Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

jharkhand

Jharkhand Highcourt: সাঁওতাল পরগণায় হঠাৎ করেই মাদ্রাসা সংখ্যা বৃদ্ধি! কী আদেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের?


নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল ঝাড়খণ্ড আদালত। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand Highcourt) রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, যে বাংলাদেশিরা (Bangladeshi Infiltrators) অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি এ কে রাইয়ের বেঞ্চ ড্যানিয়েল ড্যানিশের আবেদনের শুনানির পর ৩ জুলাই এই রায় দেন, যেখানে আদালতকে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ সংলগ্ন সাঁওতাল পরগনা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো এসটি (তফসিলি উপজাতি) ধর্মান্তরিত করছে। রাজ্যের মেয়েদের ইসলামের নামে বিয়ে করে নিজেদের ধর্মে রূপান্তরিত করছে। এরম ঘটনা একটা নয় একাধিক। ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাই যত দ্রুত সম্ভব এগুলির অবসান ঘটানো জরুরি।

আদালত তরফে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণার জেলাগুলিতে হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে সেখানে ৪৬টি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর নবনির্মিত সেই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। এছাড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় নারীদের শোষণের পাশাপাশি জমিও দখল করছে। তাই এবার পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ হওয়ার আগে আদালত (Jharkhand Highcourt) সরকারকে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চার্জশিট জমা দিতে বলেছে, যেখানে বাংলাদেশের কতজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাদের কতজনকে আটকানো হয়েছে এবং কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে।

একইসঙ্গে এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি (Bangladeshi Infiltrators) নিষিদ্ধ সংগঠনটি সাঁওতাল পরগনার অনেক অংশে স্থানীয় আদিবাসী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে 'লাভ-জিহাদ'-এর অধীনে বিয়ে করছে। বিয়ের পরে, তারা মেয়েদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে তাদের মাধ্যমে সরকারী তহবিল বন্ধ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করে। যদিও এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্মান্তরের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে সতর্ক করেছিল যে, এইভাবে ধর্মান্তরিত হলে জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিতে জানিয়েছিল যে, 'ভারতীয়দের ধর্মান্তর অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।'

Sweta Chakrabory | 13:48 PM, Fri Jul 05, 2024

Jharkhand: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড! বাহিনীর গুলিতে নিহত চার মাওবাদী

নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের পর এবার ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। সোমবার সাতসকালে মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রক্ত ঝরল ঝাড়খণ্ডে। দু’‌পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই হলেও মাওবাদীরা এঁটে উঠতে পারেনি। পশ্চিম সিংভূম জেলায় গুলির লড়াইয়ে চার জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল? (Maoists Encounter)
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) টন্টো এবং গোইলকেরা এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় রাজ্যের পুলিশ। খবর পেয়েই মাওবাদী দমনে গোপন অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানের শুরুতেই লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা অতর্কিতে পুলিশবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় গুলির লড়াই। আর সেই গুলির লড়াইতেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জন মাওবাদীর। একইসঙ্গে এদিন একজন মহিলা মাওবাদী নেত্রী সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক অস্ত্র। ঘটনার পরে এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যুক্ত আরও কয়েকজন মাওবাদী সেই এলাকায় লুকিয়েও থাকতে পারে।

সিংভূম জেলার পুলিশ সুপারের মন্তব্য
এ প্রসঙ্গে সিংভূম জেলার পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর বলেছেন, "গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। তখনই এনকাউন্টারে মৃত্যু (Maoists Encounter) হয় চার জন মাওবাদীর।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চারজন মাওবাদীর মৃত্যু (Maoists Encounter) হয়েছে তার মধ্যে ছিল—একজন জোনাল কমান্ডার, একজন সাব জোনাল কমান্ডার এবং একজন এরিয়া কমান্ডার। তাছাড়া একজন সাধারণ মাওবাদীও ছিল। আর যে দু’জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন এরিয়া কমান্ডার। আর একজন সাধারণ মাওবাদী। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও মাওবাদীদের উৎপাত শুরু হয়েছিল। আর এবার লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও মাওবাদীরা দাপট দেখাচ্ছে। দিন দুয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড়ের জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআইএমএল (মাওবাদী)-র অন্তত আট সদস্যের। আর এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই আবারও ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মাওবাদী দমনে সাফল্য এল

