরে এসেছিল। তখনই শরিফুল নামটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে হেরোইন চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে জেলিয়াখালির তৃণমূল নেতা শরিফুল মোল্লার (Sariful Molla)বিরুদ্ধে।
দেড় বছর আগেই হেরোইন মামলার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। সেই তদন্তের ফলাফল হিসেবেই সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সমান্তরালভাবে উঠে এসেছে শেখ শরিফুলের নাম। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত জানা গেছে ,শরিফুলের বিরুদ্ধেই একটা সময়ে যৌথ অভিযান চালিয়েছিল গুজরাট এটিএস ও ডিরেক্টরেট অব্ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। তখন শরিফুলের বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশের সরঞ্জামের মধ্যে থেকে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের দাম ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে সিবিআই(CBI) হেফাজতে রয়েছে সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে প্রতি দিনই নতুন নতুন অভিযোগ উঠছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, “ শরিফুল মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আমরাই সবার আগে অভিযোগ করেছিলাম। এখন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ধীরে ধীরে সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত বিজেপির একাধিক নেতা আগেই দাবি করেছেন যে সংস্থার মাধ্যমে হেরোইন চক্র চলত ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা(shibu hazra) এবং শাহজাহানের সঙ্গে শরিফুলের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষে। সেই সূত্রেই শাহজাহানের মানহানির মামলা।
jagannath sarkar hackled: রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রচারে বাধা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা রীতিমত হেনস্থা করছেব জগন্নাথ বাবুকে। রবিবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের চাকদা থানার অন্তর্গত শিমুরালি মালোপাড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসেন জগন্নাথ সরকার। কীর্তন চলাকালীন সেখানেই তাকে প্রচারে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসার পরেই হঠাৎ একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দল তার দিকে তেড়ে আসে। তার উপর হামলা চালায়। আরও অভিযোগ তার এক সহকর্মীকে মারধর করা হয় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও ওই বিজেপি কর্মীর গলার সোনার চেন ছিনতাই করার অভিযোগও তোলেন সাংসদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। এরপর বিধায়ক ও সাংসদ দলীয় কর্মীদের নিয়ে চাকদা থানায় উপস্থিত হন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চাকদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।