Pankaj Kumar Biswas | 17:28 PM, Mon Jun 17, 2024

PM Narendra Modi: অন্ডাল থেকে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা,বিকেলেই আসছেন রাজ্যে,মোদীকে স্বাগত জানাতে তৈরি আরামবাগ

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দুদিনের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসছেন। শুক্রবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন বিচারবিভাগীয় ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তবে এর খানিক পরেই ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷

উল্লেখ্য শুক্রবার বিকেলেই বাংলায় এসে আরামবাগে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদীর জনসভার মধ্য দিয়ে বাংলায় বিজেপির ভোট প্রচার শুরু করবেন তিনি ৷ বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে ঝাড়খণ্ডের সিনড্রিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি ৷ ঝাড়খন্ডের ধানবাদে ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এসব প্রকল্প সার শিল্প, রেলপথ, বিদ্যুৎ ও কয়লা খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।

এরপর ফের বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করেই ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রি থেকে ধানবাদ হয়ে হুগলির আরামবাগে জনসভায় যোগ দেবেন ৷ প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন আরামবাগের কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে। তাই এক দিন আগেই গোটা চত্বর কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে এসপিজি-র (special protection group) আধিকারিকেরা। সভাস্থলের কাছে কার্যত কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। মাঠ জুড়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে। মঞ্চ-সহ মাঠের প্রায় ১৬ বিঘা এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সার্বিক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মাঠ জুড়ে তল্লাশি চলে মেটাল ডিটেক্টর ও প্রশিক্ষিত তিনটি পুলিশ-কুকুর নিয়ে। ৷ এদিনের সভার জন্য তিনটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে ৷ হেলিপ্যাডে নেমে সেখান থেকে দশর্কদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মঞ্চে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত,মোদীর সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আরামবাগের দিকে রওনা দিয়েছেন ৷ ইতিমধ্যেই আরামবাগে পৌঁছেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।

Sweta Chakrabory | 14:15 PM, Fri Mar 01, 2024

Champai Soren: জানেন কি রাজনীতিতে আসার আগে কী করতেন চম্পাই সোরেন?

নিউজ ডেস্ক: ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন আন্দাজ করতে পেরেছিলেন হেমন্ত সোরেন। বুধবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই ঘোষণা করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম। হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে বেছে নেওয়া হয়েছে চম্পাই সোরেনকে। হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। রাতেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ডের ‘টাইগার’ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
চম্পাই সোরেন রাজনীতিতে আসার আগে কৃষিকাজ করতেন। হেমন্ত সোরেনের বাবা শিবু সোরেনের বন্ধু ছিলেন তিনি। সিএম হেমন্ত সোরেনকেও অনেক অনুষ্ঠানে তাঁর পা স্পর্শ করে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছে। চম্পাই সোরেনের বাবা সিমাল সোরেন ছিলেন একজন কৃষক। সরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার জিলিংগোড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। চম্পাইয়ের জীবনে রাজনীতি আসে পরে, তার আগে বাবার সঙ্গে চাষবাস করতেন তিনি। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। দশম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি চম্পাই সোরেনের। খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। রয়েছেন তাঁর চার সন্তান।
৯০-এর দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে পা রাখেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর রাজনৈতিক জীবনে পাকাপাকিভাবে প্রবেশ করেন বিধায়ক হয়ে। সরাইকেলা আসন থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছিলেন চম্পাই। ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁকে তখন থেকেই টাইগার বলে সম্বোধন করতে থাকেন।

জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি দীর্ঘ সময় ধরে হেমন্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট ছিলেন না ইডি কর্তারা, এমনটাই জানা গিয়েছিল। হেমন্ত সোরেনকে ১৫ দিনের জন্য রাঁচিতে ইডি হেফাজতে রাখা হতে পারে বলে খবর।


Editor | 18:43 PM, Thu Feb 01, 2024

Hemant soren absconding after ed raid: ইডির ভয়ে মধ্যরাতে চটি পায়ে চাদরে মুখ ঢেলে পলাতক হেমন্ত, দাবি পদ্ম শিবিরের

নিউজ ডেস্ক: ইডির হাতে ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এমনটাই দাবি করল ঝাড়খণ্ডের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর বেশকিছু নথি এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে তারা। কিন্তু দেখা মেলেনি হেমন্তর। এরপরই পদ্ম শিবিরের তরফে দাবি করা হয় নিখোঁজ হয়েছেন হেমন্ত।

সোমবার সকালে একটি জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সোমবার সকাল ৭টা থেকে ইডির একটি দল দিল্লির শান্তিনিকেতনে সোরেনের বাড়ি সহ ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় গভীর রাত পর্যন্ত। তবে ইডির দলটি দেখা পায়নি মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের। তবে তল্লাশির পরে বেশকিছু নথি সহ একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে ইডির বাজেয়াপ্ত ওই গাড়িটির নম্বর হরিয়ানার। হেমন্তকে না পেয়ে ইডির তরফে বিমানবন্দরে একটি সতর্কবার্তা জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থাটি। ইডির একটি সূত্রের মারফত খবর হেমন্ত সোরেন ‘নিখোঁজ; এবং তাঁর সমস্ত ফোনই বন্ধ। তার সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি ইডি।

ইডির তল্লাশিতে হেমন্তকে পাওয়া না যাওয়ার পর থেকেই পদ্মশিবির থেকে দাবি করা হয় ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী তারা আরও দাবি করে হেমন্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তিও নিখোঁজ হয়েছেন। তবে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএমের তরফে অবশ্য পালটা অভিযোগ করা হয়েছে যে হেমন্তকে ‘পলাতক’ হিসেবে বদনাম করতে চাইছে বিজেপি। শাসক দলের তরফে দাবি করা হয় বুধবার দুপুর ১টার আগেই ইডির মুখোমুখী হবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর সোমবার সকালে ইডি তল্লাশি অভিযান শুরু করার সময় থেকে দুপুর পর্যন্ত দিল্লির বাড়িতেই ছিলেন হেমন্ত সোরেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরেও বেরতে দেখা যায় তাঁকে। ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জানিয়েছে সন্ধ্যেবেলা বিমানে রাজধানী রাঁচিতে ফিরে এসেছেন হেমন্ত। এবং ইডির তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে গেরুয়া শিবির এ কথা মানতে নারাজ। সোমবার ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি বাবুলাল মারাণ্ডি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘মধ্যরাতে চটি পরে এবং চাদরে মুখ ঢেকে দিল্লির বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে গিয়েছেন হেমন্ত’। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছেন, “টালমাটাল পরিস্থিতি’তে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই পদে নিজের স্ত্রীকে বসাতে চাইছেন হেমন্ত’। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নিশিকান্ত আরও লেখেন, “হেমন্ত জেএমএম, জোটশরিক কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের বিধায়কদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাঁচীতে চলে যেতে বলেছেন। সেখানে নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয় হবে কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করার’।
এর আগে মোট ৯ বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু প্রতিবারই তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন শিবু সোরেনের পুত্র। গত শনিবার ফের নতুন করে হেমন্তকে সমন পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রথমে ঝাড়খণ্ডের এই হেভিওয়েট নেতাকে ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে তাদের দফতরে হাজির হতে বলে ইডি। কিন্তু সেই সমনের জবাব না পেয়ে তাকে ২৯ অথবা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সময় দিতে বলে তারা। কিন্তু তারও জবাব না পাওয়া ইডির তরফে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Editor | 15:16 PM, Tue Jan 30, 2024
upload
upload